পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাদ্র ভারতীয় শিল্প ও তাহার আধুনিক গতি ዓመፃ বিভিন্ন যুগে বিভিন্ন জাতির সংস্পর্শে আসিয়া ভারত বিদেশের শিল্পকে গ্রহণ করিয়াছে। বিদেশের শিল্প ভারতে নব রূপ লাভ করিয়াছে। ভারতীয় সভ্যতা ও সংস্কৃতির এই একটি বিশেষ শক্তি আছে, যে, পরকে হজম করিয়া নিজের সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে মিশাইয়া লয়। কবির উক্তি উল্লেখ করিয়া বলা যায়, “শক, হুন, আর পাঠান মোগল একই দেহে হ’ল লীন " প্রাচীন পারসিক, গ্ৰীকৃ, মোগল সকল জাতি হইতে ভারত শিল্প-সম্ভার গ্রহণ করিয়াছে, কিন্তু নুতন রূপে আবার তাহ অপেক্ষাও অধিক ফিরাইয় দিয়াছে । রাজা রবিবৰ্ম্মা ইউরোপীয় জাতির সংঘর্ষে ভারত প্রথম একটু বিচলিত হইয়া উঠিয়াছিল ; ভারতীয় জীবন তখন নিম্প্রভ ; ইউরোপের উজ্জল আলোকে কিছুকালের জন্য চক্ষু ঝলসিত হইয়া উঠিয়াছিল। ইউরোপের অন্ধ অনুকরণ ছিল শিল্পশ্রুষ্টির সার্থকতা। ভারতীয় শিল্পের সৌন্দর্য্য তখন ছিল সকলের কাছে অজ্ঞাত এবং অবজ্ঞাত। ইউরোপীয় শিক্ষার শ্রেষ্ঠ শিল্পী হইলেন রাজা রবিবৰ্ম্ম । তাহার চিত্র ইউরোপীয় শিল্পসম্মত হইলেও ভারতীয় রূপ র্তাহার কাছে কিয়ং পরিমাণে উন্মোচিত হইয়াছিল । তিনি ছিলেন শক্তিশালী শিল্পী। অবনীন্দ্রনাথ এই বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে ভারতীয় শিল্পের এক নূতন অধ্যায়ের স্বত্রপাত হইয়াছে ; সকলেই জানেন, শিল্পাচাৰ্য্য অবনীন্দ্রনাথ ইহার স্থচনা করিয়াছেন। অবনীন্দ্রনাথের শিল্পধারায় ভারতীয়, ইউরোপীয়, চীনা ও জাপানী পদ্ধতির সম্মিলন হইয়াছে। ভারতের নানা স্থানে এই নূতন গোষ্ঠীর শিল্পিগণ এই শিল্প-ধারাকে ব্যাপ্ত করিয়া দিয়াছে। সম্প্রতি বিলাতে যে ভারতীয় চিত্রকলার প্রদর্শনী হইয়া গেল, তাহাতে Joo, - - *. 哆 - కణి* Fజఃఖిశa. iNaు:x: আঙিন। শ্ৰীকুশীল সেন শিল্প-সমালোচকরা সারা ভারতের শিল্প-পদ্ধতির একটা ঐক্য লক্ষ্য করিয়াছেন । অবনীন্দ্রনাথ ও নন্দলাল এই নূতন পদ্ধতির শিল্পাদর্শকে অনেক উচ্চে তুলিয়াছেন, ভারতীয় সৌন্দৰ্য্য-নীতিতে নুতন আলোকপাত করিয়াছেন । এই গোষ্ঠীর বিভিন্ন শিল্পীর নেতৃত্বে কলিকাতায়, শান্তিনিকেতনে, মান্দ্রাজে, অন্ধ, প্রদেশে, লক্ষেীয়ে, লাহোরে ও দিল্লীতে বিভিন্ন শিল্পাদর্শে বিভিন্ন পদ্ধতির স্বষ্টি হইয়াছে। সকলকে বিনা-বিচারে গ্রহণ করিতে পারা যাইবে কিনা ভাবিবার বিষয় ; অনেক শিল্পীর কাজে আর স্বজনীশক্তি যেন পাওয়া যাইতেছে না। তাহারা যেন ঘূর্ণাবৰ্ত্তে নিজের চারি দিকেই ঘুরিয়া মরিতেছে । বহু শিল্পীর কাজ ও তাহার উদ্দেশু ঠিক বুঝিয় উঠতে পারি না। র্তাহাদের কাজে মনে হয়, তাহারা যেন রঙের