o আকর্ষণ করিয়া কোথাও উঠাইয়া কোথাও নামাষ্টয় স্থানে २२२ করিয়া অদ্ভুত কৌশলে আকাশ-মার্গে বৃহদায়তন ইষ্টক-নিৰ্ম্মিত পাইপ প্রস্তত করিয়া শৃঙ্গ হইতে শৃঙ্গে স্থানে ভূমিতে তাহ প্ৰক্ষেপ করিয়৷ ধূসরবণ বালুক-ওকঙ্করপূর্ণ ভূমিখণ্ডকে রস-সিঞ্চনে উর্বরতা প্রদান কবিয় তাহাতে শ্যামল শস্ত-তৃণের আচ্ছাদন প্রদান করিয়াছেন। ইহাতেও দেশের ধন স্বাস্থ্য সৌন্দর্য্য ও সুখ বৰ্দ্ধিত হইয়াছে। শুনিয়াছি ত্রিবাঙ্গর রাজ্যের এইসকল পূৰ্বকৰ্ম্মকুশলত দেখিবার জন্য বিলাতের অভিজ্ঞ ব্যক্তিগণও এইদেশে আগমন করিয়া থাকেন। - প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩২২ MMMMMMSMMSMMSMMSMMSMMSMSMSMSMSMSMJS -
- --
[ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড । --- ---------------~~ জেলখানার বন্দবস্তের জন্যও ত্রিবাঙ্গুর-নরেশ প্রজাপুঞ্জের বিশেষ প্রশংসালাভ করিয়াছেন। ইহার চতুঃসীমা কঠোর শাসনের বিশেষ প্রভাব নাই। সময় সময় কয়েদীগণ দিবসে অন্যত্র কৰ্ম্ম করিয়া সন্ধ্যাকালে কারাভবনে ঘাইয়। তালাবদ্ধ থাকে। অবশ্য বিশেয বিশেষ কয়েদী সম্বন্ধেই এই নিয়ম প্রযুজ্য হয়। মহারাজার সর্বপ্রধান সংকীৰ্ত্তি ব্রাহ্মণ-পোষণ পূহ। ইহা ত্রিবাঙ্গর-রাজ্যের এক বংশানুক্রমিক প্রথা। রাজ । ধানীতে প্রত্যহ সহস্ৰ সহস্র ব্রাহ্মণ বিনাব্যয়ে রাজ-অন্নসত্রে স্ত্রীপুত্রকন্যা লইয়৷ চৰ্ব্ব্য চোষ্য লেহ পেখু প্রভৃতি নান-রস-যুক্ত আহাৰ্য্য প্রাপ্ত হইয় থাকে। কিন্তু বিনা পরিশ্রমে এইরূপ আহার পাইয়া ব্রাহ্মণসমাজ লাভবান হইয়াছে বলিয়া শুনিলাম না। অলসতার জন্য নানাবিধ পাপ এই সমাজে আরম্ভ হইয়াছে বলিয়া শ্রবণ করিলাম। মহারাজ ব্রাহ্মণগণকে সংসারচিন্তা হইতে মুক্তি । প্রদান করিয়া যজন, যাজন, অধ্যয়ন, অধ্যাপন প্রভৃতি ব্রাহ্মণোচিত কৰ্ম্মে নিযুক্ত করিবার উদ্দেশ্যে যে সদনুষ্ঠান আরম্ভ করিয়াছিলেন কালমাহাস্থ্যে তাহাতে বিষময় ফল | উৎপন্ন হইল। সংসারের নিশ্চিন্তত জ্ঞান কৰ্ম্ম ও ধৰ্ম্মসাধনের | পূহ বন্তি না করিয়া আলস্ত-জনিত ইন্দ্রিয়-সেবার ইচ্ছা জাগাইয়া তুলিল। গ্রাসাচ্ছাদন সংগ্রহের কঠোর উদ্যমে যে প্রবৃত্তিকে বাধা হইয়া সংঘত করিতে হইত সে উদ্যমের অভাবে ইন্দ্রিয়-চেষ্টাই প্রবল হইল। জ্ঞান কৰ্ম্ম ও ধৰ্ম্মসাধনের বিঘ্ন বাহিরে নয়, ভিতরে, মনে, একথা জগতের ইতিহাসে বহুবার প্রমাণিত হইয়াছে ; কিন্তু এখনও বুঝি ইহা । নিঃসংশয়ে প্রমাণিত হয় নাই । উপরে যে কয়েকটি স্থানের নাম করা হইল তম্ভিয় | কোচন, এরনাকুলম, ত্রিচড়, কালিকাট, মাহি, ক্যানানোর ও মাঙ্গালোর এই ক্ষেত্রমধ্যে কয়েকটি প্রসিদ্ধ স্থান। কোচীন সহর ব্রিটিশ-অধিকারভুক্ত। এইস্থানে বহু ইহুদীর বাস। এমন ধূলি-মলিন আবর্জনা-পূর্ণ সংস্কার-বিহীন স্থান আর আমি কখন দেখি নাই । পূৰ্ব্বে মনে করিতাম ঢাকা ও বঁকিপুরের ন্যায় আবর্জনা-পূর্ণ সহর ত্রটিশ-ভারতে বুঝি আর নাই, কিন্তু কোচীন সহর দেখিয়া আমার পূর্ণ সংস্কার ত্যাগ করিয়াছি । এ দেশে মিউনিসিপালিটি নামক শো . - ২য় সংখ্যা ] - - ব্রিটিশ কোচনের ঠিক বিপরীত। রাজ্যসংক্রান্ত আফিস সহর-সংস্কার-সমিতি নাই । ব্রিটিশ-কোচীন অতি সঙ্কীর্ণ স্থান, কিন্তু ইহার অধিবাসীর সংখ্যা সে তুলনায় অত্যন্ত অধিক। ব্যবসাবাণিজ্যের ইহা এক প্রধান কেন্দ্র, কত দেশ বিদেশের লোক এখানে বাণিজ্য উপলক্ষে আগমন করিয়া থাকে। এই সহরের স্বাস্থ্য অতি খারাপ, শোথ রোগের অত্যন্ত প্রাবল্য । পথে গতায়াতের সময় প্রায়ু শতকরা ৮০ জন লোকের এই ব্যাধি দেখা যায়। স্থানীয় নদীর জল ব্যবহার করিলে শুনা যায় এই ব্যাধি হয়। ধনী লোকদিগের স্বাস্থ্যোন্নতির জন্য গভর্ণমেণ্ট হইতে ষ্টীমারযোগে ১৯ মাইল দূরের এক স্থান হইতে পানীয় পরশুরাম-ক্ষেত্র
- -
२२७ - - - - - - - - - - MS SSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSS --SumitaBot (আলাপ) ০৮:০৭, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি) পণ্ডিত—এইস্থানে বাস করিতেন। সাধারণ লোকের ধারণা ত্রিচুড়– রমণীর দেশ। বাস্তবিক নায়ার-সমাজের ইহাই কেন্দ্রস্থান, এই সমাজের আদর্শ-জীবন দেখিতে হঠলে ত্রিচূড়ে কয়েক দিবস বাস করিলেই সে আশা পূর্ণ হইবে । বহু উচ্চপদস্থ রাজকৰ্ম্মচারী এই স্থানে বাস করেন । এই স্থানের রমণীর ক্ষমতার কথা অনেক শ্রবণ করিলাম। আমাদের প্রাচীন পুস্তকাদিতে অপরাগণের কীৰ্ত্তিকাহিনী যেরূপ শ্রবণ করা যায় এই দেশীয় রমণীদিগের সম্বন্ধে সেই প্রকার বহুকথা প্রবাদরূপে প্রচলিত। এই সহরের বান্তিরের লোকেরা এই স্থানের জল আনয়ন করা হয়। এইরূপে আনীত ১ গ্যালন জলের মূল্য ছয় আনা , জল প্রায় দুগ্ধের ন্যায় মূল্যবান। নদীর জল অগ্নি-সংযোগে উষ্ণ করিয়া সেই উত্তপ্ত জলে স্বান শৌচাদি ক্রিয়া নিষ্পন্ন হয় । জলের সঙ্গে যথাসম্ভব দূর সম্পর্ক স্থাপন করাই এতদেশীয় ভদ্রলোকের অভ্যাস । শোথ ভিন্ন ম্যালেরিয়ার প্রকোপও এস্থানে অত্যন্ত প্রবল। কোচীনের মত মশক-দংশন পূৰ্ব্বে কোন স্থানে অনুভব করি নাই। সদ্ধার পর উন্মুক্ত স্থানে নিরুদ্বেগভাবে বসিয়া থাকা সিস্ক-যোগী ভিন্ন কাহারও পক্ষে সম্ভব নহে । কোচীনের পরপারে এরনাকুলম্। মধ্যে নদী ও কয়েকটি শোভনদৃশু দ্বীপ । ইহা কোচীন রাজ্যের রাজধানী, স্বাস্থো ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ইহ। আদালত, রাজবাট সমস্তই হুগঠিত ও সুদৃশ্য। রাজ্যের স্বাক্সও দিন দিন বৰ্দ্ধিত হইতেছে। এরনাকুলমের পরই ত্রিচুড়, ইহা রাজধানীর সমতুল্য মহারাজা অধিকাংশ সময় এই স্থানেই গৌরবশালী । বাস করেন। তদানীন্তন দেওয়ান এলবিয়ন রাজকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই ত্রিচুড়েই বাস করিতেন। আরও লক্ষন বাঙ্গালী রাজকৰ্ম্মচারী মিষ্টার সেন-ভূতত্ত্ব-বিদ w ভূতের নাচে রাবণ ও মন্দোদরীর অভিনয় । প্ৰবাসী পুরুষদিগকে নানাপ্রকারে বিদ্রুপ করিয়া থাকে । কালিকাট এক অতি প্রাচীন সহর। বহু শতাব্দীর প্রাচীন ইতিহাসের সহিত এই স্থানের স্মৃতি জড়িত। এই স্থানের জ্যামেরিন রাজা আজ একজন জমিদার মাত্র । যাহার দরবারে পোট গীজ-রাজদূত একদিন সামান্ত টুপী হস্তে লইয়া অবনত মস্তকে ভিক্ষার্থীরূপে দণ্ডায়মান হইয়াছিলেন আজ সেই জামেরিন একজন নগণ্য ও সামান্ত ব্যক্তি। পদ-গৌরব নাই, সম্পদ ঐশ্বৰ্য্য নাই, আছে কেবল নাম। কবি রবীন্দ্রনাথ গাহিয়াছেন, "মালা ছিল, তার ফুলগুলি