পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-; r*?? ఢా

  • : " • .

পিরামিডের সাধারণ দৃপ্ত, কাইরে সহযাত্রী ও সহযাত্রিনা আছেন । তিনি সকলের সঙ্গেই দাদ।দিদি, খুড়ে, মাম, পাতিয়ে খুব হাসাচ্ছেন ও নানান ভাষায় কথ কইছেন। আজ এডেন থেকে এক টিন আনারস এনে আমায় দিয়েছেন। বাড়ি থেকে আসবার সময় মা সঙ্গে কিছু চিড়ে, গোট মসলার গুড় ও নিজের হাতের তৈরি আমসত্ত্ব দিয়েছিলেন । আজ তা থেকে কিছু অবনীবাবুকে দিলুম। তার কাছ থেকে এক শিশি কামুন্দিও পেয়েছিলুম, ডাইনিং সেলুলে সেটিকে টেবিলে দেখলেই অনেকে ভাগ বসাত। অবণীবাবু, তাদের দিকের ইটালীয়ান রাধুনী-বামুনকে বাংল। ভাষায় ব’কে-ঝ'কে তালিম দিয়ে “আলুর দম” রান্ন। শিখিয়েছেন । জাহাজে এই রকম দুই-একটি লোক ধাকৃলে অন্যান্ত যাত্রীদের অনেক স্নবিধা হয়। সেকেণ্ড ইকনমিকের দিকে বাবুয়ানীর বালাই নেই, সবাই ডেকের ওপর একট। ঢাল বিছান। ক'রে তাতে বসে তাস, পাশ, দাবা পিটুছে । এক জন যাত্রী বক্সহারমোনিয়ম নিয়ে সী, নি, ধ, পা, স্বরু করেছেন। বেশীর ভাগ সময় এদের ছাতেই কাটাতে হয়। ঘরে অসহ গরম, সব ঘরে আবার পোর্ট-হোল নেই । জাহাজে কারুর শরীর খারাপ হ’লে পরস্পর পরস্পরকে দেখছে। এটি আমার খুব ভাল লেগেছিল । ইটালীর মেয়ে ও পুরুষ সকলকেই দেখতে বেশ ভাল । এই জাহাজে খাবার সময় যারা বাজনা বাজায় ও পরিবেষণ করে, তারা সকলেই স্বপুরুষ। এদের মুখে ইংরেজী , কথা শুনলে মনে হয় প্রবাসী S\కిgవ్చె ইংরেজদের ছোট ছেলে পথ। কইছে। এরা আলুকে পোটেটে না ব’লে পতাতো বলে । আমাকে এক দিন “পতাতো ইন জ্যাকেং" অর্থাৎ খোসাসমেত সেদ্ধ-কর; আলু খেতে দিয়েছিল। আজ দুপুরে খাওয়ার জন্য মটুন কারী ও ভাত হুকুম করেছি । ইটালীয়ান বামুন পেরে উঠলে কিনা জানি না । আমাদের স্বয়েজ থেকে নেমে ঈজিপ্টে গিয়ে পিরামিড, గః - :; দেখবার কথা হ'চ্ছে । দেখা যাকৃ কি হয় । জাহাজ থেকে অনেকেই দল ক’রে যাচ্ছে । আজ সকালে রান্নাঘরে গিয়ে পাউরুটি তৈরি দেখে এসেছি। রুটিগুলি সামুদ্রিক জন্তু— মাছ, কাকড়, শামুক, ঝিনুক ইত্যাদির আকারে তৈরি হয়। মাথা ময়দাকে চটপট হাতের তেলের সাহায্যে গড়ে তার পর ইলেক্‌টিক মেশিনের উত্তাপে সেকা হচ্ছে । মাথাটা এখনও একটু গোলমাল করছে, ক্রমশঃ জাহাজে আর কোথায় কি আছে দেখতে হবে। এখন বিকাল ছয়টা, এই মাত্র জাহাজডুবির রিহাসর্ণল হয়ে গেল। ঠিক পাচটার সময় হঠাৎ ভে: বেজে উঠলে, যাত্রীর দল সবাই জিনিষপত্র ঘরে ফেলে ডেকে গিয়ে লাইফ, বেণ্ট পরে দাড়াল। ক্যাপ্টেন জোর করে হাসি টিপে গম্ভীর হয়ে সকলের তদারক করলে, সবাই বেণ্ট প'বে ঠিক্‌ ভাবে দাড়িয়েছে কিন, যেন কতই বিপদ উপস্থিত। কয়েক মিনিট পরেই আবার ভোঁ বেজে উঠলে, সবাই বেণ্ট খুলে হাসি লাগিয়ে দিলে । জাহাজে এলে এ ধরণের মজা অনেক দেখা যায়। রোঃ রাত্রে ডিনারের পর ঘর খালি ক’রে সিনেমা দেখায়, আমর রোজই সিনেমু দেখছি । এডেন ছাড়বার পর মাঝে মানে সমুদ্রে বালির পাহাড় দেখতে পাচ্ছি, রৌদ্রের আলো পড়ে মনে হয় যেন বরফের চাই ভাসছে । রাত্রে এই সব ছোট ছোট পাহাড়ের মাথায় লাইট-হাউস দেখা যায় ;. জলে চাদে : আলোও খুব পড়ছে। এত ভাল দৃপ্ত দেখা সত্ত্বেও চারি দিকে