পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আণশ্বিন অণমার পক্ষিনিকেতনের কথা bሥርጫ চকোর এবং তাহার সমবংশীয় ফেজেণ্ট (Pheasant) পার্থী আমার উদ্যানপরিবেষ্টনীর মধ্যে স্বচ্ছন্দে বিহার করে-অবশ্য তাহাদের আংশিক পক্ষচ্ছেদের প্রয়োজন হইয়াছে বটে, তাহাদিগকে কিন্তু, পিঞ্জরাবদ্ধ করিয়া রাথিতে হয় না এবং সন্ধ্যার পূৰ্ব্বেই তাহার স্বেচ্ছায় আপন আপন নিদিষ্ট আবাসে রাত্রিযাপনের জন্য উপস্থিত হইয় থাকে। নিশাচর হিংস্র জন্তুর হাত এড়াইবার জন্য কেবল রাত্রে নিরাপদ স্থানে তাহাদিগকে রাখিবার ব্যবস্ত করিতে হইয়াছে। প্রথম প্রথম কয়েক দিন তাহাদিগকে তাড়াইয়। সন্ধ্যায় তাহ দিগের আবাসগুলির মধ্যে প্রবিষ্ট করাইয় দেওয়৷ হইত, ক্রমশঃ এরূপ করিবার আর প্রয়োজন হইল ম', কারণ তাহারা মাতুমধেধ হইয়া গিয়া মাতুমের ধু ইঙ্গিত বুঝিতে পারিয়া স্ব স্ব বুদ্ধিবৃত্তির পরিচয় দিতে লাগিল । ক্ষুধ বোধ করিলে ধনেশ পাণীগুলা রক্ষাদিগের ঘরে একেবারে গিয়া উপস্থিত হয় এবং চীৎকারশব্দে তাহদের অভাব-অভিযোগ ব্যক্ত করে। ষ্টর্ক (Stork)-বংশীয় “সোনা জঙ্গলা" বিহঙ্গ মাহুষের আহানে ছুটিয়া কাছে উপস্থিত হয় ; বাসষষ্টির উপর উপবিষ্ট ধনেশ পার্থী ময়ূর আতপতাপনিৰ্বত্তির জন্য অট্টালিকার স্নিগ্ধ মৰ্ম্মরতলে নির’লায় বিশ্রাম করে ; পুকুরঘাটে যখন পরিচারিক ভোজনপাত্র পরিষ্কার করিতে উদ্যত হয়, সোয়ানগুলি ভুক্তাবশেষ কাড়িয়া খাইবার জন্য তাহাকে ব্যস্ত করিয়া তুলে ; বন্য রাজহংস দল বাধিয়া শল্পপ্রাঙ্গণে উষ্ঠানকর্মরত মালীদের সন্নিকটে নিঃশঙ্কচিত্ত্বে শম্পভক্ষণে লিপ্ত থাকে। এই সমস্ত পার্থীর দৈনন্দিন জীবনলীলা মানবাবাসের কৃত্রিমতার মধ্যেও যেরূপ প্রত্যক্ষ কর যা, মুক্ত প্রকৃতির ক্রোড়ে নিরবচ্ছিন্ন নৈসর্গিক আবেষ্টনে তাহারা প্রত্যেকেই রক্ষিত না হইয়া থাকিলেও, পালনগুণে তাহ বিশেষরূপে খৰ্ব্বত্ব প্রাপ্ত হইয়াছে এমন বলা যায় না, বরং বিহঙ্গচরিত্রের যদি কিছু পরিবর্তন আমরা লক্ষ্য করিয়া থাকি, মানুষের সংস্পশে শাসনসংরক্ষণের বিধিপালনের ফলে তাহার বুদ্ধিবৃত্তির যতটুকু পরিচয় আমরা নৈশনিদ্রাভিলাষী ফেজেণ্ট বিহঙ্গ পাই, এই বুদ্ধিবৃত্তি যে দেশকালপারভেদে পাপীর মঙ্গলগত এবং স্বভাবসুলভ নয় এমন কে বলিতে পারে ? পক্ষিপালনের স্থব্যবস্থায় তাহার মনোবৃত্তিগুলি পরিস্ফুট হইয়া আমাদের গোচরে আসে ; বনে জঙ্গলে, মানবালয়ের ত্রিসীমানার বাহিরে পাপীর নাগাল পাওয়া কঠিন, তথায় তাহার চরিত্রগত বৃত্তিগুলির পরিচয়লাভের আশা দুরাশা মাত্র r ধনেশ পার্থীগুলার জন্য রাত্রিযাপনের ব্যবস্থা আছে তামার উদ্যানবাটিকার বারাণ্ডায় যেখানে প্রতিসন্ধ্যায় তাহার। স্বেচ্ছায় আসিয়া উপস্থিত হয় এবং ভূমির উপর লাফাইতে লাফাইতে সোপানাবলী অতিক্রম করিয়া একেবারে তাহাদের নির্দিষ্ট বাসযষ্টির উপর উঠিয়া বসে। কোন শুঙ্খল অথবা বন্ধনীর দ্বারা তাহাদিগকে বাধিয়া রাখার প্রয়োজন হয় না ; প্রত্যুষে বাটীর দ্বারোদঘাটনের সঙ্গে সঙ্গে তাহারা উদ্যানে বাহির হইয় পড়ে এবং সারদিন গাছে গাছে বিচরণ করে। ফুলের