পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭২ কখনো দানা বেশি জুটবে কখনো কম । অসহিষ্ণু হয়ে যে-জীব হ্ৰেষধিনি করবে পা-ছোড়াছড়ি করবে তার স্পৰ্দ্ধা টি"কবে না । য়ুরোপের ষে সভ্যতার পিঞ্জীর বাধা হয়ে আছি আমরা, ঐশ্বৰ্য্যভোগের বিযবাষ্প তার তলায় তলীয় জমে উঠেছে । সে কি নিরাপদ প্রতাপের কোনো মন্ত্রের সন্ধান খুজে পেয়েছে তার লোহার ক্যাশবাক্সের মধ্যে ? অনেক বড় বড় জাত লুপ্ত হয়েছে, অনেক উদামগতি ইতিহাস হঠাৎ পথের মাঝখানে মুখ থুবড়ে পড়ে স্তব্ধ হয়েছে, আর আমরাই যে হোয়াইট পেপারের ক্ষুদকু"ড়ো খুটে খুটে খেয়ে চিরকাল টিকে থাকবো এমন আশা করি নে—মরণদশার অনেক লক্ষণ তো দেখতে পাই । ভারতবর্ষের উত্তর-পশ্চিমপ্রদেশ ঘুরে অবশেষে ফিরে - ১৩৪২ এলেম আপন কুলায়ের কোণে । ভারতে দেখলুম আলোহীন, মাহাত্ম্যহীন ধুলিনত জীবনের রঙ্গভূমি। অল্প কিছু সম্বল নিয়ে অভুক্ত প্রাণের ছোটখাটো প্রয়োজন, জীর্ণ আসবাব, উপস্থিত মুহূর্তের ক্ষুদ্র দাবীর উপর বহুকোটি মানুষ প্রতিদিনের মাথা গোঁজবার পাতার কুড়ে বাধছে, তাতে বৃষ্টিজল রৌদ্রের তাপ নিবারণ হয় না । ধনী পথিক কটাক্ষে চেয়ে চলে যায় আর ভাবে এই এদের যথেষ্ট কেননা ওরা আমাদের থেকে অনেক তফ{3— আমরাও ভাবি এই আমাদের বিধিলিপি। বুঝতে পারি ওরা যে-গ্রহের আমরা সে গ্রহের নই। (उठमtüमब्र রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শতবর্ষ পূর্বের বাংলার শর্করা-শিপ শ্ৰীবিমানবিহারী মজুমদার, এম-এ, ভাগবতরত্ন সরকারী বিবরণে দেখা যায় যে বাংলা দেশে ইক্ষুর চাষ যুক্তপ্রদেশ, পঞ্জাব, বিহার উড়িষ্যা, মান্দ্রাজ, বোম্বাই এমন কি আসাম হইতেও কম । সেই জন্ত বাংলা দেশ শর্করা-শিল্পের উপযুক্ত ক্ষেত্র নহে বলিয়া ভারত-সরকার কর্তৃক বিবেচিত হয়। ডক্টর রাধাকমল মুখোপাধ্যায় মহাশয় &f=fa Foundations of Indian Economics ( >>>e সালে প্রকাশিত ) গ্রন্থে লিথিয়াছেন যে ১৯১০ সাল পৰ্য্যন্ত ভারতবর্ষ কেবলমাত্র গুড় এবং অত্যন্ত কদৰ্য্য চিনি ভারতীয়দের চাহিদ মিটাইবার জন্ত তৈয়ারি করিয়াছে ( ১০৬ পৃ: ) । স্বৰ্গীয় রমেশচন্দ্র দত্ত মহাশয় অবগু তৎপুৰ্ব্বে &f=fa India in the Victorian Age dog দেখাইয়াছিলেন যে ১৮৪৬-৪৭ খ্ৰীষ্টাবো ভারতবর্ষ হইভে এত চিনি ইংলণ্ডে রপ্তানী হইয়াছিল যে ইংরেজদের সমগ্র চাহিদার সিকি অংশ তাহাতে মিটিয়াছিল। দত্ত-মহাশয় কিন্তু বাংলার বা সমগ্র ভারতের চিনির ব্যবসায়ের কোন বিবরণ র্তাহার সুবিখ্যাত গ্রন্থে দেন নাই। এই প্রবন্ধে আমি দেখাইতে চেষ্টা করিব যে গত শতাব্দীর প্রথমার্কে বাংলা দেশে ইক্ষুর চাষ প্রচুর পরিমাণে হইত এবং শর্করাশিল্প যথেষ্ট সমৃদ্ধিলাভ করিয়াছিল । ১৮০৭ খ্ৰীষ্টাব হইতে ১৮১৪ খ্ৰীষ্টাব্দ পর্যন্ত ডক্টর ফ্রান্সিস বুকানন বাংলা ও বিহারের কয়েকটি জেলা পরিদর্শন করিয়া ঐ সকল জেলার পুঙ্খানুপুঙ্খরূপ তথ্য লিপিবদ্ধ করেন । র্তাহার বিহার-সম্বন্ধীয় রিপোটগুলি পূর্ণ আকারে বিহার-উড়িষ্যা রিসার্চ সোসাইটি প্রকাশ করিতেছেন, কিন্তু বাংলা সম্বন্ধীয় রিপোটগুলির সংক্ষিপ্তসার xta; siffötag .Eastern Andia &ttw xafifati, vatts I উক্ত গ্রন্থের দিনাজপুর-সম্বন্ধীয় বিবরণে দেখা যায় যে দিনাজপুর শর্করা-শিল্পের এক প্রধান কেজ ছিল। ঐ ८छणांब्र १४,००० . विश्व छभि८ठ द्देशूद्र छांष रुहेऊ । डिनेि লিথিয়াছেন যে পূৰ্ব্বে আরও বেশী জমিতে ইক্ষু উৎপন্ন হইত, কিন্তু অনেক নদী শুকাইয়া যাওয়ার দরুন জলের অভাবে ইক্ষু-চাষের পরিমাণ হ্রাস পাইয়াছে। দক্ষিণ