পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

toog státữa Transcondentalism-an is wifrs ni i rāfī sfēra স্বাধীনতার ইতিহাসে, ফরাসী শাসনতন্ত্র, রাষ্ট্ৰঞ্জীবন, ও জাতীয় সাহিত্যের মধ্যে রুশোর নাম চিরদিন অমর অক্ষয় হইয়। থাকিবে। যে ভলটেয়ার একদিন রুশোর প্রধান শক্র ছিলেন তিনিও শেষ জীবনে রুশোর বাণীর অর্থ ও তাৎপৰ্য্য স্বীকার করিয়াছিলেন। রুশোর জীবনের এই সমস্ত প্রধান ঘটনা লেখক বেশ খুলিয়া লিখিয়াছেন। লেখকের লিখিবার নৈপুণ্য ও কলাকুশলতা আছে। প্রবাসী SNరిES উপযোগী ভাষায় সুন্দর উপাখ্যান আকারে লিখিয়াছেন। শিবালয় জীবনের কোন কথাই লেখক বাদ দেন নাই, অথচ সমস্তই সংক্ষেপে বলিয়াছেন। বইয়ের ভাষাও বেশ প্রাঞ্জল । পদ্মা—শ্ৰীক্ষেত্রমোহন বন্দোপাধ্যায় প্রণীত ও ১২নং হরীতকী, বাগান লেন, কলিকাত হইতে প্রকাশিত কবিতার বই । কিন্তু কোথাও কবিতার গন্ধ মাত্র নাই । - আসূবে উদাস শ্বাস্বে হতাশ, ছেলেদের মহারাষ্ট্র জীবন-প্রভাত—ঐঅক্ষয়কুমার ছাড়বে শুধু বুক ফাট শ্বাস, রায় প্রগত ও ষ্টুডেন্টস লাইব্রেরী, ঢাকা হইতে প্রকাশিত। পড়িতে পড়িতে অসহ লাগে। মারাঠার নাম করিতে গেলে প্রথমেই মনে পড়ে শিবাজীর কপ । - - সেই মহারাষ্ট্রবীর শিবাজীর বাবতীয় জীবন-কপ লেখক ছেলেদের শ্রীরমেশচন্দ্র দাস শান্তিনিকেতনের মুলু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পরলোকগত ভ্ৰমাণ প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়ের ডাকনাম ছিল মুলু } ছাত্র মুলু দুৰ্গম স্থানে যাইবার, অজানা লক্ষ্য সন্ধান করিবার প্রতি মানুষের একটা স্বাভাবিক উৎসাহ আছে, বিশেষতঃ যাদের বয়স অল্প। এই যাত্রাকালে নিজের শক্তি প্রয়োগ করিয়া পদে পদে বাধা অতিক্রম করাই আমাদের প্রধান আনন্দ । কেন না, এই রকম নিজের শক্তির পরিচয়েই মামুষের আত্মপরিচয়ের প্রবলত । এই কারণে আমার মত এই যে, শিক্ষার প্রথম ভূমিকা সমাধা হইবার পরেই ছাত্রদিগকে এমন পাঠ দিতে হইবে যাহা তাহাদের পক্ষে যথেষ্ট কঠিন। অথচ শিক্ষক এই কঠিন পাঠ তাহাদিগকে এমন কৌশলে পার করাইয়া দিবেন যে, ইহা তাহাদের পক্ষে সম্পূর্ণ অসাধ্য না হয়। অর্থাৎ শিক্ষাপ্রণালী এমন হওয়া উচিত, যাহাতে ছাত্রের পদে পদে দুরুহতা অনুভব করে, অথচ তাহা অতিক্রমও করিতে পারে। ইহাতে তাহাঁদের মনোযোগ সৰ্ব্বদাই খাটিতে থাকে এবং সিদ্ধিলাভের আনন্দে তাহা ক্লান্ত হইতে পায় না। এখানকার বিদ্যালয়ে আমি যখন ইংরেজী শিখাইবার ভার লইলাম, তখন এই মত অনুসারে আমি কাজ করিতে প্রবৃত্ত হইলাম। পঞ্চম, চতুর্থ ও তৃতীয় শ্রেণীর ইংরেজী শিক্ষার দায়িত্ব আমার হাতে আসিল । তৃতীয় শ্রেণীতে আমি যে সকল ইংরেজী রচনা পড়াইতে স্বরু করিলাম, তাহ সাধারণতঃ কলেজে পড়ানো হইয়া থাকে। অনেকেই আমাকে ভয় দেখাইয়াছিলেন যে, এরূপ প্রণালীতে শিক্ষা অগ্রসর হইবে না। মূল আমার এই ক্লাসের ছাত্র ছিল। পড়াতে সে কাচা এবং পড়ায় তাহার মন নাই বলিয় তাহার সম্বন্ধে অভিযোগ ছিল। শিশুকাল হইতেই তাহার শরীর সুস্থ ছিল না বলিয়া প্রণালীবদ্ধভাবে পড়াশুনা করার অভ্যাস তাহার ঘটে নাই । এই জন্য নিয়মিত ক্লাসের পড়ায় মন দেওয়া তাহার পক্ষে বিতৃষ্ণাকর এবং ক্লাস্তিজনক ছিল । • বাল্যকালে ক্লাসের পড়ায় আমার অরুচি নিরতিশয় প্রবল ছিল, একথা আমি অনেকবার কবুল করিয়াছি। এই জন্য প্রাচীন বয়সে শিক্ষকের পদ গ্রহণ করিয়াও, পাঠে কোনো ছাত্রের অমনোযোগ বা অরুচি লইয়া ক্রোধ বা অধৈৰ্য্য অামাকে শোভা পায় না। পাঠে যাহাতে ছেলেদের মন লাগে একথা আমি বিশেষভাবে চিন্তা না করিয়া থাকিতে