পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'ዓoo প্রবাসী తిes ক'রে দিতেন । ভয়ে ভয়ে আমরা তাড়াতাড়ি খাতাপত্ৰ হাতে এসে জুটুলে গান স্বরু হ’ত। প্রত্যেকের খাতায় গানগুলি ঠিকমত তুলে নেওয়া চাই, ফাকি দিয়ে কাজ ফেলে রেখে এর কাধের উপর দিয়ে ওর পিঠের উপর দিয়ে দেখে কোন মতে কাজ সারলে চলবে না। পচিশ-ত্রিশ জনকে একসঙ্গে গান শেখাতে বসেও দিনদার কান পড়ে আছে স্বরের নিখুত টানের উপরে-কোন কোণায় কে এতটুকু বেস্থর করে ফেলল, তৎক্ষণাৎ ধরে ফেলতেন, আর, আগেই যেমন বলেছি,—ঠিক স্বরটি আয়ত্ত না-করা পৰ্য্যন্ত কিছুতেই তার নিস্তার ছিল না। দিনাকে আমরা ভালবেসেছি, তাকে ন-ভালবাসা. আমাদের সম্ভব ছিল না, কিন্তু সেই ভালবাসার স্থবিধা নিয়ে তার প্রতি কোনো চপলতা কোন অ-সমৗহত প্রকাশ করার রাস্ত আমাদের ছিল না। বিপুল একটা সাগর-গম্ভীর ব্যক্তিত্ব তার ছিল, যার সাম্নে এলে প্রদ্ধায় সন্ত্রমে মাথা আপনিই নত হয়ে যায়। বড় গায়ক এবং রবীন্দ্রনাথের “সকল গানের ভাণ্ডারী” বলেই দিনেন্দ্রনাথকে সকলে জানেন । কিন্তু তার একটু বিশেষত্ব ছিল, সেটি স্পষ্ট উল্লেখ করার প্রয়োজন আছে ব’লে মনে করি । সাধারণতঃ বড় গায়কর এক-এক জন সঙ্গীতকলার এক এক বিশেষ দিকে দক্ষতা অর্জন করেন। কেউ ক্লাসিক্যাল সঙ্গীতের এক ভাগ, কেউ অন্ত ভাগ ভাল জানেন, কেউ করেন কীৰ্ত্তন, কেউ বা বাউল ভাটিয়ালী প্রভৃতি লোকসঙ্গীতেই মাতিয়ে দেন। বাংলা গানের মধ্যেও বৈচিত্র্য আছে, রবীন্দ্রনাথের গানের একটা বৈশিষ্ট্য, আবার স্বরসিক কবি দ্বিজেন্দ্রলালের হাসির গানের অার এক রকমের কায়দা । এই সব বৈচিত্র্য অনুসারে গুণীদেরও শ্রেণী-বিভাগ করা যেতে পারে । দিনেন্দ্রনাথের বিশেষৰ ছিল এই যে সব রকমের গানই তিনি অনায়াসে এবং দক্ষতার সঙ্গে গাইতে পারতেন। ফ্লাসিক্যাল হিন্দী সঙ্গীতেও তিনি অল্প শিক্ষা অর্জন করেননি। বাউল ভাটিয়ালী গাইবার সময় মেঠে স্বরের আদি ও না, আপনিই তার কণ্ঠ থেকে বেরিয়ে আসত, চেষ্টা করে क्तिहे ८#७ष्क कवड इज न। शैडन जैत्र शुष শুনলে চোখে জল আসত। আবার দ্বিজেন্দ্রলালের হাসির গান গাইবার জুড়ি তার কেউ ছিল কি না আমি জানি না। এ কথা বললেই বোধ হয় অনেকের কাছেই আশ্চৰ্য্য লাগবে যে ছেলেবেলায় দিনেন্দ্রনাথ দ্বিজেন্দ্রলালের অত্যন্ত প্রিয় ছিলেন এবং নিজের গানগুলি তার মুখে শোনাবার জন্তে দ্বিজেন্দ্রলাল তাকে নিয়ে বন্ধুদের বাড়ি বাড়ি ঘুরতেন। শুধু ভারতীয় সঙ্গীতই নয়, ইউরোপীয় সঙ্গীতেও দিনেন্দ্রনাথের জ্ঞান ও দক্ষতা ছিল। বিলাতে এই সঙ্গীতের মোহে আকৃষ্ট হ’য়েই তার ব্যারিষ্টার হওয়া আর ঘটে ওঠেনি । ইউরোপীয় সঙ্গীতজ্ঞ যারা ভারতীয় সঙ্গীতের রস আস্বাদন করতে চেয়েছেন, তারা দিনেন্দ্রনাথের শিষ্যত্বলাভে নিজেদের কৃতাৰ্থ মনে করেছেন । দিনেন্দ্রনাথের স্বরলিপি তাকে অমর ক’রে রাখবে। স্বরলিপি লিখতে তাকে দেখেছি চিঠিলেখার মতন ; কোনে যন্ত্রের সাহায্য নিতেন না, গুন্‌-গুন করেও গাইতেন না, স্বর তার মাথার মধ্যে খেলা করে বেড়াত, তিনি শুধু কাগজে কলমে তার প্রতিলিপি লিখে যেতেন অতি সহজে, অবলীলাক্রমে,—সেও যেন এক খেলা। খুব ছোটবেলায় লোরেটো স্কুলে পড়বার সময় তিনি স্কুলে পিয়ানোর শ্রেষ্ঠ পুরস্কার লাভ করেন । তার এস্রাজ-বাজানো র্যার শুনেছেন, র্তারা কখনও ভুলতে পারবেন না। এস্রাজ বাজিয়ে আপন-মনে যখন গান করতেন তখন গঙ্গাযমুনার ধারার মত যন্ত্র ও কণ্ঠনিঃস্থত স্বরের ধারা এক হয়ে মিশে যেত । এইবার তার একটি দিকের কথা বলব, যে-কথা তিনি ফুলের গোপন মধুগন্ধের মতন নিজের ভিতরেই লুকিয়ে রেখেছিলেন,—রবীন্দ্রনাথের প্রতিভার প্রতি সন্ত্রম এবং নিজের সম্বন্ধে অত্যন্ত অতিরিক্ত সঙ্কোচ বশত: কিছুতেই তিনি তার নিজের লেখা প্রকাশ হতে দেন নি। তার অবর্তমানে, বিশেষতঃ তার বিনা-অল্পমতিতে, সেটি প্রকাশ করে তার স্থতির প্রতি কোনো অপরাধ করছি কি না আমি জানি না। কিন্তু এটি এমনই মধুর জিনিয় যে সকলকে এর ভাগ দিতে না-পারলে তৃপ্তি হয় না, সে-জন্তে সে অপরাধ স্বীকার করেই নিলাম ; জানি, তার গভীর গ্রেহের কাছে আমার সব চপলত সমস্ত প্ৰগলভতার ক্ষমা আছে। ,

ििन यक जन जेझारबद्र कवि क्षिणम। फैद्र निजथई