পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুবিমলের ব্যবসায় শ্ৰীভূপেন্দ্রলাল দত্ত ছোট শহর -পল্পী বলিলেও চলে । যাহারা ধনী ষ্ট্ৰীহরি' শিক্ষিত নন, যাচারা শিক্ষিত র্তাহারা ধনী নন । শিক্ষিতও নয় ধনীও নয় এমন লোকের সংখ্যাই বেশী। যাকার স্থায়ী অধিবাসী তাহারা মহাজন, দোকানদার, চাযা, মুটে, মজুর । র্যাহারা ভাড়াটিয়া DBBBS BBBS BBBS BBBS BBBS BBBS মাষ্টার, কেরানী । ছোট শহর—সমস্ত কারণেই হৈ চৈ পড়িয়া ধায়— অতুল মুন্সেফ মদন উকীলকে ধমূকাইয়া দিয়াছে, নিত্য মষ্টিারের ক্লাস হইতে গেfবদ্ধন জানাল ভাঙিয়া পালাইয়াছে, জনাৰ্দ্দন পলি নবীন ডাক্তারকে ধীরে কাপড় বেচে নাই, মধু কেবলী মেয়েৰ বাড়ি তত্ত্ব পাঠাইতে লক্ষ্মী-পোদারের নিকট স্ত্রীর গল্পনা বাধা দিয়াড়ে—এমনই কত কি । কিন্তু এ সবও নগণ্য হইয়া পড়িল যেদিন রুটিল যে রায়-বহিছর এপীনে বাড়ি করিতেছেন । এমন স্মৃতি ত পূৰ্ব্বে কাহারও কখনও হইয়াছে শোনা যায় নাই। বাহির হইতে এ শহরে যাহার। জুটিয়াছেন, ঠাহীদের মনে ত এ কল্পনা জাগিতেই পারে না । মামূলাবীজের কাছে একটা হোটেলের ধে কদর, এদের কাছে এ শহরের তার চেয়ে বেশী কিছু কদর হইতে পারে না । তাহারা রোজগার করিতেই এ শহরে আসিয়াছেন—পয়সা খরচ করিয়া বাড়িঘুরদের বাগান-বাগিচা করিবেন এখানে ! কেন—দেশে কি তঁহাদের কিছু নাই ? এমন পরামর্শ রায়-বাহাদুরকে দিলেন কে ? তবে রায়-বাহাদুর লোক খুব ভাল, দু-দিনেই বেশ ঙ্গমাইয়া তুলিয়াছেন। সবার সঙ্গেই মেলামেশা— ম্নে তলপুকুরের পাড়ে ঝড়ের সন্ধ্যায় ছেলেবেলায় আমি কুড়াইবার সময় হইতেই পরিচয়-এমন গলাগলি ভাব ! ধ্যা-একেই ত বলে বৈঠকখানা । সেখানে উচু নীচু ভেদাভেদ নাই—মন্ত একটা ফরাস, যেন তাসখেলার ক্লাব। কেউ পায়ের ধূলা লইতে হাত বাড়াইলে দীতে জিৰ কাটিয়া রায়-বাহাদুর চেচাইয়া উঠেন-ইl, ইl, কর কি, কর কি, বামুন-কুলে জন্মেছি—এটা খুবই ঠিক, কিন্তু এতকাল সরকারের গোলামী ক’রে হয়ে গেছি শুদ্ধ র,—বস্ শোধবোধ ! প্রতি-সন্ধ্যায় চায়ের . আসর নিত্য নুতন পদলাভ, আনন্দজ্ঞাপনের ধুম পড়িয়া নায় । মিউনিসিপালিটির কমিশনার, লোক্যাল বোর্ডের মেম্বর, জেলথানার ভিজিটার, স্কুল-কমিটির অডিটর, ডাক্তারখানার ট্রেজারীর-দেখিতে দেখিতে রায়-বাহাদুরের কত কাজ জুটিল-ইস্তক চালতাবাগান ফুটবল-ক্লাবের পেট্রন । বিপুল আয়োজন—বিরাট প্রচেষ্টা ! দি মীন-বন্ধন কোম্পানী লিমিটেড—মূলধন দশ লক্ষ টাকা । উদ্দেশু মহৎ, দেশের মৎস্ত-বৃদ্ধি । মাছ ছাড়া বাঙালীর চলে না। চরথা দরিদ্র ভারতবাসীর লজ্জানিবারণের প্রতীক, সমগ্র ভারতের জাতীয় পতাকায় তাহার স্থান । প্রভিনশিয়াল অটোনমি আহক, মাছ বাঙালীর ক্ষুধানিবারণের প্রতীক, বাংলার জাতীয় পতাকায় থাকিবে মাছ । কি আবেগময় বিজ্ঞাপন, পাঠ করিতে চোথে জল আসে, জিহবায় জল ঝরে, পেটে ক্ষুধা জাগে । “স্বষ্টির সেই আদি যুগে—মানব যখন ‘প্রলয় পয়েধি জলে’ নিমগ্ন—তখন নারায়ণ পরিত্রাণায় সাধুনামূ, বিনাশায় চ দুষ্কতামূ’ অনস্তশয়ন হইতে জাগিয়, ‘পুরাণপ্রিয়’ লক্ষ্মীকেও সঙ্গসুখদান হইতে বঞ্চিত করিয়া, মীনৰূপে ধরণীতে অবতীর্ণ হইয়াছিলেন । সেই শুভদিন হইতে মীন-নারায়ণ মানবের কল্যাণসাধনে নিয়োজিত। এই মীন-নারায়ণকে উদরে প্রেরণ করিয়া রসনায় তৃপ্তি, হৃদয়ে ফুৰ্বি প্রাপ্ত হইয়া, কত সাধু পরিত্রাণ লাভ করিয়াছেন। আবার এই মীন-নারায়ণ বিকৃত গলিত রূপে কত দুষ্কৃতকে বিনাশ করিয়াছেন, কে তাহায় সংখ্যা করিবে ? ভগবানের সেই