পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অণথিন সসপিল هدسمة পত্ৰ সৰ্ব্ববিধ অন্ধবিধা কাটাইয়া উঠিতে পারিবে, আশা कब्र वांछ । বাংলা দেশে স্বদেশী. স্থাপত্যের মধ্যে যে প্রাণের আভাস পাওয়া যায় তাহ বিশেষ আশাপ্রদ। এ জীবনধারা এখনও কোন স্থির আকার ধারণ করে নাই বটে, তবে আমরা যতই স্বাধীনতার পথে অগ্রসর হইব, যতই আমাদের মন ইউরোপের পদামুসরণ অথবা প্রাচীন ভারতের অল্পকরণ পরিত্যাগ করিবে, যতই বাহিরের জগতে আমরা জাতীয় জীবনকে নিজেরা গড়িবার ও ভাঙিবার শক্তি লাভ করিব, ততই অস্কাপ্ত শিল্পের মত আমাদের স্থাপত্যও প্রাণবান ও বলিষ্ঠ হইয়া উঠিবে, এ-বিষয়ে কোনও সন্দেহ নাই । সসপিল শ্ৰীঅমিয়কুমার ঘোষ, বি-এ - > বিবাহ হইয়াছে এই সেদিন••• শক্তিধর কুমীরমড়ার হাট হইতে ফিরিতেছিলেন। সম্বন্ধটা আসিয়াছিল প্রায় পথ থেকেই। জ্ঞাতিরা যাহাই বলুক—বিবাহ হইতে বাধা পড়িল না। ছেলের বাপ না থাকুক, কি হইয়াছে তাহাতে ? অমন বনিয়াদী ঘর,—পয়সাও তৃ আছে বিস্তর। অতএব মেয়ের বিবাহ দিতে শক্তিধর পিছপাও হইলেন না। কুষম একবার আপত্তি তুলিয়াছিল—ম-মরা মেয়েটাকে অমন দূর দেশে বনবাস দেবে দাদা ? তা-ছাড়া শুনি ছেলের নাকি বাপ নেই ? - শক্তিধর বলিলেন—বাপ না থাক, ছেলের মাথার উপর ঠাকুর্দা আছে। পয়সাও যথেষ্ট! তা ছাড়া, বুঝলি কিনা— ' ঠাকুরের যখন ইচ্ছে তখন আর— - তখন আর আপত্তি করিবার কিছু ছিল না। কাজেই মাধুরীর বিবাহ হইয়াছিল প্রায় নিৰ্ব্বিয়েই।. মাধুরী শ্বশুরবাড়ি আসিয়া অবাক হইয় গেল। প্রকাও তিনমহল বাড়ি। সদরে কাছারী-ঘর—সরকার চাকরণের থাকিবার আস্তান । তার পর প্রকাও উঠান,—উঠানের সম্মুখেই মন্ত ঠাকুরদালান। গত তিন পুরুষ ধরিয়া ওখানে দুর্গোৎসব হইয়া আসিয়াছে । ঠাকুরদালান পার হইয় ভিতরে ঢুকিলেই অন্দর। সারি সারি ঘরগুলি। প্রকাও ميج------ 68 a * দরদালান। এক কোণে একটি লক্ষ্মীর পট । তাহার উপর সিন্মুরের ফোটা পড়িয়াছে অনেক। দরদালানের আলিসার এক কোণে একটি পেচা চোখ বুজিয়া ঘুমায়। বধূ তুলিতে আসিয়াছিলেন দাক্ষায়ণী নিজে আর কয়েকটি আত্মীয়া মেয়েছেলে । মায়ে-ছেলেয় গলা জড়াইয়া সেদিন কি কাল্লা ! ধীরুর বাপ এ বিবাহ দেখিতে পারিল না, সেই শোক যেন কাহারও অস্তরে বাধা মানে না । এই অশ্র-সজল মুহূৰ্ত্তে হঠাৎ এক জনের হাস্তোজ্জল মুখখানি ভাসিয়া উঠিল। ধীরু তাহার মুখের দিকে তাকাচয়৷ বলিয়াছিল—দাদু ! - ই্যা দাছ-ই। অশীতি বৎসরের বৃদ্ধ ধীরুর ঠাকুর্দা দয়াল । চীৎকার করিয়া তিনি বাড়ি মাতাইয়া তুলিলেন—ওরে নাতবে এয়েছে রে, শাক বাজ, শাক বাজ, উলু দে।-- শেষে মেয়েদের সহিত নিজেই বলিয়া উঠিয়াছিলেন— সুন্দর মায়ুব এই দয়াল ! বয়সের প্রখরতায় মাথার চুলগুলি প্রায় সাদা হইয়া গিয়াছে। শুভ্র ক্রু-যুগলের তলায় বড় বড় চোখদুটি এক সজে সাহস ও শক্তির সঞ্চার করে। এমন একদিন ছিল যখন এই বৃদ্ধের প্রতাপে বাঘে-গরুতে এক ঘাটে জল খাইত। তখন এক শত জন লাঠিয়াল তার সর্বক্ষণ মোতায়েন থাৰিত। নিজেরও হাতে লাঠি খেলিত মদ নয়। একদিনের কথা বলিতেছি । দয়াল অন্রে আসিয়া একটুমাত্র