পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ङकांश्चिन्मे কটা ডালগুলি হইতে ছালের ফসল পাওয়া যায়। কখন কখন গাছগুলি খুব কাছাকাছি জন্মিলে কতকগুলি গাছকে একেবারে উপড়াইয় ফেলা হয়। এগুলি ইষ্টতেও ছাল পাওয়া যায়, এবং এই প্রকারে প্রতি বৎসরই কিছু ছাল সংগৃহীত হয়। " গাছগুলি--বিশেষতঃ অনেকগুলি ঘনসন্নিবিষ্ট থাকিলে –দেখিতে বড় সুন্দর ৷ পাতাগুলি হরিং ও রক্তবর্ণ। বসন্তকালে সিস্কোনার ফুল হয়। সেগুলি সাদা বা গোলাপী-বেগুনী রঙের, এবং অতিশয় সুগন্ধ। কুইনাইন কেবল ছালেই থাকে, কাঠ, পাতা বা ফুলে থাকে না. গাছগুলি চারি সংসরের হইলে তখন ছাল হইতে খুব বেশী কুইনাইন পাওয়৷ যায়, এবং তাহার চার-পাচ বৎসর পর্য্যন্ত এই অবস্থ৷ থাকে । * জ্বক সংগ্রহের নানা প্রণালী আছে । একটি প্রণালী অনুসারে একস্থান হইতে বৃত্তাকারে ছাল তুলিয় লওয়া হয়। তাহার পর কিছু জায়গা বাদ দিয়া আবার বৃত্তাকারে ছাল তোল হয় । কিঙ্গা উপর হইতে নীচের দিকে লম্বী ছালের ফালি কাটিয় লওয়া হয়। বৃক্ষের যে-যে জায়গা হক্টতে ত্বক্ কাটিয়া লওয়া হয়, তাহা শৈবালে ঢাকিয় দেওয়া হয়, এবং সেই সব স্থানে পুরাতন ছালেরই মত উৎকৃষ্ট ও গুণবিশিষ্ট নূতন ছাল গঙ্গায়। আর এক প্রণালীতে গাছগুলিকে গোড় ঘেষিয়া কাটিয়া ফেল৷ হয়, এবং কাটা জায়গার কাছাকাছি অনেক ডাল বাহির হয়। তাহার দু-একটি রাখিয়া অন্ত সব ডাল কাটিয়া ফেলা ইয়। কর্তিত কাওগুলি হইতে ত্বক সংগৃহীত হয়। গাছগুলিকে একেবারে উৎপাটিত করিয়া তাহ হইতে ত্বক সংগ্রহ আর একটি পদ্ধতি। মূল, কাণ্ড ও শাখাগুলিকে ছোট ছোট টুকরার কাটিয়া, সেগুলিকে ছোট ছোট কাঠের মুগুর দিয়া আঘাত করা হয়। এই কাজ ছোট ছেলেরা করে। মুগুরের আঘাতের ফলে ছাল সহজেই ছাড়িয়া আসে। তার পর ছালগুলিকে রোদে বাতাসে শুকাইতে দেওয়া হয়। বর্ষায় শুকান হয় চালার নীচে তাকের উপর থাকে-খাকে রাখিয়া । 》・ケー》* মংপুর সিঙ্কোনাক্ষেত্র ও কুইনাইন কারখানা তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হইয়া থাকে । b-ê& মংপুতে প্রভাত, তাহাতে ছালগুলির উপর বৃষ্টি পড়ে না, কিন্তু চারি দিক হইতে বাতাস লাগে । পূৰ্ব্বকালে হুক্‌চুর্ণই ঔষধরূপে ব্যবহৃত হইত। ত্বক হইতে কুইনাইনের আবিষ্কার ১৮১০ সালে দু-জন ফ্রেঞ্চ রাসায়নিক করেন। মংপুতে সিস্কোন-ত্বক হইতে কুইনাইন নিষ্কাশন ও প্রস্থতির নিমিত্ত কারপান। স্থাপিত হয় খ্ৰীষ্টাব্দে । উড নামক এক জন ইংরেজ রাসায়নিককে কুইনাইন প্রস্থতির একটি পদ্ধতি বাহির করিবার নিমিত্ত পাঁচ বৎসরের জন্য মংপুতে আনা হয়। তিনি তাহা করিতে পারেন নাই বটে, কিন্তু অন্য একটি প্রক্রিয় উদ্ভাবন করেন যদ্বারা সিস্কোনা-হকের সব আন্ধালয়েডগুলি নিষ্কাশিত করা যায়। তাহা জরস্থ সিস্কোনা (Cinchona Febrifuge) নামে বিক্রীত হইত। তার পর তিনি আরও একটি প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করেন, তাহা এখনও অল্পস্বত হয় । এখন জরয় সিঙ্কোন (সিস্কোন ফেব্রিফিউজ ) নামক যে পীতাভ চূর্ণ বিক্রীত ও ব্যবহৃত হয়, তাহা কুইনাইনের চেয়ে সন্ত| কিন্তু সমান-ফলপ্রদ। তবে তাহাতে বমনেচ্ছা ও মাথাঘোরার উপক্রম কুইনাইনের চেয়ে বেশী হয় । কুইনাইন-প্রস্তুতির কারখানা ভারতবর্ষে ছুটি আছে। বড়টি মংপুতে অবস্থিত। ইহা দু-জন বাঙালী অফিসারের ጏtvግ « মিঃ এখানে শতাধিক শ্রমিক কাজ করে। তাহাদের মধ্যে