পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আশঙ্গিন ট্যাক্স দেয়। এই নিয়ম অনুসারে এখন কাজ হয় না। হিন্দুরা বঙ্গে সংগৃহীত রাজস্বের শতকরা ৮• অংশ দেয়, এবং তাহাঁদেরই প্রদত্ত টাকা হইতে কেবলমাত্র মুসলমানদের জন্ত যাহা খরচ হয়, কেবলমাত্র হিন্দুদের নিমিত্ত শিক্ষাব্যয়ের তাহা অনূন ১৫/১৬ গুণ। এই জন্ত এরূপ আশঙ্কা হওয়া স্বাভাবিক, যে, হিন্দুদের প্রদত্ত রাজস্ব হইতে মুসলমানদিগকে তাহাঁদের ধর্শ্ব শিখাইবার বন্দোবস্ত হইতে যাইতেছে। ব্যয়ের কথা ছাড়িয়া দেওয়া যাক । ধর্শ্বের সঙ্গে ধৰ্ম্মানুষ্ঠান জড়িত। হিন্দুর অনুষ্ঠানে ও মুসলমানের অনুষ্ঠানে পার্থক্য এবং কোন কোন স্থলে বৈপরীত্য আছে । দু-রকমের অনুষ্ঠান দুই দল ছাত্রছাত্রীকে একই বিদ্যালয়ে শিখাইবার চেষ্টায়, শিক্ষার যে পরম বাঞ্ছনীয় ফল ঔদার্ধ্য পরমতশ্রদ্ধাসহিষ্ণুতা এবং মহাজাতির সকল অংশের মধ্যে সম্ভাব স্থাপন, তাহা কি পাওয়া যাইবে ? বরং তাহার উন্ট ফলই কি ফলিবে না ? হিন্দু ছাত্রছাত্রীরা কালীপূজা করিতে ও পাঠা বলি দিতে চাহিলে—এমন কি সরস্বতী পূজা করিতে চাহিলে, মুসলমান ছাত্রছাত্রীরা কি বকরীদ ও কোন কোন পশু কোরবানী Cরিতে চাহিবে না ? এখনই কি চায় না ? একই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নানা ধর্শ্বের অনুষ্ঠান শিখাইতে গেলে ভীষণ অশান্তি জঙ্কিৰে । যদি কোন বিদ্যালয়ে কেবল একটি ধর্শ্বসম্প্রদায়েরই ছেলেমেয়েরা পড়ে, তাহাতে ধৰ্ম্মশিক্ষা দেওয়া অপেক্ষাকৃত সহজ বটে, কিন্তু তাহাও সৰ্ব্বসাধারণের প্রদত্ত সরকারী রাজস্ব হইতে, অর্থাৎ সরকারী ব্যয়ে, দেওয়া অন্যায়, আমুচিত ও অধৰ্ম্ম হইবে। প্রত্যেক ধর্শ্বসম্প্রদায়েরই আবার উপসম্প্রদায়, শাখাসম্প্রদায় আছে, এবং কোন কোন বিষয়ে তাহাদের মতপার্থক্য আছে। কোন মত শিখান হইবে ? হিন্দুদের বৈষ্ণব মত, না শাক্ত মত, কোনটি শিখান হইবে ? ভারতবর্ষে, বঙ্গে, নানা সম্প্রদায়ের বিস্তর লোক সামাজিক ও ধর্শ্বসম্বন্ধীয় কোন বিষয়ে জাইন করিতে গেলেই রব তুলেন, “ধৰ্ম্ম গেল”, “ধৰ্ম্ম গেল”। কোন একটি বিশেষ মত বা অনুষ্ঠান শিঙ্গাইতে গেলেই এরূপ রব উঠবে না কি ? এবং হিন্দু মুসলমান খ্ৰীষ্টীয়ান আদি ধর্শ্বের মত সরকারী বা সরকারী هيمنعوا সাহায্যপ্রাপ্ত কোন বিদ্যালয়ে শিখাইতে গেলে, কোন মত শিখান হইবে, তাহার শেষ মীমাংসক গবক্সেণ্ট হইবেন নাকি ? র্যাহারা সামাজিক আইন-প্রণয়ন সম্পর্কেও পরোক্ষ ভাবে গবন্মেন্টের ধর্শ্বে হস্তক্ষেপ আশঙ্কা করেন এবং তাহাতে নারাজ, র্তাহারা গবষ্মে ষ্টকে সাক্ষাৎ ভাবে ধৰ্ম্মমতের ও ধৰ্ম্মানুষ্ঠানের মীমাংসক হইতে দিলে তাহাতে “ধৰ্ম্ম গেল” রবট কেন উঠবে না, বুঝিতে পারি না। সকল শ্রেষ্ঠ ধর্শের অঙ্গীভূত স্থনীতির উপদেশগুলি সমুদয় বিদ্যালয়ে পাঠ্যপুস্তকসমূহের ভিতর দিয়া এবং শিক্ষকদের চরিত্র ও ব্যবহারের দৃষ্টান্ত দ্বারা অবশুই শিখান উচিত। জাপানের বিদ্যালয়সমূহের এই নিয়ম অহসারে কাজ হইয়া থাকে। জাপানী বিদ্যালয়সমূহে নীতিশিক্ষা আবশ্যিক, ধৰ্ম্মশিক্ষা নিষিদ্ধ জাপানী বিদ্যালয়সমূহে স্বনীতিশিক্ষাকে সৰ্ব্বপ্রথম স্থান দেওয়া হইয়া থাকে। জাপানী ভাষা, পাটীগণিত প্রভৃতির শিক্ষাদান তাহার পরবর্তী। প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহের উদ্দেশু সম্বন্ধে বলা হইয়াছে – “Elementary schools are designed to give children the rudiments of moral education specially adapted to make of them good members of the community, together with such general knowledge and skill as are necessary for the practical duties of life, due attention being paid to their bodily development.” তাৎপৰ্য্য। বালকবালিকার বাহাতে সমাজের ভাল সভ্য হইতে পারে তছুপযোগী নৈতিক শিক্ষার প্রারম্ভিক উপদেশ দান এবং তাহার সঙ্গে জীবনের কৰ্ত্তব্য কাজ করিবার জঙ্ক জীবশ্যক সাধারণজ্ঞান ও ও নৈপুণ্য, দৈহিক বিকাশে যথেষ্ট মনোযোগ প্রদান সহকারে, তাহাদিগকে দিবার জঙ্ক প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলি অভিপ্রেত। নিম্নলিখিত বিষয়গুলি জাপানী প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে শিক্ষা দেওয়া হয় ঃ– “The subjects taught are morals, Japanese language. arithmetic, Japanese history, geography, science, drawing, singing, sewing (for girls only) and nastics. In the higher coursee either one or mors subjects out, of handicraft, agriculture, industry, commerce, and domestic science (for girls only), are added, and is local circumstances make it advisable, handicraft in ordinary elementary schools and foreign langu and other useful subjects in higher elementary schools may also be taught.” ठारनहीं निकगैत्र विक्त्रनवृह-मीडि, बागानी खाव, गठिीअनिङ, জাপানের ইতিহাস, ভূগোল, বিজ্ঞান, রেখাঙ্কন, গান, সেলাই (কেৰল