পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/২৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8○○ ایران را برای ------------ বিস্তার চান না, অব পন্ন লে। চান না। রাষ্ট্রক চারীর ভাবুেন র |l - o ੋ o মনে মনে এ ভট্টাও আছে যে শিক্ষার বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে তাহদের প্রভুত্বটা কমিবে এবং শিক্ষিতের তীহাদের চাকরীতেও উল্লুরোত্তর অধিক ভাগ বসাইবে। ཨཱ་ཐཱ་༢taa ། ক্ষরিত্র প্রমতী হেমন্তকুমাৰী চৌধুনী পঞ্জাব বিশ্ব লোকেরাও অনেকে, শিক্ষার বিস্তার হইলে চাকর পাইবেন । না, এই কাপুরুষোচিত চমৎকার চিন্তায় আকুল। তাহদেরও চাকরী ওকালতী প্রভৃতিতে ভাগ বসিবে, এ চিন্তা যে নাই, তাহাও নয়। কিন্তু এসব স্বার্থপরতার কথা । সমগ্র দেশের পক্ষে কি ভাল তাহাই বিবেচা-বিস্তর অশিক্ষিত বেকার লোক ভাল, না অনেক শিক্ষিত বেকার লোক ভাল? অবশু, যদি সকলেই শিক্ষিত ও কৰ্ম্মান্বিত রোজগারী হয়, তাহা হইলে ত কথাই নাই। স্বাধীন সভা, খুব অগ্রসর দেশেরও অবস্থা কিন্তু এরূপ নহে । আমাদের দেশে বেকার লোকদের মধ্যে শিক্ষিতের সংখ্যা যত বাড়ে ততই ভাল । অশিক্ষিত লোক যদি খাইতে পরিতে না পায়, তাহা হইলে সে অদৃষ্টকে নিন্দ করিয়াই ক্ষান্ত হয়, কখন বা লুটপাট করে। কিন্তু প্রকৃত শিক্ষাপ্রাপ্ত লোকে দুরবস্থাকে বিধাতার বিধান মনে করেন না। দেশের জনী উৰ্ব্বর, খনিতে কত কয়ল, ধাতু, রত্ন, অথচ আমরা থাইতে কেন পাইব না, শিক্ষিতেরা এই চিন্তা করিতে করিতে উপায় ও প্রতিকার নিরূপণ করিতে পারেন শিক্ষিতের জানেন যে পৃথিবীর অন্যত্র মানুষ প্লেগ - ম্যালেরিয়া প্রভৃতি রোগ বিনষ্ট করিয়াছে, গ্রাসাচ্ছাদন, শিক্ষা ও আনন্দের ব্যবস্থা করিতে পরিয়াছে। র্তাহার। পৃথিবীর নানা স্থানে, “উদ্যোগিনং পুরুষসিংহমুপৈতি লক্ষ্মী, দৈবেন দেয়মিতি কাপুরুষ বদন্তি", এই বাক্যের দৃষ্টান্ত দেখিতে পান ; দেখিতে পান, যে, আমাদেরই দেশে বিদেশীর স্বথে স্বচ্ছন্দে বাস করে এবং লক্ষপতি ক্রোড়পতি হয়। এই-সব দেখাশুনা, এইরূপ চিন্তার ফল ফলিবেই ফলিবে। সুতরাং শিক্ষিতের অসন্তুষ্ট হয় বলিয়া শিক্ষা বন্ধ করা আমরা কখনই যুক্তিযুক্ত মনে করি না। বরং বৈধ অসন্তোষের প্রয়োজন আছে বলিয়, এবং শিক্ষায় এই অসন্তোষ জন্মায় বলিয়া আমরা প্রত্যেক পুরুষ নারী, প্রত্যেক বালকবালিকাকে শিক্ষিত দেখিতে চাই। শাসনকৰ্ত্তাদের মনের প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩২২ ভাবও এই শিক্ষার প্রতি ཅ༠༣། ། বঙ্গনারী হিন্দীর পরীক্ষক। o --- l o 2- o লার মহারাজার বালিকাবিদ্যালয়ের প্রধান , বিদ্যালয়ের হিন্দীর পরীক্ষক নিযুক্ত হইয়াছেন দেখিয় 本 আনন্দিত হইলাম। তিনি হিন্দীতে একজন সুলেথিক বলিয়া পরিচিত। আদর্শমাত, মাতা ও কন্যা, প্রভৃতি র্তাহার কয়েকখানি হিন্দী বহি আছে । তাহার এক বালিকা কুন্তাও ছেলেমেয়েদের পড়িবার একখানি হিন্দী | গল্পের বহি লিপিয়াছে। শ্ৰীমতী হেমন্তকুমারী হিন্দীতে বেশ বক্তৃত করিতে পারেন । হিন্দী শিক্ষার প্রয়োজন । ভারতবর্ষের এক প্রদেশের শিক্ষিত লোকের অন্ত ! প্রদেশের শিক্ষিত লোকদের সঙ্গে কথা বাৰ্ত্ত বা পত্রব্যবহার | করিতে হইলে ইংরেজী ব্যবহার করেন। অনেকস্থলে ইহা । ভিন্ন উপায় নাই। আমরা ইহার নিন্দাও করিতেছি না। কিন্তু আমরা যদি কোন দেশভাষায় এই কাজটি সারিতে | পারিতাম, তাহ হইলে দেশের পক্ষে আরও ভাল হইত। আনন্দও বেশী পাওয়া যাইত। বাস্তবিক, আমি যার বাড়ী অতিথি হইলাম, তাহার সঙ্গে তাহার মাতৃভাষায় কথা কহিতে পারিলে তাহার সহিত যতটা ঘনিষ্ঠত ও হাড়। হয়, ইংরেজী দ্বারা ততটা হয় বলিয়া মনে হয় না। শুধু এক হিন্দী শিখিলেই আমরা উত্তর-ভারতবর্ষের সর্বত্র মোটমুটি কাজ চালাইতে পারি। - রাজপুতান, মধ্যভারত, এমন কি কিযুৎপরিমাণে মহারাষ্ট্রেও, হিন্দী দ্বারা কাজ । চলে। শিক্ষিত বাঙ্গালীর পক্ষে হিন্দী শিক্ষা করা খুব । সহজ। দুই-তিন মাস পড়িলেই কাজচালান-গোছ শিক্ষা হয়। আমরা কেবল ইংরেজী-শিক্ষিতদিগকে শিক্ষিত বলি না । আজকাল কেবল বাঙ্গলা-জানা লোকও যদি সমুদয় উৎকৃষ্ট বাংলা বহি ও সাময়িক পত্র পড়েন, তাহা হইলে [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড f ৪র্থ সংখ্যা ] - বিবিধ প্রসঙ্গ—মহারাষ্ট্র ও বঙ্গে সাহিত্যের আদর হিন্দীশিক্ষায় অনেকদূর অগ্রসর হইতে পারেন। অবশু ভাল করিয়া শিখিতে হইলে বরাবর লাগিয়া থাকা দরকার। শুধু কথা কহিবার ও চিঠি লিখিবার জন্যই যে হিন্দীশেখা দরকার তা নয়। আধুনিক হিন্দীসাহিত্যে খুব ভাল - গ্রন্থ না থাকিলেও পাঠযোগ্য কতকগুলি বহি লিখিত হইয়াছে ও হইতেছে। কিন্তু প্রাচীন হিন্দীসাহিত্যে অনেক অমূল্য রত্ব আছে। ভারতবর্ষ ধৰ্ম্মসাহিত্যের জন্য বিখ্যাত। এই ধৰ্ম্মসাহিত্য সমস্তই সংস্কৃত ও পালিতে লেখা নয়। তামিল, তেলুগু, মরাঠী, গুজরাতী, হিন্দী, গুরুমুখী, বাংলা, প্রভৃতি ভাষার ধৰ্ম্মসাহিত্যও ভারতের আধ্যাত্মিক ঐশ্বৰ্য্য বাড়াইয়াছে। মীরাবাঈ, কবীর, দাদ, তুলসীদাস, রবিদাস, গরীবদাস, স্বরদাস, পভৃতির রচিত গীত, পদাবলী ও উপদেশমালা ধৰ্ম্মপিপাস্থ ব্যক্তিগণের অতি আদরের ধন। শুধু এইগুলি পড়িতে পারিলেই হিন্দী শিক্ষার শ্রম সার্ধক হয়। এগুলি কিন্তু চলিত হিন্দীতে লিখিত নয়। তাছা হইলেও, হিন্দী শিক্ষায় কতক দূর অগ্রসর হইলেই এগুলি বুঝা যায়। যদি দুই পরিবারের নারী ও পুরুষ উভয়ের মধ্যেই আলাপপরিচয় ও বন্ধুত্ব থাকে, তাহা হইলেই উহাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠত হইয়াছে বলিতে পারা যায়। ভারতবর্ষের ভিন্ন ভিন্ন প্রদেশের সম্বন্ধেও এই কথা খাটে। ভিন্ন ভিন্ন প্রদেশের ইংরেজীশিক্ষিত পুরুষেরা পরম্পরের সহিত হা-ডু-ডু করিলেই সকলে একজাতিত্বহুত্রে বদ্ধ হইবে না। টি-একটি ইংরেজীশিক্ষিত মহিলা পরস্পরের সঙ্গে ইংরেজী বলিলেও বিশেষ কিছু ফল ফলিবে না। দেশভাষার সাহায্যে তাহদের মধ্যে সখিত্ব স্থাপন হইলে তবে রাষ্ট্রীয় পরিবারগুলির মধ্যে ঘনিষ্ঠতা জন্মিবে। মেয়েদের মধ্যে ইংরেজী শিক্ষার বিস্তার এত কম, যে, ইংরেজীর সাহায্যে কথাবাৰ্ত্ত ও ভাববিনিময় দ্বারা একজাতিত্ব কতকটা জন্মিলেও তাহ সুদূরপরাহত। কিন্তু বাঙ্গালীর মেয়ের পক্ষে হিন্দী-শেখা, ও হিন্দী-ভাষিনী মহিলার পক্ষে বাংলশেখা অপেক্ষাকৃত সহজ। আমাদের মেয়েদের হিন্দী-জান খুব দরকার। হিন্দী জানিলে শিক্ষিত বঙ্গমহিলার কার্য্য তাহার শিক্ষা নিতান্ত অল্প হয় না। তম্ভিন্ন সংস্কৃত টােল-কবিতাও খুব বাড়ে। বাংলাদেশে অনেক শিক্ষয়িত্রীর অধ্যাপক এবং উচ্চশ্রেণীর ছাত্রদিগকেও আমরা শিক্ষিত মনে করি। সৰ্ব্বপ্রকারের শিক্ষিত লোকেই ২৩ মাল । i. প্রয়োজন ; হিন্দুস্থানে ততোধিক। আমরা মাঝে মাঝে হিন্দুস্থান ও পঞ্জাব হইতে শিক্ষয়িত্রীর জঙ্ক চিঠি পাছ । 80% ാസസഹ যাহারা ঐসব প্রদেশে কাজ করিতে যাইবেন, উাহাদের হিন্দী জানা দরকার। বাঙালী ফাসীর পরীক্ষক । ঐযুক্ত কিশোরীমোহন মৈত্র, এমএ, লাহোরের দয়াল সিং কলেজে আরবী ও ফারুপীর অধ্যাপক। তিনি পঞ্জাববিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্সীর পরীক্ষক নিযুক্ত হইয়াছেন। ইহা আনন্দের বিষয়। আগে বাংলাদেশেও বাঙালীহিন্দুদের মধ্যে অনেকে খুব ভাল করিয়া আরবী ও ফাসী শিখিতেন। আরবী শক্ত হইলেও ফার্সী শেখা কঠিন নয়। যাহার মুসলমানী আমলের ইতিহাসের আলোচনা করিতে চান, তাহাদের পক্ষে ফার্স জানা খুব আবশ্বক। আমাদের মধ্যে ঐতিহাসিক প্রবন্ধ রচনার ফ্যাশন বেশ প্রচলিত হইতেছে ; কিন্তু ফাসী শিখিবার শ্রম খুব অল্প লোকেই স্বীকার করিতেছেন। ੋਂ টিলকের ভগবদগীতা। -- .. ঐযুক্ত বালগঙ্গাধর টিলক যখন মান্দালে জেলে আৱদ্ধ ছিলেন, তখন (কালী কলম পাইবার অধিকার না থাকায়) পেন্সিল দিয়া গীতা সম্বন্ধে একখানি বৃহৎ গ্রন্থ রচনা করিতে প্রবৃত্ত হন। এই গ্রন্থ সম্প্রতি প্রকাশিত হইয়াছে। মডান রিভিউতে সমালোচনার জন্তু আমরা একখানি পাইয়াছি। ইহা মরাঠীভাষায় লিখিত ও স্বমুদ্ৰিত পৃষ্ঠার সংখ্যা প্রায় নয় শত। মূল্য তিন টাকা। প্রথম সংস্করণে ইহা ছয় হাজার ছাপা হইয়াছিল। কিন্তু পুস্তক প্রকাশিত হইবামাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই এই ছয় হাজার বহি বিক্ৰী হইয়া গিয়াছে। বিস্তর লোক কিনিতে চাহিয়াও না পাওয়ায় দ্বিতীয় সংস্করণ ছাপা হইতেছে। ইহার বাংল, ইংরেজী ও গুজরাতী অনুবাদ প্রস্তুত হইতেছে। : মহারাষ্ট্রে ও বঙ্গে সাহিত্যের আদর। বাঙ্গালীরা ব্যাপারখানা একবার ভাবিয়া দেখুন। ভারতবর্ষে বাঙ্গলাভাষীর সংখ্যা চারিকোটি তিরাশ লক্ষ, মরাঠীভাষীর সংখ্যা এককোটি আটানব্বই লুক্ষ, অর্থাং বাঙ্গালীর অৰ্দ্ধেকেরও কম। শুধু হিন্দু বাঙ্গালীর সংখ্যাও মরাঠাদের চেয়ে বেশী। বাংলাদেশে নিরক্ষর লোক হাজারকরা ৯২২.৪ জন, বোম্বাই প্রেসিডেন্সীতে ৯৩০৩ জন। সুতরাং, মরাঠা বেশী লোকের মাতৃভাষা, বা বোম্বাই ক্সেসি