পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/২৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8br8 হয়ত নামই লিখিত থাকে না। কোন গ্রন্থে স্থচীপত্র পশ্চাতে। নির্ঘণ্ট ইত্যাদি প্রস্তুত করা কোন গ্রন্থকারই কর্তৃব্যের মধ্যে গণ্য করেন না। পাতা কাটা, বঁtধান, মলাট ইত্যাদি বিষয়েও সকলেই অমনোযোগী। তাহার পর ধারাবাহিকরূপে যে-সকল পত্রিক মাস মাস বাহির হয় তাহীদের সম্পাদকগণ নিতান্তই কাণ্ডজ্ঞানহীন। হয়ত চারিধান গ্রন্থের কিছু কিছু অংশ প্রথম সংখ্যায় বাহির হইল। দ্বিতীয় সংখ্যায় হয়ত মাত্র দুইখানা গ্রন্থের পরবর্তী কিয়দংশ বাহির হইল। তৃতীয় সংখ্যায় হয়ত আবার চারিগান গ্রন্থেরই কিছু কিছু অংশ বাহির হইল। এইরূপে হয়ত আট সংখ্যায় চারিখানা গ্রন্থ সমাপ্ত হইবে । কিন্তু বলুন ত—এই চারিধান গ্রন্থ স্বতন্ত্র করিয়া বাধাইতে এবং স্বতন্ত্রভাবে রক্ষা করিতে পাঠকের কি অস্থবিধা ? এত অসুবিধাভোগ করা আজকালকার দিনে একবারে অসাধ্য। কাজেই ভারতীয় প্রকাশকগণের কার্য্য ইয়োরোপে এবং আমেরিকায় আদৃত হয় না।” - * 刪> শ্ৰীবিনয়কুমার সরকার।

* -

olo n, ধৰ্ম্মপাল নৌকাডুবি হইতে রক্ষা পাইয়া বরেন্দ্রমণ্ডলের মহারাজ। গোপালদেব ও 蠶 ধৰ্ম্মপাল ,সপ্তগ্রাম হইতে গৌড় যাইবার রাজপথে যাইতে যাইতে পথে এক ভগ্নমন্দিরে রাত্রিযাপন করেন। প্রভাতে DDDDBBB BB DDBB BB BBD DDS DDD DBBBBBB দয়লুষ্ঠিত একগ্রামের ভীষণ দৃপ্ত ও অরাজকত দেখাইলেন । সন্ন্যাসীর নিকট সংবাদ আসিল যে গোকৰ্ণ দুর্গ আক্রমণ করিতে স্ত্রপুরের নারায়ণ ঘোষ সসৈন্তে আদিতেছেন ; অথচ দুর্গে সৈন্তবল নাই। সন্ন্যাসীর্তাহার এক অনুচরকে পাশ্ববৰ্ত্তী রাজাদের নিকট সাহায্য প্রার্থনার জন্ত পাঠাইলেন এবং গোপালদেব ও ধৰ্ম্মপালদেব দুৰ্গরক্ষার সাহায্যের জন্ত সন্ন্যাসীর সহিত দুর্গে উপস্থিত হইলেন। কিন্তু দুর্গ শীঘ্রই শক্রর হস্তগত হইল। ঠিক সেই সময়ে উদ্ধারণপুরের দুর্গগামী উপস্থিত হইয়৷ নারায়ণ ঘোষকে পরাজিত ও বশী করিলেন। সন্ন্যাসীর বিচারে নারায়ণ ঘোষের মৃত্যুদণ্ড হইল। দুর্গপামিনী কস্ত কল্যাণীকে পুত্রবধূপে গ্রহণ করিবার জন্ত মহারাজ গোপালদেবকে অনুরোধ করিলেন। গৌড়ে প্রত্যাবর্তন করার উৎসবের দিন মহারাজের সভায় সপ্ত সামন্ত রাজা উপস্থিত হইয় সন্ন্যাসীর পরামর্শক্রমে স্তাহাকে মহারাজাধিরাজ সম্রাট বলিয়া স্বীকার করিলেন। গোপালদেবের মৃত্যুর পর ধৰ্ম্মপাল সম্রাট হইয়াছেন। তাহার পুরোহিত পুরুষোত্তম খুল্লতাত কর্তৃক হৃতসিংহাসন ও রাজ্যতাড়িত কান্তকুজরাজের পুত্রকে অভয় দিয়া গৌড়ে আনিয়াছেন। ধৰ্ম্মপাল ঞ্জংকে - প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩২২ [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড --ഹസ്സ്-സസ്സ জ্ঞা করিয়াছেন। এই সংবাদ জানিয় কান্তকুজরাজ গুর্জররাজের নিকট সাহায্য প্রার্থনা করিয়৷ দুঃ পাঠাইলেন। পণে সন্ন্যাসী দূতকে ঠকাইয় তাহার পত্র পড়িয়া লইলেন। গুর্জররাজ সন্ন্যাসীকে বৌদ্ধ মনে করিয়া সমস্ত বৌদ্ধদ্বিগের উপর অত্যাচার আরগু করিবার উপক্রম করিলেন। এদিকে সন্ন্যাসী বিশ্বনন্দের কৌশলে ধৰ্ম্মপাল সমস্ত বৌদ্ধকে প্রাণপাত করিয়া রক্ষা করিবেন প্রতিজ্ঞ করিলেন । সমাট ধৰ্ম্মপাল সমস্তুরজাদিগকে সঙ্গে লইয়৷ কাষ্ঠকুঞ্জ রাজ্য জয় করিতে যাত্র করিলেন । এই যুদ্ধের মধ্যে গুর্জন্ধেৱ৷ গোকৰ্ণ দুর্গ আক্রমণ করিতে যাইবার উদযোগ করিতেছে জানিয়া ধৰ্ম্মপাল উহার বাগদত্ত পত্নী কল্যাণীকে লইয়া প্রস্থান করিলেন । পথে কল্যাণী অপহৃত ও ধৰ্ম্মপাল আহত হইয়া বন্দী হইয়াছিলেন। পরে ধৰ্ম্মপাল কল্যাণীকে লই৷ সেথান হইতে পলায়ন করিয়া নিজের সেন, দলে মিলিত হইয়াছেন । ] নবম পরিচ্ছেদ । গোবিন্দের চক্ৰধারণ। সহস যুদ্ধ থামিয়া গেল। গুর্জরসেন যখন প্রায় গঙ্গাতীর পর্য্যন্ত অগ্রসর হইয়াছে, তখন গৌড়ীয় সেনাপতিগণ একদিন বিস্মিত হইয়া শুনিলেন যে দলে দলে গুর্জরসেন পশ্চিমাভিমূখে প্রত্যাবর্তন করিতেছে। প্রমথসিংহ অঞ্জয় তীরে শিবিরে গুর্জরসেনা কর্তৃক অবরুদ্ধ হইয়াছিলেন, তিনি একদিন প্রভাতে যুদ্ধারস্ত করিতে গিয়া শুনিলেন যে, শিবির উঠাইয়া গুর্জরসেন রাত্রিকালে প্রস্থান করিয়াছে। রাঢ় ও বরেন্দ্রের সর্বত্র একই সময়ে গুর্জরসেনা আক্রমণ পরিত্যাগ করিয়া পশ্চিমাভিমূখে ফিরিল। গৌড়ীয় সেনানায়কগণ বিস্মিত হইয়। রহিলেন । তাহারানগর দুর্গ ছাড়িয়া তাহাদিগের পশ্চাদ্ধাবন করিতে সাহসী হইলেন না। প্রমথসিংহের সাবধানত সকলের মনঃপূত হইল না, বিমলনন্দী অশ্বারোহী সেনা লইয়া রাত্রিযোগে পলায়ন করিয়া গুর্জরগেনার অনুসরণ করিলেন । ধৰ্ম্মপাল তখন নিরুদেশ । গুরুদত্ত যেদিন নিরুদ্দিষ্ট গৌড়েশ্বরের ও ভাবী পটুমহাদেবী কল্যাণীদেবীকে লইয়া ঢেঙ্করী নগরীতে ফিরিয়া আসিতেছেন, তখন গুর্জরসেনা গৌড় অঙ্গ মগধ ছাড়িয়া করুষদেশে চলিয়া গিয়াছে। দুইদিন পরে বিমলনী সংবাদ পাঠাইলেন যে, শোণ পার হইবার সময়ে গুর্জরদিগের সহিত র্তাহার যুদ্ধ হইয়াছিল, যুদ্ধকালে জয়বৰ্দ্ধন ও ভীষ্মদেব আসিয়া পড়ায় গুর্জরগণ পরাজিত হইয়াছে, সহস্ৰ সহস্ৰ গুর্জরসেনা বন্দী হইয়াছে। l ৪র্থ সংখ্যা] ধৰ্ম্মপাল। 8bá JJJJMJJJMJJJMMMMMMMMMMMMMMMMJJJJMJMMMJMS ধৰ্ম্মপাল ও কল্যাণীকে লইয়া গুরুদত্ত যখন ঢেঙ্করীতে ফিরিয়া আসিলেন, তখন নগরময় রাষ্ট্র হইয়া গেল যে, মহারাজাধিরাজ গৌড়েশ্বর নবপরিণীত পত্নীকে লইয়া নগরে অসিতেছেন। দলে দলে নাগরিক ও নাগরিক উংসবের বেশে সজ্জিত হইয়া রাজ ও রাজ্ঞীর সম্বদ্ধনার জন্য তোরণের বাহিরে পথের ধারে গিয়া দাড়াইয়া রহিল। নগরে নাগরিকগণ মাল্য পুষ্প পত্র দিয়া গৃহের সম্মুখ সাজাইল, দুয়ারে দুয়ারে পূর্ণঘট ও কদলীবৃক্ষ স্থাপিত হইল । সকলেই জানিল যে, মহারাজাধিরাজ গৌড়েশ্বরের বিবাহ হইয়া গিয়াছে। এমন কি কমলসিংহও বিশ্বাস করিলেন যে, কল্যাণীর সহিত ধৰ্ম্মপালের বিবাহ হইয়া গিয়াছে। . সম্রাট আসিলেন । ঢেঙ্করী নগরে তাহার উপযুক্ত গৃহ ছিল না, সুতরাং নগরমধ্যে র্তাহার জন্য বস্ত্রাবাস স্থাপিত হইল ; পরিচারিক ও সর্থীবৃন্দের অভাবের জন্য কল্যাণীদেবী ধৰ্ম্মাধিকারের গৃহে আসলেন । ধৰ্ম্মপাল যেদিন ঢেঙ্করীতে আসিয়া পৌছিলেন, সেই দিন অপরাত্ত্বে কমলসিংহ শিবিরে বসিয়া গৌড়েশ্বরের সহিত আলাপ করিতে করিতে কহিলেন, “মহারাজ ! আপনি যখন কল্যাণীর স্বামী, তখন সম্পর্কে আপনি আমার কনিষ্ঠ। আমার স্বৰ্গীয় পিতৃব্যপত্নী যে কল্যাণীর বিবাহ দিয়া মরিতে পারিয়াছেন-ইহাই - আমাদিগের সৌভাগ্য ।” ধৰ্ম্মপাল বিস্মিত হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “সে কি ? গোকর্ণের দুর্গশ্বামিনীর কি মৃত্যু হইয়াছে ?" “ই ; আপনি কি সে সংবাদ পান নাই ?” "না।” “তবে কল্যাণীও তাহার মাতার মৃত্যুর কথা জানেন ?" "ן וה" “গুরুদত্ত কি এসংবাদ আপনাকে দেয় নাই ?" "নী ; দুর্গস্বামিনীর কি প্রকারে মৃত্যু হইল ?” “মহারাজ ! আপনার শ্বশ পতিকুলের দুর্গ রক্ষার্থ অসিহস্তে প্রাণ বিসর্জন দিয়াছেন।” "গোকর্ণদুর্গ কি তবে গুঞ্জরের অধিকার করিয়াছিল ?” -- “না। পিতৃব্যপত্নী শত্রুসেনার গতিরোধের জন্য অমৃতানন্দ ও গুরুদত্তের সহিত দুর্গপ্রাকারে দাড়াইয়া সৈন্ত চালনা করিতেছিলেন । এই সময়ে শত্রুপক্ষের শরাঘাতে তাহার মৃত্যু হইয়াছে। গুরুদত্ত আপনাকে এই সংবাদ দিতে গোকৰ্ণ হইতে ঢেঙ্করী অাসিয়াছিল।” “কিন্তু গুপ দত্ত ত আমাকে এ সম্বন্ধে কোন কথাই বলে নাই ? সে কোথায় ?” “মহারাজ যখন নগর প্রবেশ করিলেন, তখন গুরুদত্ত আপনার পাশ্বে ছিল।” "তাহার পর হইতে তাহাকে আর দেখিতে পাই নাই।” "তাহার সন্ধান করিব কি ?” “আপনি অপেক্ষা করুন, আমিই সন্ধান করিতেছি।" গৌড়েশ্বরের আহবানে জনৈক দণ্ডধর বস্ত্রাবাসের মধ্যে প্রবেশ করিল। ধৰ্ম্মপাল তাহাকে গুরুদত্তের সদ্ধানে যাইতে আদেশ করিলেন। দণ্ডধর প্রস্থান করিলে, গৌড়েশ্বর কহিলেন, “মহানায়ক ! আপনিই এখন মহাদেবীর নিকটআত্মীয় । কল্যাণীর মাতৃবিয়োগসংবাদ আপনিই উহাকে জ্ঞাপন করিয়া আস্থন ?” কমলসিংহ কহিলেন, “মহারাজ ! কল্যাণী ধৰ্ম্মাধিকার বরাহরাতের অন্তঃপুরে আছেন, এ সংবাদ ধৰ্ম্মাধিকারের পত্নী অথবা ভগিনীর মুখে ব্যক্ত হওয়াই উচিত।” গৌড়েশ্বরের আদেশে আর-একজন দণ্ডধর ধর্শ্বাধিকার বরাহরাতের সন্ধানে গেল। ধৰ্ম্মপাল তখন কমলসিংহকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “এখন গোকর্ণদুর্গের কি ব্যবস্থা করিবেন ?” - “মহারাজ, আমি কি ব্যবস্থা করিব ?--গৌড়েশ্বরের পটুমহাদেবী কল্যাণীই এখন গোকর্ণদুর্গের অধীশ্বরী, গৌড়েশ্বরীর অধিকার রক্ষা করিবার জন্ত মহারাজকে একজন রাজভৃত্য নিয়োগ করিতে হইবে।” ধৰ্ম্মপাল উত্তর না দিয়া চিন্তা করিতে লাগিলেন। কিয়ংক্ষণ পরে একজন দণ্ডধর আসিয়া সংবাদ দিল যে, মহারাজাধিরাজ গৌড়েশ্বরের সমীপে বর্ধমান ভুক্তির ধৰ্ম্মাধিকার বরাহরাত শৰ্ম্ম সাক্ষাংপ্রার্থী হইয়া উপস্থিত হইয়াছেন । ধৰ্ম্মপাল তাহাকে কক্ষে আনয়ন, করিতে আদেশ করিলেন। অবিলম্বে বরাহরাত শৰ্ম্মা সশীর্ষ নারিকেল লইয়া গৌড়েশ্বরের সমীপে উপস্থিত হইলেন। ধৰ্ম্মপাল তাহাকে প্রণাম করিয়া আসন দিয়া কহিলেন, "ধৰ্ম্মাধিকার! অদ্য একটি বিশেষ কার্য্যের জন্য আপনাকে