পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিলায়ের শেষ মুহূর্বে উহাদের কাছে উপস্থিত নাম:

  • প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ج جاك لا

ছিল। মাসিক কাতরতায় তাহার সারা ੋ શનિ ઃ আচ্ছন্ন হইয়া আসিতেছিল। হায় কাল श्रेङ cन धदल তোড়ে আর ইহাদিগকে দেখিতে পাইবে না! খানিক পরে মেসো-মশাই ফিরিলেন। রঞ্জন আসিয়া মেসোমশায়ের গলায় একছড়া মালা পরাইয় ছেলে৭ণ কলের গলায় একএকছড়া মালা দিল। কলদের সকলের হাতে হাতে একএকছড়া মালা বিলইয়-অবশিষ্ট মাল-ছড়াটা হাতে কনি মার কাছে । *नियीफ़ॉरेंन "भ, ७ भाला थाभनात्र ছবিকে দিন।” - মৃত্যুভর মুখে চাহিয়া একটু হাসিয়া মা বললেন "তুমিই দাও না ঠাকুর।” ঠাকুর চকিতনেত্রে একবার ছবির পানে তাকাইল । তাহার পর মুহূর্বের জন্য একটু ইতস্তত: করিয়া [ ১৫শ ভাগ,১ম संe মহাশয়ের দেখা নাই। পুজার ছুটী আসিল, ফুরাইল, তথাপি কাহারো খোজ নাই ! হায়! পৃথিবীতে কেহ কাহারে অন্তর্ভেদী যাতনা বোঝে না! রঞ্জন গণিয়া গণিয়া প্রতি মুহূৰ্ত্ত যাপন পরাধীন জীবনের ক্লাস্থিমূহ কলেঞ্জে দুৰ্দ্দমা আকাঙ্ক্ষাকে নিঃশব্দে তৃণের মত ভাসাইয়া দিয়া কোলাহলের মধ্যে ডুবিয়া প্রাণের ম: শূন্যতাকে কোন রকর্মে পূর্ণ করিতে চাহিল, পঞ্জি কি না কে জানে! - to করিতেছিল। অবশেষে পুজার ছুটার পর যখন দাসত্বদিনের পর দিন কাটিয়া চলিল, ada মেলে | জীবী, ধনগৰ্ব্বী হাওয়া-খাইয়ের দলে দলে পুরী মশায়ের পাণ্ডার কাছে সন্ধান লইতে লাগিল, তাহার - ছাড়িতে লাগিল, তখন রঞ্জন আর ভারাক্রান্ত মনটাকে আসিবেন কি না, পত্রাদি কিছু আসিয়াছে কি ?– । লই কোনমতে পুরীতে তিষ্ঠাইতে পারিল না। সে কিছুই না –হতাশার নিদারুণ নিপেনীয় রঞ্জনে | যখন কোন দিকে কিছু প্রতিকার খজিম্বা পাইল না আবেগ ক্রমশ: বাড়িয়াই উঠতে লাগিল । হয়, মেলো- . তখন একদিন পাণ্ডার কাজে জন্মের মত জবাব দিয়া মহাশয়ের আসার গুরুত্ব কি তাহার মনের আকুলভাৱ 40 হঠাৎ ষ্টেশনে আসিয়া বঙ্গদেশের টিকিট কিনিয়া ট্রেনে চেয়ে বেশী ? কখনই দণ্ড । চাপিয়া বসিল । ক্রমে রথের সময় কাছাকাছি হইতে লাগিল। পাঞ্জার - - ( , ) বলিল “নাম, আপনি দিন ।” কাছারিতে রঞ্জনের আওয়া আসাটা ঘন ঘন বাডিয়া ! গত রাত্রে ছবির বিবাহ হইয়া গিয়াছে। আজ রুমাল হইতে ੪ੇ টাক খুলিয়া ছবির হাতে লাগিল। কিন্তু বিফল প্রমাদ ! পুাও কোন বর কন্যা বিদায়। মধুর প্রভাতী স্বরের অবসানের দিয়া মেলোমশাই বলিলেন “ছবি, ঠাকুরকে প্রণাম জানে না। অবশেষে সকল সঙ্কোচ দুরে ঠেলি৷ সঙ্গে সঙ্গেই, সানাইয়ে সেই সবে, বিদায়ের করুণ-রাগিণী ** भl l"-ठाकूद्रब्र ८5iरश्रद्र সামনে ব্ৰহ্মাও ঘুরিয়া রঞ্জন নিজে পত্র লিখিতে বসিল। BB BBBS BDB S BBBBSDB BBB BBB BB BBBBB DDD উঠিল! - পর একবার তাহ পাঠ করিল, হঠাৎ কি ভাবি৷ উৰ্দ্ধ হইতে উদ্ধে পুঞ্জীকৃত বেদনায় ঠেলিয়া উঠিতেছে। is tix igan, - `` `...`` একটা লোক অত্যন্ত ব্যস্তভাবে, ব্যগ্র ঔৎসুক্যের হন্তে টাকা তুলিয়া মার হাতে দিয়া ঠাকুর বলিল .." 蠶 ৰয় দি ৰরি জেলা সহিত বিবাহবাটীর চারিদিকে ক্রমাগত দ্রুতবেগে "ञाथि आश्रनाच्न झक्टिक আশীৰ্ব্বাদ করলুম ম৷” চির ছিঃ ! তাহার ছেলেমাহষী দেখিয়া জনয় • ঘুরিতেছে, তাহার মুখে উজ্জল আনন্দ, ও আকুল প্রচলিত প্রথার অপব্যবহার ! কি মনে করিবেন ? আতঙ্ক-যেন আসন্ন ভীষণতায় গাঢ়ভাবে ঘনাইয়া আসি“ওকি ঠাকুর, টাকা নাও, ছবির ওতে অকল্যাণ হবে তবু রঞ্জন নিজেকে অশটিয়া উঠিতে পারিল না। আছে লোটার ভাব দেখিয়া বোধ হয় সে যেন বাড়ীর তুমি আমাদের কত উপকার করেছ—” রথের দিন যত নিকটবৰ্ত্তা হইতে লাগিল, তাহার অধীরতা ভিতরকার সমারোহের তত্বনির্ণয়ে উদগ্রীব। কিন্তু গভীরদুঃখভর হাসি হাসিয়া রঞ্জন বলিল “টাকা নিয়ে তত বাড়িতে লাগিল জীবন্ত আশা বুকে কৱি - না-তাহাও তো হইতে পারে না, উৎসবের কারণ উপকার বিক্ৰী করি না মা, এ টাকা আan, পাণ্ডার সে প্রত্যহ ষ্টেশনে আসিয়া ব্যগ্র উৎকণ্ঠায় চতুৰি জ্ঞাত হওয়া তো কিছুই দুরূহ ব্যাপার নয়, দলে দলে ছড়িদারদের পাওনা"-চট্‌ করিয়া রঞ্জন ভিডের মধ্যে সতৃষ্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করিত, বিদেশ হইতে শত শত মাত্রী লোক বাড়ী ঢুকিতেছে, বাহির হইতেছে,–চারিদিকে অন্তৰ্হিত হইল। লোকটার আত্মম্ভরিতায় হাড়ে হাড়ে আদিতেছে বাইতেছে কিন্তু কই ? আহাদেৱ ৰিজেছ । ঘুরিতেছে।--কতবার কত লোকের সহিত তাহার মাথায় চটিয়া বিদ্বেষবিম্ফারিত নয়নে পাণ্ডার চেলার চাহিয়া তাহারা কই ? মাথায় ঠোকাঠুকি হইয়। যাইতেছে, তথাপি কই, সে তো ब्रट्लि । স্বদক্ষ কৰ্ম্মচারী,—কাজে অমনোযোগী হওয়ায় প্রস্তু কাহাকেও কিছু জিজ্ঞাসা করিতেছে না,-বরং বন্দুকের - ( . ) . ಕ್ಲ মিঠৈ কড়া বচনে তাহাকে সাবধান ইত গুলির মুখ হইতে যেমন শিকার ত্রন্তে পলান করে, সেও পরদিন মেসো-মশাইরা দেশে ফিরিয়া গেলেন । কিন্তু উদ্বিগ্ন রঞ্জনের কানেগেৰণ সেইরূপ কুষ্ঠিত ভাবে সরিয়া যাইতেছে। লোকটার রকম ¥न 4+छि श्रायश् पाकिएल९, कर्द्ध স্থান পাইল না। ক্রমে রথের দিন আসিয়া পড়িল। कि ?-- কৰ্ত্তব্যপরায়ণ রঞ্জন জগন্নাথ রূপে গুঞ্জ কিছুক্ষণ পরে, বাড়ীর কোলাহলের ঘনঘটা অত্যন্ত লেন, নাবিলেন, শুইলেন, পাশ ফিরিলেন-অবশেষে উঠিয়া বসিলেন পর্যন্ত, তথাপি গৈল, বাড়িয়া উঠিল। শীগ্রী না ও শী গ্রী নও, ট্রেনের আর সময় কপূরের-মালা SMMMMMMSMMSMMSMMSMMSMSMSMSAASAASAASAAAS ২৪১ নেই,-চারিদিকে এমনি একটা কলরব দ্বিগুণ মুখরতায় উচ্ছসিত হইতে লাগিল। সকলের ব্যস্ততার মাত্রা চতু গুৰ্ণ চড়িয়া গেল। প্রাণপণে আপনাকে সামলাইয়া লইয়া, এইবার অন্তিম সাহসে ভর করিয়া, লোকটা বাড়ীর ভিতর ঢুকিয়া পড়িল । উৎসবের বাড়ীতে কে কাহার পানে চাহিতেছে? লোকটা অবাধে গিয়া বাড়ীর ভিতরে উপস্থিত হইল। প্রাঙ্গণে আলিপনা-জাক পীড়ির উপর বর ও বধূকে দাড় করাইসু, পৌরাঙ্গনারা তখন মাঙ্গলিক ক্রিয়াহুষ্ঠান করিতেছিল। চারিদিকে শাখ ও উলুধ্বনির উচ্চ শব্দ –লোকটা গিয়া একেবারে আসন্ন আগ্রহে কুকিয়া পড়িল। অকস্মাং বঞ্জাগ্নি সম্পাতে তাহার চক্ষু যেন ঝলসিয়া গেল ! প্রচণ্ড উন্মত্ত হৃদপিণ্ডটাকে সবলে দুই হাতে চাপিয়া ধরিয়া সযত্নে পদশব্দ লুকাইয়া—স্বর্ষ্যের উজ্জল আলোকের মাঝে—সন্তপণে আপনাকে গোপন করিয়া নি:শব্দে দে বাহিরে আসিল। কোলাহলময় জগৎ সহসা বিরাট নিস্তব্ধতায় ডুবিয়া গেল! চারিদিক মৃত্যুমলিন - পাংশুবর্ণে রঞ্জিত হইয়া গেল, কোন দিকে একটা ক্ষীণ শব্দ অবধি আর তাহার কানে শুনা গেল না— শুনিতে সাহসও হইল না। একটা নিঃশ্বাসের শঙ্ক-না ন, পবন অচল হোক, রূদ্ধ বায়ুতে সমস্ত জগৎ ধ্বংস হইয়। যাক্–সে বরং সন্ধ হইবে, তবু এ স্থসজ্জিত উৎসব-ক্ষেত্রে । মৰ্ম্মভেদী ব্যর্থতার ঈষৎস্ফুরণ –ন না, সে কিছুতেই । হইবে না ! কিছুতেই না! যুগ-প্রলয়ের মহা ঝটিকা ভয়াবহ কঠিনতার গহবরে ধীরে ধীরে সুপ্তিলাভ করিল, কেহ দেখিল না, কেহ জানিল না, কেহ ফিরিয়া তাকাইল না! —ভগবান জগবন্ধু দেব! এখনো কামনা, এখনো একটি ভিক্ষা ঠাকুর, এক মুহূর্ভের জন্য এতটুকু শক্তি ভিক্ষা দাও ঠাকুর-ওগে। দয়াময় এতটুকু বল, এতটুকু শুধু বল দাও! হউচ্চ হৰ্ষনিনাদের মধ্যে একটুখানি ক্ৰন্দনের অভিনয় সমাপ্ত হইলে প্রকাও অশ্বযুক্ত ঝকঝকে চকচকে ফিটনে, বহুমূল্য বস্ত্ৰালঙ্কারে সজ্জিত বর বধু সমাস্কচ হুইল। গুরু গম্ভীর শস্কে মাটির অভ্যন্তরে কম্পন-হিল্লোল তুলিয়৷ ফিটন ছুটিল। অগ্রপশ্চাতে আরো কয়েক খান গাড়ীতে বরযাত্রীর দল চলিস্থাছে ।