পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

షా$8 প্রবাসী $Nరి8R শীর্ষস্থানীয়া নারী, এবং জগতের সকল দেশের সকল যুগের অতিবরেণ্য নারীদের মধ্যে অন্যতম । ইষ্টার ছবি এখানে প্রকাশিত হইল । সাংবাদিক বসন্তকুমার দাশগুপ্ত কলিকাতার ইংরেজী দৈনিক য়্যাডভান্সের সম্পাদকীয় বিভাগের অন্যতম স্বদক্ষ কৰ্ম্মী শ্ৰীযুক্ত বসন্তকুমার দাশগুপ্ত ৫৩ বৎসর বয়সে দেহত্যাগ করিয়াছেন । র্তাহার এই অকালমৃত্যুতে শুধু ঐ দৈনিকণানির নহে, বঙ্গের সাংবাদিকমণ্ডলীরও ক্ষতি হইল। সংবাদ বাছাই ও মুসজ্জিত করা, বক্তৃত৷ সাঙ্কেতিক অক্ষরে দ্রুত লেখা, কঠিন বিষয়ে সম্পাদকীয় প্রবন্ধ রচনা, পরিহাসাত্মক রচনা - নানা দিকে তাহার শক্তির পরিচয় তিনি দিয়া গিয়াছেন । বাংলা ও ইংরেজী উভয় ভাষাতেই তিনি লিপিকুশল ছিলেন । ফরাসী মনস্বী জগদ্ব্যাপীশান্তিকামী অর্ণী বাবুস অীরী বাবুস এক জন বিখ্যাত ফ্রেঞ্চ গ্রন্থকার ও সংবাদপত্র-সম্পাদক ছিলেন । সম্প্রতি মস্কোতে নিউমোনিয় রোগে তাহার মৃত্যু হইয়াছে । জগদ্ব্যাপী শাস্তি স্থাপনের তিনি এক জন প্রধান প্রয়াসী ছিলেন । কয়েক বৎসর পূৰ্ব্বে এই উদ্দেশ্বে যে একটি অন্তর্জাতিক সমিতি স্থাপিত হয়, রবীন্দ্রনাথ, সাগুলাগু, রোম্য রোল, গিলবাট মারে প্রভৃতি মনীষীর সহিত তিনিও তাহার সভ্য ছিলেন। তিনি আগামী নবেম্বরে প্যারিসে একটি অন্তর্জাতিক শাস্তিকংগ্রেসের অধিবেশনের উদ্যোগ করিতেছিলেন। তাহাতে ভারতবর্ষ হইতে রবীন্দ্রনাথ, গান্ধী, সরোজিনী নাইডু, ও প্রবাসী-সম্পাদককে যোগ দিতে বলা হইয়াছিল।. তৎপূৰ্ব্বে, ইটালী ও আবিসনিয়ায় যাহাতে যুদ্ধ না বাধে এবং যাহাতে জগতের জাতিসমূহের সহানুভূতি আবিসীনিয়ার দিকে আকৃষ্ট হয়, তাহার জন্য প্যারিসে একটি অন্তর্জাতিক সভার আয়োজনও তিনি করিয়াছিলেন, এবং তাহাতে ভারতবর্ণ হইতে উক্ত চারি জনের সহাঙ্গভূতিজ্ঞাপক, টেলিগ্রাম যাইবার কথা ছিল। কিন্তু ৩রা সেপ্টেম্বরের আগেই র্তাহার মৃত্যু হয় ; সভা হইয়াছিল কিনা এখনও সংবাদ পাওয়া যায় নাই। প্রবাসী-সম্পাদকের টেলিগ্রাম ২রা সেপ্টেম্বর রোম্য রোল মহাশয়ের নামে প্রেরিত হইয়াছিল । ভারতবর্ষে অণর বাবুসের আহবান ও অন্তরোধ শ্ৰীযুক্ত সৌম্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের মারফতে আসিয়াছিল । ব্যবস্থাপক সভায় সংশোধিত ফৌজদারী আইন বাংলা দেশকে নিরাপদ করিবার নিমিত্ত যে আইনটি ছিল, তাহা এই বৎসরের শেষে বাতিল হইবার আগেই বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভায় আবার আইনে পরিণত হইয় সব বাঙালীকে নিশ্চিস্ত করিয়া দিয়াছে। এখন সমগ্ৰ ভারতের পাল । ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভায় সংশোধিত ফৌজদারী আইনের খসড়া উপস্থিত করা হইয়াছে। তাহ চিরস্থায়ী আইনে পরিণত করিবার চেষ্ট হইতেছে। ভারতশাসনের জন্ত বিলাতী পালেমেণ্ট যে নূতন আইন পাস করিয়াছেন, তাহার দ্বারা যদি ভারতবর্ষকে বাস্তবিকই স্বশাসন-অধিকার দেওয়া হইত, তাহা হইলে ভারতের লোকের সন্তুষ্ট হইত, ভারতে শান্তি স্থাপিত হইত, এবং দমনের জন্য অভিপ্রেত কোন আইন আবশ্বক হইত না। দমনের সব উপায়গুলিকে নবীভূত করিবার উদ্যোগেই বুঝা যাইতেছে, ভারতের মালিক ইংরেজদের জানা আছে, যে, ভারতবর্ষকে স্বশাসনের অধিকার নূতন ভারত-গবন্মেণ্ট-আইনটার দ্বার দেওয়া হয় নাই । কমুনিষ্ট-আতঙ্ক ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভায় সংশোধিত, ফৌজদারী আইন উপস্থিত করিয়া তাহা চিরস্থায়ী আইনে পরিণত করিবার পক্ষে যে-যে কারণ দেখান হইয়াছে, তাহার মধ্যে একটি এই, যে, ভারতবর্ষে কমুনিষ্ট-মত—যাহাকে সাম্যবাদ বলা হয়—দ্রুত প্রচারিত হইতেছে। আমরা কমুনিষ্ট নহি এবং রাশিয়ায় যে-উপায়ে কমু্যনিজ মৃ.প্রতিষ্ঠিত করা হইয়াছে ও হইতেছে, তাহার সমর্থনও আমরা করি না । কিন্তু ইহাও বল৷ আবশ্বক, যে, কমুনিষ্টর স্কায়াল্পগত সমাজগঠন করিবার জন্য