পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Գoo উভয়ই হুহয় উঠে ভয়ঙ্কর। একটি পূর্ণতাকে খণ্ডিত করিলে দুইটি খণ্ডিত অংশ রাহু ও কেতুর মত দেখায় ভীষণ । যথাৎ-চ রাত্রী চ ন বিভীতৌ ন রিব্যতঃ এব। মে প্রাণ ম; বিম্ভে । ঘপ দেীশ্চ পৃথিবী চ ন বিভীতৌ ন ৱিষ্যতঃ এব। মে প্রাণ ম৷ বিভেঃ । যথ ভূতং চ ভবাং চ ন বিভীতে ন রিফত এব! মে প্রাণ ম; বিভে: | “দিন ও রাত্রি যুক্ত হইয়। যেমন ভয় ও বিশ্নের অতীত, তেমনি হে আমার প্রাণ, তুমি ভয় পাইও না। যুক্ত আকাশ ও পৃথিবী যেমন ভয় পায় না ও বিয়ে বিপন্ন হয় না, তেমনি হে আমার প্রাণ, ভয় পাইও না। যেমন ভূত ও ভবা যুক্ত হইয়া সকল ভয় ও বিল্পের অতীত, তেমনি হে আমার প্রাণ ভয় পাইও না ।” যে মৃত্যুকে ঋষি ও তপস্বীরা ভয় করেন তাহ। এই মৃত্যু নহে। তাহারা যে মৃত্যুকে ভয় করেন তাহাকে লোকে “মৃত্যু” বলিয়াই মনে করে না, তাহাকে লোকে “জীবন” বলিয়াই ভুল করে । সেই মৃত্যু হইল অন্ধকার ও অসত্যের সার্থী। তাই তাহাদের প্রার্থনা জ্ঞসতে, ম সদর্থময় তমসে ম জোতিগময় মৃত্যোম মৃতংগময় “অসত্য হইতে সত্যে আমাকে উপনীত কর, অন্ধকার হইতে জ্যোতিতে আমাকে উপনীত কর, মৃত্যু হইতে অযুতেতে আমাকে উপনীত কর।” অর্থাৎ সেই মৃত্যু হইল অন্ধকার ও অসত্য । যে মৃত্যুতে সাধারণ লোক ভীত তাহাতে সত্যদশী তপস্বিগণের বিন্দুমাত্রও ভয় নাই। জন্মও ཀཱ་ལམ་ তাহাদের আনন্দ মৃত্যুও তেমনি তাহাদের আনন্দ । , জানন্দান্ধ্যেবখৰিমানি ভূতানি জায়ন্তে, श्रीनप्क्रन छोज्रोनि खौौदछि . জানলং প্রয়প্তাভিসংলিশাস্ত । • “আনন্দ-স্বরূপ হইতেই সকল চরাচর উৎপন্ন। আনন্দই এই স্বষ্টির মূলাধার। এই জীবনে সেই আনন্দেই জীবসকল জীবিত রছে, এবং মৃত্যুতে সেই আনন্দের মধ্যেই গমন করে ও তাহাতে বিলীন হয়।” . আমরা ক্ষুদ্র হইলেও সৰ্ব্বচরাচরের নিয়ন্ত সেই প্রবাসী

    • @Oo.

পরমেশ্বরের সন্তান। কাজেই এই বিশ্বপ্রকৃতির বড় বড় শক্তি আমাদের সেবা করে সেই পরমপিতার শাসনে । ভগ্নীদম্যাগ্নিগুপতি ভয়াত্তপতি সুধাঃ । গুয়াদিগ্রস্ট বায়ুশ্চ মৃত্যুধাবতি পঞ্চমঃ। ইহঁার ভয়েই অগ্নি আমাদিগকে তাপ দেয়, ইহঁার ভয়েষ্ট স্থধ্য আমাদিগকে উত্তাপ দেয়, ইহঁার ভয়েই মেঘ ও বায়ু আমাদের সেবা করে ও অবশেষে মৃত্যুও ধাবিত হইয়া চলে আমাদের সেবা করিতে । মৃত্যু ধাবিত হইয়া আবার কোন সেবা করিবে ? রাজার পুত্র এক প্রাসাদে বাস করিয়া সেই স্থানের সকল সুখ সম্ভোগ শেষ করিলে রাজারক্ট আদেশে রাজার ভৃত্য আসিয়া সেই প্রাসাদ হইতে রাজপুত্রের বাহির হইবার জন্য দ্বার দেয় মুক্ত করিয়া। এই জীবন-প্রাসাদের দ্বারপাল হইল মৃত্যু। সে যদি যথাকলে প্রভূর নির্দেশে ধাবিত হইয়া দ্বার খুলিয়া না দিত তবে আমাদের এই জীবনই হইত কারাগার। মৃত্যু হইতেও এই জীবন হইত ভয়ঙ্কর মৃত্যুর অন্ধকূপ । প্রাচীন কালে সৰ্ব্বাপেক্ষ ভীষণ দণ্ড ছিল কাহাকেও একটি কক্ষে প্রবেশ করাইয়া তাহার দ্বার গাথিয় বদ্ধ করিয়া দেওয়া। যদি বাহিরে যাইবার এই মুক্ত দ্বার না থাকিত তবে এই জীবন কি ভীষণ অন্ধকূপ! মৃত্যুষ্ট হইল জীবনের এই মুক্তদ্বার । তাই ধোগবাশিষ্ঠ গ্রন্থে দেখি মহর্ষি বশিষ্ঠ শ্রীরামচন্দ্রকে বলিতেছেন— মরিব্যামি মরিষ্যামি মরিষ্যামীতি ভাষসে । ভবিষ্যামি ভবিষ্যামি ভৰিষ্যামীতি নেক্ষসে । “শুধু বলিতেছ, মরিব মরিব মরিব । হইব, হইব, আবার নূতন করিয়া হইয়া হইয়া উঠিব, এই সত্যটি কেন প্রত্যক্ষ কর না ?” তাই এই মর্ত্য-দেহ ছাড়িয়া অমর্ত্য-দেহপ্রাপ্তি একটি মহামহোৎসব • দেহাদেহান্তরপ্রাঞ্চেী নব এব মহোৎসল । আসিতেছে যে জীবন তাহার কত বড় সম্ভাবনা তাহা আজ আমাদের অনুমানেরও অতীত। আজ এই যে দেহাবসান ইহা তো- ' শাস্তে শাম্ভং শিৰে শিৰম্। সেই পরম শাস্তির মধ্যে এই যে শান্ত বিলম্ব, পরম