পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२88 SAASASASSMSSAAAAAAS AAASASASS এই কাৰ্য্য গ্রহণ করিলে তাহার স্থলে জনৈক যুরোপীয় সার্জন নিযুক্ত করা হয়। সেই সময় হইতে চীফ মেডিকেল অফিসারের পদ উঠিয়া যায় এবং এজেন্সী সার্জনের পদ স্মৃষ্টি করা হয়। ইহার কয়েক বৎসর পরে একবার আগ্রায় দরবার হইলে, ডাক্তার ভোলালাথ বিশ্বাস তাহার । প্রতাপান্বিত ছাত্র ভরতপুরের মহারাজকে লইয়া উপস্থিত হন। ভারতের ভূতপূৰ্ব্ব গবর্ণর জেনারেল লর্ড লরেন্স সমগ্র রাজপুতানা ও মধ্যভারতের সমবেত রাজন্তবর্গ ও প্রধান প্রধান সর্দারগণের সমক্ষে এই বাঙ্গালী ডাক্তার ও রাজগুরুর শতমুখে প্রশংসা করিয়া তাহাকে স্বর্ণখড়ি ও বহুমূল্য খেলাং (robe of honour ) উপহার দিয়৷ সম্মানিত করেন। ১৮৬৭ অব্দে মহারাজা সাবালক হইলে ভারত-গবর্ণমেণ্ট তাহাকে রাজ্যের সকল ভার ও ক্ষমত। দান করেন। তখন হইতে র্তাহার শিক্ষার অবস্থা শেষ হয় । মহারাজা স্বীয়, শিক্ষাগুরু ডাক্তার ভোলানাথ বিশ্বাসকে শিক্ষাবিভাগের ভার ব্যতীত, রাজকীয় মুদ্রাঘন্ত্রাগারের অধ্যক্ষতা এবং জেল-সুপারস্টেণ্ডেটের কার্য্যভার প্রদান করেন। ভারতগবর্ণমেণ্ট তাহার কার্য্যদক্ষত এবং বহুমুখী-প্রতিভা দর্শনে বিশেষ সন্তুষ্ট হইয়৷ ১৮৭৭ অব্দের ১লা জাহারী তারিখে দিল্লীর বিরাট দরবারে তাহাকে রায়বাহাদুর উপাধিতে ভূষিত করেন। পর বৎসর সমগ্র রাজপুতানার চীফ মেডিকেল অফিসরের পদ সৃষ্ট হইলে, ভরতপুরের এজেন্সি-সার্জন সাহেব তৎপদে নিযুক্ত হন এবং ডাক্তার ভোলানাথ বিশ্বাসের হস্তে এজেন্সি সার্জনের কাৰ্য্য পুনরায় গুস্ত করা হয়। তিনি ঐ পদে অধিষ্ঠিত থাকিতেই পেন্সন গ্রহণ করেন। ১৮৮২ অব্দে তিনি গবর্ণমেণ্টের কৰ্ম্ম হইতে অবসর গ্রহণ করিয়াছিলেন বটে কিন্তু ভরতপুরের মহারাজ। তাহাকে ছাড়েন নাই। ১৮৯৩ অব্দে তিনি পরলোক গমন করেন । চিকিৎসায় তাহার যেমন অভিজ্ঞতা ও কুযশ ইংরেজী সাহিত্যেও তেমনি তাহার অসাধারণ অধিকার । এবং প্রগাঢ় অনুরাগ ছিল । ভরতপুর রাজ্যের শাসনসংক্রান্ত যাবতীয় বিভাগের কঠিন ও জটিল কাৰ্য্যাবলী সম্পাদন করিয়া যতটুকু সময় পাইতেন তিনি তাহারই মধ্যে উচ্চ সাহিত্য ও চিকিৎসাবিভাগের উংকৃষ্ট প্রবালাঁ-জ্যৈষ্ঠ, ১৩২২ উংকৃষ্ট গ্রন্থাবলী ও সাময়িক পত্রাদি অধ্যয়ন করিতেন। রাজকাৰ্য্য ব্যতীত মহারাজার প্রধান গৃহ-চিকিৎসকের পদে অধিষ্ঠিত থাকায় তাহাকে অনেক সময় রাজবাড়ীতেই ক্ষেপণ করিতে হইত ও রাজ্যশাসনসংক্রান্ত জটিল এবং অত্যাবশ্বকীয় বিষয়ে মহারাজের পক্ষ হইতে পলিটিকাল এজেণ্ট, এজেণ্ট গবর্ণর জেনেরাল এবং ভারত গবর্ণমেণ্টের সহিত তাহাকেই পত্রব্যবহার করিতে হইত। এ সম্বন্ধে কাজে কৰ্ত্তব্যে তিনি মহারাজার প্রাইভেট সেক্রেটরীর স্থায়ই ছিলেন । ভরতপুর রাজ্যের বর্তমান যাহা কিছু উন্নতি দেখা যাইতেছে এবং রাজপুতানার মধ্যে সৰ্ব্বাঙ্গসুন্দর হাসপাতালের জন্য যে ভরতপুর, আজি গৌরবান্বিত হইয়াছে, স্বগীয় ডাক্তার ভোলানাথ রায় বাহদুরই সে সমূদয়ের মূল। এক কথায় বলিতে গেলে, তিনিই এ রাজ্যের পুনর্জন্মদাতা । ভরতপুরবাসী তজ্জন্য তাহার নিকট চিরকৃতজ্ঞ থাকিবেন সন্দেহ নাই। তাহার পর আর কোন বাঙ্গালী এ পর্য্যন্ত এখানে প্রতিপত্তি লাভ করিতে পারেন নাই। ১৩০৬ সালে মৈমনসিংহ বেতাড়িী ভূম্যধিকারী শ্ৰীযুক্ত রাজেন্দ্রকুমার মজুমদার মহাশয় ভরত পুর ভ্রমণ করিয়া লিথিয়াছেন - "এখানে কয়েকজন বাঙ্গালী ছিলেন জনিতাম। কিন্তু রাজার রাজ্যচুতির পর আর কোনও বাঙ্গালী এখানে নাই।"—হিতবাদী, ২৪ s、 বৈশাখ, ১৩• ৬ । ঐজ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস।” বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের প্রকৃতি । বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারগুলি কি প্রকারে সংসাধিত হইয়াছে, সে বিষয়ে অনেকের মনে একটি ভূল ধারণা আছে। অনেকে মনে করেন বৈজ্ঞানিক একমনে কেবল পৰ্য্যবেক্ষণ s"T »?"F (Observations or experiments) করিয়া যান—বহুসংখ্যক পৰ্য্যবেক্ষণ বা পরীক্ষার ফল একত্র করিয়া তাহ হইতে একটা সাধারণ নিয়ম গঠন করেন। কিন্তু বাস্তবিকপক্ষে তাহ হয় না। পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা করিবার এত বিষয় আছে যে তাহার অতি অল্পসংখ্যকই - [ ১৫শ ভাগ,১ম খণ্ড । ുSumitaBot (আলাপ) ০৮:০৯, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি) SumitaBot (আলাপ) ০৮:০৯, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি) SumitaBot (আলাপ) ০৮:০৯, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)ു একজনের জীবিতকালের মধ্যে নিম্পন্ন হওয়া - 、/、/、/、ヘヘ/\ ২য় সংখ্যা ] গম্ভব। অথচ এলোমেলোভাবে পৰ্য্যবেক্ষণ করিয়া গেলে তাহ হইতে একটি সাধারণ নিয়ম বাহির না হইবারই কথা। এইজন্য বৈজ্ঞানিকগণ দুই একটি মাত্র পর্যবেক্ষণ হইতে একটি সাধারণ নিয়ম মনে মনে আন্দাজ করিয়া ধরিয়া মন। পরে সেই অনুমিত সাধারণ নিয়মটি বা অনুমানটি (Hypothesis) Tši fr Hi তাহাই নির্ণয় করিবার জন্য .বহুসংখ্যক পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা করিয়া থাকেন। সমস্তগুলি দীক্ষার ফলে যদি দেখা যায় অম্বুমানটি সত্য তপন তাহা প্রাকৃতিক নিয়ম ( Law of Nature) afrol off oঅপরদিকে যদি একটি মাত্র পরীক্ষার ফলও অহমানের সহিত খাপ না খায় তাহ হইলে তখনই সেই অনুমানটিকে নিৰ্ম্মম ভাবে বিসর্জন দেওয়া হয় এবং তাহার স্থানে একটি নূতন অহমান কল্পনা कत्रिग्र। त्रश्रड झग्र । श्रादात्र #* নূতন অহমানটির সত্যতা নিৰ্দ্ধারণের জন্য পরীক্ষা করিতে झग्न । - এই অহুমানটি গঠন করিবার জন্য যথেষ্ট বুদ্ধি ও কল্পনার প্রয়োজন। বাহিরের লোকে মনে করে বৈজ্ঞানিক কেবল পরীক্ষাগারে বসিয়া পরীক্ষা করিবে তাহার আবার কল্পনার কি প্রয়োজন। কিন্তু বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারগুলির ইতিহাস পর্যালোচনা করিলে দেখা যায় বিজ্ঞানেও কল্পনার ব্যবহার না করিলে চলে না। পরমাণুবাদের আলোচনা.প্রসঙ্গে এ সম্বন্ধে অনেক কথা বলিয়াছি । জৈবরসায়নবিদ্যায় কেকুলে ও ভাট হকের তুল্য আবিষ্কারক খুব কমই আছেন। কেকুলে কিরূপ কল্পনাপ্রবণ ছিলেন তাহা পরমাণুবাদ প্রবন্ধে দেখাইয়াছি। ভাট-হফও কম যান না। তিনি একবার একটি স্বন্দর বক্তৃতা দেন—তাহার বিষয়-বিজ্ঞানে কল্পনার ব্যবহার । সেই প্রসঙ্গে তিনি দেধান যে অনেক বৈজ্ঞানিক আবিষ্কৰ্ত্ত, কবি ও ঔপন্যাসিকের উপযুক্ত কল্পনার অধিকারী ছিলেন। ভাণ্ট হফ নিজে একজন কাব্যরসের রসিক ছিলেন–জাতিতে ডাচ হইলেও তাহার মত বায়রন-ভক্ত সচরাচর দেখা যায় না।" ৬ বঙ্গীয় সাহিতা-সম্মিলনের রাজসাহী অধিবেশনের কাৰ্য্যবিবরণ দ্রষ্টব্য। A* \iia. vânt Hof Memorial Lecture in Chemical Society's Journal 1913. বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের প্রকৃতি - অহমান গঠনের জন্য বৈজ্ঞানিক নানা বিভিন্ন দিক হইতে সাহায্য পাইয়া থাকেন। প্রথমতঃ দেখা যায় কতকগুলি আবিষ্কারের আদি আকস্মিক ঘটনা। শারীরবিদ্যার অধ্যাপক গ্যালভানি এক সময় বেঙের মাংসপেশী ও স্নায়ু সম্বন্ধে পরীক্ষা করিতেছিলেন। একটি লোহার রেলিঙের উপর একটা তামার আঁকশিতে বেণ্ডের একটা কাটা প। টাঙান ছিল। বাতাসে দুলিয়া যেমন ១-ថ្វី রেলিঙে লাগিতেছিল অমনি পাট কুঞ্চিত হইতেছিল। এই দেখিয়াই গ্যালভানি অহুমান করিলেন যদি দুই খণ্ড ধাতু একটি মাংসপেশী দ্বারা সংযুক্ত হয়, তাহা হইলে তাড়িতের উৎপত্তি হয়। কেননা তাড়িতশক্তির প্রভাবে মাংসপেশী ঐরুপ কুঞ্চিত হইতে দেখা যায় । এইরূপে তাড়িতপ্রবাহের আবিষ্কারের স্বচনা হইল। পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক অয়েরষ্টেড একদিন ক্লাসে তাড়িত সম্বন্ধে বক্তৃতা করিতেছিলেন এবং সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষা করিয়া বুঝাইতেছিলেন। দৈবাং একটি ङाप्लिङदोझै তার একটি দোদুল্যমান চুম্বকের উপর ধরায় চুম্বকের মুখ সুপ্রিয় গেল। অমনি তিনি বুঝিলেন তাড়িতপ্রবাহের - সহিত চুম্বকের একটা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে। পরে এ সম্বন্ধে । রীতিমত গবেষণা করিয়া তিনি একটি স্মরণীয় আবিষ্কার করিয়া ফেলিলেন । - সম্প্রতি বুন্টগেন যে নূতন একরূপ আলোকরশ্মির আবিষ্কার করিয়াছেন, তাহারও আদি একটি আকস্মিক ঘটনা। তিনি একটি অন্ধকার ঘরে বায়ুশূন্ত কাচগোলকের মধ্যে তাড়িত প্রেরণ করিয়া একটি গবেষণায় নিযুক্ত ছিলেন । তখন দৈবক্রমে সেই ঘরে কয়েকখানি ফটোগ্রাফের প্লেট ছিল। এক সময় সেই প্লেটগুলি বাহির করিয়া দেখেন আলোক লাগিয়া প্লেটখানি খারাপ হইয়। গিয়াছে। তিনি ভাবিতে লাগিলেন আলোক আসিল কোথা হইতে ? তখন তাহার মনে হইল তাড়িতপূর্ণ কাচগোলক হইতেই একরূপ আলোকরশ্মি निर्शङ इङ्ग्रेष्ट्रोप्छ् ; উহা সাধারণ আলোকরশ্মির মত নহে, অথচ তাহাতেই ফটোগ্রাফের উপর দাগ হইয়াছে। এইৰূপে স্বপ্রসিদ্ধ বন্টগেন-রশ্মির আবিষ্কার হইল। - রেডি্রম-সংক্রান্ত গবেষণার পিতৃস্থানীয় অধ্যাপক