পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

مسور 933 ভাবে রক্ষা করিয়াও ভারতের অন্তান্ত জাতির সহিত একত্বের অনুভূতিদ্বারা বঙালীকে পূর্ণভাবে ভারতবাসী হইতে হইবে । তাহা হইলেই – “এক সঙ্গতলে ভারতের পশ্চিম পূৰ্বৰ, দক্ষিণে ও বামে Čo | kā l இ' SvరిgR একত্রে করিবে ভোগ এক সাথে একটি গৌরব —এক পুণ্য ভারতের নামে।**

  • প্রবাসী-বঙ্গসাহিত্য-সম্মেলনের স্বাদশ অধিবেশনে কলিকাতায় টাউন হলে পঠিত ।

জন্মস্বত্ব ঐসীতা দেবী মমতাদের বাড়ি সকাল হইতেই আজ ধুম বধিয়া গিয়াছে । মমতা প্রথম বিভাগে ম্যাটিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়াছে তাই এত ঘটা । তাহার বন্ধুবান্ধব সকলকে খাওয়ানো হইবে, সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের আত্মীয়স্বজন জ্ঞাতি কুটুম্ব বন্ধু সকলেই আসিয়া জুটিবে । ইহাই বাঙালীর সংসারের নিয়ম । কাহাকেও বাদ দিয়া কাহাকেও ডাকিবীর জো নাই। তাহা হইলেই মনকষাকষিঃবাধিয়া যায়, হাঙ্গমের অস্ত থাকে না । মমতার পিতা সুরেশ্বর বনিয়াদী বড়মানুষ । চালচলন র্তাহার পিতার আমল পৰ্য্যন্ত অতি সনাতন রকম ছিল। কলিকাতায় বাসও তিনি প্রথম আরম্ভ করিয়াছিলেন, র্তাহার পূর্বে আর সকলেই গ্রামের বাড়িতে বাস করিয়াছেন। লেখাপড়া এ পরিবারে ছেলেদেরই বিশেষ হইত না, মেরেদের সম্বন্ধে সে ভাবনা কেহ স্বপ্নেও ভাবিত না । ছেলে বাংলা পড়িতে শিখিলে, হিসাব বুঝিতে পারিলে এবং ইংরেজীতে नांभ मूझे रुध्निtङ १ॉब्रिएलई व८थळे कुङविश्रृ वजिम्न क्रां★m হইত। সুরেশ্বরই প্রথম র্তাহার মায়ের আগ্রহে ইউনিভার্সিটির গণ্ডী অতিক্রম করেন । পাশ্চাত্য সভ্যতার আঁচ মনের ভিতর একটু বেশী রকম লাগায় তিনি হাতে সম্পত্তি পাইবামাত্র দেশের বাড়ি বন্ধ করিয়া কলিকাতায় চলিয়৷ আসেন। এখানে নিজের ইচ্ছামত বাড়িঘর সাজাইয়া, নিজের নির্বাচিত বন্ধুবান্ধব লইয়া আনন্দে দিন কাটাইতে আরম্ভ করেন। মমতার পিতামহীর এ সকল পছন্দ হইল না । একে স্বামীবিয়োগের নিদারুণ দুঃখে তিনি মুহমান হইয়াছিলেন, তাহার উপর পুত্রের স্বেচ্ছাচার এবং বিজাতীয় আচারব্যবহারের অনুকরণ র্তাহাকে অত্যন্ত পীড়া দিতে লাগিল । র্তাহার মতামতকে পুত্র যে বিশেষ গ্ৰহ করিবে না তাহাও বুঝিতে তাহার বিলম্ব হইল না । ছোটছেলে শিশির তখনও বালক, মায়ের প্রয়োজন তাহীর ঘোচে নাই, তাহাকে ছাড়িয়া থাকায় চিন্তা করিতেও মায়ের বুকের ভিতরটা ব্যথায় মোচড় দিয়া উঠিত, কিন্তু বড়ছেলের অনাচার র্তাহাকে ক্রমেই অতিষ্ঠ করিয়া তুলিতেছিল। একবার ভাবিলেন দিন-কতকের জন্ত তীর্থ ভ্রমণ করিতে বাহির হইয়া যাইবেন, ম না-থাকার মুখ কয়েক দিনেই সুরেশ্বর বুঝিতে পাfরবে। তখন তাহার মন মায়ের জন্ত একটু কাতর হইবে হয়ত। তাহার কথামত চলিতে ছেলে হয়ত রাজী হইলেও হইতে পারে। তথন না-হয় আবার ফিরিয়া আসিয়া কিছু দিন ছেলেদের সঙ্গে সংসারে বাস করিয়া যাইবেন । ছেলেগুলির বিবাহ দিয়া মনের মত স্থটি বউ আনিবার ইচ্ছাটাও থাকিয়া থাকিয় তাহার মনে উকি দিতে লাগিল । তিনি তীর্থযাত্রার সব ব্যবস্থা করিয়া ফেলিলেন। সুরেশ্বর তাহাতে মত দিতে বিন্দুমাত্রও বিলম্ব করিল না। মা তীর্ধে চলিয়া গেলেন। কিন্তু নদীর স্রোত একবার শৈলজননীর কোল ছাড়িয়া বাহিরে চলিয়া আসিলে আর কখনও সেখানে ফিরিয়া