পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

·ጫ وسيا t& ● छड़T । ॐ=}} T \e عیت এতাহ সে-ই জানে। দয়াদ্র প্রতিবেশীদের নিকট নানা রকম সাহায্য পাইয়া, কিছুদিন ছোট ছেলেদের অ আ শিখাইয়া কোন রকমে দিন চলিল । তাহার পরে কোন রকমে গ্রামের স্কুলে নিয়শ্রেণীর মাষ্টারী জুটির গেল, বেতন পচিশ টাকা । অভাবের মধ্য দিয়াই দিন কাটে । যখন বয়স প্রায় কুড়ি, সেই সময় বৃদ্ধ মতো আর পৌত্রমুখ দেখার লোভ সীমলাইতে না পারিয়া ছেলের বিবাহ দিয়া ফেলিলেন । ধেীড়া ছেলে । তা হোক । পুরুষের তাঁহাতে বিবাহ আটকায় না । কাছেরই এক গায়ের এক গরিবের ঘরের একটি শুমলা চতুর্দশী মেয়ে এক জ্যোৎস্না রাত্রে খোড়া স্বামীর ঘর করিতে আসিল । মা’র কিন্তু আর পৌত্রমুখ দেথা হইল না। শিবানী আসিবার মাস-কয়েক পরে ছেলে-বউয়ের হাতে সংসারের ভার দিয়া তিনি এপারের মায়া কাটাইলেন। তাহার পরে আট বছর কাটিয়াছে। নিজের ইভিহাস শেষ করিয়া অবিনাশ খানিক দম লইয়া কহিল—“তার পরে তোর কি খবর শুনি ।” বিজন সহসা কোনও উত্তর দিল না। একটু থামিয় কহিল, “খুব বেশী কিছু নয়। বি-এসসি পাস করেছিলাম। তার পরে টাকার অভাবে পড়া হ’ল না ।”

  • কেন, তোর বাবা ?” বিজন সংক্ষেপে কহিল, “নেই।” তাহার পরে আরও খানিকট সব চুপচাপ। আবার বিজন আরম্ভ করিল। “বাবা রেখে ত কিছু যানই নি, উপরন্তু বেশ কিছু দেন রেখে গিয়েছিলেন । সেটা শোধ করতে কলকাতার বাড়িখানা গেল । চার বছর ধ’রে নাকরেছি এমন কfঙ্গ নেই । খবরের কাগজ বিক্ৰী পৰ্য্যস্ত। একটা কেরানীগিরি পেয়েছিলাম, রাখতে

পারলাম না ।” -

    • ८कन ?” “সাহেবের নাক দিয়ে রক্ত বীর ক’রে দিয়েছিলাম।” দু-জনে প্রাণ ভরিয়া হাসিল । “এখন কি করছিস ?” একটু চুপ করিয়া থাকিয় বিজন জবাৰ দিল, “একটা

ক্যান্‌ভাসারের চাকুরি পেয়েছি। বেশীর ভাগ কলকাতাতেই থাকতে হয় । মধ্যে মধ্যে বাইরে পাঠায় । তেমূনি এক সুযোগে তোর এখানে এসে পড়েছি। ষ্টেশনের নাম দেখে আর বসে থাকতে পারলাম না।”

  • কত দেয় ?” “তিরিশ। তা ছাড়া টাকায় দু-পয়সা কমিশন । তাভে আরও গোটাকুড়িক টাকা হয় ।”

“মোটে পঞ্চাশ ? কলকাতায় চালাস কি ক’রে ?” “তুই এখানে তোর পচিশ টাকায় যেমন ক’রে চালাস।” *আমার কথা ছেড়ে দে। এ পাড়াগ, জিনিষপত্র সস্তা। বাড়ির বাগানে তরীতরকারী যথেষ্ট হয় ; আমার বেশ চলে যায়। তা ছাড়া, অবিনাশ একটু হাসিয়া কহিল, * আমার কষ্ট ক’রে থাকা চিরকালের অভ্যেস ঃ তোর ত তা নয় ।” “নগ্ন সত্যি । অভ্যেস করতে হয়েছে।” নিজের ছোট মেয়েটির দিকে তাকাইয়া অবিনাশের একটা কথা মনে পড়িয়া গেল । সাগ্রহে জিজ্ঞাসা করিল, “বিয়ে করেছিস ত ? না আইবুড়ো কাৰ্ত্তিক ?” হতাশাব্যঞ্জক মুখভঙ্গি করিয়া বিজন কহিল, “করেছি ত একটা ” শুধু পাড়াগায়ের লোক যেমন করিয়া হাসিতে পারে তেমনই করিয়া হাসিয়া অবিনাশ কহিল, “মোটে? আমি বলি বা একগও দেড়গও হবে । তার পরে ছেলেপিলে ? ੱਲ੍ਹ lo “বিয়ে করেছিস কতদিন ?” *তা প্রায় বছর-দেড়েক হবে ।” এতক্ষণে অবিনাশ যেন একটু ঈর্ষা অনুভব করিল। সে বিবাহ করিয়াছে আজি আট বছর, তাহার মধ্যে চারটি ছেলেমেয়ে জন্মিয়াছে, তার মধ্যে একটি মারা গিয়াছে, আটাশ বছর বয়সে পুত্ৰশোকও বাদ যায় নাই । শিবানী মেয়েটি চমৎকার । মোটে ত একুশ-বাইশ বছর বয়স। তাহার মধ্যেই এমন গিল্পী হইয়া উঠিয়ছে যে বিজন না হাসিয়া পারিল না। পাড়াগায়ের মেয়ে, অতিরিক্ত লজ্জার অহেতুকী জড়সড় ভাৰ না থাকিলেও এমন একটা ব্রীড়াবনত ভৰি আছে, যাহা