পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/২১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ψζ ο করিয়া গিয়াছেন। তাহদের রাজধানীগুলির মহাশ্মশান অধুনা প্রায় ২৫ বর্গমাইল স্থান জুড়িয়া আছে। আমি বৰ্ত্তমান প্রবন্ধে এই ২৫ বর্গমাইল স্থানের কোন অংশে কোন বংশের রাজধানী ছিল যথাসম্ভব এবং যথাপ্রাপ্ত প্রমাণ ও যুক্তি দিয়া তাহারই নিৰ্দ্ধারণ করিতে চেষ্ট৷ করিব। প্রথমত: প্রাচীন তাম্রশাসনাবলিতে উল্লিখিত ঐবিক্রমপুরনগরীই যে বর্তমান রামপাল তাহার প্রমাণ আবখ্যক । ইহার প্রমাণ করিতে আমি বক্র প্রমাণের সহায়তা গ্রহণ করিব। যদি রামপালের চতুর্দিকে ২৫ বর্গমাইল-ব্যাপী ভগ্নাবশেষরাশি ঐবিক্রমপুর নগরের ধ্বংসবশেষ না হয় তবে বিক্রমপুর পরগণা হইতে এমন স্থান খুজিয়া বাহির করা আবশ্বক যাহা শ্ৰবিক্রমপুর নগরীর ধ্বংসাবশেষ হওয়া সম্ভব । বিক্রমপুর পরগণায় দ্বিতীয় এমন স্থান আর নাই । পুরুষ-পরম্পরাও এই স্থানকেই প্রাচীন রাজাদের রাজধানী বলিয়া নির্দেশ কুরিয়া আসিতেছে। তাই ঐবিক্রমপুর নগরী যে বৰ্ত্তমান রামপালের আশেপাশেই বৰ্ত্তমান ছিল সেই বিষয়ে সন্দেহ নাই। তবে বৰ্ম্ম-চন্দ্র-সেনবংশের রাজধানী একই স্থানে ছিল বলিয়া মনে হয় না ; এই বিপুল ধ্বংসাবশেষের বিভিন্ন অংশে বিভিন্ন বংশের রাজধানী ছিল বলিয়া খামার বিশ্বাস । প্রথমে বৰ্ম্মবংশের রাজধানী কোথায় ছিল তাহারই নিৰ্দ্ধরণের চেষ্টা করা যাউক । এই নিৰ্দ্ধারণ ঠিকমত অনুসরণ করিতে হইলে রামপাল ও তৎসন্নিহিত ভূভাগের ঘনিষ্ঠ পরিচয় আবখক। বৰ্ম্মবংশের বিষয়ে আমরা প্রধান এই একটি বিষয় অবগত আছি যে তাহারা বৈষ্ণব ছিলেন। হরিবর্মদেব স্বীয় রাজধানী হইতে মাতার পদব্রজে কাশী যাইবার জন্য এক রাস্ত প্রস্তুত করিয়াছিলেন। আমি তৃতীয় সংখ্যা বিক্রমপুর পত্রিকায় মিরকাদিমের খাল নামক প্রবন্ধে প্রমাণ করিতে চেষ্টা করিয়াছি যে পাইকপাড় আবদুল্লাপুরের সীমায় অবস্থিত বৃহৎ ইষ্টক-নিৰ্ম্মিত পোলটির উপর দিয়া যে দীর্ঘ রাস্তা সোজা পশ্চিমদিকে চলিয়া গিয়াছে তাহাই হরিবর্মের নিৰ্ম্মিত রাস্তা। এখন দেথা আবশ্বক যে রামপাল ও তাহার উপকণ্ঠের প্রবাসী—আষাঢ়, ১৩২২ [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড SSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSS কোনস্থান হইতে বেশী বৈষ্ণব-কীৰ্ত্তি-চিহ্ন বাহির হইয়াছে,— হরিবশ্বের রাস্তা কোনস্থান হইতে বহির্গত হইয়াছে, এবং বৰ্ম্মবংশের স্মৃতি-বিজড়িত আর অন্য কোন কীৰ্ত্তি রামপালের কোন অংশে আছে কি না । রামপালের দক্ষিণে মুখবাসপুর গ্রামের আশেপাশে বহু বৈষ্ণব-কীৰ্ত্তি-চিহ্ন আবিষ্কৃত হইয়াছে। স্বথবাসপুর গ্রামে বহু প্রাচীনকাল হইতে জনশ্রুতি চলিয়া আসিতেছে যে এখানে রাজার বাট অবস্থিত ছিল। মুখবাসপুর মনসা বাড়ীতে মুখবাসপুরের প্রকাও দীঘি হইতে উখিত এক বিপুলায়তন বিষ্ণুমূর্তি রক্ষিত আছে। আর একথান প্রায় ছয় ফুট উচ্চ অতি সুন্দর কারুকার্য্যঘটিত বামন অবতারের মূৰ্ত্তি এই গ্রাম হইতে আবদুল্লাপুরের বৈষ্ণবদের আখড়ায় লইয়া গিয়া রাখা হইয়াছে। তাহার নীচে প্রাচীন বঙ্গাক্ষরে “নমো ব৷- “ পর্য্যস্ত লিখিত আছে । লিপিটি বোধ হয় নমে। বামনায় বলিয়া আরব্ধ করা হইয়াছিলকিন্তু কোন অজ্ঞাত কারণে তাহ সম্পূর্ণ হইতে পারে নাই। মুখবাসপুর হইতে সংগৃহীত এই দুইটি প্রকাও মূৰ্ত্তি দেখিয়াই মনে হয় যে এরূপ বিপুলায়তন মূৰ্ত্তি কোন প্রতাপশালী রাজা ভিন্ন অন্য কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হওয়া অসম্ভব। সকলের চেয়ে বড় প্রমাণ, স্থখবাসপুর গ্রামের পশ্চিমপ্রান্তস্থিত হরিশ্চন্দ্রের দীঘি। আমার মনে হয় এই হরিশ্চন্দ্র হরিবদ্ধ ব্যতীত আর কেহই নহেন।. নামসাদৃশ্ব ভিন্ন অবশ্য অন্য কোন বিশেষ প্রমাণ নাই। কিন্তু পূৰ্ব্বোত্ত হরিবর্মের রাস্তা ও যে হরিশ্চন্দ্রের দীঘির উত্তর পাড় ঘেসিয়া চলিয়া গিয়াছে তাহাতে মনে হয় যে মুখবাসপুরেই বৰ্ম্মবংশের রাজধানী ছিল । স্থপবাসপুরের উত্তর প্রান্তে দেবসার গ্রামে এক প্রকাও দীঘি এবং তাহার পাড়ে এক উচ্চ দেউল আছে। দেবসার গ্রাম রামপালের বিখ্যাত দীঘির পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত। আমার মনে হয় এই দেবদার দেউলে বৰ্ম্মরাজাদের অনেক কীৰ্ত্তি লুকাইয়া আছে। মুখবাসপুরের পূৰ্ব্বে একটি প্রকাও মাঠ আছে—তাহার নামটি বিশেষ প্রণিধানযোগ্য । তাহার নাম সরস্বতীর মাঠ। বিষ্ণুপত্নী সরস্বতীদেবীর সম্মানে কোন অতীত কালে বৰ্ম্মরাজাদের সময় হয়ত এথানে সারস্বত-সম্মিলনের ৩য় সংখ্যা ] ঐবিক্রমপুর ও তাহার উপকণ্ঠ vరిన) ംുഹSumitaBot (আলাপ) ০৮:২৩, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)്SumitaBot (আলাপ) ০৮:২৩, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি) সেই প্রাচীন গৌরবযুক্ত নামটি এখনও রহিয়া গিয়াছে। সরস্বতীর মাঠের পূর্বপ্রান্তে কেওয়ার গ্রাম। কেওয়ার গ্রাম বৰ্ম্মদের সময়ে বিশেষ সমৃদ্ধিসম্পন্ন ছিল কলিয়া প্রমাণ পাওয়া যাইতেছে। কেওয়া দেউল হইতে একখানা বিষ্ণুমূৰ্ত্তি বাহির হইয়াছে-গহার পাদপীঠে গরি লাইন লিপি আছে। তাহার যতদূর পাঠ উদ্ধার করিতে পারিয়াছি তাহ নিয়ে দিলাম। লিপি । (১) অয়মাস্ক (?) ঘ ৫) মেয়ে (?) ন সযোগ। ইযু বারেযু: | (২) বঙ্গোকেন কহে (তো ? রিয়ু বিষ্ণু সালোক্যকাম্যস্থা ৷ (৩) বরেন্দ্রী হ (ত ? ) টকীয়েন শাণ্ডিল্য কুল স্থ (?) স্থা (?) ন৷ পিতা (?) ম । (, ) হন্ত পৌত্রেণ প্রণঞ্চ শেরি শর্মণ । লিপিটির ভাষা অশুদ্ধ সংস্কৃত বলিয়া বোধ হয়। নীচের দুই লাইনের শেষ অংশ অত্যন্ত ক্ষয় পাইয়। দিবাছে বলিয়া নি:সংশয় পাঠ দিতে পারিলাম না। প্রথম छूझे जाश्न বেশ পরিষ্কারভাবে খোদিত থাকিলেও তাহারও उिन চারিটি অক্ষরের পাঠ-অশুদ্ধি অথবা বৈচিত্রা-হেতু সংশয় যুক্ত। “অন্ধ ঘমেয়" শব্দটি ঠিকরুপ পড়িতে পারিয়াছি कि न नtनश्,-*ाद्रिप्र थकिप्नe ईश* অর্থ পরিষ্কার নছে। অন্ধ - ৯ আর দিকের সহিত সংশ্লিষ্ট অর্থযুক্ত বলিয়া মেয়-১, যদি ধরা যায় তবে ৯১ শকা পাওয়া भाग्न। ड:द लिलिछिद्र अर्थ ५३ नोज़ोंथ cप গৌরীশৰ্ম্মার পুতি, পিতামহশৰ্ম্মার নাতি, কুলশৰ্ম্মার ছেলে শাণ্ডিলী গোত্রজ বরেন্দ্রীহট্রনিবাসী বঙ্গোক শৰ্ম্ম ৯১. শকে কহোরি অর্থাৎ বর্ধমান কেওয়ার গ্রামে সালোক্য কামনা বিষ্ণুপ্রতিষ্ঠা করিয়াছিল। শকাব্দের ৯১°, খ্ৰীষ্টাব্দের ৯৮৮র সমান। সময়টি ঠিক বৰ্ম্মবংশের অভু্যখানের সময়। বিক্রমপুরের অন্যতম রাজবংশ চন্দ্রবংশের অভু্যখানের সময় এখনও সঠিকৰূপে নিরূপিত হয় নাই। তাহারা বৰ্ধদের পূর্ববর্তী না পরবর্তী তাহ নূতন তথ্যাবলীর আবিষ্কার ভিদ নির্ণীত হওয়া দুরূহ। চন্দ্রবংশের রাজধানী বৰ্ত্তমান বজযোগিনী গ্রামের পুকুরপাড় অংশে ছিল বলিয়৷ ഹ~്റ്.-- মনে হয়। সেখানে পরস্পর-সংলগ্ন তিনটি প্রকাও দীঘির পাড়ে অনেক ভগ্নাবশেষের চিহ্ন দেখিতে পাওয়া যায়। এখানেও রাজার আবাসবাদী ছিল বলিয়৷ জনশ্রুতি আছে। চন্দ্ররাজগণ বৌদ্ধ ছিলেন। বজ্রযোগিনী বিখ্যাত বৌদ্ধনায়— তাহার আশেপাশের গ্রামগুলির নামও বৌদ্ধগন্ধি-যথা –দীগদ অর্থাং ধৰ্ম্মদেহ, ধানারণ অর্থাৎ ধৰ্ম্মারণ্য, মহাকালী ইত্যাদি। ধামদ গ্রামের প্রান্তস্থিত দীঘিতে মাটি তুলিতে একখানা স্বর্ণপত্রের পুথি পাওয়া যায়। পুথির এক-একথান পাত ৩• ভরি ওজনের ছিল এবং এরূপ ২৪ খান পাতাতে পুথিখান সমাপ্ত ছিল। যতদূর খবর জানি, পুথির ২৩ খান পাত গালাইয়া ফেলা হইয়াছে, একখানা পাতা এখনও আছে। কিন্তু তাছা এরূপ গোপনে রক্ষিত হইতেছে যে তাহ বাহির করা ছদ্ধর! এই মূল্যবান পুথিখানিতে কি লিখা ছিল ভগবানই জানেন । পুকুরপারের দীঘি হইতে একখানি সুন্দর সরস্বতীমূৰ্ত্তি উঠিয়াছে, তাহ निकल्लेदउँौं ७क वाक्लोएड পূজা পাইতেছে। প্রসিদ্ধ দীপঙ্কর ঐজ্ঞানের বাড়ী “বিক্রমনিপুর বাঙ্গালা ছিল বলিয় তাহার তিব্বতীয় ভাষার জীবনচরিতে লিপিবদ্ধ আছে । ঐতিহাসিকগণের এই মত যে ইহ বঙ্গদেশাস্তগত বিক্রমপুর ভিন্ন আর কিছুই নহে। বিক্রমপুরে প্রবাদ বজযোগিনী গ্রামই দীপঙ্করের জন্মস্থান। বজযোগিনীকে কেই কেহ বরদাযোগিনীও বলিয়া থাকেন। दङ्रयात्रिंनीरद স্থানীয় লোকে বদরযোগিনী নামে অভিহিত করে। এই বদরযোগিনী অথবা বজ্রযোগিনী একটি প্রকাণ্ড গ্রাম, ইহার নানা অংশ নানা "পাড়া" নামে অভিহিত, যথা— নাহীপাড়ী, ভট্টাজপাড়া, আটপাড়, পুরোহিতপাড়া ইত্যাদি। যতদূর প্রমাণ পাইয়াছি, আমার বোধ হয় সোমপাড়াতেই দীপঙ্করের আবাসভূমি ছিল। সোমপাড়াতে একটি প্রকাও পূৰ্ব্বপশ্চিমে দীর্ঘ মঘাপুকুর আছে। এই পুকুর হইতে দুইখান বরদাতারার মূৰ্ত্তি আবিষ্কৃত হইয়াছে। দীঘিটির মধ্য দিয়া একটা বাধ দিয়: বর্তমানে দুইটি পুকুরে পরিণত করা হইয়াছে। তাহার পশ্চিন্টু দিকেরটির জল এখনও ব্যবহৃত হয়। পূৰ্ব্বেৰ দিকেরটি aवन इण्डना रूाद्रादप्न भोक्ष्य । পশ্চিমের পুকুরটির