পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՆՀ8 সহিত র্তাহার আলাপ-পরিচয় হইল, উভয়ে বেলা সাড়ে চারিটা পৰ্য্যস্ত নানা প্রকার কথাবাৰ্ত্ত হইল। সভাতে ঘাইবার পূর্বে বাবা তাহাকে একটু জলযোগ করাইয়া সঙ্গে করিয়া সভাতে লইয়া গেলেন । তিনিও ইংরেজীতে বক্তৃতা করিয়াছিলেন । সেই সভাতে একটা বড় মজার ব্যাপার গুইয়াছিল । ঐ সভায় প্রায় এক বৎসর পূৰ্ব্বে, চন্দননগর গোপালপাড়া স্পোটিং ক্লাবের উদ্যোগে এক সভা হইয়াছিল। কলিকাতার মেট্রোপলিটান ইনষ্টিটিউশনের তদানীন্তন প্রিন্সিপ্যাল বা অধ্যক্ষ মিঃ এন. ঘোষ সেই সভাতে একটা প্রবন্ধ পাঠ করেন । চন্দননগরের বড়ুসাহেব বা শাসনকৰ্ত্তা সেই সভাতে সভাপতির আসন গ্রহণ করিবেন, এইরূপ কথা ছিল । পাচটার সময় সভা আরম্ভ হইবার কথা, ছয়টা বাজিয়া গেল, বড়সাহেবের দেখা নাই। প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষা করিয়াও সুখন বড়সাহেবের আগমনের কোন লক্ষণই লক্ষিত হইল না, তখন তদানন্তীন মেয়র ৮ দিননাথ চন্দ্রকে সভাপতি করিয়া সভার কার্য্য আরম্ভ হইল । প্রায় সাড়ে ছয়টার সময় বড়সাহেব আসিয়া দেখিলেন সভার কার্য্য চলিতেছে । দেখিয়াই তিনি বলিলেন, “ আমি সভাপতি, আমার অনুপস্থিতে সভা হইতেছে কিরূপে ?” তখন সভার সম্পাদক বড়সাহেবকে বুঝাইয়া বলিলেন যে, বক্তাকে কলিকাতায় ফিরিয়া বাইতে হইবে বলিয়া, পূর্ণ এক ঘণ্টা বিলম্বে সভার কার্য আরম্ভ করা হয়, আরও বিলম্ব হইলে তাহার অত্যন্ত অসুবিধা হইত। কালীচরণ বাবু যে সভাতে বক্তৃতা করিয়াছিলেন, সেই সভাতেও সেই বড়লাহুেবই সভাপতিত্ব করিয়াছিলেন। পাচটার সময় সভা আরম্ভ হইবার কথা, আমরা কাণী বাবুকে লইয়া সাড়ে চারিটার কিছু পরে সভাতে গিয়া দেখি, বড়সাহেব আসিয়া সভাপতির আসন দখল করিয়া বসিয়া আছেন, পাচসাতটি বালক ব্যতীত সভাতে আর কেহ নাই । বেলা পাচটার কিছু পূৰ্ব্বে সভার সম্পাদক মহাশয় উপস্থিত হইলে, বড়সাহেব তাহাকে বলিলেন, “আমি বেলা চারিটার সময় আসিয়া বসিয়া আছি, তোমাদের এত বিলম্ব হইল কেন ?” এই সভাতে সভার কার্য্য আরম্ভ হইবার প্রায় এক ঘণ্টা পরে, বড়ুসাহেব অন্ত এক ভদ্রলোককে সভাপতির আসন প্রদান করিয়া প্রস্থান করিলেন । গোনালপাড়ার সভাতে দেড় প্রবাসী SNシ3ミ ঘণ্টা বিলম্বে আসিয়াছিলেন বলিয়াই বোধ হয় এই সভাতে তিনি এক ঘণ্ট। পূৰ্ব্বে আসিয়া বসিয়া ছিলেন । ফরাসী Httgątwą punctuality-Gafa এই ঘটনাতেই বুঝিতে পারা বtয়। এইবার আfর এক জন সেকালের খ্যাতনামা পণ্ডিত ও খীষ্টানের কথা বলিয়া এই বর্ণনা শেষ করিব । তিনি রেভারেণ্ড লালবিহারী দে । আমরা তাহার কাছে পড়িয়ছিলাম। ১৮৮৭ খ্ৰীষ্টাব্দে প্রবেশিকা পরীক্ষীয় উত্তীর্ণ হইয়া আমরা হুগলী কলেজে যখন ভৰ্ত্তি হই, তখন লুtলবিহারী দে কলেজের ইংরেজী সাহিত্যের অধ্যাপক । তিনি চন্দননগরে বাস করিতেন, নিজের গাড়ী ছিল, প্রত্যহই সেই গাড়ী করিয়া কলেজে সাইতেন । সুতরাং আমাদের বাল্যকাল হইতেই আমরা তাহাকে দেখিয়াছি, অবশেষে তাহার ছাত্র হইবার সৌভাগ্যও লাভ করিয়াছিলাম । আমরা তাহার কাছে সাত মাস কি আট মাস পড়িয়ছিলাম, তাহার পর তিনি পেন্সন লইলেন । তিনি খৰ্ব্বারুতি ঘোরতর কৃষ্ণবর্ণ পুরুষ ছিলেন। গোফদাড়ি কামান, মাথার চুল লম্বা ঘাড় পৰ্য্যস্ত, কিন্তু অতি পাতল । তিনি সদা পাণ্ট লান ও কাল চাপকান পরিধান Fsf...EA ; sitertg brimless bever hat-AI HE GREIকাল রঙের উচু টুপি, এষ্ট ছিল তাহার পরিচ্ছদ । তিনি এক পারসিকের কস্তাকে বিবাহ করিয়ffছলেন । দে সাহেব স্বয়ং ঘোরতর কৃষ্ণবর্ণ হইলেও র্তাহার পুত্ৰকস্তারা জননীর মত গৌরবর্ণ ছিল । ঠাহীর তৃতীয় পুত্র হৰ্ম্মসঙ্গী টেগোর দে আমাদের সঙ্গে এক ক্লাসে পড়িত । হৰ্ম্মসজীকে তাহার পিতা মাতা বাড়িতে “হমূলু” বলিয়া ডাকিতেন, আমরাও তাহাকে ঐ নামেই ডাকিতাম। হর্মুলু বাঙ্গল বুঝিতে পরিত, কিন্তু পড়িতে বা বলিতে পারিত না । বাবুর্চি থানসীমার কাছে হিন্দী শিখিয়াছিল, তাই হিন্দী বলিতে পারিত। দে সাহেব তাহার পুত্রদের নাম পারসিক ও বাঙ্গাল মিশাইয়া রাখিয়াছিলেন । তাহার বড় ছেলের নাম ছিল লালু লালবিহারী দে, মধ্যম পুত্রের নামটা আমার মনে নাহ, তৃতীয় পুত্রের নাম হৰ্ম্মসজী টেগোর দে, ছোট পুত্রের নাম সোরাবজী টেগোর দে । কস্তাদের নাম শুনি নাই । witnfigtät coa Bengal Peasant Life ol coiffon xit8Rg «RR Polktales of Bengal czRottwf3