পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミラtでエ

  • স্থার ভাবার্থ মাত্র I আসল অর্থ হইতেছে (লোঁখাদি ) তাতাইয়া বা ংলাইয়। মূৰ্ত্তি করিলেন।’ আলোচ্য মস্ত্রেও আমাদিগকে এইরূপ বুঝিতে ১ষ্টবে। বিশ্বকৰ্ম্ম বাহু ও “পতত্র দ্বার দ্ব্যলোক ও ভূলোককে গড়িলেন ।

এখন পতত্র’ শব্দের অর্থ কি তাহাই বিচাৰ্য্য। ঋ ধে দে সায়ণ ও বা জ স নে ক্লি-সং হি তীয় উৰট বলেন উহার অর্থ ‘পণ’ বা “পা” । কিন্তু তৈতি রী য়-সং হি তা ও তৈত্তি রী য় অী র ণ্য কে সায়ণ এবং বা জ স নে য়ি-সং হি ত ফু মহীধর বলিয়াছেন উহার অর্ণ অনিত্য পঞ্চভূত (“পতনশীলৈরণিত্যৈঃ পঞ্চভূতৈরূপদানকারণে:" - সারণ ) । উদয়নীচযা বলিতে চাহেন উহtয় অর্থ পরমাণু, পতনশীল অর্থাৎ গমনশীল বলিয়া তাহ পতত্র’ ইহার মতে এইখানেই পরমাণুধীদের মুল বেদে পাওয়া গেল। স্পষ্টই বুঝা যাইতেছে আলোচা স্থলে “পতত্র’ শব্দের আসল অর্থটি বহুকাল হইতে বিস্তুত হইয়া পড়িয়াছে, এবং তজ্জন্ত বহু কষ্ট-কল্পনার আশ্রয় লইস্তে হইয়াছে । বৈদিক ও লৌকিক উভয় সহিত্যেই ‘প তত্র’ শব্দের অর্থ ‘পক্ষ’ । এই দুইটি পর্য্যায় শব্দ । যেমন ‘পক্ষ’ শব্দে আমরা অনেক স্থানে পাশ্ব’ বুঝি ( যেমন, “স্ত:স্বল্লম উভয়পক্ষবিনীতনিদ্রাঃ" য়ৰুবংশ, d-৭২ ), মনে হয়, আলোচ্য স্থলেও “পতত্র শব্দে তাহাই বুঝিতে হইবে । শধব ব{ৎপাশ’ অর্থও হইতে পারে। এখানে একটা কথা ভাবিবার আছে । এই অর্থ হইলে বহুবচন না দিয়া দ্বিবচনই দেওয়া উচিত ছিল । ইহা ভাবিবার বিষয় : জবে বৈদিক ভাষায় বচনের নিয়ম কপনে কখনো শিথিল দেখা বায় । তকবাগীশ মহাশয় নিজেই বলিয়াছেন “অবখ্য উদরনাচাণ্যের উক্তরূপ ব্যাখ্যা অন্য সম্প্রদায় গ্রহণ করেন নাই ও কখনও কয়িবেন না, ইহ স্বী কাস্য ।” সাহাই হউক, ইহার পরে পরমাণুবাদেয় অঞ্চকুলে ও প্রতিকূলে নানা যুক্তি-তকের অবস্থায়ণ করিয়া পরিশেষে তাছা স্থাপন করা হইয়াছে ! এই প্রসঙ্গে একটু আলোচনা করিতে পায় যায়। দুইটি পরমাণুর পরম্পর সংযোগ না হইলে কোনে কিছু উৎপন্ন হয় না । কিন্তু তাহার কোনো অংশ বা অবয়ৰ না থাকয় সেই সংধোগ হইতে পারে না। পরমাণুবাদের ইহা একটা দোষ, এবং ইহা অতি প্রাচীন কাল হইতেই পণ্ডিতেরা আলোচনা করিয়া আসিতেছেন ৷ তকবাগীশ মহাশয় ইহাকে এইরূপে পরিহার করিতে চাহেন ( পু. ১০৯ – SHBBDD BBDD BBK BBBS BBB BB BBB BKBBm অংশ-বিশেষেই জন্মে, কুতরাং নিরংশ দ্রব্যের সংযোগ জঙ্গিাতেই পারে না, ইহা অনুমান করিতে পায়া যtয় না। “কারণ নিরংশ পরমাণু অনুমানপ্রমাণসিদ্ধ হওয়ায় ভtহার সংযোগও ঐ প্রমাণের দ্বারাই দ্যায়পরিচয় \›(ነር” সিদ্ধ হইয়াছে।” কিরূপে ? যেমন সাবয়ব দ্রব্যের সংযোগ দেখা যায় সেইরূপ ঐ সাবয়ব দ্রব্যের অবয়ব-সমূহেরও সংযোগ দেখা যায়, এবং ইহাও দেখা যায় যে, অবয়ব-সমুহের বিভাগ হইলে পূর্বোৎপন্ন সংযোগেরও ধ্বংস হয়। ঠিক এই দৃষ্টাস্তেই অসুমান করিতে পারা যায় ধে, “সেই সমস্ত দ্রব্যেয় যে চরম অবয়ব ব; চরম সুগন্ন অংশ, তাহাও অপর চরম অবয়বের সহিত সংযুক্ত হয় এবং সেই অতি স্বল্প অবয়বদ্বয়ের বিভাগ হইলেই সেই সংযোগের ধ্বংস হয় । অতএব ইহা স্বীকায় করিতেই হইবে যে, নিরবপ্লব দ্রব্যস্বয়েরও সংযোগ জন্মে ।” ( পৃ. ১১• ) । পরমাণু সিদ্ধ হইলে এইরূপ বলিতে পারা যাই শু, কিন্তু নির্বয়ৰ দব্যের সযোগ যুক্তিতে আসে না, এবং সেই জন্তই পরমাণুরই সিদ্ধি হয় না। নিরবরব আকাশের সহিত নিরবয়ব আত্মার বা নিরবয়ব আস্থার সহিত নিল্পবয়ব মনের সংযোগ কণাদ ও গৌতম মানিয়াছেন সত্য, কিন্তু এই যুক্তি নৈয়ায়িক-বৈশেষিকের নিকট উপাদের হইলেও অন্তবাদীরা ইহ। মানিতে বাধ্য নহেন । “নিয়বয়ব পরমাণুর অস্তিত্ব স্বীকার্য্য হইলে অপর পরমাণুর সহিত উছার সংযোগও অবশ্য স্বীকার করিতে হইবে, ইহা ঠিক . কিন্তু অ-পরমাণুবাদী নিরবরব পরমাণুর অস্তিত্বই স্বীকার করেন না । - তকবাগীশ মহাশয় এ বিষয়ে আরও বহু আলোচনা করিঃ এই BBDD BBSBBBBB BBB BBB BDDS gg BBB L BBBB নিমিত্ত কারণ, উপাদান কারণ নহেন তাহাই যুক্তিপ্রদর্শনে দেখাইয়াছেন । কণাদ নিজের ছয় পদার্থের মধ্যে, এবং গৌতম নিজের ষোড়শ পদার্থের মধ্যে ঈশ্বরের উল্লেখ না করিলেও “অ’ ঝা’ শব্দেই জীবাত্মা ও পয়মাশ্ব অর্থাৎ ঈশ্বর এই উভয়কেই বুঝান গিয়াছে। বেদাস্তাদির সহিত তুলনা করিয়া স্তায়-বৈশেষিক-মতে এই ঈশ্বরের কথা সপ্তম অধায়ে আলোচনা করা হইয়ছে। অষ্টম অধ্যায়ে গুtয়-দশনের প্রমাণ পদার্থ ও নবম অপায়ে ঐ প্রমাণের পরীক্ষা, ও দশম অধ্যায়ে স্তায়দর্শনের মতে বেদের প্রামীণাপরাক্ষা ও তাহীর স্থাপন করা হইয়াছে প্রসঙ্গত এখানে বৈশেমিক ও অদ্যান্ত দর্শনেয়ও কথা আলোচিত হইয়ttছ । স্তীরদর্শনে আত্ম:, শরীর, মন, ইন্দ্রিয়, অর্থ, বুদ্ধি, মন, প্রবৃত্তি, দোষ, প্রেতাভাব, ফল, দুঃখ ও অপবর্গ এই বারটি পদার্থকে প্রমেয় বলা হয় । একাদশ অধ্যায়ে পদার্থগুলি কি তাঁহা বিশদভাবে বুঝাইয়া দেওয়া হইয়াছে। এইরূপে স্তীরদর্শনের যোড়শ পদার্থের মধ্যে প্রমাণ ও প্রমেয়ের আলোচনা করিয়া অবশিষ্ট সংশয়, প্রয়োজন, দৃষ্টান্ত, সিদ্ধান্ত, অবয়ব, তক, নির্ণর, বাদ, জল্প, বিতণ্ডা, হেত্বাভাস, ছল, জাতি, ও নিগ্ৰহস্তান এই চতুর্দশ পদার্থের ক্রমশ সংক্ষিপ্ত আলোচনা অস্তিম দ্বাদশ অপারে সহজ ভাষায় করা হইয়াছে । এই গ্রন্থপনি যিনি পড়িবেন তাহাকেই বলিতে হুইবে দার্শনিক সাহিত্যের ইহ একপানি অমূল্য সম্পদ। আমার এজষ্ঠ তর্কবাগীশ মহাশয় ও জাতীয় শিক্ষাপরিষদ উভয়েরই নিকট কুতজ্ঞ । s!/2.