পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভীমঙ্গ বিবিধ প্রসঙ্গ—বদান্তত ፃፀ¢ · আপাততঃ যে কষ্ট হইয়াছে, তাহ দূর করিতে ইষ্টবে। কিন্তু স্থায়ী প্রতিকার যে-নাই, তাহা নহে। আমেরিক, জামেনী ও অন্ত কোন কোন সভ্য দেশে মানুষ বিজ্ঞানবলে ও অর্থবলে বন্যাকেও বশে আনিতেছে । আমাদের দেশেও তাই মানুষের সাধোর বাহিরে নহে । নুতন ভারত-গবন্মেটি আইন নূতন ভারত-গবন্মেণ্ট বিল পালেমেন্টের দুই অংশ হাউস অব কমন্স ও হাউস অব লর্ডসের মঞ্জুরী পাইয়া পরিশেষে ইংলণ্ডেশ্বর পঞ্চম জর্জের সম্মতি পাইয়াছে । ইহ! এখন আইনে পরিণত হইয়াছে। যাহারা ইহার দ্বারা শাসিত হইবে, যাঙ্গদের হিতাহিত ইহার উপর নির্ভর করিবে, তাঙ্গর ঈহ! চায় কিন, তাহা আইনের বিলাতী কৰ্ত্তার জানিতে চায় নাই। তাহারা কেবল নিজেদের বর্তমান প্রভূত্ব ও অর্থাগম কিসে রক্ষিত হয় ও বাড়ে তাহাই দেখিয়াছে, এবং ক্রমশঃ বিলটার ধার। যত পরিবর্তিত হইয়াছে, সমস্তষ্ট সেই উদ্দেশ্যে হইয়াছে । ব্রিটিশ সংবাদপত্রসমূহ বলিতেছে, ইহা ব্রিটিশ জাতির একটা মস্ত অবদান achievement" ) এবং . ভারতবর্ষের প্রতি তাহাধের বিশাল সদাশয়ত ও awsors org &son of zoos (“an act of great generosity” ) । ধন্ত ব্রিটিশ ভণ্ডামি ও কপটতা, বা ধন্ত ব্রিটিশ আত্মপ্রতারণা ! - একটা ত্রিটিশ কাগজ বলিয়াছে, যে, এই আইনটা দ্বার। ব্রিটিশ পক্ষের অঙ্গীকার রক্ষিত হইয় ছে । ভারতবর্ষের লোকের কিন্তু মনে করে, যে, ব্রিটিশ-পক্ষ হইতে যত অঙ্গীকারভঙ্গ হইয়াছে, এটা তার মধ্যে সৰ্ব্বাপেক্ষা বুহুং ও অনিষ্টকর। কারণ, ইহ, ভারতবর্ষের স্বশাসক-অবস্থা লাভ আগে যত কঠিন ছিল, তদপেক্ষ অনেক অধিক কঠিন করিল, ইহা ব্রিটেন ও ভারতবর্ষের মধ্যে সম্ভাব স্থাপন ও বুদ্ধির অনতিক্রমণীয় বাধা স্বষ্টি করিল ; এবং ইহা ভারতবর্ষের পুরুষনারীর মধ্যে, ভিন্ন ভিন্ন ধর্শ্বসম্প্রদায়ের মধ্যে, ভিন্ন ভিন্ন প্রদেশের মধ্যে, ভিন্ন ভিন্ন জাতের মধ্যে, ধনিক ও শ্রমিকদের মধ্যে, জমিদার ও রায়তদের মধ্যে, দেশীরাজ্যের রাজা ও প্রজাদের মধ্যে সম্ভাব ও মিলন স্থাপন বা বৃদ্ধির পরিবর্তে তাহাদের মধ্যে ঈর্ষা দ্বেষ অসম্ভাব ও ভেদ বাড়াইবে, স্বতরাং (“great মহাজাতীয় স্বরাজ্য ও উন্নতিলাভের জন্য সম্মিলিত চেষ্টার পরিপন্থী হুইবে । ভারতবর্ষের প্রকত ‘মানবহিতকামী ও দেশভক্তদিগের কঠোর পরীক্ষা আরম্ভ হুইল একটা ব্রিটিশ কাগজ লিগিয়াছে, যে, আইনটা যদি ভারতবর্ষে শাস্তি ও সম্পদ আনয়ন না-করে, তাহা হইলে । দোষটা হুইবে সম্পূর্ণ ভারতীয়দের! কাহাকেও বরফ-গল জলে চুবাইয়। রাপিয়া যদি বলা যায়, “এতেও যদি তোমার শীত না ভাঙে তা হ’লে দোমী তুমিষ্ট", তাহ হঠলে সে ব্যক্তি তামাসাট। উপভোগ করে না । হাতপা বঁধিস্থ কোন ব্যক্তিকে মাটিতে ফেলিয়া দিয়া যদি বলা হয়, “তুমি যদি এতেও ওলিম্পিক দৌড়ে প্রথম পুরস্কার না-পাও, তার জন্য দায়ী ত এক তুমিষ্ট", তাঙ্গ হইলে তাঁহার পক্ষে সুগপং কিংচিস্তিতব্যবিমূঢ়, কিংবক্তবাবিমুঢ় ও কিংকৰ্ত্তব্যবিমূঢ় হওয়া বিচিত্র নহে । বদাস্যতা ? বিলাতী পালে মেণ্টের হাউস অব লর্ডসে যপন ভারতগবন্মেণ্ট বিলের আলোচনা হইতেছিল, তখন একটি সংশোধক-প্রস্তাবের সমর্থনকল্পে লর্ড ম্যান্সফীল্ড বলেন – As we are giving this new constitution to India of our own free will, and it is not being extorted from us by force, it would be only reasonable that we should have as a result some form of imperial preference in India. তাৎপৰ্য্য। বে হেতু আমরা আমাদের স্বাধীন ইচ্ছায় এই শাসনপ্রণালী ও বিধি ভারতবর্গকে দিতেছি, ইহা বলপূর্বক আমাদের নিকট হইতে লওয়া হইতেছে ন', সেই জঙ্গ ইত্ব যুক্তিসঙ্গতই হুইবে, যে, যদি ইহার ফল-স্বরূপ আমরা আমাদের ভারতবর্গে প্রেরিত পণ্যজলা জষ্ঠ লিদেশী পণ্যদ্রব্যের চেয়ে সুবিধাজনক দরে বিক্র করিতে পারি এবং ভারতীয় জিনিষও কুবিধাজনক দরে আমদানী করিতে পারি। উদ্ধৃত বক্তৃতাংশের মূলে ইম্পরিয়্যাল প্রেফারেন্সের দাৰি আছে । তাহার মানে, ভারতবর্গ, ব্রিটিশসাম্রাজ্যভূক্ত বলিয়া, বিদেশ হইতে আমদানী যত জিনিসের উপর বাণিজ্যগুৰু বসায় তাহার মধ্যে বিলাতী জিনিষের উপর কম হারে ঐ গুৰু বসাইবে, যাহাতে বিলাতী জিনিল অন্য বিদেশী জিনিষের চেয়ে অপেক্ষাকৃত সস্তায় ভারতবর্ষে বিক্ৰী হইতে পারে ; এবং ভারতবর্ষ হইতে বিদেশে রপ্তানী যে-ষে জিনিষের উপর