পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

खोक्ञ्पोङ्गञ्म ጬማግ ভাদ্র দিদির হাতের । দিদিকে ডাকি, তিনি কতদিন তোমায় —ব, হরিসাধনের খাবার কই ? আমরা ভাগাভাগি দেখতে চেয়েছেন। ক’রে থাই, কেমন । বয়স বাইশ-তেইশ হইবে। মুখখানি তারুণ্য ও প্রসন্নতায় –ও এখন খাবে, তাহলেই হয়েছে। ওর এখনও পূর্ণ অথচ এমন স্নিগ্ধ গাম্ভীৰ্য আছে যে তাহার সম্মুখে কোন পুজো করা হয়নি। চপলতা করিতে সাহস হয় না । দুই চোখে গভীর মমতার সহিত করুণত মেশান । হাতে সোনা-বাধান শাখা ও তিন গাছি করিয়া সোনার চুড়ি, কাল-পাড়-ওয়াল কাপড়খানি ধপধপ, করিতেছে, অচিলে বাধা চাবির গোছ বেশ ভারী। সদ্যহ্মাতা দিদি যখন ঘরে আসিয়া প্রবেশ করিলেন, প্রভাতের আলো-ভরা ঘরখানি আরও উজ্জল নিৰ্ম্মল হইয়া উঠিল । বয়সে দিদি অরুণের অপেক্ষা কয়েক বৎসর বড় মাত্র ; অরুণের মনে হইল, দিদি যেন তাহার চেয়ে অনেক বড়, তাহার অতি পূজনীয়, দেখিলেই ভক্তি করিতে ইচ্ছা হয়। তাড়াতাড়ি উঠিয়া অরুণ দিদিকে প্রণাম করিল। —থাকৃ ভাই, অত ঘটা ক’রে দিদিকে প্রণাম করতে । হবে না । অরুণের মুখ রাঙা হইয়া উঠিল । হরিসাধন বলিল—বা তুমিযে দিদি হ’লে। —বস ভাই, দাড়িয়ে রইলে যে । সাধনকে কতদিন বলেছি, তোমায় একবার নিয়ে আসতে। ‘অরুণ’ ব’লে আমার এক ভাই ছিল, তোমার মতই স্বন্দর দেখতে ছিল, আজ মনে হচ্ছে আমার সেই হারানো ভাইকে আবার পেলুম। —আমার দিদি নেই, আমিও দিদি পেলুম। —এ দিদি বড় গরিব, দুঃখিনী ; এ দিদিকে পেয়ে লাভ নেই, লোকসানই হবে। হরিসাধন বলিল—আচ্ছ, দিদি চুপ কর দিকি । —ঠিক বলেছিস, নিজের দুঃখের কথাই বলতে আরম্ভ ক’রে দিলুম। বসভাই, আমি খাবার নিয়ে আসি । —আমি খেয়ে এসেছি । —তা কি হয়; দিদিকে প্রণাম করলে, খেতে হয়। নানা প্রকারের খাবার ও ফল-সাজান কাসার বড় থালা হাতে লইয়া দিদি আবার আসিলেন। —এত আমি খেতে পারব না, দিদি। —খুব পারবে ভাই, আমি বলছি, তুমি গল্প করতে করতে

  • ्i७ ॥
  • ー〉●

নিমন্ত্রিত অতিথির মত বসিয়া অরুণকে সব খাবার খাইতে হইল। বিদায়ের সময় দিদি বলিলেন—মাঝে মাঝে এস ভাই । হরিসাধনের গ্রন্থস্তুপ হইতে একখানি বই লইয়া অরুশ বলিল--এই বইখানি পড়তে নিচ্ছি। —fo, Utoffo Duties of Man (“to কৰ্ত্তব্য” ) । বইখানি তুমি পড় নি, নিয়ে যাও । বইখানি আমি রোজ খানিকটা পড়ি, চমৎকার বই। —তাহলে ত বইখানি নিয়ে যাওয়া উচিত হবে না। —ন, না, তুমি পড়। তা না হ’লে দুঃখিত হব। অরুণকে হরিসাধন গলির মোড় পৰ্য্যস্ত পৌছাইয়া দিল। বলিল—দিদিকে কেমন লাগল ? দিদি তাহার গর্বের জিনিষ । -এ রকম দিদি পাওয়া মহা সৌভাগ্য। খুব ভাল লাগল । —তবে দিদির জীবন বড় দুঃখের, একদিন সে-গল্প তোমায় বলব। মাঝে মাঝে এস ভাই। ধাৰ্ম্মিকদের, পুণ্যবতীদের ঈশ্বর এত দুখ দেন কেন জানি না। দিদি বলেন, তিনি দুঃখ দেন বলেই ত সব সময়ে তার নাম করি, র্তাকে ভুলে যাই না । পথে চলিতে চলিতে অরুশ ম্যাৎসিনীর বইখানি উন্টাইতে লাগিল, একটি লাইন তাহার চোখে পড়িল, Your first duties are to humanity. \ পরদিন প্রভাতে অরুণ অজয়দের বাড়ি গেল। চার-পাচ দিন কলিকাতায় আসিয়াছে, একবার অজয়দের বাড়ি যায় নাই, এ-কথা ভাবিয়া যেমন লজ্জিত তেমনই ভীত হইয়া উঠিল। বাড়িতে ঢুকিতেই চন্দ্র। তাহার হাত ধরিয়া বলিল— অরুণদা, আমার ঝিমুক বই-ৰিহৰ। এ মা, কি কালো হয়ে গেছ ।