পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/১৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৮২ রুষকে ভুলাইয়া, এবং ইংরেজকে প্রতারিত করিয়া বিসমার্ক যে অশান্তির বীজ-বহুল শান্তির যুগ আনিয়াছিলেন, উহাই হইল সভাপর্কের কথা। রুষকে মধ্যএসিয়ায় তাড়াইয়৷ এবং ফরাসিকে বনের মহিষ তাড়াইবার পথে পাঠাইয়৷ বিসমার্ক যখন জৰ্ম্মনদেশের আভ্যন্তরীণ উন্নতি বিধান করিতেছিলেন, তখনকার ঘটনা লইয়াই বনপৰ্ব্ব রচিত হইবে। কাইজার উইলিয়মের ছদ্মবেশে তুরস্ক পেলেষ্টন ভ্রমণের কথা লইয়া হয়ত বিরাটপৰ্ব্ব রচিত হইতে পারে না; কারণ কাইজারের পক্ষই হইল দুৰ্য্যোধনের পক্ষ । উযোগ পর্কের পক্ষসংস্থানের কথা বলিয়াছি। কি ছুত৷ এবং কল্পিত সুবিধা লইয়া সহসা যুদ্ধ বাধিয়া উঠিল, উহ মুদ্ধের সময়কার পর্কের কথা। জৰ্ম্মানি কি কারণে কোন দেশকে হীনবল বলিয়া ভাবিয়া, দুঃসাহসিক পাপের কার্য্যে অগ্রসর হইয়াছে, তাহা সকল পত্রেই পুনঃ পুন: আলোচিত হইয়াছে । - শ্ৰীবিজয়চন্দ্র মজুমদার। ধৰ্ম্মপাল বরেন্দ্রমণ্ডলের মহারাজ গোপালদেব ও উহার পুত্র ধৰ্ম্মপাল সপ্তগ্রাম হইতে গৌড় যাইবার রাজপণে যাইতে যাইতে পথে এক ভগ্নমন্দিরে রাত্রিযাপন করেন। প্রভাতে ভাগীরথীতীরে এক সন্ন্যাসীর সঙ্গে সাক্ষাং হয়। সন্ন্যাসী স্তাহাদিগকে দম্বালুষ্ঠিত এক গ্রামের ভীষণ দৃগু ও অরাজকতা দেখাইলেন। সন্ন্যাসীর নিকট সংবাদ আসিল যে গোকর্ণ দুৰ্গ আক্রমণ করিতে শ্ৰীপুরের নারায়ণ ঘোষ সসৈন্তে আসিতেছেন ; অধ্য দুৰ্গে সৈন্যবল নাই। সন্ন্যাসী তাহার এক অনুচরকে পাশ্ববৰ্ত্তী রাজাদের নিকট সাহায্য প্রার্থনার জষ্ঠ পাঠাইলেন এবং গোপালদেব ও ধর্মপালদেব দুৰ্গরক্ষার সাহায্যের জন্য সন্ন্যাসীর সহিত দুর্গে উপস্থিত হইলেন। কিন্তু দুর্গ শীঘ্রই শক্রর হস্তগত হইল। ঠিক সেই সম্বরে উদ্ধারণপুরের দুর্গস্বামী উপস্থিত হইয়। নারায়ণ ঘোষকে পরাঞ্জিত ও বন্দী করিলেন। সন্ন্যাসীর বিচারে নারায়ণ ঘোষের মৃত্যুদও হইল। দুর্গামিনী কণ্ঠ, কল্যাণীকে পুত্রবধূপে গ্ৰহণ করিবার জন্ত মহারাজ গোপালদেবকে অনুরোধ করিলেন। গৌড়ে প্রত্যাবর্ষন করার উৎসবের দিন মহারাজের সভায় সপ্ত সামন্ত রাঙ্গ উপস্থিত হইয় DDBB BBBBBBB DBB DDDBBSBBB BBB BBDD BBB করিলেন। . ८||१ाजनं भूङ्झ ११ (*१|ण नवां श्ाश्म । ऎ|१|| পুরোহিত পুরুষোত্তম পুণ্ণতাত কর্তৃক হতসিংহাসন ও রজাতাড়িত কান্তকুজরাজের পুত্রকে অভয় দিয়৷ গৌড়ে আনিয়াছেন । ধৰ্ম্মপাল ঠাণ্ডাকে পিতৃসিংহাসনে প্রতিষ্ঠিত করিবেন প্রতিজ্ঞ করিয়াছেন। এই সংবাদ জানিয় কান্তকুজরাজ গুর্জররাজের নিকট সাহায্য প্রার্থনা করিয় দূত পাঠাইলেন। পপে সন্ন্যাসী দূতকে ঠকাইয় তাহার পত্র পড়িয়া লইলেন। প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩২২ MMJM MMMS MMMJMMMMMJMMAJSJJJJS [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড গুর্জররাজ সন্ন্যাসীকে বৌদ্ধ মনে করিয়| সমস্ত বৌদ্ধদিগের উপর অত্যাচার আরগু করিবার উপক্ৰম করিলেন। এদিকে সন্ন্যাসী বিশ্ব:7 নন্দের কৌশলে ধৰ্ম্মপাল সমস্ত বৌদ্ধকে প্রাণপাত করিয়া রক্ষা করিবেন প্রতিজ্ঞ করিলেন। সমাট ধৰ্ম্মপাল সামগুরাজাদিগকে সঙ্গে লইয়৷ কাল্প কুজ রাজ্য জয় করিতে যাত্র করিলেন । ] পঞ্চম পরিচ্ছেদ । গোকৰ্ণ দুর্গে। সন্ধ্যার প্রাক্কালে গোকর্ণদুর্গের বাহিরে নদীতীরে বসিয়৷ একজন কৃষ্ণকায় বৃদ্ধ বঁাশ কাটিতেছিল। তথন সন্ধ্যা হইয়৷ আসিয়াছে, স্ব’্যদেব আম্রপনসের ঘনকুঞ্জের অন্তরালে আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছেন, বেণুকুঞ্জ ঝিল্লীরবে মুখরিত হইয়া উঠিয়াছে, পক্ষীকুল দিবাবসানে বৃক্ষে বৃক্ষে আশ্রয় লইয়াছে। গোকর্ণদুর্গের তোরণ উন্মুক্ত ও জনশূন্য। এই বৃদ্ধ ব্যতীত দুর্গের সম্মুখে আর কেহই নাই। বৃদ্ধ হঠাৎ অস্ত্র ফেলিয়৷ উঠিয়া দাড়াইল, ঝিল্লীরবের জন্য অন্য শব্দ শুনিতে পাওয়া যাইতেছিল না, সে ঈষৎ বিরক্তি প্রকাশ করিয়া দূরে সরিয়া আসিল। দূরে আসিয়া বৃদ্ধ দূরে অশ্বপদশা শুনিতে পাইল। তখন সে আশ্চৰ্য্যাম্বিত হই। নিকটস্থিত একটি আম্ৰবৃক্ষে আরোহণ করিল। তখন চারিদিক অন্ধকারে আচ্ছন্ন হইয়া আসিতেছে। বুদ্ধ দেখিতে পাইল যে, রণগ্রামের ঘাটের পথ অবলম্বন করিয়া মাত্র একজন অশ্বারোহী গোকর্ণদুর্গের দিকে আসিতেছে। তাহ দেখিয়৷ সে আশ্বস্ত হইয়া নামিয়৷ আসিল। কিয়ংক্ষণপরে অশ্বারোহী দুর্গে আসিয়া পৌছিল। সে দুর্গদ্বারের সম্মুখে কেদারকে দেখিয়া জিজ্ঞাসা করিল, "তুমি কে ? দুর্গে এখন কে আছেন?” বৃদ্ধ কহিল, "আমার নাম কেদার, আমি গোকর্ণদুর্গের পদাতিক। অমাতা উদ্ধবঘোষ মহারাজের সহিত যুদ্ধে গিয়াছেন, শুনিয়াছি তিনি মহারাজের আদেশে দক্ষিণদেশে গিয়াছেন।" "এখন দুৰ্গরক্ষার ভার কাহার উপরে আছে ?" "নবীন সমস্তের উপরে।” "দুর্গস্বামিনী কোথায় ?” "দুর্গমধ্যে, অন্তঃপুরে।" "তুমি অন্তঃপুরে গিয়া তাহাকে বল যে, মহারাজ ধৰ্ম্ম পাল দুৰ্গদ্বারে অপেক্ষা করিতেছেন। নবীন সামস্তকে বল যে, শীঘ্ৰ তুর্য্যধ্বনি করুক ও গ্রামের আবালবৃদ্ধবনিত I ২য় সংখ্যা ] _{ লইয়া আসুক। শক্রসেন বোধ হয় শীঘ্রই দুর্গ আক্রমণ করিবে ।” - কেদার গৌড়েশ্বরকে একাকী সন্ধ্যাকালে দুর্গদ্বারে উপস্থিত দেখিয়া এতই আশ্চর্ঘ্য হইয়াছিল যে, সে তাহাকে প্ৰণাম করিতে ভুলিয়া গেল, বৃদ্ধ উৰ্দ্ধশ্বাসে দৌড়িয়া দুর্গমধ্যে প্রবেশ করিল। কিয়ংক্ষণপরে গোকর্ণের পদাতিক সেনার নায়ক নবীন সামন্ত দুৰ্গদ্বারে আসিয়া সম্রাটকে অভিবাদন করিল। নবীন পূৰ্ব্বে গোকর্ণের যুদ্ধে ধৰ্ম্মপালদেবকে দেখিয়াছিল, তিনি সিংহাসনে আরোহণ করিবার পরেও দুই একবার উদ্ধৰ ঘোষের সহিত গৌড়ে গিয়াছিল। সে তাহাকে একাকী দেখিয়া কহিল, “মহারাজের কি কোন বিপদ হইয়াছে ? আপনাকে একাকী দেখিতেছি কেন ?" ধৰ্ম্মপাল কহিলেন, "সামন্তসেন যুদ্ধ করিতে করিতে ছড়াইয়া পড়িয়াছে, সেইজন্য আমি একাই সংবাদ দিতে আসিয়াছি। তুমি শীঘ্ৰ তুৰ্য্যধ্বনি কর।” এই সময়ে কেদার অন্তঃপুর হইতে ফিরিয়া আসিয়া প্ৰণাম করিয়া কহিল, “মহারাজ, অন্তঃপুরে আস্বন, দেবী আপনার জন্য অপেক্ষা করিতেছেন।” ধৰ্ম্মপাল কেদারের সহিত অন্তঃপুরে যাত্রা করিলেন। নবীন তোরণে দাড়াইয়া তুরী বাঙ্গাইতে লাগিল। দেখিতে দেখিতে গ্রামের বালক বৃদ্ধ বনিত দুর্গমধ্যে পলাইয়৷ | আসিল, অষ্মধারণক্ষম পুরুষগণ দুর্গে আসিয়া অস্ত্র গ্রহণ করিল। যুদ্ধ্যার পূৰ্ব্বে বহু অশ্বারোহী আসিয়া গোকর্ণদুর্গের সম্মুখে সমবেত হইল, তাহ দেখিয়। গ্রামবাসীগণ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হইল। এই সময়ে একজন অশ্বারোহী দুর্গের তোরণের নিকটে আসিয়া কহিল, “মহারাজাধিরাজ গৌড়েশ্বরের জয় হউক ; আমরা গৌড়ীয় সেনা, দুর্গ রক্ষার জন্য আসিয়াছি। মহারাজ কি গোকর্ণদুর্গে আসিয়াছেন?” নবীন সামন্ত তোরণের নিম্নে দাড়াইয়। ছিল, সে প্রকারে আরোহণ করিয়া জিজ্ঞাসা করিল, "তোমরা যে গৌড়ীয় সেন তাহার প্রমাণ কি ?" "গোবৰ্দ্ধনের সয়্যাণী অমৃতানন্দ আমাদিগের সঙ্গে আছেন। তোমর দূত পঠাইয়া দাও, অদ্যকার সঙ্কেতের কথা বলিতেছি।" নবীন গোবৰ্দ্ধনমঠের সন্ন্যাসী অমৃতানন্দকে চিনিত, ধৰ্ম্মপাল কিন্তু সে সঙ্কেতের কথা জানিত না। সে বলিল, “তুমি مینیممنیتی مری অপেক্ষা কর, আমি জিজ্ঞাসা করিয়া আসি।" আশ্বারোহী কহিল, "শীঘ্র ফিরিয়া আইস, শক্রসেন বোধ হয় আসিয়া - পড়িল ।” নবীন দ্রুতপদে অন্তঃপুরের দিকে চলিল। ধৰ্ম্মপালদেব গোকর্ণদুর্গের অন্তঃপুরে প্রবেশ করিয়া দেখিলেন যে, রঘুসিংহের বিধবাপত্নী শুভ্ৰবসনে আবৃত হইয় প্রাঙ্গণে দাড়াইয়া আছেন। গৌড়েশ্বর তাহাকে প্ৰণাম করিয়া কহিলেন, “ম, বড়ই বিপদ উপস্থিত। গুর্জরসেন গঙ্গাতীরে আসিয়া পড়িয়াছে, তাহারা বোধ হয় শীঘ্রই দুর্গ আক্রমণ করিবে।” "তুমি যখন আসিয়াছ, তখন আর কিসের বিপদ বংস ?” "আমি বিপদ বুঝিতে পারিয়া একাকী সংবাদ দিতে আসিয়াছি, আমার সঙ্গে সৈন্য সামস্ত কিছুই নাই।” "তাহার জন্য চিন্তা কি বৎস! স্বৰ্গীয় মহারাজের প্রসাদে গোকর্ণের শ্ৰী ফিরিয়াছে। গ্রামবাসীগণ দুই দশদিন দুৰ্গরক্ষা করিতে পারিবে।” "ম, গুজরসেন। দুর্গ আক্রমণ করিলে বোধ হয় झुद्दे দশদিনে সে যুদ্ধ শেষ হইবে না।” “ততদিনে কি তোমার সৈন্যসামস্ত আসিয়া পৌছিবে ন ?” “পোছিবে । কিন্তু—” “কিন্তু কি ?” “আমি বলিতেছিলাম ভীষণ গুর্জরযুদ্ধে—" ধৰ্ম্মপালদেব কথা শেষ না করিয়াই অবনত মস্তকে দাড়াইয়া রহিলেন। তাহ দেখিয় বিধবা ছৰ্গস্বামিনীর হৃদয় আনন্দে নাচিয়া উঠিল। তিনি কহিলেন, “পুত্র, কি বলিতেছিলে বল ?” “আমি বলিতেছিলাম যে, যুদ্ধের সময়ে পুরমহিলাদিগকে স্থানান্তরিত করা উচিত।” “মহিলাদিগকে কোথায় পাঠাইবে ?" "ঢেক্করীতে।" - "কে লইয়া যাইবে ?” “দেখি কি ব্যবস্থা করিতে পারি।" এই সময়ে নবীন সামন্ত অন্তঃপুরের দ্বারে দাড়াইয়৷