পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/১৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৫২ ০৮:১৯, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)SumitaBot (আলাপ) ০৮:১৯, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)---- ই।চির প্রতাপ ( রবীন্দ্রনাথের "বিচারক"এর অনুকরণে ) পুণ্যকীৰ্ত্তি লক্ষ্মণ সেন রাজকুল-অবতংস, রাজাসনে বসি কহিলেন বীর, "হরণ করিব ভার পৃথিবীর ; বক্তিয়ারের করেছি স্থির, দপ করিব ধ্বংস ।" SSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSS -------- দেখিতে দেখিতে পূরিয়া উঠিল সেনানী আশ সহস্ৰ । নানা দিকদিকে নানা পথে-পথে, বাংলার যত মাঠ ঘাট হতে, বীরগণ যেন শ্রাবণের লোতে ছুটিয়া আসে অজস্ৰ । উড়িল গগনে বিজয়-পতাক, - ধ্বনিল শতেক শঙ্খ, হুলুরব করে অঙ্গন সবে, বঙ্গ বিহার কাপিল গরবে, রহিয়া রহিয়া প্রলয়-আরবে বাজে ভৈরব ডস্ক । ধূলার আড়ালে ধ্বজ-অরণ্যে লুকাল প্রভাত-স্বৰ্য্য । হস্তী অশ্বে ধরা টলমলে, আকাশ বধির জয়-কোলাহলে, শত অম্বুদ-মন্দ্রে সবলে তর্জিছে রণতৃৰ্য্য । যুক্ত-কৃপাণে চলিছে ভূপতি, না জানে শঙ্কা দৈন্য । সমরোম্মাদে নাচিতে নাচিতে একটি নিমেষে তার ইঙ্গিতে • যুদ্ধভূমিতে পারে প্রাণ দিতে श्रागै नक्ष्ट ट्रेभन्न । “দেব ব্রাহ্মণে দেছেন আশিস, নাস্তি রে ভয় নাস্তি " প্রবাসী— আষাঢ় ১৩২২ [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড রাজা কহে বাহু তুলিয়া উধাও "বঙ্গের জয় আজি সবে গাও, দুষ্ট দক্ষ্য শত্ৰুরে দাও পাপের উচিত শাস্তি ।" নব উৎসাহে উঠে কোলাহল, বাজি উঠে রণবাদ্য । গুরু গরজিয়া কহে নরনাথ— “পাপের রাজা কর ধূলিসাৎ, কর কর সবে শত্রু নিপাত, (,१|१||७ १८५१ °|#I ; বঙ্গভূমির অঙ্গ পরশে যত শত্রুর পুত্রে কে সহিবি তোরা কে রে এত হীন ? জন্মভূমিরে করিবি অধীন ? বন্দী রহিবি অমোঘ কঠিন শক্রদাস্ত-স্বত্রে ?” "জীবন থাকিতে করিব না মোর নীচ শত্রুর দাস্য "— সহসা এ কি এ ! কেমনে কে জানে, হাচির শব্দ পশে আসি কানে, } ঐ দেখা যায় পথ-মাঝখানে কাহার ব্যায়ত আসা ! ফেলিয়া অস্ত্র হটে পশ্চাতে সেন সেনাপতি সুদ্ধ । "আমরা অস্ত্র ছড়িতু এবার, ফিরিয়া চলিহু গৃহে আপনার, অসীম সাহস থাকে ত তোমার নিজে কর গিয়া যুদ্ধ।" থামিল শঙ্খ, থামিল ভদ্ধ, ঝলসে না আসি দীপ্র । আশীসহস্র রণবিশারদ, গোলায় যাদের টলায় না পদ, শুনিয়া একটি হাচির শবদ ফিরিয়া ধাইল ক্ষিপ্ৰ ! শবনবিহারী মুখোপাধ্যায়। l ৩য় সংখ্য। ] চট্টগ্রামের বলীখেলা আবহমানকাল হইতে ভারতের নানা দিদেশে মল্লক্রীড়া চলি আসিতেছিল। কিন্তু বৰ্ত্তমান সময়ে যতই আমরা শিক্ষিত হইতেছি—অর্থাং যতই দাসত্বের উংকৃষ্ট শৃঙ্খল চাকরির জন্য প্রস্বত হইতেছি—ততই এই স্ফূৰ্ত্তিজনক দৈহিকশক্তি রক্ষার উপাদেয় পস্থাটি বিস্মৃত হইতেছি ।


চট্টগ্রামের বলীখেল।


S S S S S S S S S S S S S S S S SMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSS ধনী জমাদার-পুত্ৰগণের জন্য এ ব্যবস্থা মধ্যে মধ্যে দেখিতে পাওয়া যায় ; কিন্তু ক্রমে তাহাও বিরল হইয়া আসিতেছে। আমাদের বর্তমান রাজা ও রাজপুরুষগণের মধ্যে ব্যায়ামশিক্ষা এবং কুচকাওয়াজ, ঘোড়দৌড়, শিকার প্রভৃতি দৈহিক কিরূপে সতেজে চলিয়া আসিতেছে তাহা লক্ষ্য করিবার বিষয় । এজন্য তাহাদের স্বাস্থ্য এখনও সতেজ রহিয়াছে । দুঃখের বিষয় বাঙ্গালী যেদিন হইতে কসরতের ব্যবস্থা চট্টগ্রামের বলীখেলা। এবং দেহের ঘুণের দংশনে জর্জরিত হইতেছি—ম্যালেরিয়ার ভক্ষ্যরূপে পরিণত হইতেছি । আজকাল মল্লক্রীড়। একটি হীনজনোচিত কায্যের মধ্যে পরিগণিত হইয় পড়িতেছে। পৌরাণিকযুগে কিন্তু ইহা সাধারণের ন্যায় রাজা ও রাজপুত্ৰ গণেরও অবশ্য কৰ্ত্তব্য ছিল । শক্তিরক্ষ। তখনকার দিনের একট। গৌরবের বিময় ছিল । এখনও পশ্চিমদেশীয় বড় বড় পল্লীজননীর অঙ্কে থাকিয়া জলে পড়িয়া দর্ঘ দুইঘণ্টকালব্যাপী সাতার-কাটা, "হাডুডুডু খেলা", পরথেল। ( গোল্লাদাইর , গুলিডাগু খেলা ছাড়িয়াছে, যেদিন হইতে ডন, কুস্তী, মুগুরভাজা ছাড়িয়াছে, যেদিন হইতে হাটাপথে দিনে ৩০৪০ মাইল “পাওদলে" চলিয়া যাওয়ার কথায় আংকাইয়। উঠিতে শিথিয়াছে সে-দিন হইতে তাহদের হাড়ে ○○○