পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাজ জন্মস্বত্ব و او আশীত তাহ সমান তিন অংশ করিয়া লইতেন দশ দিন করিয়া এক একজন পুজা করিছেন পরে কৃষ্ণপ্রসাদ ঠাকুর বাসইল ঐতে ঠাকুর লইয়া ইছাপুর গ্রামে গেলেন তৎপর কাজীর হাঙ্গামাতে ঠাকুর পুঙ্কণিতে জলে খুইলেন পুর্ণরায় জুলিয়া ঠাকুর সেবা করিলেন ইহা সেওয়ায় আর কিছু না জানি ইতি সন ১১৫৫ তেরিখ ৩০ জ্যৈষ্ঠ । ঐগঙ্গানারায়ণ সাং বাসইল। বএস অষ্টআশী বংসর ইতি চন্দ্রমাধব ঠাকুর হকি কত ।” কাজীর হাঙ্গামা মিটিয়া গেলে শ্ৰীমূৰ্ত্তি কয়টি পুকুর হইতে তুলিয়া পুনরায় প্রতিষ্ঠা করিবার দরুনষ্ট এইরূপ জনরব প্রচারিত হইয়াছিল। এখানে লোহারপুকুর সম্বন্ধে একটি কথা বলা আবশ্বক। এই পুকুরটি অতিশয় প্রাচীন। গ্রামবাসীরা এখনও ইহার মধ্য হইতে অনেক মুক্তির অংশবিশেষ পাইয়া আসিতেছেন। আমার মনে হয়, যদি এই পুষ্করিণীটি খনন করা যায় তাহ হইলে বিক্রমপুরের অনেক প্রাচীন কীৰ্ত্তি আবিষ্কৃত হইতে পারে। এ বিষয়ে ইছাপুর ইউনিয়ন বোর্ড সহজেই হস্তক্ষেপ করিতে পারেন । তাহা হইলে গ্রামবাসীদের যেমন জলের অভাব দূর হয় তেমনই বিক্রমপুরের ঐতিহ্য তত্বের দিক্‌ দিয়াও একটি মহৎ কল্যাণ সাধিত হয় । আশা করি তাহারা এ বিষয়ে শীঘ্রই উদ্যোগী হইবেন ।*

  • এই প্রবন্ধের চিত্রগুলি ইছাপুর গ্রামনিবাসী প্রযুক্ত বি. এম. পাল ফটোগ্রাফার তুলিয়। দিয়া অনুগৃহীত করিয়াছেন।

জন্মস্বত্ব শ্রীসীতা দেবী ( & ) মমতাকে দেখিয়া গোপেশ বাবুর অত্যন্ত বেশী রকম পছন্দ হইয় গেল তাহ বলাই বাহুল্য । তাহার স্বন্দরী পুত্রবধুর ষে কিছু দরকার ছিল, তাহা নয়। রূপের চেয়ে রূপা যে ঢের বেশী স্থায়ী জিনিষ তাহা এতকাল এই পৃথিবীতে বাস করিয়া তিনি অতি উত্তমরূপে বুঝিতে পারিয়াছিলেন । তাহার স্ত্রীও র্তাহার যোগ্য সহধৰ্ম্মিণী । তবে সব টাকাটাই নগদ পণরূপে পতিদেবতার হস্তগত ন৷ হইয়া, খানিকটা অস্তুত: বরাভরণ, আসবাব, দানসামগ্ৰী হিসাবে র্তাহার ঘরে উঠিলে তিনি খুশী হন। মমতাকে গহনা দিতে যে মা বাবা কার্পণ্য করিবেন না, তাহা স্বামী-স্ত্রী দুই জনেই ধরিয়া লইয়াছিলেন। মমতা একমাত্র সস্তান না হোক, একমাত্র কন্যা ত বটে ? তাহাকে কি জার গা সাজাইয় গহনা না দিয়া মায়ের মন উঠবে ? তবে নগদ দশ হাজার দিতেছে বলিয়া বরকে জিনিষপত্র বেশী দিতে যদি না চায় ? br●ーゲ তবু মমতার স্বন্দর মুখখানি দেখিয়া অভ্যতখানি খুলী হওয়ারও একটা কারণ ছিল। দেবেশের মেজাজখানি বেশ সাহেবী ধরণের । এখন পৰ্য্যন্ত বাপ-মায়ের কথা সে থানিক খানিক শুনিয়া চলে বটে, কিন্তু বাপ-মাও এখন পৰ্যন্ত তাহার বিশেষ অমত যাহাতে, এমন কিছু তাহাকে দিয়া করাইবার চেষ্টা করেন নাই। বিলাত যাইবার সখ তাহার অত্যন্ত প্রবল, কিন্তু বাপের এমন সংস্থান নাই যে তাহাকে পাঠাইতে পারেন। র্তাহার ছেলে মাত্র ঐ একটি, কিন্তু মেয়ে আছে গুটি-পাচেক । তিনটির তাঁহার মধ্যে বিবাহ হইয়াছে, বিবাহ দিতে অবশু দেশের জমিজমা বাড়িঘর সবই মহাজনের কাছে বাঁধা পড়িয়াছে। কলিকাতার বাড়িটিও এবার হয় বাধা দিতে না-হয় বিক্ৰী করিতে হইবে, কারণ চতুর্থ কস্তাটিও প্রায় অরক্ষণীয়া হইয় দাড়াইয়াছে। ইহার মধ্যে ছেলেকে বিলাত পাঠাইবার খরচ কোথা হইতে পাওয়া যাইবে ? অতি শুভক্ষণে এই বিবাহের প্রস্তাবটি আসিয়াছে। নামে মাত্র স্বদে যদি সুরেশ্বর গোপেশ বাৰুকে দশ হাজার টাকা ধার