পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/২০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- চেয়ারে বসিয়া চক্ষু দিল, o ও পাহন মায়ণ-নাম বাব ছিড়িয়া १ान्नानं o ক্ষের মধ্যে উদ্ধশ্বাসে তাণ্ডব - - --- क्य वा ভশ (ক্রমশ ) - স্ৰশৈলবালা ঘোৰজা৷ ৷ - ". |Go দের ३ তিহ স - গণনাথ স্েেনর প্রত্যক্ষশরীরের উপাদাত ভাগ |и. একটু ইতিহাস সংকলন করিয়া দিতেছি। ভাগে গ্রন্থকার যেরূপ পাণ্ডিতা ও বিচারপ্রণালী দেখাইয়াছেন, তাই ইতিহাস গ্রন্থ বঙ্গদেশে আজিও সম্পূর্ণ দুলভ। .

  • আয়ুবেদের প্রধানত দুই সম্প্রদায়, (১) ধ্বস্তুরি সম্প্রদায়—ইহাদের আয়ুৰ্ব্বেদে শলাতন্ত্র (Surgery) প্রধান স্থান অধিকার করিয়াছে, (২) ভরদ্বাজ সম্প্রদায়—ইহাদের আয়ুৰ্ব্বেদে কায়চিকিৎসা (Medicine) প্রধান স্থান অধিকার করিয়াছে।

- - - o - - —— - " וייר নম্বন্তরি কাশীর রাজা ছিলেন। হার অপর নাম দিবোদাস। তনি নিজে এবং উহার প্রধান শিষ্য স্বপ্রতু ক্ষত্রিয় ছিলেন। শঙ্ক o-o- পক্ষে শলাতন্ত্রের আলোচনা সমধিক উপযোগী ততন্ত্র ও পৌদ্ধলাবততন্ত্র। । ধনবমেীরভ্রং সোশ্রতং পেন্ধিলাবত। - গাং শলাতন্ত্রাণাং মূলনেতানি নির্দিশেং - ৰূণ ছিলেন। তিনি পুনবন্ধ আত্ৰেয়ের অধ্যাপক। কালক্ষেত্রে কম্পিলারাজধানীতে আশ্রম স্থাপন করিয়া শ,ভেল, জতুকৰ্ণ পরাশর, হরীত ও ক্ষীরপাণি নামক ছয়জন শি শিবকে ব্রাহ্মণ-স্বভাবের অমুগুণ কাল্পচিকিৎসাপ্রধান আয়ুবেদ দেন। এইটি ভরদ্বাজ সম্প্রদায় বা আক্রয় সম্প্রদায়। অগ্নিবেশ কের এক-একখানি মূলগ্রন্থ ছিল । আয়ুবেদগ্রন্থের মধ্যে একমাত্র চরকসংহিতা ও গীত বলিয়া প্রসিদ্ধ। বাগভট, শঙ্গরি, ভাবমিশ্ৰ, -- প্রভূতির কৃত গ্রন্থগুলি সংগ্রহ (c mpilation) মাত্র, ! ཀ༦༣| নিয়ন্ট, নিদান প্রভৃতি আয়ুবেদের এক এক অংশের

  • (monograph)

গ্নিবেশ ঋষির প্রণীত অগ্নিবেশতন্ত্র চরক কর্তৃক প্রতিসংস্কৃত হইয় নামে প্রসিদ্ধ হইয়াছে। চরকসংহিতাকে সাক্ষাং তন্ত্র বলা চলে না, কেননা চক্ৰপাণি, বিজয়রক্ষিত, শ্ৰীকণ্ঠ, প্রভৃতি বৈদ্যগ্রন্থকারগণ অধিবেশতস্থের যেসকল পাঠ উদ্ধার সকলগুলি বর্তমান চরকসংহিতায় পাওয়া যায় না। - - [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড . - --- `സു グ・ヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘへべ、 তানেতাৰ কপিলবর শোনুক্ৰলোকেরো। -- তন্ত্রস্তান্ত মহাৰ্হস্য পুরণার্থ যথাযথ। । - অর্থাং "চিকিংসিত স্থানের সপ্তদশ অধ্যায়, - - এই সমস্ত অগ্নিবেশকৃত চরকসংস্কৃত তন্ত্রের মধ্যে পাওয়া যায় না। এই মহামূল্য "তন্ত্রের যথাযথ পূরণের জন্ত" কপিলমতাবল to এই বাকি সপ্তদশ অধ্যায় এবং কল্প ও সিদ্ধিস্থান প্রস্তুত কৰিয়াছিলে এই শ্লোক হইতে প্রমাণিত হয় যে দৃঢ়বল প্রচলিত চরকল্প বহু অংশের রচয়িত। দৃঢ়বলের রচিত অংশের প্রত্যেক অধ্যায়ের শেষে - অবষ্ঠ লিখা আছে "অগ্নিবেশকৃতে তন্ত্রে চরকপ্রতিসংস্কৃতে"। " ব্যাকরণ:মহাভাষা ও যোগগুত্রের প্রণেতা প্রসিদ্ধ পতঞ্জলিমুনিয়ই । অপর নাম চরক। এই মত স্বপ্রাচীন। এই মত সত্য হইলে বলিতে - হইবে যে, খৃঃ পূঃ ২য় শতাব্দীতে অগ্নিবেশতষ্কের জীৰ্ণোদ্ধার কf বৰ্ত্তমান চরকের অধিকাংশ সংকলিত হইয়াছিল। তারপর, “প नन? জাত দৃঢ়বল (৩য় শতাব্দী?) চরকের শেষ অংশ রচনা করেন। " . আধ সৌঞততঃই কেহ প্রতিসংস্কৃত করিয়া শুশ্ৰুত নামে চালী ছেন। প্রাচীন সোশ্রততন্ত্র এবং বর্তমান স্থখতসংহিত কদাচ হইতে পারে না। ঐ মূল সেীকততন্ত্র কখন কখন বৃদ্ধহস্ৰত বলি ] - উল্লিখিত হয়। টীকাকারের বৃদ্ধস্থশত হইতে যে সমস্ত পাঠ উদ্ধৃত । করিয়াছেন, বর্তমান হফম সংহিতায় সেগুলি পাওয়া যায় না। বিশেষত । বুগু ভট বর্তমান হতদহিতায় অনা বাক্যের বাহুল্য লক্ষ্য । -] निशिग्नांcश्न- - - ঋষিপ্রণীতে প্রতিশ্চেং মুক্ত চরকহতো। । ভেলায়া কি ন পর্যন্তে তস্মাগ্রাম স্বভাবত । শুশ্ৰুতে অনেক প্রত্যক্ষবিরুদ্ধ ভুল কণা আছে। ঐসকল স্থল । অজ্ঞাতনাম অজ্ঞ শোধকের সংশোধনের ফল বলিয়া মনে হয়।অরুণদও ইহার ব্যাখ্যায় লিখিয়াছেন “অতশ্চরকহএতবদনার্যমপীদং (অষ্টাঙ্গহৃদয়স্‌) গুণবত্ত্বান মতিমস্তি গ্রহিমেব।" প্রচলিত কুশতের o --- BBBBB B DDD DD DDD DD DS BBBBBB BBB S বলিয়াছেন যে, নাগাজুন সুশ্রতের প্রতিসংস্কৰ্ত্ত। প্রাচীন ইতিহাসে অনেক নাগাঙ্গুনের উল্লেখ আছে। একজন রসতন্ত্রাচার্য, একজন বৌদ্ধ নরপতি, একজন মাধ্যমিক-মতপ্রবত্ত্বক। যাহা হউক, স্বত্রুত প্রক্তি ংস্কৰ্ত্ত নাগাৰ্জ্জুন প্রায় দুই হাজার বৎসর পূৰ্ব্বে প্রাদুর্ভূত হুইয়াছিলেন এইরূপ মনে করার কারণ আছে। চরক ও সুশ্রুতের প্রতিসংস্কারদ্বার। ইহাই প্রতিপন্ন হইতেছে যে দুই হাজার বংসর পূৰ্ব্বে আয়ুবেদের নিতান্ত দুর্দশ উপস্থিত হইয়া তখনই মূল চরক সুশ্ৰুত পাওয়া যাইত না । উহাদের জীৰ্ণোদ্ধার করিয়া প্রচলিত সংহিতার সংকলন করেন অতস্তন্ত্রোত্তমমিদং চপ্পকেনাতিবুদ্ধিন = সংস্কৃতম্.......... i চরকসংহিতা । অধ্যা * অবিনাশচন্দ্র কবিরত্বের অনুবাদে আছে "মহৰ্ষি কপিলব দৃঢ়বল।" দৃঢ়বল কবি ছিলেন বলিয়া প্রমাণ নাই। কপিলব কপিলমতাবলম্বিনাং শ্রেষ্ঠ। কপিল একজন আয়ুবেদগ্রন্থকার ঋতুচৰ্য্যা ব্যাখ্যায় স্বপ্রতীকীয় চক্রপাণি একটি কপিলবচ করিয়াছেন। - 1 ७३ cझांक घाब्र कब्रक ७ श्टरउद्र श्रनार्दश् नि.ि প্রমাণিত হয় না। বরং এই শ্লোকের দ্বারা মনে - চরক স্বত্রতও ঋষি ছিলেন। - - তাই পতঞ্জলি ও নাগাজুন - o, বন্ধকের নাম ভল্লনে আছে । - o ৩য় সংখ্য। ] প্রতিসংস্কারের পর কেবল সংগ্রহ ও টাকার যুগ । তদবধি পর্যবেক্ষণ করিয়া আয়ুৰ্ব্বেদের তত্ত্বনিৰ্দ্ধারণ ক্রমেই কমিয়া গিয়াছে। কৃতী ভিক্ষক গণনাথ পুনরায় আয়ুৰ্ব্বেদশাস্ত্রে প্রত্যক্ষ ও পর্য্যবেক্ষণ আনিয়া উহার পুনর্জীবনের ব্যবস্থা করিতেছেন, তাহার "প্রত্যক্ষশারীরস্থা উহাকে চিরজীবী রাখিবে। প্রাচীনকালে মহর্ষি পতঞ্জলি বা নাগাজুন যাহা করিয়াছিলেন, অধুনা তিনি তদনুরূপ কাৰ্য্যই করিতেছেন। আমাদের কবিরাজদের চক্ষু উল্মীলিত হউক। তাহারা যেন আর অৰ্ব্বাচীন টীকা ও সংগ্রহের মধ্যে নিবদ্ধ ন পাকেন। তাহার। মূল গ্রন্থ পাঠ করুন, এবং মূল গ্রন্থেরও যাই মূল সেই শরীর ও ঔষধাদির হাতে হাতে পরীক্ষা করুন। এই প্রত্যক্ষ পরীক্ষার অভাবে আয়ুৰ্ব্বেদের বৈজ্ঞানিকত্ব অনেক ঘুচিয়া গিয়া উহ। এখন অনেকট প্রত্যক্ষানুমানাতীত "বেদে" পরিণত হইয়াছে। আয়ুৰ্ব্বেদের ইতিহাসকে চারিভাগে বিভক্ত করা যায়। (১) দৈবযুগ –এ যুগের গ্রন্থ ব্রহ্মসংহিতা, প্রজাপতিসংহিত, অবিসংহিতা ও বলভিং সংহিত। এই যুগের কালনির্ণয় অসম্ভব। কেহ কেহ আয়ুৰ্ব্বেদলে প্ৰবেদের, কেহ বা উহাকে অপৰ্ব্ববেদের অঙ্গ বলিয়া নির্দেশ করেন। (২) আৰ যুগ। এইটি আয়ুৰ্ব্বেদের শ্রেষ্ঠযুগ। এই যুগে আয়ুৰ্ব্বেদের প্রত্যেক অঙ্গের বহুতর গ্রন্থ রচিত হইয়াছিল। অধুন কেবল তাহদের নাম ও প্রত্যেকের কয়েকটি পংক্তি টীকাকারদের টীকায় পাওয়া যায়। সম্ভবত ইহাদের জীর্ণশেষ কিছু কিছু হাজার বছর পূৰ্ব্বেও বিদ্যমান ছিল । নিম্নে একটি তালিকা সঙ্কলিত হইল। (ক) কায়চিকিৎসাতন্ত্র (Medicine) —(১) অগ্নিবেশ (২) ভেল (৩) জতুকর্ণ( s ) পরাশর ( ) ক্ষীরপাণি (৬) হারাত ( ) খরনাদ (৮) বিশ্বামিত্র (৯ ) অদ্রি-সংহিতা। (4) to (a kind of Surgery):–(5. ) 3-soo ( ; ) ঔরত্র (১২) সৌক্ৰত (১৩) পৌস্কলাবত ( ১৪ ) বৈতরণ ( ১৭ ) ভোজ (১৬) করবীৰ্য্য ( ১৭ ) গোপুররক্ষিত (১৮) ভাবুকি তন্ত্র। কায়চিকিৎসা বা শলাতন্ত্র ;–(১৯ ) কপিলতন্ত্র (২• ) গেীতমতন্ত্র। \ of ) “tailoso (ocular and some other kinds of surgery, especially with pointed instruments):-( &S ) दिानश् (२२) निनि ( २७) कांकाप्लन (२१) १iर्भ (२५) भाज५ (२७ ) সাতকি (২) শৌনক (২৮) করাল (২৯) চক্ষুষা (৩) কৃষাত্রেয়-তম্ভ। (খ) ভূতবিদ্যাতন্ত্র –ভূতবিদ্যার কোনও গ্রন্থকারের নাম পর্যন্ত টাকাদিতে পাওয়া যায় ন। সুশ্ৰুত ও বাগভট ভূতবিদ্যাকে পৃথক্ বিদ্যা বলিয় নির্দেশ করিয়াছেন। কিন্তু চরক উন্মাদাধিকারেই উহার অন্তর্ভাব করিয়াছেন। ভূতবিদ অর্থাৎ ভূতে পাওয়া প্রভৃতির নিদান ও চিকিৎসাদি। (৬) কৌমারভূত তন্ত্রকার (৩১) জীবক (৩২ ) পাৰ্ব্বতক ও (৩৩) জীবক বৌদ্ধেতিহাসে প্রসিদ্ধ। তিনি বিশ্বিসার রাজার এবং স্বয়ং বুদ্ধদেবের চিকিৎসা করিয়াছিলেন। পালিতে “জীবক কোমারভচ্চ বলিয়৷ ইহার উল্লেখ ও পরিচয় আছে। ইহা ছাড়া (৩৪ ) হিরণ্যাক্ষ্যস্তম্ব নামে তন্ত্রও ছিল বলিয়া অনুমান श्ग्र । (চ) অগদতন্ত্র অর্থাৎ নিখিল স্থাবর-জঙ্গম-বিয-চিকিৎসা :-(৩৫ ) কাশ্যপতন্ত্র এবং (৩৬) অলম্বায়ন ( ৩৭ ) উশনঃ (৩৮ ) সনক (৩৯ ) লাটায়ন-সংহিতা । (ছ) রসায়নতন্ত্র :–( ৪• ) পাতঞ্জল ( ৪১ ) বাড়ি ( ৪২ ) বসিষ্ট ( ৪৩) মাত্তব্য ও (৪৪ ) নাগাজুন-অস্ত্র। (জ) বাজীকরণ-তন্ত্ৰ –পুরাণ-টীকাকারেরাও এই বিভাগে কোনও গ্রন্থের নাম করেন নাই ।

আয়ুবেদের ইতিহাস MSMMSMSMSMSMSMSMSMS MMMMMMS AMMMMMM MSMSMS ৩৭৩ এই চুয়াল্লিশখানি গ্রন্থের নাম ও শ্লোক প্রাচীন টাকা ও সংগ্রহে পাওয়া যায় । ইহা ছাড়া আর কত শত গ্রন্থের যে নামও বিলুপ্ত হইয়াছে, তাহ কে বলিবে ? - গজায়ুবেদ এবং অশ্বায়ুৰ্বেদও এই আর্য যুগে সম্যক পুষ্ট লাভ করিয়াছিল। এই যুগের শালিহোত্র এবং পালকাপ্য সংহিতা উল্লেখযোগ্য। এই যুগে ভারত পৃথিবীর বিদ্যাপীঠ ছিল। প্রাচ্য প্রতীচ বহু দেশদেশান্তর হইতে বিদ্যার্থীরা ভারতে আসিয়া বিদ্যা ও ধর্শ্বের অভ্যাস করিতেন। এই আর্য যুগের পরে বৌদ্ধ যুগেও, ভারতীয়েরা পৃথিবীর বিদ্য ও ধৰ্ম্মের গুরু ছিলেন। পশ্চিমে মিশর ও আরব, গ্রীস এবং রোম প্রভূতি, পূৰ্ব্বে ও উত্তরে তিব্বত, চীন ও জাপান, দক্ষিণে যবদ্বীপ প্রভৃতি যে ভারতীয় জ্যোতিতে উদ্ভাসিত হইয়াছিল, তাহার অকাট্য প্রমাণ পাওয়া গিয়াছে। এই মহামহিমান্বিত যুগের কেন এইরূপ শোচনীয় পরিণাম হইল ? গ্রন্থকারের মতে, অলিকসন্দরের ভারত আক্রমণ, নন্দবংশধ্বংস-বিপ্লব, অশোকের কৃত প্ৰজাক্ষর, ও শকদিগের আক্রমণ, এই সকলে প্রজাদের শাস্তি দূর হইল। ফলে লোকে বিজ্ঞানচর্চার অবসর পাইল না। শুঙ্গবংশীয় পুষ্য (প ) মিত্র কর্তৃক ভারতে কথঞ্চিং শান্তি স্থাপিত হইলে, বিশীর্ণপ্রায় অগ্নিবেশসংহিতার পুনঃসংস্করণ হইয়াছিল। অনেকে বলেন, যে, স্বশ্ৰতের প্রতিসংস্করণের এই সময়। তার পর, শকদিগের আক্রমণে স্বাবার সমস্ত রাজ্যের শোচনীয় দশা উপস্থিত হইল , পণ্ডিতেরা বিজ্ঞানচর্চার অবসর হারাইলেন। পরে কুশাণবংশীয় কনিষ্ক বহুযুদ্ধে হিমালয় হইতে বিন্ধ পৰ্য্যন্ত ভূভাগের একছত্র রাজা হইলেন । শাস্তি ফিরিয়া আসিল । এই সময়ে কাগরের দৃঢ়বল চরকসংহিতার শেষাংশ রচনা করেন। ইহার পর, হ্রণ ও কথোজীয়গণ শতবর্ষব্যাপী বিপ্লবের স্বষ্টি করেন। এই বিপ্লবের সমষ্ঠিত শকারি বিক্রমদিতোর সময়ে আবার দেশে শাস্তি ফিরিয়া আসিল। বিজ্ঞান ও শাস্ত্রের আলোচনা দ্বিগুণ উৎসাহে চলিতে লাগিল। এই সময় হইতে আরম্ভ করিয়া কয়েক শতাব্দী ভারত শাস্তিতে ছিল। এই দীর্ঘ শাস্তির সময়ে কালিদাস, অমরসিংহ, বররুচি, বরাহমিহির, দণ্ডী, বাণ, ভবভূতি, আর্যভট, ব্রহ্মগুপ্ত প্রভৃতি প্রাচুর্ভূত হন। ভগবান শঙ্কারাচাৰ্য্যও এই সময়ের মধ্যেই পড়েন। আয়ুৰ্বেদেও অষ্টাঙ্গসংহিতার রচয়িত বাগভট, ও বৃন্দমাধব প্রভৃতি সংগ্রাহকের এবং জেজট, গয়দাস, ভাস্কর, ব্রহ্মদেব প্রভৃতি ব্যাখ্যাকারগণ এই সময়েরই লোক। বঙ্গদেশীয় চক্রপাণিদত্ত ও মাধবকর, এবং স্বপ্রসিদ্ধ গ্রন্থকার ভোজরাজ খৃষ্টীয় একাদশ শতাব্দীতে বিদ্যমান ছিলেন। এই যুগের পরে, গজনীর সর্বধ্বংসকারী মামুদের আক্রমণ , মহম্মদ ঘোরীর আক্রমণ । চেঙ্গিসখ, তৈমুর প্রভৃতির অত্যাচার , মোগল পাঠানের যুদ্ধবিপ্লব, ইত্যাদি ভারতীয় বিদ্যাকে বহুদিন নিগৃহীত করিয়াছিল। দক্ষিণাত্যে ৰুদ্ধ-রাজাদের প্রতাপে ভারতীয় বিদ্যার পুনঃপ্রতিষ্ঠা হইয়াছিল। সুপ্রসিদ্ধ সায়ণমাধব এইসময়ে বেদের টীকা করেন। এই সময়েই শাঙ্গধর দক্ষিণাত্যে স্বীয় সংহিত রচনা করেন ( ১৪২৯ সং)। স্বগৃহীতনাম আকবর শাহের সময়ে দেশে পুনরায় শাস্তি প্রতিষ্ঠিত হইলে, বিদ্যার আবার উন্নতি হইল। এই সময়েই কান্তকুজে ভাবমিশ্নের প্রাদুর্ভাব হয়। আকবরের পরেও কিছু দিন বিদ্যাচর্চা ছিল। বৈয়াকরণ ভট্রোজিদীক্ষিত এবং কবি, আলঙ্কারিক ও বৈয়াকরণ জগন্নাথ পণ্ডিত প্রভৃতি সাজাহানের সময়ের লোক। অরঙ্গজীবের সময়ে আবার বিদ্যালোচনার বিয় ঘটিল। এ বিয় দূর হইতে না-হইতে, নাদির শাহ, মহম্মদ শাহ প্রভৃতির সাহারলীলার অভিনয় আরম্ভ হইল। ভারতীয় বিদ্য৷ আর মাথা তুলিতে পারিল না। -