পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

W68 ঋষি ছোট ? কে প্রমাণিক, কে বা অপ্রমাণিক ? একের কথা অগ্রাহ হইলে অন্তেরও তাহ কেন অগ্ৰাহ হইবে না ? সবই অগ্রাহ হইলে কিছু দাড়ায় না । তাই চাই সমন্বয় অর্থাৎ রফা | ঋষিদের পরবঞ্জীয়া ব্যাখ্যা করিয়! বুঝাইয় দিলেন, সতের তাৎপর্য এই, অসন্তের তাৎপৰ্য্য এই, সখও ছিল না, অসৎও ছিল না—ইহার তাৎপৰ্য্য এই । ( যাহার নাম-রূপ স্পষ্ট হয় নাই তাহ অসৎ, বাহার হইয়াছে তাহ সৎ ) কথা হইতেছে মূল ঋষিদের মনে যে ঠিক এই কথাটিই ছিল তাই কে বলিল ? ইহা হইতেও পারে, না-ও হইতে পারে, নিশ্চয় কল্পিবায়ু উপায় নাই । তথাপি মানুযে সমন্বয় করে, নান! কারণেই না করিয়া পীয়ে না। কিন্তু সমন্বয়ের গতি হইল ইহাই । বলিয়াছি, কণাদ ও গৌতমকে কেহ কেহ পূৰ্ব্বোস্তুরূপে অদ্বৈতৰদিীর মধ্যে আনিতে চেষ্টা করিয়াছেন। তর্কবাগীশ মহাশয় চতুর্থ অধ্যায়ে বৈশেষিক ও দ্যায়স্থর হইতে উপযুক্ত প্রমাণ প্রয়োগে দেখাইয়: দিয়াছেন যে, ঐ কথা ঠিক নহে, উtহtয় উভয়েই ছিলেন দ্বৈতবাদী ৷ যেমন বেদান্ত বা মীমাংস মতের মুল বেদ বা শ্রুতি কণাদ ও গৌতমের মতেয়ও কি সেইরূপ কোনো মূল আছে, অথবা ইহা ঈীদের “বুদ্ধিকল্পিত” ? পঞ্চম অধ্যারে এই প্রশ্নেয়ই আলোচনা করা হইয়tছ। আমাদেয় পুরাণ-উপপুরাণে এ দর্শন, সে দর্শন । এ মস্ত, সে মত ; এ শুস্ক, ও তস্থ ; ই ত্যাদির নিন্দ-প্রশংসা, অথবা উহাদের সহিত শ্রীতির কোনো সম্বন্ধ বা বিরোধ আছে কি না, ইহার কথা দেখিতে পাওয়া বtয় । ইহা দ্বায়া আমাদের পুৰ্ব্ববৰ্ত্তিগণের এই সমস্ত বিষয়ে কিরূপ ধায়ণ ছিল ভtহ। আমরা বুঝিতে পারি। উtহাদের সকলেরই যে, এক মত ছিল না তাহাও বুঝা যায় | এইরূপে এই সমস্ত উক্তি আমাণের আলোচনায় সাহায্য প্রদান করে । কিন্তু অনেক সময়ে এই জাতীয় উক্তি যে, বিদ্বেষবশত হইয়াছে তাঁহাতে সন্দেহ নাই । অতএব বিচার করিয়া এই সমস্তকে গ্রহণ বা বর্জন করিতে হইবে। ঐ জাতীয় গ্রন্থে আছে বলিয়াই নির্বিচায়ে তাহাদিগকে গ্রহণ করিতে পারা যায় না । ন্তায়-বৈশেষিক দর্শনের সমগ্রই শাস্ত্রমূলক বা বেদমূলক, অথবা সমগ্ৰষ্ট গৌতম-কণীদের “বুদ্ধিকল্পিত” এ প্রতিজ্ঞা কয় চলে না । তর্কবাগীশ মহাশয় ঠিকই বলিয়াছেন, গৌতম ও কণাঙ্গ বহু স্থলে শাস্ত্র বা বেদের কথা বা প্রামীণ্যের উল্লেখ করিয়াছেন। ইহাতে কে বলিতে পারে যে, তাহার শ্রীতি জানিতেন না, বা তাহ মানিতেন না, অথবা ঐ ঐ প্রসঙ্গে লিখিত র্তাহীদের উক্তিগুলি ৰুদ্ধিমাত্রকল্পিত ? কিন্তু শাহ কিছু ঐ উভয় দর্শনে আছে তৎসমস্তই বেদমূলক ইহা কি আমরা বলিতে পারি? পরমাণুবাদ ( নাচে দেখুন ) বা সমবায় প্রভৃতি কি শ্রুতিমূলক ? “সমস্ত আধমতেরই মূল বেদ” ইহা ধরিয়া লইলে ও কথা বলা যাইতে পারে, কিন্তু ইহাও কি আমরা একবারে সুনিশ্চিত ভাবে ধরিয়া লইতে পারি ? বেদবিরুদ্ধও আর্ষিমত কি পাওয়t বtয় না ? এত বা বেদান্তের মতে ইচ্ছা-প্রভূতি মনের ধৰ্ম্ম, আস্থায় নহে, কেন ন আত্মা অসঙ্গ ; কিন্তু স্থায়-বৈশেষিক মন্তে ঐ সমস্ত আস্থায়ই ধৰ্ম্ম, অতএব কিরূপে এখানে বলা যাইতে পারে যে, এই স্কায়-বৈশেষিক মত ৰণমুলক ? তর্কবাগীশ মহাশয় এই জাতীয় কতকগুলি প্রশ্ন উত্থাপন করিয়া স্কায়-বৈশেষিক মতের অমুকুলে শ্রুতিসমূহ উদ্ধত করিয়া ৰে ব্যাথ্যা করিয়াছেন তাই প্রণিধাম-যোগ্য এবং উtহারই উপযুক্ত। যদি প্রতিজ্ঞ করা হয় যে, স্কায়-বৈশেষিক মত বেদমূলক তবে এইরূপ ব্যাখ্যাই সঙ্গত । শ্রুতিয় যে বিভিন্ন ব্যাখ্যা হুইবে না তাহা কে বলিল ? সমস্ত আচাৰ্য্যই তো এইরূপ করিয়া আসিয়াছেন। দুরাগ্রহ ত্যাগ করিয়া অধ্যয়ন করিলে দেখা যাইবে যে, অনেক স্থলে তর্কবাগীশ মহাশয়ের স্কায়-বৈশেষিকের অনুকুলে করা শ্রীতির ব্যাখ্যা প্রবাসী SN○8、 কষ্টকল্পিত না হইয়া সুসঙ্গতই হইয়াছে । একই বিষয়ে উপনিষদে ভিন্ন-ভিন্ন মত প্রতিপাদক উক্তি রহিয়াছে, যেমন ভিন্ন-ভিন্ন ভাষ্যকার ভিন্ন-ভিন্ন শ্রুতিকে মুখ ও গৌণভাবে গ্রহণ করিয়া ভিন্ন-ভিন্ন মত স্থাপন করিয়া গিয়াছেন, স্থায়-বৈশেষিকেরও অমুকুলে এইরূপ কোনো-কোনো মত প্রতিমূলক ৰলিয়! প্রতিপাদন করা শক্ত হয় না। পাঠকেয়৷ এই অধ্যায়ে অনেক অদ্বৈত শ্রুতিয় দ্যায়-বৈশেষিক মতেয় অনুকুল ব্যাখ্যা দেখিতে পাইবেন । স্তায়-বৈশেষিকে একটি বিশেষত্ব ৩াহীর আরস্তবাদ ৰা পরমাণুবাদ । তর্কবাগীশ মহাশয় যষ্ঠ অধ্যায়ে ইহা আলোচনা করিয়! বুঝাইয়াছেন। কথা উঠিয়tছে ইহার মুল বেদে বা উপনিবদে পাওয়া যায় কি না । যেমন আজকাল কোনো আলোচনা উঠিলেই তাঁহার প্রাচীনতা প্রমাণ করিবার জন্য বেদেয় দিকে অনুসন্ধানের ইচ্ছা হয়, তেমনি পূবে কোনে বিবরের প্রামাণ্য প্রতিষ্ঠায় জন্ত বেদের সহিত যে-কোনে রূপে হউক একটা সম্বন্ধ দেপাইবার আগ্রহ ছিল। র্যাহার বেদ মালিতেন র্তাহীদের নিকট বেদের এইরূপই একটি প্রভাব ছিল । যুক্তিবাদী হইলেও কেবল যুক্তি দিয়া ইহার তৃ গু হইতে পারিতেন না । জৈন-বৌদ্ধদের এ বন্ধন ছিল না । পরমাণুর কথা বলিতে গিয় জৈন-বৌদ্ধর বেদে তাহার মুল আছে কি না ইহা মনে করিবারও কোনো প্রয়োজন মনে করেন নাই, সুপ্তি-তর্কের বলেই তাহ! স্থাপন করিয়া গিয়াছেন ৷ কপাদ ও গেী তমেরও কথায় তাহার বৈদিকতার কিছু পাওয়া যায় না, কিন্তু উদয়নাচাৰ্য্য তাহার বৈদিক মূল দেখাইতে চেষ্টা করিয়াছেন । শ্বে তা শ্ব ত র উপনি য দে ( ৩.১ ) নিম্নলিপিত মঞ্জটি আছে :– “বিশ্বতশ্চক্ষু রুত বিশ্বতোমুখ। বিশ্বতে বাহুরুত বিশ্ব ন্তস্পাৎ । সং ব{হুভ্যtং ধমতি সং পতত্ৰৈদitঝ" ડ્રમો জনয়ন দেব এক: ॥” এই মন্থটি মুলত ঋ শ্বে দে র (১১.৮১.৩) এবং এক-আধটু পাঠভেদেয় ggD BB BBB BB BBS BDS D B BBB DB S B BBS ১৭.১৯ ; আ খ বি বে দ-সং হি তা, ১৩.২.২ ৬ ; তৈত্তি য়ী য়সং হি তা, ৪.৬-২.৪ ; মৈ লt য়ু পী-স ং হি তা, ২.১ •.2 । আলোচনার স্ববিধায় জগু ঋ শ্বে ধ হইতে ( ১১.৮১.২ ) ইহায় অব্যবহিত পুলবত্তী মন্ত্রটিও তুলিতেছি :– “কিং স্বিদাসাদধিষ্ঠানমারস্তণং কতমখ স্বিৎ কথ{সৎ । যতো ভুমিং জনয়ন বিশ্ব কম। বি দ্যামেীর্ণেল মহিন! বিশ্বচক্ষা: ॥” ইহার সোজা অর্থ এই যে, ( যেমন কুপ্তকায় প্রভৃতি কোনো পত্র নিৰ্ম্মাণ করিতে হইলে কোনো স্থানে থাকিয়া মাটি দিয় তাহ নিৰ্ম্মাণ করে সেইরূপ ) বিশ্বন্দ্রষ্টা বিশ্বকৰ্ম্মার কি অধিষ্ঠান ছিল, উপকরণই ষা ছিল কি, এবং কিরূপেই ৰ তাহী ছিল, যাহা হইতে তিনি (সিজেয় ) মহিমায় ভূলোক উৎপাদন করিয়া ছালোককে প্রকাশ করিয়াছেন ? ইহারই পরে ‘‘বিশ্বতশ্চক্ষুঃ” ইত্যাদি প্রথম মন্ত্রটি বলা হইয়াছে । ইহtয় সরল অর্থ এইরূপ হইতে পারে—সেই এক দেব র্যাহtয় চক্ষু সৰ্ব্বত্র, মুখ সৰ্ব্বত্র, বাহু সৰ্ব্বত্র, এবং চরণও সৰ্ব্বত্র তিনি দু্যলোক ও ভূলোক নিৰ্ম্মাণ করিতে গিল্প বাহু ও পতত্রের স্বারা নিৰ্ম্মাণ করেন। খৃ থে দে র এক স্থানে ( ১৪.৭২.২ ) আছে "ব্রহ্মণস্পতিয়েত সং কৰ্ম্মার ইবধমৎ”—‘ব্রহ্মণস্পতি কামারের মত এই সবকে উৎপাদন করিয়াছিলেন। এখানে "উৎপাদন করিয়াছিলেন ইহা “সৰ অধমৎ”