পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মৃত্যু ও অমৃত ঐকালিদাস নাগ মুখর দিনের মৃত্যুপারে দেখা দিল মৌল নিশা নিয়ে তার রহস্ত অপার । অসীম আকাশভরা গ্ৰহ তার নক্ষত্রের দল কৃপা-নেত্রে চাহে বেন ক্ষুদ্র এই ধরিত্রীর পানে । এক দিকে সংখ্যা-হার স্বষ্টির প্রবাহ অন্ত দিকে নরনারী— ক্ষণিকের হাসি কাপ্পা ঘের। এ-জীবন ! কবে তা’র কেন তা’র। উঠিল ভাসিয়া কোন ভুলে-যাওয়া স্বষ্টি-সমুদ্র মন্থনে ? কেহ বলে হলাহল কেহ বলে অমুত এ প্রাণ অৰ্ব্বাচীন মানবের ফুৰ্ব্বেtধ্য নিয়তি । তারো আগে প্রাণ ছিল এ ধরীরে ঘেরি আদিম পঙ্কের মাঝে লতাগুল্ম কৃমি কীট দল বেঁচেছে মরেছে কত সাক্ষ্য দেয় অঙ্গার প্রস্তর উত্তঙ্গ হিমাদ্রি-কক্ষে সিন্ধুবাসী প্রাণীর কঙ্কাল লক্ষ লক্ষ যুগ পারে মৃত্যুর বিজয়গৰ্ব্ব-রেখা । সে প্রাণের সে মৃত্যুর চিহ্ন আছে ব্যথা শুধু নাই । পশু এল শব্দ নিয়ে ফুটাল ধ্বনির স্বরগ্রাম ক্ষুধা তৃষ্ণ হর্ষ ভয় লেভি হিংসা কতই রাগিণী পশু শিখাইল নরে ভাঙ্গাচোরা ঠাটে = পশু-নর প্যানূ দেখি বেণু-মন্ত্রে সঙ্গীতের গুরু তার কাছে মানবের প্রথম সাধনা মানব স্থতিকা-গৃহে পশু ধাত্রী। পশু দেবদেবী ছেয়ে আছে বুঝি তাই আমাদের ধৰ্ম্মশিল্পমাঝে ? কাল্লা নিয়ে এল নরশিশু ধ্বনির বেসুরে তীরে সঞ্চারিল সুরের সোহাগ, দরদী আলাপে তার ফুটাইল কালে কালে স্বরের সঙ্গতি । কিল্লর কেমনে হ’ল আদি কলাবৎ কপি-নর কোন সাধনায় হল কবি শোক তার শ্লোকরূপে করিয়া অমর ? নিযুত বৎসর আগে, মঙ্গলীয় ভূমে, ঘবদ্বীপে কপাল-কঙ্কালে দিল দেখা মানবের স্বপ্রাচীন জনম-পত্রিকা । সেগা হ’তে বিস্তারিল নিজবংশ শাখা-প্রশাখায় উত্তরে দক্ষিণে আর পুরবে পশ্চিমে এক নর-গোষ্ঠী ভিন্ন আবেষ্টনবশে শ্বেত কৃষ্ণ পীত আদি বর্ণ ভেদ করি ছfইল ধরার বুক গাহিল নূতন ছন্দে স্বষ্টি-ধ্রুবপদ । - বিংশতি সহস্র বর্ষ আগে মৃত্যু দিল হানা নিৰ্ম্মম তুষার নদ রূপে ! ধুক ধুক করে প্রাণ, এতটুকু বুকের উন্মত। বাপ হয়ে শূন্তেতে মিলায় ! বাহিবে জমাট মৃত্যু স্তন্ধ শ্বেত সমাধির মত মাটি নাই জল নাই তৃণটুকু নাই তার মাঝে নর নারী মরেছে বেঁচেছে ! দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে উৎকণ্ঠীর শেষ । সুর্য্যের নীরব আশীৰ্ব্বাদে নড়েছে छूश्निब्रांनि সরে গেছে মৃত্যু অবিরণ জলের উচ্ছল কলতানে কত সিন্ধু, হ্রদ, নদী নাচিয়াছে গীতছন্দসম । আদি দেব স্বৰ্য্যের বন্দল৷ সবিতাগায়ত্ৰীমন্ত্র মুখরিছে তাই দেখি সাহিত্যপুরাণ