পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/১৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○〉o SSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSS [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড - - ------ーヘヘヘヘヘ আচার্য বসু ও আচাৰ্যাণীর সম্মানর্থ তাহদের সহিত :ি - - -- :) | ա լ , T : ত হিন্দুস্থান-সভার সদস্তদিগকে শিকাগে। লিউইস ইন্সটিটিউটের ডঃ এডুইন BBm DBBB B BBBBBBB BBB BBBB BBBB BBBBBBS LLLLL LLLLL SDDD DDS યકૃ૨ যখন নিউ-ইয়র্কে যান তখন “নিউ-ইয়র্ক টাইমস"এ Song to Sensitive Plants HT.I *I#f4 •IIf##f# T3[4 এক কবিতা বাহির হয়। "নিউ ইয়র্ক টাইমস" মার্কিন যুক্তরাজ্যের একখানি শ্রেষ্ঠ দৈনিক পত্রিকা। যুরোপে জগদীশচন্দ্র ভিয়েন ও পারতে বক্তৃত৷ করেন। পার হইতে জাৰ্ম্মানী যাইবার আয়োজন করিতেছিলেন এমন সময় যুদ্ধ বাধিল । কাজেই আর যাওয়া হইল না। ইংল্যাণ্ডে অবস্থানকালে তিনি লণ্ডনে রয়েল ইনষ্টিটিউট, ইম্পিরীয়াল কলেজ অফ সায়ান্স, রয়েল সোসাইটি অব মেডিসিন এবং অক্সফৰ্ড ও কেম্বি জ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমক্ষে বক্তৃতা করেন । -- ইংল্যাণ্ডে তাহার আবিষ্কার সম্বন্ধে খুব উৎসাহ দেখা দিয়াছিল। তিনি যখন লণ্ডনে ছিলেন তখন, ভূতপূৰ্ব্ব প্রধান মন্ত্রী সার আর্থার ব্যালফুর, রয়েল ইনষ্টিটিযুটের সভাপতি সার উইলিয়ম ক্রুকস, অধ্যাপক জেমস মারে, রাজবৈদ্য সার জেমস রীড়, বিখ্যাত নাট্যকার বার্ণাড শ, ভারত-সচিব লণ্ড ক্রু প্রভৃতি ইংরেজ মনীষীগণের নিকট র্তাহার গৃহ ও গবেষণাগার মুসলমানের নিকট মক্কাতীর্থের ন্যায় আদরণীয় হইয়। উঠিয়াছিল । জগদীশচন্দ্র বাগী নন এবং বাগী হইবার জন্যও :র্তাহার কোন আগ্রহ নাই। কিন্তু তাহার বক্তৃতা বেশ সুস্পষ্ট, জোরালে ও মনোজ্ঞ । তাহার বক্তৃতার ভঙ্গীটিও বড় সুন্দর। বক্তৃতাকালে তিনি সভামঞ্চের প্রাস্তভাগে ধীরে ধীরে অগ্রসর হইয় আসেন, তারপর বাম একেবারে - - ২য় সংখ্যা ] പ്~~ ヘヘヘヘヘヘヘヘヘ*** ം.സി.സി.റ്സ് - /-、ヘーヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘー . 1. কিছুক্ষণ শ্ৰোতৃমণ্ডলীর দিকে চাহিয়া থাকেন। সভা তখন 評 হাতখানি পশ্চাৎ দিকে নিবদ্ধ করিয়া স্থিরভাবে দাড়াইয়৷ | হাসেন । কিন্তু . ף צ একেবারে এমন নিস্তব্ধ যে স্বচীপতনের শব্দটি পৰ্য্যন্ত শোনা যায়। আগ্ৰহান্বিত নরনারী তাহার বক্তৃতার প্রথম কথাটি শুনিবার জন্য ঝুকিয়া পড়েন। শ্রোতৃমণ্ডলীকে মৃথাবিহি স্ত সম্বোধনের পর কোনরূপ বাহুল্য ভূমিকা স্বষ্টি না করিয়া डिनि সোজাসুজি আপনার বক্তব্য বিষয় বলিতে আরম্ভ - ਾਂ - করেন। বাগিতাস্বচক কোনরূপ অঙ্গভঙ্গ তাহার নাই ; অতি সাদাসিধাভাবে, অতিশয় আন্তরিকতার সহিত মৃদু কণ্ঠস্বরে তিনি আপনার আশ্চৰ্য আবিষ্কারের কথা বলিয়া যান। রবাট বার্নস তাহার প্রাত্যহিক নীরস কৰ্ম্ম o হইতে কবিতার স্থষ্টি করিতেন । আচাৰ্য্য জগদীশও তাহার বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও আবিষ্কারের মধ্যে কাব্য নাটক a মহাকাব্য রচনা করিয়া তুলেন। তাহার বিচিত্র আবিষ্কা রের আনন্দে তিনি একেবারে আত্মহারা ; তিনি যাহা বলেন তাহা তাহার পরিপূর্ণ অন্তরের অন্তস্থল ভেদ করিয়া উঠে। সাধাগলা ব্যবসাদার বক্তার বোলচাল ও কলাকৌশলের অবকাশ তাহার নাই। কিন্তু তবু শ্রোতারা এমন তন্ময় হইয় তাহার কথা শুনিতে থাকেন যে করতালি দিতে পর্য্যন্ত ভুলিয়া যান। মার্কিন সংবাদপত্রের রিপোর্টারের বস্থ মহাশয়কে লইয়া মহা ফাপরে পড়িয়াছিলেন। তাহাদের পক্ষে “সে বড় কঠিন ঠাই, তাহার ধরা ছোয় পাওয়া বড়ই শক্ত। আচাৰ্য্য জগদীশের সহিত সাক্ষাৎ করিয়া কোন কথা বাহির করা অপেক্ষ তোকিও, পেট্রোগ্রাড কিম্বা লগুনের দশ পাচজন রাজনীতি-ধুরষ্করকে আটিয়া ওঠা সহজসাধ্য। বস্তু মহাশয় লোকচক্ষুর দৃষ্টির সমক্ষে থাকিতে মোটেই ভাল বাসেন না। বিশেষত মার্কিনসাধারণের সমক্ষে প্রকাশ হইতে তাহার বড়ষ্ট ভয় । যখনি তিনি বুঝিতে পারেন যে খবরের কাগজের লোক তাহার নিকট হইতে কিছু কথা বাহির করিয়া কাগজে মস্ত একটা গল্প ফ দিবার চেষ্টায় তাহার পিছু লইয়াছে তখনি তিনি একেবারে মুখ বন্ধ করিয়া ফেলেন। যদি তাহাকে কেহ এমন কোন কথা জিজ্ঞাসা করে যাহার উত্তর দেওয়া তিনি সঙ্গত মনে করেন ন। তাহ হইলে তিনি কোন কথা না বলিয়া শুধু একটু এমন সৌজন্যের সহিত এ কাজটি করেন আমেরিকায় আচাৰ্য্য জগদীশচন্দ্র "එං ം.--ബ്-- যে কেহই তাহাতে অপরাধ লইতে পারেন না। আর বাস্তবিকই বস্থমহাশয়কে এ জন্য দোষ দেওয়া যাইতে পারে না—কেননা আমেরিকার সংবাদপত্রের উপর আস্থা হারাইবার কারণ র্তাহার যথেষ্ট আছে। অল্পদিন পূৰ্ব্বে ডেট্রয়েটের একখানি সংবাদপত্র আচাৰ্য্যবরের Plant Response বা উদ্ভিদের সাড়া নামক গ্রন্থের এক অধ্যায় এমন বেমালুমভাবে প্রবন্ধকারে ছাপাইয়া দিয়াছিল যে মনে হয় যেন সেটি ঐ কাগজেরই জন্ত বস্থমহাশয় কর্তৃক বিশেষভাবে লিখিত । ങ്ങ জগদীশচন্দ্রের আকৃতিতে এমন একটা কি আছে যাহা সকলকে আকর্ষণ করে। কবির মত র্তাহার ঈষৎশুভ্র ঘনকুঞ্চিত কেশরাশি প্রশস্ত ললাটের দুই পার্থে স্তরে স্তরে বিন্যস্ত। তাহার নিবিড়কৃষ্ণ জলস্ত চক্ষুর দীপ্তিতে যেন সামান্য একটু গৰ্ব্বের লেশ মাখানো। তাহার স্বত্র ও ভাবব্যঞ্জকপূর্ণ মুখখানি উচ্চবংশজাত, ধীমান ও আত্মশক্তিতে নির্ভরশীল্প পুরুষের মত। তাহার বক্ষ প্রশস্ত, স্কন্ধ বিস্তৃত, স্বাস্থ্য স্বন্দর ও পাদবিক্ষেপ ধীর ও দৃঢ়। যদিও তাহার দেহে ও মুখে প্রৌঢ়তার চিহ্ন দেখা দিয়াছে তবুও তাহার কাজ করিবার শক্তি ও উৎসাহ যথেষ্ট আছে। নেপোলিয়ন একবার ইংরেজ রাজনৈতিক ফক্স ও পিটের চরিত্র বর্ণনার প্রসঙ্গে বলিয়াছিলেন ফক্সের হৃদয় তাহার প্রতিভাকে দ্বীপ্ত রাখিয়াছিল আর পিটের প্রতিভা তাহার হৃদয়কে শুকাইয়া ফেলিয়াছিল। আচার্ধ্য জগদীশের প্রতিভা পিটের মত নয়, ফক্সের মত। অসামান্ত প্রতিভাশালী হইলেও তাহার হৃদয়খানি শুষ্ক নহে, পরস্তু মানবত, সহমৰ্ম্মিত ও প্রেমপ্রবণতায় পূর্ণ। মানবের ভ্রাতৃত্ব র্তাহার নিকট কেবল একটা উচ্চভাবের কথামাত্র নয়--সজীব ও সত্য আদর্শ। ধনীনিধন, উচ্চনীচ, সকল অবস্থার লোকের সঙ্গে তিনি সমানভাবে মিশিয়া স্বর্থীজনের মুখেতে হাসিয়া ও দুঃখীর দুঃখে অশ্রু ফেলিয়া আপনার মহং হৃদয়ের পরিচয়ে সকলকে মোহিত করেন। ভারতবর্ষ, জগদীশচন্দ্রের অন্তরের ধানমন্ত্র। যেখানে যতদূরেই তিনি থাকুন না কেন, ভারতের মঙ্গলচিন্ত৷ তাহার চিত্তের অনেকখানি অংশ জুড়িয়া থাকে। আর এই কারণেই বোধ হয় তিনি আমেরিকাগ্রবাসী ভারত