পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/২৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SMAAAASASASS "ঐযুক্ত পরেশনাথ মিত্র।" পোষ্টমাষ্টার অল্পক্ষ। বিস্ময় বিহ্বল দৃষ্টিতে আমার দিকে চাহিয়া রহিলেন, তাহার পর সহসা উচ্চস্বরে হাসিয়া উঠিয়া কহিলেন, "তাই বুঝি ? তবে ত বেশ হয়েছে দেখচি ! কিন্তু কিছু মনে করবেন না, আমি একটি কথাও অযথ। বলিনি।” দেখিলাম মনোরম ঈধং মুখ ফিরাইয়া আমার দিকে ष्ठीश्नःि। श्ािंश्, ५द५ मंन श्न उाश्ाङ्ग१ भ्रूंश् ८गन কৌতুকের একটি ক্ষীণ হাস্যরেখা ফুটিয়া উঠিয়াছে। আমি কহিলাম, "আপনি অযথা কিছুই বলেন নি। এ বিষয়ে আমার যা বক্তব্য তা পরে জানাব।" বলিয়া প্রস্থান করিলাম। বিপিন আমার খুড়তাত ভাই। আমরা প্রায় সমবয়স্থ, তাই উভয়ের মধ্যে সম্পর্ক অনেকট বন্ধুর মত দাড়াইঃছিল। বাড়ী গিয়া বিপিনকে জিজ্ঞাসা করিলাম, "এথানকার পোষ্টমাষ্টারের মেয়ের সঙ্গে আমার বিয়ের কথা হয়েছিল ?" বিপিন কহিল, "ত তুমি জান না ? কথা হয়েছিল ¢कम, श्ब्रिझे ऊ श्tग्न श्रेिtप्रश्लि ।" “তবে ভাঙ্গল কেন ?" বিপিন কহিল, “আরও ভাল জুটে গেল বলে ভাঙ্গল।" "আরও ভাল কিসে ?" “টাকায়," "তা হলে এখন যদি রাজার মেয়ে জুটে যায় তা হলে এ সম্বন্ধও ভেঙ্গে যাবে ?” বিপিন একটু চিন্তা করিয়া কহিল, "ত যেতে পারে।” আমার সৰ্ব্ব শরীর জলিতেছিল। পোষ্টমাষ্টার যে বলিয়াছিলেন কথার চেয়ে চাদির মূল্য ঢের বেশী তাহ আমার কানে তখনও বাজিতেছিল। কহিলাম, “ত যদি যেতে পারে ত তাই যাক, আমি জমিদারের মেয়েকে বিয়ে করব না।” বিপিন হাসিয়া কহিল, "কেন ? রাজার মেয়ে জুটেছে না কি ? আমি কহিলাম, “ই জুটেছে। রাজা আমাদের গ্রামের পোষ্টমাষ্টার, আমি তার মেয়েকেই বিয়ে করব!" বিপিন কহিল, "তা হলে শুধু টাকায় নয়, সবদিকেই তুমি ঠকবে।” 48 প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩২২ SSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSJSSSJSJSS [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড আমি কহিলাম, "তা হলে মান বজায় থাকবে। টাকার চেয়ে যে ভদ্রলোকের কথার মূল্য কম সেটা প্রমাণ হবে না।” বিপিন কহিল, "সে যা হোক, এসব কথা তুমি শুনলে কার কাছে ?" - একটু ইতস্তত: করিয়া দেখিলাম গোপন করিবার কোন কারণই নাই। কহিলাম, "স্বয়ং পোষ্টমাষ্টারের কাছে, আমি তার বাড়ী আজ প্রায় দুঘণ্ট ছিলাম।” বিপিনের মুখে হাসির রেখা ফুটিয়া উঠিল। সে কহিল, "পোষ্টমাষ্টারের মেয়েকে দেখেচ ?” "দেখেচি ।" “ও তাই বল! পোষ্টমাষ্টারের মেয়েকে দেখে তোমার মনে প্রেম হয়েছে, তাই তোমার মাথার মধ্যে ন্যায়ের সেপাইগুলো হঠাৎ দীপাদাপি লাগিয়ে দিয়েছে। জমিদারের মেয়েকে যদি প্রথমে দেখতে তা হলে এ রকমটা হত না।" বিপিনের সহিত শুধু নয়, গৃহের আরও কয়েক জনের সহিত এ বিষয়ে কথাবাৰ্ত্ত হইল। পিতার কণেও যে কথাট পন্থছিল তাহার প্রমাণ পাইলাম স্বয়ং পোষ্টমাষ্টারের নিকট হইতে দিন দুই তিন পরে। পোষ্টাফিসে নিয়মিত চিঠি ফেলিবার অছিলা বৈকালে বেড়াইতে গিয়াছিলাম। পোষ্টমাষ্টার, সাক্ষাৎ হইতেই, কহিলেন,"আপনি এদিকে আসা বন্ধ করুন, এখানে ছেলেধরার ভয় হয়েছে!” বলিয়া তিনি হাসিতে লাগিলেন । এ কথার তাৎপৰ্য্য গ্রহণ করিতে না পারিয়া কহিলাম, “কি রকম ?” পোষ্টমাষ্টার সহাস্যে কহিলেন, “আজ সকালে আপনার পিতার সহিত পথে সাক্ষাং হয়েছিল। তার মুখে শুনলাম আমি নাকি ছেলেধরা হয়েছি, আর আপনাকে ধরবার চেষ্টায় ব্যস্ত আছি। তার মন থেকে এ অমূলক আশদ্ধ৷ দূর করবার অভিপ্রায়ে তাকে জানিয়েছি যে আমার ডাকঘরে দুশে পাচশো টাকা ধরবার মতন থলেই আছে, তার মধ্যে এমবি-পাশকরা বলিষ্ঠ ছেলেকে ধরা সম্ভব নয়। জমিদারবাড়ী বিশহাজার পচিশহাজারের থলে অাছে, সেখানে সে ব্যাপারটা খুব সম্ভব।" বলিয়া পোষ্টমাষ্টার উচ্চস্বরে হাসিতে লাগিলেন। ৪র্থ সংখ্যা] অর্থমনৰ্ধা & as MMMSMMMMMMMMMMMMMMMMMMMMMMMMMMMMMAJSJJJJJJJSJS পাশের ঘর হইতে চাপা হাসির শব্দ শুনা গেল না বটে, কিন্তু চুড়ি বালার ঠুষ্ঠাং মুহুমধুর শব্দের মধ্যে একটি কৌতুকস্মিত মুখ আমার চক্ষের সম্মুখে ফুটিয়া উঠিল। পোষ্টমাষ্টার কহিলেন, "কিন্তু আর-একদিক থেকে দেখলে এটা খুব স্বাভাবিক ও বটে। আমি ঠকেছি বলে ওদের মনে মনে একটা আশঙ্কা অাছে পাছে আমিও %कई ।" তিনদিন পরে পোষ্টমাষ্টার কহিলেন, "আজ আবার এক নূতন ঘটনা ঘটেছে। সকাল বেলা জমিদারের এক গোমস্ত এসে হাজির ৷ তাকে দিয়ে জমিদার মশায় বলে পাঠিয়েছেন যে আমি যদি বেণী চালাকি করি তা হলে গ্রামে বাস করা আমার দায় হবে । চালাকিটা কি জিজ্ঞাসা করায় বললে আমি নাকি আপনাকে ক্ষেপাচ্ছি। তার উত্তরে আমি বলে পাঠিয়েছি যে জমি মাত্রেই জমিদার বলে একপ্রকার জীব থাকে তা আমি এ গ্রামে এসে নতুন দেখছিনে এবং সে সম্বন্ধে আমার বিভীষিকাও তেমন নেই, সুতরাং ও কথা বলে ভয় দেখিয়ে কোন ফল হবে না। তার চেয়ে জমিতে আর-একপ্রকার জীব চরে বেড়ায় তার শিং দেখলে অনেক সময় মনে বাস্তবিক ভয় হয়। ক্ষ্যাপানর কথায় বলেছি যে জমিদার যার কথা বলে পাঠিয়েছেন তার কথা বলতে পারিনে, কিন্তু জমিদার মশায় স্বয়ং যে ক্ষেপেছেন সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।” আমি কহিলাম, “এ কথা বলে আপনি জমিদারকে ক্ষমা করেছেন মাত্র । তার ঔদ্ধত্যের কোন দণ্ডই দেওয়া হয় নি। আমি যদি সে সময়ে উপস্থিত থাকতাম তা হলে গোমস্তাকে অত সহজে নিস্কৃতি দিতাম না।" পাশের ঘরে চুড়িবালার ঠাং শব্দ আজও বাজিয়া উঠিল, এবং আমার মনে হইল যেন তাহ অত্যন্ত প্রসন্ন স্বরে। পোষ্টমাষ্টর কহিলেন, "রামচন্দ্ৰ: ! ঝগড়া করে কি হবে। ও-একটা পরিহাসের মত করে জবাব দেওয়া গেল। আপনার বিবাহের রাত্রে সেখানে গিয়ে দুখান লুচি চিৰতে হবে তার পথটাও রাখা চাই ত ?” বলিয়৷ পোষ্টমাষ্টার তাহার স্বভাবানুরূপ উচ্চস্বরে হাসিতে লাগিলেন । | উৎসাহে এবং আত্মসম্রামের তাড়নায় আমার মনের মধ্যে একটা প্রবল ঝোক আসিয়াছিল। মনে হইল এমন চমৎকার করিয়া একটা কিছু বলি যাহাতে পাশের ঘরে চুড়ি ও বালা আর-একবার মুখর না হইয়া থাকিতে পরিবে না। কিন্তু তেমন কিছু যোগাইয়া উঠিল না। কছিলাম, "এখনও ওপরিবারে আমার বিয়ে করবার প্রবৃত্তি আছে আমাকে এতটা নীচ মনে করে আমার প্রতি অবিচার করছেন ।” পোষ্টমাষ্টার আমার কথা শুনিয়া ব্যস্ত হইয়া পড়িলেন। কহিলেন, "না, ন, ও কথা বলবেন না, তা হলে আমার নামে যে-সব দুনাম রটেছে সেগুলোর ভিত্তি বেঁধে যাবে। এতে আর জমিদার মশায়ের বিশেষ দোষ কি আছে ? সকলেই যাতে নিজের অনিষ্ট বা ক্ষতি না হয় সেবিষয়ে नt5ठे शग्र ।” কিন্তু পাচদিন পরে পোষ্টমাষ্টারের মুখে যে কথা শুনিলাম তাহাতে ধৈৰ্য্য রাখা অসম্ভব হইয়া উঠিল। সেদিন সন্ধ্যার পর পোষ্টাফিসে বেড়াইতে গিয়াছিলাম। পোষ্টমাষ্টার টেবিলের সম্মুখে বসিয়া পত্র লিখিতেছিলেম এবং মনোরম পাশ্বে দাড়াইয় পত্রের দিকে চাহিয়া ছিল। পোষ্টমাষ্টার আমাকে দেখিয়া আহবান করিলেন। ঘরে প্রবেশ করিয়াই বুঝিলাম পিতা ও কঙ্কা উভয়েরই মূখ বিষয়, চিন্তাক্রান্ত । পোষ্টমাষ্টার তাহার অভ্যাসাচুযায়ী একবার হাসিবার চেষ্টা করিলেন বটে, কিন্তু বর্ষাদিনের রৌদ্রের মত সে ফিক হাসি নিতাস্ত ক্ষণস্থায়ী হইল, এবং বেদনার মূৰ্ত্তিই তাহার মধ্যে পরিস্ফুট হইয়া উঠিল। আমার মুখের ভাবে পোষ্টমাষ্টার বোধহয় আমার মনের কথা বুঝিতে পারিলেন। কহিলেন, "বিনয়বাৰু, আপনাদের জমিদার আমাকে শুধু গ্রামছাড়া করেই নিশ্চিন্ত হতে পাচ্ছেন না, সরকারের অতিথিশালায় যাতে আমার একটা স্থান হয় তার বন্দোবস্তও তিনি করে দিচ্ছেন!" আমি ব্যগ্রভাবে কহিলাম, "আবার কি হয়েছে ?" পোষ্টমাষ্টার উাগর তীক্ষু চক্ষুদ্বয় আমার মুখের উপর স্থাপন করিয়া কহিলেন, “আমি জমিদারের দুশ' টাকা চুরি করেছি! মাস খানেক হল জমিদারের নামে দুশ' : টাকার একটা মনিঅৰ্ডার আসে। আমি সেটা পিন্ধন দিয়ে জমিদারবাড়ী পাঠিয়ে দিই। পিয়ন সেদিন আমাকে এসে