পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/১৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○・8


' SASMMTA SeJ AA MMS o

o, o প্রণয়-বেদনার নিবেদন উপস্থিত হইয়াছে। উভয়ের হাবভাবে ও ভঙ্গীতে একটি ভক্তিগদগদ তন্ময়ত চমৎকার ফুটিয়া উঠিয়াছে। নবম চিত্রে দেখা যাইতেছে একটি পুরুষের পদতলে বসিয়া একটি রমণী দীন নয়নে পুরুষটির দিকে চাহিয়া কিছু নিবেদন করিতেছে। রমণীটির বসিবার অবস্থান, হাতের ভঙ্গী, মুখ ও চোখের ভাব অত্যন্ত কমনীয়, করুণ ও কোমল । শ্ৰীসমরেন্দ্রনাথ গুপ্ত ।

    • /い・いヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘ സ്.സംസ

বৈদ্যাবতংগবিদ্যানিধি কবিভূং। কবিরাজ শ্ৰীগণনাথ সেন, এম এ, এল. এম এস বিরচিত। কলিকাতার ৬৭ নং বিডনষ্টট হইতে গ্রন্থকারের ছাত্র পণ্ডিত এনখুৱাম শঙ্কার দ্বারা প্রকাশিত। মূল্য ৩. । ১৯১৩ খৃষ্টাব্দে "বঙ্গে সংস্কৃতশিক্ষা" নামক ইংরেজি পুস্তৰে লিথিয়াছিলাম : In the teaching of both of them [ Hindu Astro. and Medicine], a reform is most urgently called for. The student should be taught to make observations and experi ments for himself. He must be made to understand that, in science at any rate, the authority of the writers of text-books must give place to the facts of nature as deter. mined by his own obser. vation and experiment. Let him study the old books and find out where they are insufficient, misleading or wrong. Let him supplement his knowledge by reading English or Bengali books, the East and the West must meet. Here lies the work for the future scholar. Kavirajas Gananath Sen, M.A., L.M.s., Vidyanidhi, Kavibhusan and Jaminibhusan Ray, M.A., M.R., may be mentioned as the two most notable examples of the happy blending of Eastern and Western lore. The country naturally expects that they would do something to place the indigenous medical studies on a scientific basis. I know that the gifted Dr. Gananath Sen has already undertaken to write a supplement to the Nidana and a book on Anatomy and Physiology in Sanskrit. Sanskrit Learning in Bengal, pp. 50–51. এই প্রবন্ধে কবিরাজিশিক্ষার যে গুরুতর অভাবের কথা বলা হইয়াছিল, মনীষী খ্ৰীযুক্ত গণনাথ সেন "প্রত্যক্ষশারীরম্ রচনা করিয়৷ সেই অভাবে কথঞ্চিৎ পূরণ করিয়াছেন । "প্রত্যগশারীর অধ্যয়ন করিয়া আয়ুৰ্ব্বেবিদ্যার্থীরা শারীরবিদা বা এনাটমির অবশ্বজ্ঞাতব্য বিষয়গুলি নির্ভুল রূপে আয়ত্ত করিতে পরিবে। বঙ্গীয় কবিরাজদ্বিগের এবং সাধারণ поту প্রত্যক্ষশারীর | প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, )\రివ" [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড SMSMSMSMS MMM MMSMSMSMSMSMSMS *ヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘ、ヘル、ヘ ২য় সংখ্যা ] প্রত্যক্ষশারীরম \ළුණ (

  • - - - --- --- - ヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘッ・ヘー・ヘヘヘッいヘ・ヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘ/ --SumitaBot (আলাপ) ০৮:১৪, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি) ----- - - -

ৰাঙ্গালী শিক্ষিত ব্যক্তিদিগের নিকট প্রত্যক্ষশাস্ত্রীরের পরিচয় দেওয়৷ জঙ্ক এই প্রবন্ধ লিখিত হইয়াছে। "প্রত্যক্ষশারীর" সংস্কৃত ভাষায় লিখিত। উহার ১৪৮ পৃষ্ঠাব্যাপী প্রথমভাগে অস্থি ও সন্ধি (joints, articulations ) বর্ণিত হইয়াছে। বর্ণিতবিষয়গুলি বিশদরূপে বুঝাইবার জন্য, গ্রন্থে ৬৬টি চিত্র প্রদত্ত হইয়াছে। পুরশ্চিত্রটি (frontispirce) বিবিধবর্ণে রঞ্জিত । সকলগুলি চিত্রই বেশ পরিষ্কার, বিলাতী এনাটমীর চিত্রেরই মতন । ইহা ছাড়, প্রায় একশত পৃষ্ঠাব্যাপী উপোদঘাত-ভাগও প্রকাশিত হইয়াছে। উপোশাতে চিকিৎসাবিদ্যার ইতিবৃত্ত হুন্দরক্ষপে বর্ণিত হইয়াছে। - - - -- কবিরাজ ঐযুক্ত গণনাথ সেন। শ্ৰীযুক্ত গণনাপ সেনের "প্রতক্ষশারীরস্ প্রাচ্য ও প্রতীচ্যবিদ্যার সম্মেলনের মধুর ফল। কবিরাজ প্রযুক্ত গণনাথ সেন মহাশয় কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংস্কৃতে এম এ পরীক্ষা প্রথম শ্রেণীতে পাশ করিয়াহেন। সংস্থতে তাহার অসাধারণ ব্যুৎপত্তি। উহার সংস্কৃতরচনা চাতুৰীতে ও বেদান্তাদি দর্শনে প্রগাঢ় পণ্ডিতে বহুবার মুগ্ধ হইয়াছি। কলিকাতা সংস্কৃত কলেজ যে-সমস্ত কৃতী বহুশ্রুত তীগুৰুদ্ধি লোককে নিজের বলিয়া গৌরব করেন, খ্ৰীযুক্ত গণনাথ সেন মহাশয় তাহদের অন্যতম। কবিরাজ গণনাথ সেন, অমর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ও প্রসিদ্ধ সাহিত্যিক মহামহোপাধ্যায় প্রযুক্ত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, সি, আই ই প্রভৃতির যোগ কনিষ্ঠ সতীর্থ। ইনি কলিকাতা মেডিকেল কলেজে বগারীতি বিদ্যাভ্যাস করিয়া এল এ এস উপাধি লাভ করিয়াছেন। ইষ্টার পঠদ্দশায় মেডিকেল কলেজে ইই অপেক্ষ প্রতিভাশালী ছাত্র কমই ছিল। কেবল দৈবের দুৰ্ব্বিপাকে, যুক্ত গণনাথ সেন এ ডি হইতে পারেন নাই। বঙ্গের বাহিরেও ইহঁর অসাধারণ পাণ্ডিত্যের খাতি श्राrह ।। ३नि निश्रिल टांद्रललसँौंद्र ४दनानाप्रलtनद्र ७लांशनात्र श्र१ि বেশনের সভাপতি ছিলেন। অধুনাতন ভারতীয় কবিরাজের শবব্যবচ্ছেদ করিয়া শারীরবিদ্যা আয়ত্ত করেন না। তাহার শরীরের অভ্যন্তরস্থ যন্ত্রগুলির পরিচয় রাখেন না। মানুষের দেহের কোথায় কিরূপ কতগুলি অস্থি, ধমনী (arteries), fool ( veins), aro (nerves) of: atts, of তত্ত্ব কবিরাজের জানেন না । অথচ এইগুলি জানা না থাকিলে, চিকিৎসাবিদায় সম্যক্ জ্ঞানলাভ অসম্ভব। শারীরবিদ্যা আয়ুৰ্ব্বেদের দ্বারস্বরূপ । **Totfoto (surgeons) ८ठ ३झा ছাড়া চলেই না । কায়চিকিৎসকদিগেরও (physicians) শারীরঙ্গান অত্যাবস্তক। মহৰি চরক বলিয়াছেন :-"শরীরবিচয়; শরীরোপকারার্থমিষাতে ভিৰগবিদ্যেয়ম । জ্ঞাতে হি শরীরতত্বে শরীরোপকারকে ভাবেৰু জ্ঞানমুংপদ্যতে। তস্মাৎ শরীরবিচয়ং প্রশংসস্তি কুশলা ।” বস্তুত জ্বর, আমাশয়, গ্ৰহণী প্রভৃতি রোগের নিদানও শরীরতত্ত্বফোন বাতিরেকে বুঝা যায় না। মেডিকেল কলেজে এবং মেডিকেল স্কুলে শিক্ষাপ্রাপ্ত ডাক্তারের শারীরবিদ্যা জানেন। দেশের সাধারণ লোকে উহাদের পুঙ্খানুপুঙ্খ শারীরজ্ঞানে এবং অস্ত্রচিকিৎসা-কৌশলে মুগ্ধ হইয় যান। ফলে, ধীরে ধীরে লোকে কবিরাজি বিদ্যার প্রতি হতদের হইতেছেন। কিন্তু এটা আয়ুৰ্ব্বেদবিদ্যার দোষ নহে। কবিরাজি সুপ্রাচীন গ্রন্থে শবচ্ছেদের যথেষ্ট ব্যবস্থা ছিল। শুশ্ৰুত স্পষ্টই বলিয়াছেন যে যাহার অন্তচিকিৎসা করবেন, ছাদের শরীর ব্যবচ্ছেদ করিয়া উহার প্রত্যেক অবয়ব সাবধানে পর্যবেক্ষণ করা বিধেয় । তস্মান্নিঃসংশয়ং জ্ঞানং হত্রশিলাস্ত বাঞ্ছত। শোধয়িত্ব মৃতং সমাগ দুষ্টবোছঙ্গবিনিশ্চয়: অপিচ, সৰ্ব্বানের বাহাভ্যন্তরঙ্গপ্রত্যঙ্গবিশেষান যথোক্তান লক্ষত্ত্বেং চক্ষুস —অর্থাৎ মৃতদেহ পচাইয় তাহার সমস্ত চোখে দেথা চাই। (স্বত্রত, শারীরস্থান • অধ্যায় )। প্রাচীন ভারতে শারীরবিদ্যার বহু গ্রন্থ বিদামান ছিল। সুশ্রাতের সহাধ্যায়ী ভোজঋষিপ্রণীত সংহিত শারীরবিদার প্রধান আকর ছিল। ( এই ভোজ ধারাধিপতি ভোজরাজার বহুতর পূৰ্ব্বে বিদ্যমান ছিলেন)। ডল্পন, চক্রপাণি ও শ্ৰীকণ্ঠ ভোজের শারীরবিষয়ক বহু বচন উস্থত কবিয়াছেন । ইহা ছাড়া, ভাস্করভট্টকৃত “শারীরপদ্মিনী" নামক সহস্রবর্ষের প্রাচীন শারীর গ্রন্থ পাশ্চাত্যপণ্ডিতের আবিষ্কার করিয়াছেন। কিন্তু ১ এrgর রচয়িত হয়ত শবচ্ছেদ না করিয়া কেবল সংগ্রহ মাত্র দ্বার গ্রন্থ নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন। আয়ুৰ্ব্বেদের মূলভূত শারীরবিদ্যার অবনতি প্রায় সপাখিসহস্র বর্ষ পূর্বে আরঙ্গ হইয়াছিল। কবিরাজ গণনাথের মতে, বৌদ্ধনৃপতি অশোকের শবচ্ছেদ নিবারণই শারীর বিদ্যার অবনতির মূলকরণ। অশোকের পর ভারতের উপর দিয়া যে সকল বৈদেশিক আক্রমণ চলিয়া গিয়াছে, তাহারা ভারতের গৌরবধায়ক আগেদি নানাবিষয়ক বহু গ্রন্থের লোপের দ্বিতীয় কারণ । অধুনা হশতের শারীরাংশ আয়ুৰ্ব্বেদের সর্বশ্রেষ্ঠ শারীর প্রবন্ধ বলিয়৷ প্রসিদ্ধ। "শরীরে সুশ্ৰত: শ্রেষ্ঠ" এই প্রবাদই উহার সাক্ষী । কিন্তু বৰ্ত্তমান শতে বহুতর ভ্রমপ্রমাদ ঢুকিয়া গিয়াছে। ডাক্তার হনেলি সাহেব এই সকল ভ্রম হুন্দরক্ষপে দেখাইয়াছেন । ডাক্তার গণনাথ সত্যই বলিয়াছেন অধুনা—শরীরে স্বকতো নষ্ট । বা ভটাচার্যের অষ্টাঙ্গহাদয় ও অষ্টাঙ্গসংগ্রহে যে শারীরবিবরণ আছে, তাহাতেও তুলের অসম্ভব নাই। তিনি নিজে বৌদ্ধাচার্য ছিলেন, তিনি শবচ্ছেদ না করিয়াই চরক-হশতের শারীর প্রকরণ লইয়া তাহাকে নিজের কল্পনা দিয়া বিপর্যাপ্ত করিয় রাখিয়াছেন। শাঙ্গধর এবং ভাবমিত্রের গ্রন্থও ঐ দোষে দুষ্ট। বাহ হউক, মূল প্রাচীন আয়ুৰ্ব্বেদে শারীর বিদ্যার প্রাচুর্য থাকিলেও অধুনা আয়ুৰ্ব্বেদাধ্যায়ীর জন্য নির্জল