পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՇՆ করা বায় তাহা হইলে পলুরা পেত্রিনাক্রান্ত হয় । পেত্রিন ব্যতীত পলুদের আরও তিন প্রকার মারাত্মক রোগ হয়। এগুলি পৈতৃক না হইলেও এই সকল রোগাক্রাস্ত হৰয়া হীনবল হইলে তাহদের সস্তানেরাও প্রায়ই দুৰ্ব্বল হয় এবং রোগাক্রান্ত হইতে পারে। সেই জন্ত সম্পূর্ণ নীরোগ পলু হইতেই ডিম রাখা কৰ্ত্তব্য । ইহা ছাড়া পেক্রিন যেমন পলুদের হানিকর, অপর রোগও প্রায় একই রূপ হানিকর । গরম আবহাওয়া, রুদ্ধ বাতাস এবং যথেষ্ট বিশুদ্ধ বাতাসের অভাব, মন্দ, ভিজা ও ময়লা যুক্ত খাদ্য এবং পালন-প্রথার অনিয়মে প্রধানতঃ এই সকল রোগ হয়, উত্তম খাদ্য এবং প্রকৃষ্ট পালন-প্রথা ব্যতীত অতি উত্তম জাত পলু হইতেও উত্তম গুটি পাওয়া যাইতে পারে না । অতএব নীরোগ ডিম যেমন দরকার, উত্তম খাদ্য এবং উত্তম পালন-প্রথাও সেইরূপ দরকার । উত্তম খাদ্য পলুদের খাদ্য র্ত তপাত । প্রায় চারি শত প্রকার তুতগাছ আছে। তাহদের মধ্যে কোনটি কোন স্থানের উপযোগী এবং কাহার গুণাগুণ কিরূপ এবং স্থানবিশেষের গুণে কিরূপ হইবে পরীক্ষা ব্যতীত স্থির করা যাইতে পারে না । পলু-পালন-কার্যের অর্থাৎ রেশম-উৎপাদন শিল্পের যাহা প্রয়োজন ও খরচ তাহfর মধ্যে পাতা উৎপাদন ও সরবরাহ খরচ প্রায় দশ আনা এবং অপরাপর খরচ প্রায় ছয় আনা । তার পর খাদ্য ভাল ও যথেষ্ট না হইলে অতি উৎকৃষ্ট জাত পলুও ভাল গুটি করিবে না। এই সকল কারণে তুত লইয়া গবেষণা ও পরীক্ষাদ্বারা উৎকর্ষসাধন জন্ত জাপানে চারিটি বিশ্ববিদ্যালয়, তিনটি রেশম-বিজ্ঞান কলেজ এবং ৫৫টি রেশম-পরীক্ষা-কেন্দ্রের প্রত্যেকটিতে ভূতবিশেষজ্ঞ নিযুক্ত আছে। ইহা ছাড়া প্রায় ৬৩,••• তুতের কলম-উৎপাদক চাষীদিগকে উত্তম প্রথা শিক্ষা দিবার ভার ৩৪৩টি তত্ত্বাবধান-কেজের উপর ন্তস্ত আছে । শিক্ষা উত্তম পালন-প্রথা এষং তৎসঙ্গে উৎপাদন-শিল্পের অন্তান্ত বিষয় শিক্ষা দিবার জন্ত জাপানে চারিটি বিশ্ববিদ্যালয়, তিনটি কলেজ, ২৪১টি স্কুল এবং ৪৭টি গবেষণা-কেজের SN°8戈 বন্দোবস্ত আছে। জাপানে প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক । সকল বালক-বালিকাই শিক্ষণ পায় এবং যাহা প্রয়োজন, সহজেই শিক্ষা দিবীর বন্দোবস্ত হইতে পারে। আমাদের দেশে এখন তাহী স্বপ্নমাত্র । এখন আমাদের দেশে স্কুলে রেশম-বিজ্ঞান শিক্ষার বন্দোবস্ত করিলে ততটা ফল পাওয়া যাইবে না যতটা রেশম-পালকদের মধ্যে দৃষ্টাস্তকেন্দ্র স্থাপন দ্বারা সম্ভব। পলু-পালকদের পুত্ৰকস্তার অধিকাংশ ক্ষেত্রে লেখাপড়ার সহিত সম্পর্করহিত । উত্তম কাটাই নীরোগ ডিম, উত্তম খাদ্য এবং উত্তম পালন-প্রথা দ্বারা উত্তম গুটী উৎপাদিত হইলেও যদি উত্তম কাটাই না হয়, তবে উত্তম স্থতা পাওয়া যায় না। অতএব সঙ্গে সঙ্গে উত্তম কাটfইয়ের বন্দোবস্ত প্রয়োজন । কাটাইয়ের বিষয় পূৰ্ব্বপ্রবন্ধে যথাসম্ভব মোটামুটি ভাবে আলোচনা করা হইয়াছে। জাপানী পা-যন্ত্র এবং বানক-যন্ত্র দ্বারা উত্তম কাটাইয়ের বন্দোবস্ত করিতে হইবে। মুতা যাচাই এক নমুনার স্বত কাটাই, সমতাসাধন এবং শ্রেণী-বিভাগের সার্টিফিকেট জন্ত যন্ত্রপাতি সহ যাচাইআগার প্রয়োজন । যাচাইয়ের মোটামুটি বিবরণও পূর্ব প্রবন্ধে দেওয়া হইয়াছে । প্রয়োজন উপরে বর্ণিত সকল বিষয়ের বন্দোবস্ত করিবার জন্ত কি কি প্রয়োজন তাহা নিম্নে সংক্ষেপে বলা হইতেছে। প্রথম, প্রধান গবেষণা-কেন্দ্র । ইহার কার্য, (ক) উত্তম পলু নিৰ্দ্ধারণ এবং সকল সময়েই প্রত্যেকটি পরীক্ষিত ডিম হইতে পালনভার উত্তম পলু নীরোগ অবস্থায় সংরক্ষণ। বাংলায় এখন যে নিশ্ৰুষ্ট পলু আছে তাহার স্থলে উত্তম জাত পলু আমদানী করিতে হইবে এবং সঙ্করতা দ্বারা তাহাদিগকে উন্নত করিবার চেষ্টা করিতে হইবে। (খ) ভূ-তবিষয়ে গবেষণা ও পরীক্ষা দ্বারা উত্তম ও নানা স্থানের উপযোগী তুত উৎপাদন ও সরক্ষণ। দ্বিতীয়, যেখানে যেখানে পলু পালন হয় বা হওয়া সম্ভব সেই সেই স্থানে দৃষ্টাস্তকেন্দ্র স্থাপন । ইহাদের কার্য্য—