পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অখিল দৈব-ধন هجه سوا এর জন্যে শ্রাদ্ধের দিন হচ্চে শ্রদ্ধার দিন, এই কথা বলবার লিন যে, মৃত্যুর মধ্যে আমরা প্রাণকেই শ্রদ্ধা করি। আমাদের প্রেমের ধন স্নেহের ধন যার চলে যায়, র সেই শ্রদ্ধাকে জাগিয়ে দিক, তার আমাদের জীবনগুহের যে দরজা খুলে দিয়ে যায়, তার মধ্য দিয়ে আমরা শূন্তকে যেন না দেখি, অসীম পূর্ণকেই যেন দেপতে পাই । আমাদের সেই যে অসত্যদৃষ্টি, যা জীবন-মৃত্যুকে ভাগ করে ভয়কে জাগিয়ে তোলে, তার হাত থেকে সত্যস্বরূপ আমাদের রক্ষা করুন, মৃত্যুর ভিতর দিয়ে তিনি আমাদের অমৃতে নিয়ে যান। ہے جیے۔ - جیستی ماتمجموعتسبییجی দৈব-ধন শ্ৰীক্ষীরোদচন্দ্র দেব প্র চীন গ্রীক নাট্যকারের সময় সময় এমনই জটিল নাটকীয় সুমঙ্গার স্পষ্ট করিতেন যে শেষে মানব-চরিত্র দ্বার কিছুতেই তার সমাধান হইত না । সৰ্ব্বশেষ দৃষ্ঠে তাঙ্গ স্বৰ্গ হইতে দেবতার আবির্ভাব করাষ্টয় ঘটনার মিল গ্য গুয়াইতেন । জমিদার হরিবিলাস এই গ্রীক নাটকীয় পদ্ধতি অবগত fছলেন কিনা জানা যায় না, কিন্তু আয়ের বিশ গুণ অতিরিক্ত ৭ণ করিয়া যখন তাহা পরিশোধের আর কোনও পার্গিব উপায়ই খুজিয়া বাহির করিতে পারিলেন না, তখন ক্রমাগত চিন্তা করিতে করিতে শেষটায় স্থির সিদ্ধান্তে গিয়া উপনীত ইহলেন যে একদিন-ন-একদিন আধিদৈবিক সাহায্যে নিশ্চয়ই তিনি এই বাড়তি ঋণ-সমুদ্র উত্তীর্ণ হইয়া যাইবেন। ভগবান শুধু নাকি তাহাদিগকেই সাহায্য করেন যাঙ্গর iনজে আত্মোন্নতির জন্য সচেষ্ট থাকে। পিকাশের পথ সুগম করিবার অভিপ্রায়ে সাত পুরুষের -হরস্থিত বাস্তুভিটা ছাড়িয়া তিনি পল্লীগ্রামের এক কাছারী 'ড়িতে গিয়া স্থায়ী আস্তান গাড়িয়া বসিলেন । দুষ্টলোকে বলাবলি করিতে লাগিল যে পাওনাদারদের তাড়নায়ই হরিবিলাস শহর ছাড়িয়া গিয়াছেন ; কিন্তু অন্তদন্ধানে জানা যায়, হরিবিলাসের বৈঠকখানার অতি প্রাচীন কাঁচ-কেদারায় নবাবী-আমলের এত বেশী ছারপোকা সঞ্চিত ছল যে কোনো পাওনাদারই তাগাদায় গিয়া অধিকক্ষণ সেখানে সিয়া অপেক্ষা করিতে পারিত না । আবার অনেক ক্ষণ তাই দৈব-শক্তি । অপেক্ষ না করিলে হরিবিলাসের সহিত সাক্ষাংকারও ঘটিত না. যেহেতু প্রায় চব্বিশ ঘণ্টাই তিনি সন্ধ্যাঙ্গিকে ব্যাপৃত থাকিতেন । বাসস্থান পরিবর্তন সম্বন্ধে কেত প্রশ্ন করিলে হরিবিলাস প্রকাশে বলিতেন যে জমিদারী হইতে নিজে অনুপস্থিত থাকায় নানা বিশৃঙ্খলা ঘটে, রীতিমত উগুল-তহশীল হয় না, সা-ওবা কিছু হয় তার বেশীর ভাগই নায়েব-গোমস্তার পেটে যায়। মনে মনে কিন্তু তার ধারণ বদ্ধমূল হইয়া গিয়াছিল যে ঐ দুর্গম পৰ্ব্বত-জঙ্গলাকীর্ণ পাড়াগায়ের কোনন-কোন নিভৃত প্রদেশ হইতে নিশ্চয়ই একদিন পূৰ্ব্বপুরুষের সঞ্চিত গুপ্তধন হস্তগত হইবে, এবং সেঙ্গ অর্থেই সমস্ত ঋণ পরিশোপ হইয়া যাইবে । দৈবের গতিই বিচিত্র । শহর হইতে চল্লিশ মাইল দূরে হরিবিলাসের জমিদারীর এক প্রকাগু চক । ঐ চকের মাঝে লম্বায় পাচ মাইল জুড়িয়া নিগুতি নামে একটা বিল ছিল। বিলের তিন পাড় ঘিরিয়া উচু পাহাড়ের শ্রেণী। শুধু একটি পাড় ঢালু হইয়া সোমাই নদীর সহিত মিশিয়াছে। বর্ষায় বিলের জল থই থই করিতে থাকে। সামান্ত বাতাসেই সেই অগাধ জলরাশি লক্ষ লক্ষ তরঙ্গ তুলিয়৷ সতী-হার শিবের ন্তায় প্রলয় তাওবে মাতিয়া উঠে। উন্মত্ত আক্ষেপে নৌকা, আরোহী, বনবাদাড় যাহা কবলে পায়, ধ্বংসোন্মুখ আলিঙ্গনে তাঁহাই কুক্ষিগত করিয়া ফেলে। এই ভয়ঙ্কর বিল সম্বন্ধে সে অঞ্চলে প্রবাদ ছিল, “সব বিল নাড়ে-চাড়ে, ● নিশুতি বিল প্রাণে মারে।