পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অণশ্বিন "ঠ্যাং বেরোয় নি, হুজুর । পাটুলির মুখে ভাটি সোতে ভাসতে ভাসতে সাম্নের ঐ দহটায় আটকা পড়ে কেবলই ঘুরপাক খাচ্ছিল।" “আমি, তুই—দু-জনেই চোখের মাথা খেলুম নাকি ? প্রদীপ দেখলুম যে ?” “হেঃ-হেঃ আজ দেওয়ালী কিনা ! উজান-বাকেই মেয়েছেলেরা কোথাও জলে পিবৃদীম দিয়েছিল। তারই গোটাকয় জালের সঙ্গে গাথা পড়েছে।” এর উপর আর কথা চলে না । বাঙালীর স্থাপত্য S{xسtz পাড়ে উঠিয়াই আজিকার অকৃতকাৰ্য্যতার আসল কারণ খুজিয়া বাহির করিতে দয়ালের মত গুণীর মোটেই বিলম্ব হইল না। “তাই ত বলি, অমনটা হবে কেন ?—ঠিক, আজ অমাবস্ত বটে, কিন্তু শনিবার নয়, মঙ্গলবারও নয়— বিযুৎবার ! সিন্ধুক ভাসবে কেন ?—হুজুর একবার পাজিট ভাল ক’রে দেখে নেবেন, এ বছরে তেমন দিন-তিথি আর কবে পড়ল।" মজ্জমান ব্যক্তির তৃণখণ্ড আশ্রয়ের ন্যায় হুজুরের এখন এই আশ্বাসটুকুই সম্বল । বাঙালীর স্থাপত্য শ্ৰীনিৰ্ম্মলকুমার বস্থ কোন জাতির জীবনকে টুকর টুকরা করিয়া দেখা যায় না । মাহুলের আহার-বিহার, সাহিত্য, শিল্পকলা সবই তাহার জীবনের আস্তরতম ভাব প্রকাশ করে । সেই জন্য কোনও জাতির মৰ্ম্ম বুঝিতে হইলে তাহার সাহিত্য পৰ্য্যালোচনা পশ্চিম-বাংলার চালাবাড়ি—দক্ষিণেশ্বর করিলে যেমন সেটি বুঝা যায়, শিল্পকল বা স্থাপত্য পরীক্ষা করিলেও তেমনই বুঝা যায়। যদি আমরা উনবিংশ শতাব্দী এবং আধুনিক কালে বাঙালীর স্থাপত্যরীতি ভাল করিয়া পৰ্য্যবেক্ষণ করি, তাহা হইলে ঐ সময়ের মধ্যে বাঙালীর গৌড়ীয় শৈলীর মন্দির