পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাদ্র —ও মথুর সর্দার । এক বাৰু তোমীর সঙ্গে আলাপ করবেন—অমনি ইকি পড়িল । দুই বিঘা জমি পর হইতে আর এক জন ইfক ছাড়িল । তার পর আর এক জন । এমন ভাবে চরের এক প্রান্ত হইতে অপর প্রাস্তে ধাক পৌছিল। মিনিট-কয়েক পরে মথুর আসিয়া দাড়াইল । সর্দার বটে, উন্নত দেহ, প্রশস্ত বক্ষ, ঘোর কৃষ্ণবর্ণ, বাবরী চুল—দেখিলে ভয় হয়। প্রায় ভূমি পর্যন্ত নত হইয়া কবঙ্গোড়ে নমস্কার করিয়া মথুর জিজ্ঞাসা করিল—আপনারা— হরিপদ উত্তর করিলেন—আমরা এসেছি তোমাদের কাজকৰ্ম্ম দেখতে । ইনি হচ্ছেন শ্ৰীযুক্ত সুবিমলচন্দ্র রায়, এর পিতা ভূতপূৰ্ব্ব ম্যাজিষ্ট্রেট :– মথুর সর্দার ভূত ভাল করিয়াই চেনে, পুব দিককে বাবুরা যে পূৰ্ব্ব বলে, তাহীও সে জানে। তবে এই ভূতপূৰ্ব্ব কি জিনিষ সে কখনও শোনে নাই। তবে ম্যাজিষ্ট্রেট নাম সে শুনিয়ছে, জিলার মা-বাপ, জমিদার-বাবু বছরে দু-বার সেলাম দিতে সদরে ছুটিয়া যান, উকীলবাবুর শামূলা মাথায় না দিয়া তাহার সম্মুখে যাইতে পায় না, এমন কত কি ! ম্যাজিষ্ট্রেট নাম শুনিয়া মথুরের কেমন একটা ভয় হইল । সে-বীর ম্যাজিষ্ট্রেট আসিয়াছিলেন এদের গায়ে, পঞ্চায়েৎ বসিয়াছিল, তার পরই চৌকীদারী ট্যাক্সের হার গেল বেড়ে । এবার পাঠিয়েছেন ছেলে—আবার কি নূতন ট্যাক্স ? মথুর সতর্ক হইল, বলিল—কাজ-করিবার আর কি দেখবেন বাবু, নদীতে কি আর মাছ আছে ? না-পাওয়া যায় তত বড়, আর না-পাওয়া ধায় তত বেশী। ওরে ও গদাই, যা ত বাবা, মাঝের চাইয়ের বড় মাছটা বাবুদের নৌকায় দিয়ে আয় । —ওটা ত ওখানে নেই বাবা— ষে উত্তর দিল সে ক্রমান গদাধর নয় । হবিমল দেখিলেন এক তরুণী, স্বল্প বস্ত্রে তাহার যৌবনের উন্মেষ বৃথাই ঢাকিয়া রাথিবীর প্রয়াস পাইতেছে । এই চরে অপরিচিত বাবুদের দেখিবর কোন কল্পনা কিশোরী করিতে পারে নাই। সে যেন হঠাৎ মুলড়াইয়া গেল। তরকারীর ঝুড়িটা মাথায় তুলিয় এক হাতে ६वठांब डब्र विब cन cनोक इहे८ङ नामिण । भभूब्र আগাইয়া গিয়া মেয়ের মাথা হইতে ঝুড়ি নামাইল, br為ー8 শুৰিমলের ব্যবসায় ఆషిన్ ' বলিল—এ ষে অনেক বেগুন দেখছি, হাটে কিনেছিল বুঝি ? - —হাটে এত আসে নকি ? ও-পাড়ার গোবরা কাক৷ দিয়েছেন । বিলপারের হারু জ্যেঠা দিয়েছেন এগারটা কুমড়ো, গাংকুলের নিধু-দা দিলেন চৌদ্দটা লাউ, সব নৌকায়—কুমড়োগুলো কি বড় আর কি টকটকে লাল— —তোর লাউ-কুমড়োর গল্প এখন থাক—গাছটা কি হ’ল ক্ষেমণী ? আসতে-আসতে বুঝি দেখলি মাছটা চাই ভেঙে তোর মীমার বffড় যাচ্ছে, না ? ওরে ও গদfই— —গঙ্গাইকে মিছামিছি ডাক্‌ছ বাবা, মাছ ওখানে নেই— -कि ठू'ल ? - -ੇ —বলিস কি ? গদা ত পাহারায় ছিল— -- ছিলই ত। কে না বলছে ? তবে তা চুরি নয়— —তবে কি ? —ডাকাতি । —তুই করেছিল বুঝি ? —নইলে আমি জানব কি ক’রে ? জমিদার-বাড়ির রাঙা-দিদি শ্বশুরবাড়ি যাচ্ছেন—পথে দেখা | ডেকে জিজ্ঞেস করলেন—চরে যাচ্ছিস বুঝি ? চালডাল নিয়ে ? বললাম—তাই, তবে দু-চারটা আনজিও আছে । সঙ্গে ত কত মিঠাই-মও নিয়ে যাচ্ছ পথে থাবার জন্তে । নেবে একটা গরিবের লাউ-কুমড়ে ?—ব’লে বড় একটা লাউ উচু ক’রে ধরলুম। রাঙাদিদি হেলে বললেন—ভালবেসে দিচ্ছিস্ দে, একটা মাছের মুড়ো পেলে বেশ হত। কমলগঞ্জে ধেতে সেতে হয়ত হাট ভেঙে যাবে। আমি উত্তর করলুম— এত দূর যেতে হবে কেন ? ডাঙ্গায় হেঁটে ত যাচ্ছ না-যাচ্ছ জলে—মাছের মতাব কি ? জামাইবাবুকে নাৰিয়ে দাও মা, এক ডুবে পাচটা কই তুলবে -একি জেলেবাড়ির জামাই পেলি ? জমিদার-বাড়ির জামাইয়ের এত মুরদ নেই. গো ক্ষেী—হাসিয়া রাঙাদিদি তার বরকে বললেন–ওগো শুন্‌ছ, মাছের মুড়োর জন্তে জলে নাৰূবে, ন লাউ মুগ থাবে ? রাঙাদিদির ওগোকে আর কিছু বলতে দিলাম না। আমি বললাম—জেলের মেয়ের কাছে