পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/২৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8bb" প্রবাসী-শ্রাবণ, ১৩২২ [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড

  • へヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘペペ。

ভিক্ষুক সম্প্রদায়ের মধ্যে সচরাচর এমন স্বশিক্ষিত ও মুকণ্ঠ গায়ক দেখিতে পাওয়া যায় না। বালক গাহিতে লাগিল,— তোর চোখের ভরে বলীয়ান, চলে যাস দর্প-ভরে, আমি অন্ধ আতুর পথহার,— দেখিস না’ক বারেক ফিরে । শিবিরের নিকটে আসিয়া বালক রাজপথ ছাড়িয়া বস্ত্রাবাসের দিকে আসিতে লাগিল— ভাগ্যচক্রে বদ্ধ মোরা তোরা আসবি ফিরে একই স্থানে, অন্ধ বলে অবহেলে আমায় যাসনে ফেলে যাসনে ( রে ) । অামায় পথ দেখায়ে দে । বালক নিকটে আসিয়া বস্ত্রাবাসের সম্মুখে দাড়াইল এবং আর-একবার গীতটি গাহিল, তাহার পরে ভিক্ষাপাত্র বাহির করিয়া কহিল, “ভিক্ষা দাও।” তখন বিশ্বানন্দ কহিলেন, “বালক । এইদিকে আইস ।” বালক র্তাহার কণ্ঠস্বর শুনিয়া বৃদ্ধ সহকারের নিম্নে আসিয়া "তাহ ত জানি না, তবে গৌড়ের নাম করিলে মা কাদিত।" “তোমার মাতা ভিক্ষাবৃত্তি অবলম্বন করিয়াছিলেন কেন ?” “পিতা মরিয়া গেলে অন্নাভাবে ।” “তোমাদের কি আর কেহ ছিল না ?” “তাহত জানি না। আপনার কি ভিক্ষা দিবেন ?" “দিব ; সে কথা জিজ্ঞাসা করিতেছ কেন ?" “বাবা, অনেকে অনেক কথা জিজ্ঞাসা করিয়া শেষে মারিয়া তাড়াইয়া দেয় ।” - "তোমার পিতা কি কাজ করিতেন জান ?” "জানি ; তিনি রাজার সৈনিক ছিলেন। যুদ্ধ করিতে গিয়া মরিয়া গিয়াছেন ।” “তাহার পর ?” "তাহার পর মা "অম্লাভাবে আমাকে কোলে লইয়৷ ভিক্ষায় বাহির হইতেন । গ্রামের লোক নিত্য ভিক্ষণ দিত ন, সেইজন্য মা আমার দেশে দেশে ঘুরিয়া বেড়াইতেন।” উদ্ধবঘোষের শীর্ণগণ্ডস্থল বহিয়া দুই-এক ফোটা উষ্ণ অশ্ৰুজল গড়াইয়া পড়িল । বিশ্বানন্দের কণ্ঠস্বর গম্ভীরতর দাড়াইল। বিশ্বানন্দ জিজ্ঞাসা করিলেন, “বালক, তুমি কে?" হইয়া উঠিল। তিনি জিজ্ঞাস করিলেন, “রাজা কি তোমা “আমি ভিখারী—” "ড়োমার নাম কি ?” “আমার নাম কাণা।” “তোমার কি অন্য কোন নাম নাই ?” “না ; সবাই ত এই বলিয়া ডাকে ৷” “তোমার নিবাস কোথায় ?” “এখন পথে পথে।” “পূৰ্ব্বে কোথায় ছিল ?” “ম বলিত কোথায় যেন আমাদের নিবাস ছিল ।” “সে কোথায়?? “তাহত জানি না।” "তুমি কোথায় যাইবে? ‘গৌড়ে ।” “তোমার কণ্ঠস্বর শুনিয়া বোধ হইতেছে যে তুমি ओङ्ोकाः গৌড়নগরে কি তোমাদের বাস ছিল ?" দের জন্য কোন ব্যবস্থা করেন নাই ?” “যে রাজার জন্য বাবা প্রাণ বিসর্জন দিয়াছিলেন, যুদ্ধে তাহার পরাজয় হইয়াছিল।” "তোমার কেমন করিয়া দিন চলে।" "ভিক্ষা করিয়া ; বাবা, কে যেন দিন চালাইয়া দেয় ; কোন দিন ভিক্ষা মিলে ; যে দিন মিলে না, সে দিন কে যেন কোথা হইতে আহার জুটাইয়া দেয় ; যখন তৃষ্ণ পায় তখন কে কোথা হইতে আমাকে জলাশয়তীরে আনিয়া রাখিয়৷ যায়। কে যেন আমাকে পথ দেখাইয়া দেয়, অথচ দূরে দূরে পলাইয় বেড়ায়, আমি সারাদিন তাহাকে ধরিবার জন্য ঘুরিয়া বেড়াই, তাহার ছায়ামার দেখিতে পাই কিন্তু তাহাকে ত দেপিতে পাই না?” বৃদ্ধ বিশ্বানন্দ কঁদিতে কাদিতে অন্ধ বালককে বৃক্ষেজড়াইয়া ধরিলেন। বালক বিস্মিত হইয় দৃষ্টিহীন নেত্র তাহার মুখের দিকে ফিরাইল। বিশ্বানন্দ কছিলেন, “বাপ, আমি l ৪র্থ সংখ্য। ] 、ヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘへ^^ গৌড়ীয়, আমি সন্ন্যাসী, তুমি কোমল বয়সে অনেক কষ্ট পাইয়াছ, তুমি আমার সহিত গৌড়ে আইস, যদি পারি তাহা হইলে তোমার দুৰ্ব্বল জীবনের গুরুভার লঘু করিব।” বালক বিস্মিত হইয়া সন্ন্যাসীর মুখের দিকে চাহিয়া কহিল, “বাবা, তুমি অমন করিতেছ কেন ? কত লোক আমাকে জিজ্ঞাসা করিয়াছে, কত লোককে এই কথা বলিয়াছি, কেহ বা ভিক্ষা দিয়াছে, কেহ বা প্রহার করিয়া তাড়াইয়া দিয়াছে, কিন্তু কেহ ত তোমার মত কাতর হয় নাই ?” বিশ্বানন্দ আবেগভরে বালককে বক্ষে চাপিয়া ধরিয়া কহিলেন, "বাপ, তুমি আমার সহিত গৌড়ে চল।" অন্ধবালক ক্ষুঃমনে কহিল, "যাইতাম বাবা, কিন্তু এখন ত পারিব না।” উদ্ধবঘোষ অবনত মস্তকে বসিয়া ঘন ঘন চক্ষু মার্জন করিতেছিলেন। তিনি বিস্মিত হইয়া মুখ তুলিয়া জিজ্ঞাস করিলেন, "কেন যাইবে না ?” বালক কহিল, “আমি এক বুড়ার সঙ্গে তাহাকে পথ দেখাইয়া গৌড়ে লইয়া যাইতেছি। আমি চলিয়া গেলে, থাইতে না পাইয় সে মরিয়া যাইবে।” বিশ্বানন্দ ঈষৎ হাসিয়া কহিলেন, “বাবা, তুমি অন্ধ, তুমি আবার কাহাকে পথ দেখাইয়া লইয়া যাও?’ "সে এক বুড়া, চুলিতে পারে না ; সে বলে যে, সে প্রায়শ্চিত্ত করিতে গৌড়ে যাইতেছে। আমাকে যে পথ দেখায়, সে তাহাকে পথ দেখায় না; কেন দেখায় না তাহ আমি বুঝিতে পারি না।” - "কেন ?” * "সে বলে যে, সে মহাপাতকী, তাহার জন্য নাকি লক্ষ লোকের জীবন নাশ হইয়াছে।” "তাহাকে লইয়া আইস ; আমরা তাহাকেও গৌড়ে লইয়া যাইব ।” বালক বিশ্বানন্দের বাছপাশ হইতে মুক্ত হইয়াপথের দিকে চলিল। বৃদ্ধ উদ্ধবঘোষ ব্যস্ত হইয়া কহিলেন, "চল আমি ডোমাকে পথ দেখাইয়া দিতেছি।” বালক কহিল, Tন, পথ দেখাইয়া দিতে হইবে না, সে ছায়ার মত আমার আগে আগে চলিয়াছে, আমি তাহাকে দেখিয়া পথ চিনিয়া लहेद।” মলক । লক্ষ ধৰ্ম্মপাল 8brసి বালক গীত গাহিতে গাছিতে চলিয়া গেল। উদ্ধবঘোষ কহিলেন, “বেশ গীতটি, গ্রাম্য কবির রচনা বটে কিন্তু ভাব অতি স্বন্দর।” বিশ্বানন্দ উত্তর না দিয়া পথের দিকে চাহিয়া রহিলেন। কিয়ংক্ষণ পরে বালক জনৈক শীর্ণকায় বৃদ্ধের হস্ত ধরিয়া ফিরিয়া আসিল। বিশ্বানন্দ স্থিরনেত্রে বৃদ্ধের দিকে চাহিয়৷ ছিলেন, তিনি বৃদ্ধকে দেখিয়া উঠিয়৷ দাড়াইলেন। তাহ দেখিয়া উদ্ধবঘোষও দাড়াইলেন। বৃদ্ধ নিকটে আসিয়া কঁাপিতে কঁাপিতে বসিয়া পড়িল এবং বিশ্বানন্দের পদদ্বয় আলিঙ্গন করিয়া কহিল, “বিশ্বানন্দ, রক্ষা কর, আমাকে রক্ষা কর।” সন্ন্যাসী বিক্ষিত হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “কে তুমি ?” বৃদ্ধ কম্পিত কণ্ঠে কহিল, “আমি বুদ্ধভদ্র ।" বিন্মিত হইয়া বিশ্বানন্দ বৃদ্ধ সঙ্ঘস্থবিরের হস্তধারণ করিয়া উঠাইলেন এবং আবেগরুদ্ধ কণ্ঠে জিজ্ঞাসা করিলেন, "সঙ্ঘস্থবির, আপনি এখানে কেন ?" “তোমার নিকট আশ্রয়ভিক্ষা করিবার জন্য।” "সেকি কথা! আপনি উত্তরাপথের সঙ্ঘস্থবির, আমি সামান্য চক্ররাজ মাত্র।” “বিদ্রুপ করিও না বিশ্বানন্দ, আমার দর্প চূর্ণ হইয়াছে। আমার জন্ত সদ্ধৰ্ম্ম লুপ্তপ্রায়, আমার জন্ত লক্ষ লক্ষ নরনারীর জীবন বিনষ্ট হইয়াছে, আমাকে আশ্রয় দাও, আমাকে রক্ষা কর, আমাকে পাপের প্রায়শ্চিত্ত করিতে দাও।” বৃদ্ধ সঙ্ঘস্থবির এই রলিয়া পুনরায়, সুয়্যাসীর পাদমূলে লুটাইয় পড়িলেন। বিশ্বানন্দ পুনৰ্ব্বার তাহার হাত ধরিয়া উঠাইলেন ; তখন বুদ্ধভদ্র বলিতে আরম্ভ করিলেন, “বিশ্বানন্দ, আমি স্ববর্ণবণিকের পুত্র, বৃদ্ধ বয়সে সঙ্ঘে প্রবিষ্ট হইয়াও স্ববর্ণের লালসা পরিত্যাগ করিতে পারি নাই । বহু অর্থব্যয় হইতেছে দেখিয়াল ভাবিয়াছিলাম গুর্জররাজের সহিত সন্ধি করিয়া বিনা অর্থব্যয়ে সন্ধৰ্শ্বের কাৰ্য্যসিদ্ধি করব। বিশ্বানন্দ, বিশ্বাসঘাতকতার ফল ফলিয়াছে। গুর্জর নিজমূৰ্ত্তি ধরিয়াছে, লক্ষ লক্ষ নিরপরাধ নরনারীর রক্তে উত্তরাপথ রঞ্জিত হইয়াছে আমার যথেষ্ট শিক্ষা হইয়াছে, আমাকে রক্ষা কর। গৌড়েশ্বর ভিন্ন সদ্ধৰ্ম্মের গতি নাই, ধৰ্ম্মপাল ভিন্ন উত্তরাপথের গতি নাই। বিশ্বানন্দ, আমাকে পুনরায় গৌড়েশ্বরের সকাশে DBSBBS B BM BBS BBB SBBS SSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSS