পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/২৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪৬২ কুমারীকে পছন্দ করিতে পাইত , পৃথিবীর যে-কোন স্থানের নবীন যুবকেরাই ত ইহা করিয়া থাকেন। এইরূপ স্থলে প্রাথমিক মনোরঞ্জন ও প্রণয় নিবেদনের ব্যাপারটা ভাবী স্বামীকেই করিতে হয় । আজকাল ফিজিয়ান গবর্ণমেণ্ট নিয়ম করিয়াছেন যে ভাবী বধূর জন্য গৃহ না থাকিলে বিবাহ হইতে পরিবে না। গৃহের সংস্থান ঠিক করিয়া বর পুরাতন প্রথা-অনুসারে কন্যার গৃহে প্রণয়-নিবেদন করিতে যায়। সারা অঙ্গে এসিয়া মাইনরের শিশু দম্পতি । নারিকেল তেল মাখিয়া, মাথার চুলগুলি একটা বৃহৎ টুপির মত করিয়া বাধিয়, অপরূপ ভারিকি চালে বর কন্যার পিতৃগৃহে উপস্থিত হন । তারপরে তিমির দাত, কাপড়, মাদুর প্রভৃতি উপহার দিয়া তাহদের নিকট কন্যাভিক্ষা করেন । কন্যার পিতামাতা রাজি হইলে, তাহার সর্থীরা তাহাকে তাহার শ্বশুরালয়ে লইয়া যায় ; সেখানে আবার ঐ-সকল উপহার দিতে হয়। তারপর কন্যা খুব একপাল কায় জুড়িয়া দেয়, এই বিদ্যায় ফিজি-রমণীর আশ্চর্গ্যরকম পটু। প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩২২ SMMMMSMSMSMSSSSSSS S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড -- মানমুখী স্বন্দরীর তাহাকে বেষ্টন করিয়া সাস্তুনা দিবার চেষ্টা করে ও ছোটখাট কিছু উপহার দেয় ; বেশখানিকক্ষণ পরে কন্য। হঠাৎ শাস্ত হইয় যায়। ইহাকে বলে “আশ্রমোচন" । তাহার পর কন্যাকে তাহার ভাবী প্রভুর রন্ধন থাইতে দেওয়া হয়। কোন কোন স্থলে ইহার পরে বধূ তিন চারি দিন ধরিয় হলুদ মাখিয় তাহার নবগৃহে বসিয়া থাকে। মিশর দেশের নববধূ পূর্ণ বিবাহবেশে । এই বিষম পরীক্ষার সময় তাহার ?ীবন্ধুগণ ব্যতীত আর কেত নিকটে যাইতে পায় না। এই অপূৰ্ব্ব গায়ে হলুদের পরে কন্য। মনের সুথে একটা লোণজিলের পুষ্করিণীতে স্বান করিয়৷ লয়, সেইখানে সর্থীদের সঙ্গে হাসিগল্প করিতে করিতে তাহদের সাহায্যে কতকগুলি মাছ ধরে ; ইহার এই বিদ্যায় সিদ্ধহস্ত। বধু এই মাছ দিয়া তাহার ভাব স্বামী ও বন্ধুদের জন্য এক ভোজের আয়োজন করে। ভোজের সমস্ত প্রস্তুত হইলে বর পূৰ্ব্বোক্ত প্রকারে | ৪র্থ সংখ্যা ]


তেল মাগিয়া সাজসজ্জা করিয়া বন্ধুবান্ধব সহ উপস্থিত হয় ; কিন্তু ভোজ আরম্ভ হইবার পূৰ্ব্বে বরকন্য। উংসবসজ খুলিয়া দুখান ছোট কাপড় কোমরে জড়াইয়া আসে। তখন কন্যা স্বামীকে স্বহস্তপঙ্ক খাদ্য দিয়া তাহার গার্হস্থ্যজীবনের কর্তৃব্যের সূচনা করে। ইহার পর আবার উপবাসের পালা আসে । এই অনুষ্ঠান শেষ করিয়া নব দম্পতির মুক্তি হয়। আরবরমণী বিধবা হইবার পর বিবাহ করিতে ইচ্ছুক হইলে, বিবাহের পূর্বরাত্রে মৃত স্বামীর সমাধিস্থলে গিয়া তাহার নিকট হাটু গাড়িয়া প্রার্থনা করিতে বসে। সে অনুনয় করিয়া বলে, “তুমি আমার অপরাধ গ্রহণ করিয়ো না, ঈৰ্য্যাম্বিত হইয়ে না।" মনে মনে মৃত স্বামীর ক্রোধের ও ঈর্ষার ভয় থাকে বলিয়া সে গাধার পিঠে করিয়া দুই মোশক জল সঙ্গে আনে। প্রার্থনা ও মিনতি প্রভৃতি হইবার পর সে এই বিরক্তিকর ঘটনায় প্রথম স্বামীর মন ঠাণ্ড রাখিবার জন্য কবরের উপর জল ঢালিতে আরম্ভ করে। নিউগিনির উত্তরে একটি প্রকাণ্ড সুন্দর দ্বীপে অসভ্য নরভুক্‌ জাতি বাস করে। তাহাদের বিবাহ-প্রথার একটু বিশেষত্ব আছে। মিঃ উইলফ্রেড পাওএল এই অজ্ঞাত দ্বীপে প্রায় তিন বৎসর কাটাইয়াছেন । তিনি বলেন, যখন কোন দ্বীপবাসী যুবক অবিবাহিত জীবনে ক্লান্ত হইয়া জীবনসঙ্গিনী লাভ করিতে ইচ্ছা করে, তখন সে তাহার মনের কথা পিতা কিম্বা মাতার নিকটে বলে, সেই সঙ্গে তাহার বাঞ্ছিতার নামটিও বলিয়া দেয়। পিতামাতা না থাকিলে সেই প্রদেশের দলপতির কাছে বলে। বরকে ঝোপ জঙ্গলের মধ্যে পাঠাইয়া দিয়া তাহার আত্মীয় বন্ধুরা কন্যার আত্মীয়ের নিকট যায়। তাহাদের উপহারাদি দিয়া কন্যার দরের কথা তোলে। অনেক দরদপ্তরের পর মূল্য স্থির হয় ; প্রায়ই কন্যাপক্ষের জয় হয় । বিবাহের দিনে কন্য। আত্মীয়স্বজনের সহিত ভাবী স্বামীর গৃহে যাত্রা করে। সেখানে ভোজ ও নাচ হয়। নাচে কন্যাই প্রধান অংশ গ্রহণ করে। উংসবাস্তে অতিথি অভ্যাগতরা কন্যাকে রাপিয়া চলিয়া যায়। এতক্ষণ পর্য্যস্ত বেচার বর ঝোপের মধ্যে একাকী বসিয়াই থাকে। অতিথিগণ বিদায় হইবা 8'Lථ


S SMSMMSMSMSMMSMMSMSMS

যুডিয়ার নববধূর যৌতুকলব্ধ মুদ্র গাধিয়া মাথার টুপি । মাত্র তাহাকে আনিবার জন্য লোক পাঠান হয়। অনেক সময় শুভদিনে অশুভের আগমন হয়, কারণ বেচার বর এই ভীষণ নির্জনত সহ করিতে না পারিয়া অরণ্যের মধ্যে অনেক দূরে গিয়া পড়ে, কথন বা কোনও শত্রুদল তাহাকে হঠাং আক্রমণ করিয়া দুর্ভাগাকে মারিয়া আহার করিয়া চলিয়া যায়। স্ত্রী সৰ্ব্বদাই স্বামীর সম্পত্তিরূপে পরিগণিত হয়, এমন কি তাহার জীবন মরণ ও স্বামীর হাতে। বিবাহ-সংক্রান্ত নিয়মগুলির বেশ কড়াকড়ি আছে। প্রত্যেক জাতিতে (tribe দুইটি বিভিন্ন ভাগ আছে। কতকটা আমাদের দেশের গোত্রের মতন বোধ হয়। এই এক গোত্রের বর ও কন্যার বিবাহ নিষিদ্ধ। সচরাচর পুরুষেরা অন্য জাতির রমণী কিনিয়া কিম্ব চুরি করিয়া লইয়া আসে। একই জাতির মধ্যে বিবাহ চলিলে জাতি ক্রমশ: দুৰ্ব্বল হইয়া পড়ে, ইহা তাহার কোন প্রকারে জানিতে পারিয়াছে। বিবাহযোগ্য কুমারীর দুগুণ মূল্য, একগুণ কন্যার পিতামাতার প্রাপ্য, আর একগুণ কন্যার জাতির সমাজপতির অনুমতি গ্রহণের মূল্য , এই অনুমতি না হইলে বিবাহ