পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سیسtxty صty প্রবাসী SNご8ミ পাপড়ি তাহাদের প্রিয় খাদ্য ; পোকামাকড় এবং ভেকের সন্ধানেও তাহাদিগকে ঘুরির বেড়াইতে দেখিতে পাই , ভূমির উপর অবতরণ করিয়া লাফাইতে লাফাইতে অনেক সময় তাহারা খাবার খুজিয়া বেড়ায়। অতি শৈশব অবস্থ৷ হইতে মানবহস্তপালিত বিহঙ্গশিশু যতই বড় হইতে থাকে, তাহার মানুষের ভয় ততই বিলোপ পায়, তাহার মেজাজ কিঞ্চিং রুক্ষ হইয়া পড়ে। অপরিচিত মানুষ তাহার কাছে আসিলে দেহের পালক ফুলাইয়া, চঞ্চুসঞ্চালনেও তাহার বিরক্তিভাব ব্যক্ত করিতে থাকে। আমার পিঞ্জরপালিত পাৰ্ব্বতা “বসন্ত” পার্থী ( Barbet ) দুরন্ত শিশুর ন্যয় এইরূপ অভদ্র ব্যবহারের পরিচয় দিতে অগ্রগণ্য । ইহা অপেক্ষা অতি ক্ষুদ্রকায় আরও কয়েকটা পাণী অল্পবিস্তর এইরূপ আচরণে অভ্যস্ত,—তাহাদের উল্লাস বুঝা যায় যখন কোন অল্পবয়স্ক বালিকা তাহদের খাচার সম্মুখে গিয়া দাড়ায় ;

- ۰ «ه معر ۳ -مه , . و معا میترا = به ه-مه ۶۹

মানুষকে উদ্ব্যস্ত করিয়া তুলে। সিলভার ফেজেণ্টাট (Silver Pheasant) পিঞ্জরের বাহিরে উদ্যানে স্বেচ্ছায় যখন বিচরণ করে, মানুষের সান্নিধ্য তাহীর অপ্রীতিকর হয় ন. বটে, মানুষের মাথায় আবরণ অথবা টুপি থাকিলে তাহার বিরক্তিভাজন হইয় উঠে, তখন তাহাকে চঞ্চু এবং পদনথরে বিদ্ধ করিবার প্রবৃত্তি তাহার কোথা হইতে আসিয়া জুটে ! মুক্ত প্রকৃতির প্রাঙ্গণে জীবের সহিত জীবের অহরহ সংঘর্ষ ও জীবনসংগ্রামের ধারণা আমাদের অনেকের আছে, সেই ধারণা লইয়া পার্থীর মধ্যেও পরস্পর হিংস, বিদ্বেষ ও দ্বন্দ্ব বুঝিয়া উঠা কঠিন হয় না। আমার পক্ষিগৃহগুলির মধ্যে যদিও তাঁহাদের আভ্যন্তরীণ সাজসজ্জার কৃত্রিমতার ভিতর যতদূর সম্ভব পার্থীর অমুকুল, সহজ আবেষ্টনের দিক হইতে তাহার জীবনযাত্রার উপযোগী উপকরণ ও আহাৰ্য্যবস্তুর ব্যবস্থা করা হইয়াছে. পার্থীর পক্ষিনিকেতনের প্রধান পক্ষিগৃহ উহার কেশগুচ্ছ অথবা অঙ্গুলির অগ্রভাগ চঞ্চুপুটে অণকড়াইয়া ধরিবার জন্য তখন তাহারা ব্যস্ত হইয় উঠে । কুকুটুবংশের কয়েকটা বিভিন্ন ফেজেন্ট পাখী আমার স্বপরিসর পক্ষিগৃহে মানুষের কাছে কাছে ঘুরিয়া বেড়ায় ; কোন অপরিচিত ব্যক্তি সেই গৃহে হঠাৎ প্রবেশ করিলে তাহার প্রতি বিরক্তি ও বিদ্বেষ ভাবপ্রদর্শন করিতে বিশেষরূপ পটু--তাহার পায়ে ঠোকুরাইয়া, গায়ে পিঠে বাপাইয়৷ পড়িয়, অঙ্গুলিনখরে তাহার বা বিদীর্ণ করিয়া সেই স্বস্থকলহনিবারণে ইহা বাস্তবিক পক্ষে, কার্যকরী হইয়াছে এমন মনে করিতে পারি নাই, তজ্জন্ত আমাকে বিশেষ সতর্কতার সহিত অন্ত উপায় অবলম্বন করিতে হইয়াছে। শুধু যে আহাৰ্য্যবস্তুর অনটন বা অকুলান হইলেই দ্বন্দ্রকলহের সূত্রপাত হয় এমন নহে, মানুষের মত পার্থীর মেজাজ সকল সময়ে ঠিক থাকে না, তাহার ব্যবহারেও এই মেজাজের পরিচয় পাওয়া যায় ; নীড়ারম্ভ কালে প্রাকৃতিক নিয়মের বশে পার্থীর শরীরে যে বিচিত্র পরিবর্তন ঘটে তাহার চরিত্রে প্রায়ই