পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/১২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-- প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩২২


সম্মানিত আসন নাই। বালিকার ত কথাই নাই, যুবতীরাও গৃহে নিয়মিতরূপে শিক্ষকের নিকট সঙ্গীত শিক্ষা করিয়া থাকে। প্রাতে ও সদ্ধা পক্ষীর কলকুজনের छ। মালাবারী বালিকা ও যুবতী কণ্ঠ ও যন্ত্র সঙ্গীতের সাহায্যে গৃহের আনন্দবৰ্দ্ধন করিয়া থাকেন। নায়ার-সমাজে এই প্রথা বিশেষভাবে প্রচলিত হইলেও সমগ্ৰ দেশমধ্যেই এই প্রথার সমাদর ও প্রচলন আছে। এখানে কেবল যে সঙ্গীতের প্রচলন আছে তাহা নহে, নৃত্যেরও সমাদর অাছে রমণীর পক্ষে নৃত্য শিক্ষা করাও এক অত্যাবশ্বক বিদ্য। এই নৃত্য ও সঙ্গীত শিক্ষা বালিকা-পাঠশালায় পৰ্য্যন্ত প্রদান করা হয়। স্কুলে একপ্রকার ক্রীড়া আছে তাহার নাম "কোলাটম্।" এই কোলাটম একসঙ্গে নৃত্য ও গীতের অভিনয় । স্কুলগৃহের ছাদে কয়েক থও রজ্জ্ব সংলগ্ন করিয়া



. ত্রিবাঙ্গুরের চন্দনকাঠের উপর খোদাই কাজ । রমণীসমাজের একটি বিশেষ আদরের ও রে ভূষণ। এমন কোন গৃহস্থ পরিবার নাই যেখানে সঙ্গীত চৰ্কার আট দশ বা ততোধিক বালিক। সেইসকল রজ্জ্বখও প্রত্যেকে একএকটি হস্তে গ্রহণ করিয়া তাল মান লয়ের সহিত নৃত্য ও সঙ্গীত করিতে করিতে সেইসকল রজ্জ্বর সাহায্যে বেণী বন্ধনের অভিনয় করিয়া থাকে। ইহার নাম "কোলাট । আছে । কেবল দুই খণ্ড কাঠফলক হস্তে লইয়া নৃত্য ও গীতের তালে তালে সেই কাষ্ঠস্বয় বাজাইয়া সকলে দলবদ্ধভাবে গৃহ হইতে গৃহান্তরে অভিনয় করিয়া ফিরে । এই প্রকার অভিনয় বিশেষ বিশেষ সময়েই অতুষ্ঠিত হইয়া থাকে, যেমন আযুদ্ধ পূজা বা বীরাষ্টমীর দিন স্থলের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বালক বালিকাগণ দলে দলে এই অভিনয়ের জন্য বহির্গত হইয়া গৃহস্থের দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা করে। অর্থ শিক্ষক মহাশয় প্রাপ্ত হন। “কোলাটম” অন্য প্রকারেরও ভিক্ষালব্ধ ইহাই শিক্ষক মহাশয়ের বার্ষিক গুরুদক্ষিণ। "কোলাটম” অভিনয় যে কেবল স্কুলের বালক বালিকারাই করিয়া থাকেন তাহ নহে, বয়স্ক মহিলারাও দেবমন্দিরে মধ্যে মধ্যে এইরূপ অভিনয় করেন ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড : "" J. दलिग्र। उनिग्राश् ि। .বোধ হয় শ্রীকৃষ্ণের রাসলীলার সহিত ইহার কিছু যোগ


> - -

কোলাটম ক্রীড়া নহে, ইহা ধর্মের অঙ্গ, আছে । - মালাবারে স্ত্রীশিক্ষার যথেষ্ট সমাদর আছে। ত্রিবারে এমন কোন পল্লী নাই বলিয়া শুনিয়াছি যেখানে বালিকপাঠশালা নাই। এখানে ত্রয়োদশ ও চতুৰ্দশ বৎসর বয়স পর্য্যন্ত অনেক সময় বালক ও বালিক একত্রেই পাঠ করিয়া থাকে। উচ্চ কলেজীশিক্ষার প্রচলনও CF নিতান্ত নগণ্য নহে। ইংরেজিতে বাক্যালাপ করিতে পারেন এরূপ মহিলার সংখ্যাও অনেক । মহিলাদিগের মধ্যে অবরোধের প্রচলন না থাকাতে তাহার স্ব স্ব স্বামী ভ্রাতা ও অন্যান্য পুরুষগণের সহিত মিলিত হইয়া বহুবিধ সদগুণ্ঠানে নিযুক্ত থাকেন। এই স্ত্রী-শিক্ষার ফলে সমাজঅঙ্গ হইতে বহুবিধ কু-প্রথা অতি দ্রুত তিরোহিত হইতেছে। প্রাচীনকালে রমণীদিগের পক্ষে উন্মুক্ত বক্ষে বিচরণ করাই বিধি ছিল, বিশেষত: দেব-মন্দিরে এবং সন্মানিত ব্যক্তির সমক্ষে ; এমন কি গৃহে কোন সন্মানিত অতিথি আগমন করিলে বক্ষবরণ উন্মোচন করিয়া ॐाशत्र अष्प्रश्न उ*श्ठि १५अ*ि ছিল বিধি। বৰ্ত্তমানে সে ব্যবস্থা লোপ পাইয়। কোথাও এ*** উত্তরীয় বস্ত্র এবং কোথাও বা কামিজাদি ব্যবহৃত হইতেছে । মালাবার কমলা সাধারণতঃ দুইথও বস্ত্র ব্যবহার করিয়া থাকেন । কটার উদ্ধদেশে একখণ্ড ও অধোদেশে অপর থও ৷ ইহাও ७कश्वका अतििछन-ो६ोछ : বgমান সময়ে স্থল-বিশেষে কলিকাতার ব্রান্ধিক পরিচ্ছদের ব্যবহার দেখিলাম এবং কোথাও বা কটার অধোভাগে একখণ্ড বস্তু, উৰ্দ্ধভাগে একটি জাম এবং তদুপরি একটি উত্তরীয় ব্যবহৃত হইতে দেখিলাম। এই জামাও অদ্ভুতপ্ত" সাবন কর। হয়। ইহা একখণ্ড ক্ষুদ্র বস্তু মাত্র অধি" क%८** ५ বাহু কাটিয়া সীবন করা হয় এবং তাহার অধোভাগ উন্মুক্ত থাকে , এই অংশ বাপিয়া রাখা হয়। নিম্নশ্রেণীর স্ত্রীলোকের মধ্যে এইরূপ কুৰ্ত্ত ব্যবহার করা হয়। সচরাচর কিন্তু আমাদের দেশের মহিলাদিগের জাকেটের মত জাম। ব্যবহার করা হয়। কিন্তু জ্যাকেট পরিধানও এক নব তস্থের সংস্কার। সাধারণ স্ত্রীলোকের মধ্যে কেবলমাত্র পরশুরাম-ক্ষেত্র


२२*० ഹ--~~് छ्श्१७ বস্ত্রই—কটার উপরাদ্ধে একথও ও নিম্নদ্ধে অপর একথগু-ব্যবহৃত হয়। এইরূপ পরিচ্ছদ গৃহে এবং বাহিরে अर्न्तल्लङ्गे दादक्षङ श्य । বাণিজ্যের হিসাবে এই ক্ষেত্র মহামূল্যবান স্থান । বহুপ্রাচীনকাল—এমন কি খ্ৰীষ্টজন্মের পূর্ব श्रख्-4ई প্রদেশ পৃথিবীর বাণিজ্যকেন্দ্ররূপে ব্যবহৃত হইতেছে । নারিকেল ও গোলমরিচ ইহার প্রধান বাণিজ্য-দ্রব্য। নারিকেলের শাস, মালা, ছোবড়া ও কাটি সকলেরই প্রকাও ব্যবসা চলিতেছে। কোটা কোটা টাকার ব্যবসা চলিতেছে। বিদেশী বণিকগণই এই ব্যবসা করিয়া ধনী হইতেছে, ভারতবাসী ভারবাহী মাত্র। ক্ষেত্র এখানে এখনও স্ববিস্তৃত। দুই এক হাজার টাকা মূলধন লইয়া ব্যবসা আরম্ভ করিলেও যথেষ্ট লাভবান হওয়া যায়। অধিক মূলধন থাকিলে বিস্তৃত চালানি কারবার করা যায়। তদ্ভিন্ন বেসিল মিশনের অহুকরণে কাপড়ের ও টালির কারবার করিলেও व८थहे লাভ করা যায়। জামার লেস বুনন করাও একটা লাভের ব্যবসায়। মূলধন থাকিলে স্বদক্ষ কৰ্ম্মকুশলী সংগ্রহ করা নাইতে পারে। এই বাণিজ্য-ব্যাপারে লওন মিশন ও - বেসিল মিশনের খ্ৰীষ্টান মিশনরীগণের নিকট হইতে অধিক । বাধা পাইবার সম্ভাবনা। বর্তমানে জাৰ্ম্মানীর পদগৌরব । খৰ্ব্ব হওয়ায় তাহাদিগের বাধা গণনার মধ্যে না আনিলেও চলে। এই বিষয়ে কেহ বিশেষ তত্ত্ব জানিতে চাহিলেসানন্দচিত্তে তাহাকে সাহায্য করিতে পারি। এতদ্ভিন্ন একপ্রকার শ্বেতবর্ণের বালুক এই দেশে পাওয়া যায় ; - শুনিয়াছি এই বালুক মূল্যবান, কিন্তু তাহার ব্যবহার কি আমি জানি না। অভিজ্ঞ ব্যক্তিগণ সে বিষয়ে অনুসন্ধান করেন ইহা বাঞ্ছনীয়। ক্রমুধীরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়। S AAAAA