পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

وه لا - ------------ - - যৌবনের আরম্ভে যখন বিশ্বসম্বন্ধে আমাদের অভিজ্ঞতা অল্প অথচ আমাদের শক্তি উদ্যত, তখন আমরা নান৷ - বৃথা অনুকরণ করি, নানা বাড়াবাড়িতে প্রবৃত্ত হই। তথন আমরা পথও চিনিনে, ক্ষেত্রও চিনিনে, অথচ ছুটে চলবার তেজ সাম্লাতে পারিনে। সেই সময়ে আমাদের যার চালক র্তার। যদি আমাদের ঠিকমত কাজের পথে লাগিয়ে দেন তাহলে অনেক বিপদ বঁাচে । কিন্তু তারা এ পর্য্যন্ত এমন কথা বলেন নি যে, এই আমাদের কাজ, এস আমরা কোমর বেঁধে লেগে যাই। তারা বলেন নি, কাজ কর, তারা বলেছেন প্রার্থনা কর। অর্থাং ফলের জন্যে আপনার প্রতি নির্ভর না করে বাইরের প্রতি নির্ভর কর। তাদের দোষ দিতে পারিনে। সত্যের পরিচয়ের আরম্ভে আমরা সত্যকে বাইরের দিকেই একান্ত করে দেগি --আত্মানং বিদ্ধি এই উপদেশট। অনেক দেরিতে কানে পৌছয়। একবার বাইরেট ঘুরে তবে আপনার দিকে আমরা ফিরে আদি । বাইরের থেকে মেয়ে পাব এই ইচ্ছ। করার যেটুকু প্রয়োজন ছিল তার সীমা আমরা দেখতে পেয়েছি, অতএব তার কাজ হয়েছে। তার পরে প্রার্থন। করার উপলক্ষ্যে আমাদের একত্রে জুটুতে হয়েছিল, সেটাতেও উপকার হয়েছে। সুতরাং যে-পথ দিয়ে এসেছি আজ সে-পথটা এক জায়গায় এসে শেষ হয়েছে বলেই যে সে পথ - - তার নিন্দ করতে হবে এমন কোন কথা নেই। ন। চুকোলে এ পথের সন্ধান পাওয়া যেত না। এতদিন দেশ আকাশের দিকে তাকিয়ে কেবল হাক দিয়েছে “আয় বৃষ্টি হেনে।" আজ বৃষ্টি এল। আজও যদি *াকতে থাকি তাহলে সময় চলে যাবে। অনেকটা বর্ষণ ব্যর্থ হবে, কেননা ইতিমধ্যে জলাশয় খুঁড়ে রাখিনি। দিন সমস্ত বাংল। বোপে স্বদেশপ্রেমের বান ডেকে এল। সেটাকে আমরা পুরোপুরি ব্যবহারে লাগাতে পারলুম না। • মনে আছে দেশের নামে হঠাৎ একদিন ঘণ্ট। কয়েক ধরে খুব এক পদলা টাকার বর্ষণ হয়ে গেল, কিন্তু সে টাকা আজ পর্যাগু দেশ-গ্ৰহণ করতে পারল না। কত বংসর পরে কেবল মাত্র চাইবার জন্যেই প্রস্বত হয়েছি কিন্তু নেবার জন্যে প্রস্বত হইনি। এমনতর অদ্ভূত অসামর্থ কল্পনা

  • করাও কঠিন।

এক প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩২২ - [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড । আজ এই সভায় যার উপস্থিত তারা অনেকেই যুবক- , ১ম সংখ্যা ] -


----------------- যে গাছের ফলগুলোকেই নাস্তানাবুদ করে দিই তা নয়, তার .শিকড়গুলোকে স্বদ্ধ কেটে দিয়ে বসে থাকি। কেবল

BBS BBB BB BBBB BB BBBB BBB BBBB SBBBBBB BBBB BBBB DD D DDS DD DDDS হয়ে উঠেছে অথচ এই আগ্রহকে কাজে লাগাবার কোনো ব্যবস্থাই কোথাও নেই। সমাজ যদি পরিবার প্রভৃতি নানা | তন্ত্রের মধ্যে আমাদের স্বাভাবিক প্রবৃত্তিগুলিকে চালনা । করবার নিয়মিত পথ করে না দিত তাহলে স্ত্রীপুরুষের সম্বন্ধ কি রকম বীভৎস হত ; প্রবণের সঙ্গে নবীনের, প্রতি বেশীর সঙ্গে প্রতিবেশীর সম্বন্ধ কি রকম উচ্চ স্থল হয়ে উঠত। তা হলে মাহুষের ভালো জিনিষ ও মন্দ হয়ে দাড়াত। . তেমনি দেশের কাজ করবার জন্যে আমাদের বিভিন্ন প্রকৃতিতে যে বিভিন্ন রকমের শক্তি ও উদ্যম আছে তাদের যথাভাবে চালনা করবার যদি কোনো উপযুক্ত ব্যবস্থা দেশে না থাকে তবে আমাদের সেই স্বজনশক্তি প্রতিরুদ্ধ হয়ে প্রলযশক্তি হয়ে উঠবে। তাকে সহজে পথ ছেড়ে না দিলে সে গোপন পথ আশ্রয় করবেই। গোপন পথে আলোক নেই, খোলা হাওয়া নেই.সেখানে শক্তির বিকার | না হয়ে থাকতে পারে না। একে কেবলমাত্র নিন্দ করা শাসন করা এর প্রতি সদ্বিচার করা নয়। এই শক্তিকে চালনা করবার পথ করে দিতে হবে। এমন পথ যাতে । শক্তির কেবলমাত্র তুসদ্ব্যয় হবে না তা নয় অপব্যয়ও i যেন না হতে পারে। কারণ আমাদের মূলধন আল্প। স্বতবাং সেটা খাটাবার জন্যে আমাদের বিহিত রকমের শিক্ষা এবং ধৈর্ঘ্য চাই। শিল্পবাণিজ্যের উন্নতি চাই এই কথা যেমন বল অমনি তার পর দিনেই কারখানা খুলে বসে সৰ্ব্বনাশ ছাড়া আমরা অন্য কোনো রকমের । মাল তৈরি করতে পারিনে। এ যেমন, তেমনি যে | করেই হোক মরীয় হয়ে দেশের কাজ করলেই হল এমন কথা যদি আমরা বলি তবে দেশের সর্বনাশেরই কাজ করা হবে । কারণ সে অবস্থায় শক্তির কেবলি অপব্যয় হতে থাকবে । যতই অপব্যয় হয় মানুষের অন্ধত ততই বেড়ে ওঠে। তপন পথের চেয়ে বিপথের প্রতিই মানুষের শ্রদ্ধা বেশি হয় । তাতে করে কেবল যে কাজের দিক থেকেই আমাদের লোকসান হয় তা নয়, যে ন্যায়ের শক্তি যে ধৰ্ম্মের তেজ সমস্ত ক্ষতির উপরেও আমাদের অমোঘ আশ্রয় দান করে তাকে স্বদ্ধ নষ্ট করি । কেবল ـتـطـ শেষের উপরে সয়তানকে ডেকে এনে রাজা করে বসাই। অতএব যে শুভ ইচ্ছা আপন সাধনার প্রশস্ত পথ থেকে প্রতিরুদ্ধ হয়েছে বলেই অপব্যয় ও অসদ্ধায়ের দ্বারা দেশের বক্ষে আপন শক্তিকে শক্তিশেলরূপে হানচে তাকে আজ ফিরিয়ে না দিয়ে সত্যপথে আহবান করতে হবে । আজ আকাশ কালে করে যে দুর্য্যোগের চেহারা দেখচি, আমাদের ফসলের ক্ষেতের উপরে তার ধারাকে গ্ৰহণ করতে পারলে তবেই এটি শুভযোগে হয়ে উঠবে। বস্তুত ফললাভের আয়োজনে দুটো ভাগ আছে। একট। ভাগ আকাশে, একটা ভাগ মাটিতে । একদিকে মেঘের আয়োজন, একদিকে চাষের । আমাদের নব শিক্ষায়, বৃহৎ পৃথিবীর সঙ্গে নূতন সংস্পর্শে চিত্তাকাশের বায়ুকোণে ভাবের মেঘ ঘনিয়ে এসেছে। এই উপরের হাওয়ায় আমাদের উচ্চ আকাঙ্ক্ষা এবং কল্যাণসাধনার একটা রসগৰ্ভশক্তি জমে উঠচে। আমাদের বিশেষ করে দেখতে হবে শিক্ষার মধ্যে এই উচ্চভাবের বেগ সঞ্চার যাতে হয়। আমাদের দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা বিষয় শিক্ষা। আমরা নোট নিয়েছি, মুখস্থ করেছি, পাস করেছি। বসন্তের দক্ষিণহাওয়ার মত আমাদের শিক্ষা মনুষ্যত্বের কুঞ্জে কুঞ্জে নতুন পাতা পরিয়ে ফুল ফুটিয়ে তুলচে না। আমাদের শিক্ষার মধ্যে কেবল যে বস্বপরিচয় এবং কৰ্ম্মসাধনের যোগ নেই তা নয়—এর মধ্যে সঙ্গীত নেই, চিত্র নেই, শিল্প নেই,— আত্মপ্রকাশের আনন্দময় উপায় উপকরণ নেই। এ যে কত বড় দৈন্য তার বোধশক্তি পৰ্য্যন্ত আমাদের লুপ্ত হয়ে গেছে। উপ্লবাস করে করে ক্ষুধাটাকে পৰ্য্যস্ত আমরা হজম করে ফেলেছি । এই জন্যেই শিক্ষা সমাধা হলে আমাদের প্রকৃতির মধ্যে একটা পরিণতির শক্তিপ্রাচুর্য্য জন্মে না । সেই জন্যেই আমাদের ইচ্ছাশক্তির মপো দৈন্য থেকে যায় । কোনো রকম বড় ইচ্ছ। করবার তেজ থাকে না । জীবনের কোনো সাধন গ্রহণ করবার আনন্দ চিত্তের মধ্যে জন্মায় না। আমাদের তপস্যা দারোগীগরি ডেপুটিগিরিকে লঙ্ঘন করে অগ্রসর হতে অক্ষম হয়ে পড়ে। মনে আছে একদা কোনো এক স্বদেশিক সভায় এক পণ্ডিত বলেছিলেন যে, ভারতবর্ষের উত্তরে হিমগিরি, মাঝখানে বিন্ধ্যগিরি, দুইপাশে দুই ঘাটগিরি, এর-থেকে স্পষ্টই দেখা যাচ্চে বিধাত ভারতবাসীকে সমুদ্রযাত্র করতে নিষেধ করছেন। বিধাতা যে ভারতস্বাসীর প্রতি কত বাম তা এই-সমস্ত নূতন নূতন কেরাণীগিরি ডেপুটিগরিতে প্রমাণ করচে। এই গিরি উত্তীর্ণ Wッ পল্লীর উন্নতি


১৭ হয়ে কল্যাণের সমুদ্রযাত্রায় আমাদের পদে পদে নিষেধ আসচে। আমাদের শিক্ষার মধ্যে এমন একটি সম্পদ । থাকা চাই যা কেবল আমাদের তথ্য দেয় না, সত্য দেয়; যা । কেবল ইন্ধন দেয় না, অগ্নি দেয়। এই ত গেল উপরের - দিকের কথা । - আমরা জন্মেচিন । - তার পরে মাটির কথা—যে মাটিতে এই হচ্চে সেই গ্রামের মাটি, যে আমাদের মা, আমাদের । ধাত্রী, প্রতিদিন যার কোলে আমাদের দেশ জন্মগ্রহণ । করচে। আমাদের শিক্ষিত লোকদের মন মাটি 蠶 দূরে দূরে ভাবের আকাশে উড়ে বেড়াচ্চে–বর্ষণের যোগের দ্বারা তবে এই মাটির সঙ্গে আমাদের মিলন সার্থক হবে। যদি কেবল হাওয়ায় এবং বাম্পে সমস্ত আয়োজন ঘুরে বেড়ায় তবে নুতন যুগের নববর্ষা বৃথা এল। হচ্চে না তা নয়, কিন্তু মাটিতে চাষ দেওয়া হয় নি। ভাবের রসধারা যেখানে গ্রহণ করতে পারলে ফসল ফলবে সেদিকে এখনো করে দৃষ্টি পড়চে না। সমস্ত দেশের ধূসর মাটি, এই শুদ্ধ তপ্ত দগ্ধ মাটি, তৃষ্ণায় চোচীর হয়ে ফেটে গিয়ে । কেঁদে উদ্ধপানে তাকিয়ে বলচে, তোমাদের ঐ ঘাঁ-কিছু । ভাবের সমারোহ, ঐ ঘাঁ-কিছু জ্ঞানের সঞ্চয় ও ত অামারই । জন্তে—আমাকে দাও, আমাকে দাও —সমস্ত নেবার জন্তে । আমাকে প্রস্তুত কর। আমাকে যা দেবে তার শতগুণ। ফল পাবে। এই আমাদের মাটির উত্তপ্ত দীর্ঘনিশ্বাস । আজ আকাশে গিয়ে পৌচেছে, এবার স্ববৃষ্টির দিন এল । বলে, কিন্তু সেই সঙ্গে চাষের ব্যবস্থা চাই যে। " গ্রামের উন্নতি সম্বন্ধে কিছু আলোচনা করব আমার । উপর এই ভার। অনেকে অন্তত মনে মনে আমাকে - জিজ্ঞাসা করবেন, তুমি কে হে, সহরের পোষ্যপুত্র, গ্রামের । খবর কি জান ? আমি কিন্তু এখানে বিনয় করতে পারব | না। গ্রামের কোলে মাহুষ হয়ে বাশবনের ছায়ায় কাউকে । খুড়ে কাউকে দাদা বলে ডাকলেই যে গ্রামকে সম্পূর্ণ জানা । যায় এ কথা সম্পূর্ণ মানতে পারিনে। কেবল মাত্র অলস । নিশ্চেষ্ট জ্ঞান কোনো কাজের জিনিষ নয়। কোনো । উদ্বেশ্বের মধ্য দিয়ে জ্ঞানকে উত্তীর্ণ কর নিখে গেলে । তবেই সে জ্ঞান যথার্থ অভিজ্ঞতায় পরিণত হয়। আমি | সেই রাস্ত দিয়ে কিঞ্চিং পরিমাণে অভিজ্ঞতা লাভ করেছি। তার পরিমাণ অল্প হতে পারে কিন্তু তবুও সেটা অভিজ্ঞতা | —স্বতরাং তার মূল্য বহুপরিমাণ অলস জ্ঞানের চেয়েও • । বেশি। -- আমার দেশ আপন শক্তিতে আপন কল্যাণের বিধান । করবে এই কথাটা যখন-কিছুদিন উচ্চৈঃস্বরে আলোচনা করা গেল তখন বুঝলুম কথাটা ধারা মানচেন ষ্ট্রর স্বীকার । করার বেশি আর কিছু করবেন না; আর যারা মানচেন । ন, তার উদ্যম সহকারে যা-কিছু করবেন সেটা কেবল " | -