পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/২৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-സ്.സ.സ.സ. - - --- দশ - Gr88


>SumitaBot (আলাপ) ০৮:৩৮, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)--০৮:৩৮, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)SumitaBot (আলাপ)

মহাযানের লোকের বলিত 'প্রত্যেক' ও 'শ্রাবক এই দুই যানই ইন, কারণ ইহার প্রত্যেকেই অত্যন্ত স্বার্থপর, ইহাদের কাছে যেন জগৎনাই। উহারা আপনাদিগকে মহাযান বলে,যেহেতু তাহার। আপনার উদ্ধারের জন্য তত ভাবে না, জগৎ উদ্ধারই তাহদের মহাত্ৰত । 'अवप्लांकिण्ठप*' ऎकाब्र श्न श्न,-भशभूष्ण निलीन श्न श्न, 4भन সময়ে জগতের দমস্ত প্রাণী উহাকে উচ্চৈঃস্বরে বলিয়া উঠিল, আপনি নিৰ্ব্বাণ প্রাপ্ত হইলে কে আমাদের উদ্ধার করিবে? তাই শুনিয়া 'অবলোকিতেশ্বর প্রতিজ্ঞ করিলেন, একটিও প্রাণী যতক্ষণ বন্ধ পাকিবে, ততক্ষণ আমি নিৰ্ব্বাণে প্রবেশ করিব না। এই যে করুণ, সৰ্ব্বভূতে দয়, ইহাই মহাযানকে মহা করিয়া তুলিয়াছে, আর ইহারই তুলনায় অপর দুই যানই হীন হইয়া গিয়াছে। হীনযান অৰ্হত্ব পাইলেই খুী, মহাযান বুদ্ধত্ব চায়। অর্থও নিৰ্ব্বাণ পাইলেন, বুদ্ধও নিৰ্ব্বাণ পাইলেন। উভয়েই জন্মজরামরণের হাত হইতে উদ্ধার পাইলেন। হীনযান হইলেন, আর বুদ্ধ মহামান হইলেন কেন ? বুদ্ধ পরের উদ্ধারের জন্য চেষ্টা পাইয়ছিলেন—তাই তিমি ’ৰুদ্ধ", আর তাহার শিষ্যের নিজেরাই উদ্ধার হইতেন-তাই উহার 'অৰ্থং। যখন মহাযান প্রচার হইতে লাগিল, তখন শ্রাবক্যানের বলিল, উভয়েরই বোধিজ্ঞান লাভ হইল । তবে অহঁতেরা এ একটা নুতন মত প্রচার হইতেছে, ইহা বুদ্ধের মত নহে। তথন নের বলিল, ৰুদ্ধদেব ত মগধের উদ্ধারের জন্য অনেক কষ্ট করিয়াছিলেন। তোমরা ত তাহ কর নাই, সুতরাং তোমরা কথার মৰ্ম্ম বুঝ নাই। তোমরা বুদ্ধের অক্ষরার্থ গ্রহণ করিয়াছ, তাহার ভাবাৰ্থ গ্রহণ করিতে পার নাই। তাহতে শ্রাবক্যান উত্তর রল, বা তা কি কখনও হয়,—‘পরার্থে কি উপদেশ হয় ? উপদেশটা শ দিলাম। এইরূপে রামের স্বার্থ, হরির স্বার্থ, খামের "থার্থ হইতে সেই পার্থই ত পরার্থ হইয়া দাড়াইল। তবে তুমি আর রার্থ পরার্থ বলিয় একটা কি জাক করিতেছ? মহাযান বললেন, রা উহাকে পরার্থ বলিতেছি না। তোমার উপদেশ যদি তোমার য্যের স্বার্থের জন্তই হয়, সেটা স্বার্থোপদেশই হইল। তুমি ত আর আর শিষ্যকে পরের উদ্ধারের জন্ত উপদেশ দিতেছ না? তুমি উপদেশ দিতেছ, বাপু জগৎউদ্ধার কর। তুমি সম্বোধি পাইলে - বটে, যাহার চেয়ে আর বড় সম্বোধি নাই, সেই সৰ্ব্বোচ্চ সম্বোধি 'অমুত্তর শ্বোধি তুমি পাইলে কই ? তোমাদের শ্রাবক্যান ত কিছুতেই বুদ্ধ হইবার উপায় হইতে পারেন। কারণ তোমর প্রত্যেকেই চাহ অইং - হইতে তোমরা বুদ্ধ হইবার উপায় জান না। छान न, cठांभद्रा शैनवानहे ५ाकिरद । তোমরা মহাযানের মৰ্ম্ম তোমরা অৰ্থং হইতে চাও, 'বোধিসত্ত্ব কাহাকে বলে তাহ তোমর জাম না। তোমরা জান বুদ্ধ এককালে বোধিসত্ব ছিলেন, আর মৈত্রের একজন বোধিসত্ত্ব আছেন, তিনি একদিন ৰুদ্ধ হইবেন । তোমর বোধিসত্ত্ব হইতে চাও না । কিন্তু বোধিসত্ত্ব না হইলে ত একেবারে অর্থাৎ আকাঙ্গ, তাহার জন্য শিক্ষ, তাহার জন্য সাধন, অতি উচ্চ । তাছার জন্য যে সকল সামগ্রী আবখক, তাহ অতি দুৰ্ল্লভ তাহার জন্ম কত জন্ম যে সাধন করিতে হয়, তাহার ইয়ত্ত করা যায় না। তোমদের আকাঙ্গ অতি অল্প, উপদেশ সহজ, সাধন৷ সহজ, সামগ্ৰী অল্প ও সুলভ । তোমরা ত তিন জন্মেই আপনার কার্য্যসিদ্ধি করিয়া লইতে পার। এই সকল কারণেই আমৱা তোমাদের "ষ্ট্ৰীন' বলি। আর প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩২২ - --~----- [ ১৫শ ভাগ, ১ম રહ. MJJJJMMJMMMMMS আমাদের আকাঙ্ক্ষা কত বড়, আমরা বুদ্ধ হইব । আমাদের উপদেশ কন্তু বড়,-আমর জগং উদ্ধার করিবার উপদেশ দিই । আমাদের সাধনা কত উচ্চ-আমর একাই জগং উদ্ধার করিব, -এই আমাদের সাধন। श्राभाएमब्र गाभशी अक्षां७भग्न, श्राद्र श्रीभग्न। गठ छद्मश् पाठक न,আমাদের উদেখা সিদ্ধি ন হইলে কিছুতেই বিরত হইব না। দেখ আমাদের যান মহাযান কিনা ? - শ্রাবক্যান বলিতেছেন—তোমার বুদ্ধবচনের উপর বড়ই আর দেখিতেছি, কিন্তু বুদ্ধবচনু হইতে গেলে ‘স্বত্রে ত থাক চাই, 'বিনয়ে ত পাক চাই, অভিধৰ্ম্মেও থাকা চাই । ত্রিপিটকের বাহিরে ত বুদ্ধবচন নাই । তোমাদের এসব কোথায়? তোমরা ত বলিয়৷ বেড়াও কোন ধৰ্ম্মেরই সত্ত' নাই,-’ম্বভাব নাই। তোমাদের মতে ত সবই অভাব,—সবই শূন্ত। এসকল বুদ্ধবচন হুইল কিরূপে ? তাহার উত্তরে মহাযান বলিতেছেন—কেন আমাদের ও শত শত সূত্র রহিয়াছে। এক প্রজ্ঞাপারমিতাই ত সকল সূত্রের রাজা, তাহার পর আরও কত স্বত্র আছে। বোধিসত্ত্বের বিনয়—সে অতি বড়। বিনয়ের উদেখা ত ক্লেশনাশ, সমস্ত।বিকল্প ক্লেশ । যখন ' সত্য জানিতে পারিব, সমস্ত বিকল্প নাশ হইয়। যাইবে । যখন নি হইয়া যাইব, তখনই আমাদের বিনয়ের চূড়ান্ত হইবে। আমাদে । বিনয় ছোটখাট কথা লইয়া ব্যস্ত থাকে না। আমাদের বিনদে উদারত ও গভীরতা তোমাদের বিদ্যাৰুদ্ধির অতীত। আর অভিধ ত ধৰ্ম্ম লইয়। আমাদের ধৰ্ম্ম 'অমুত্তর-সম্যক্সম্বোধি প্রাপ্তি। আমাদেরও স্বত্রও আছে, ‘বিনয়ও আছে, 'অভিধৰ্ম্মও আছে। শ্রাবক্যানে সৰ্ব্বপ্রথম ত্রিশরণাগমন, তাহার পর "পঞ্চশীলগ্রহণ | এদুটি জিনিস গৃহস্থরাও করিত, ভিক্ষুরাও করিত। ইহার পর 'অষ্টশীল: গ্রহণ অর্থাৎ ঐ "পচের উপর আরও তিন,—এন্ধচন্দনাদি ত্যাগ, রূঢ়বাক্যপ্রয়োগ ত্যাগ, গীতাদি ত্যাগ। এই যে তিনটি শীল, ইহা খুব উচ্চ ভক্ত গৃহস্থের জন্য। গৃহস্থ ইহার উপর আর যাইতে পরিবে না। ইহার উপর আর দুটি শীল দিলে দশ শীল হয়। সে দুটি উচ্চাসন মহাসন-ত্যাগ ও কাঞ্চনত্যাগ । এ দুটি শীল শুধু ভিক্ষুদিগের জন্ত, গৃহস্থের ইহাতে অধিকার নাই। এ দশ শীল ছাড়া এাবকানে । আর একটা বড় জিনিস পোষধ"ব্রত, অর্থাৎ উপোষ কর । দুই অষ্টম দুই চতুর্দশীতে, পূর্ণিমা ও অমাবস্তায় উপোষ করিয়া কেবল ধৰ্ম্মক | শুনিবে সেইদিন গৃহস্থ ও ভিক্ষু সবাই বিহারে আসিয়া ধৰ্ম্মচর্চা করিবে । মহাযানে আমরা ত্রিশরণগমনের কথা খুব পাই । শীলরক্ষার কথাও পাই । কিন্তু পোষধ"ব্রতের কথা বড় একটা পাই না। শীল রক্ষাট শ্রাবকেরা যত বড় বলিয়া মনে করেন, বোধিসত্ত্বেরা তত বন্ধ বলিয়া মনে করেন না। তাহদের ধৰ্ম্ম আর-একরূপ , উাহার শরণ -- --- গমনের পরই কিসে বোধিলাভের জন্য একান্ত আগ্রহ জন্মে, তাহারই চেষ্টা। করেন, ইহারই নাম 'চিত্তোংপাদ' বা 'বোধিচিত্তোংপাদ'। 'বোধিচিত্ত্বোং পাদের পর আর দুইটি কথা শুনিতে পাই,-"পাপদেশনা' ও 'পুণ্যাঞ্জ । মোদন অর্থাংপাপ কাহাকে বলে তাহার উপদেশ ও পুণ্যের প্রতি আসক্তি। ইহার পর স্টাদের ‘বটুপারমিতা। পারমিত শঙ্কের অর্থ লইয়া বড় গোলযোগ আছে। অনেকে ইহার অর্থ করেন পারং ইতা ७{k যে পারে গিয়াছে অর্থাৎ যে পরাকাষ্ঠী প্রাপ্ত হইয়াছে। আর এক ব্যাখ্যাওঁ আছে-মিশ্রভাষায়, পরমস্ত ভাবঃ-"পারম্যং শব্দটি পারমি হইয় যায়। বৌদ্ধসংস্থতেও পারমি শব্দের অনেক প্রয়োগ আছে। তাহার উপর ভাবে 'ত' করিলে, পারমিত হয়। অর্থ হয়,-পরমের ভাব, ৪র্থ সংখ্যা ] এই লইয়াই ত ত্রিপিটক। --സസ്സ--് ---------------------- ইত্যাদি। বোধিসত্ত্বগণ শীলরক্ষার জন্য বড় বাস্ত হইতেন না, অপল সেটা উহাদের স্বভাৰসিদ্ধই হইয়া যাইত। তাহার শীলের চরম উৎ


কৰ্ণ লাভ করিবার চেষ্টা করিতেন । এই জায়গায় মহাযান ও হীনযানে বড়ই তফাৎ দেখা যায়। হীনযানে বিরত হইবার জন্য প্রতিজ্ঞ হুইত, “আমি প্রাণাতিপাত হইতে বিরত হইব, মিথ্যা কপী হইতে বিরত ইব।" হানযানের শিক্ষা নিষেধমূপে, মহাযানের উপদেশ বিধিমূথে । হীনবানের যেন জীবনীশক্তি কম,–নাই বলিলেই হয়। এটা করিও ন, ওটা করিও ন-চুপ করিয়া থাক। মহাযানের এই জীবনীশক্তি বড় বেশী। তাহাদের একটি পারমিতার নামই বীৰ্য্য', অর্থাং বীরত্ব অর্থাং উৎসাহ । শীলরক্ষা করিয়! যাইব, ক্রমে এমন ইয়া উঠবে যে আমি শীলরক্ষায় সকলের উপর উঠিব এবং অঙ্গে যাহাতে শীলরক্ষা করিতে বা জিতেন্দ্রিয় হইতে পারে, তাহার উপায় করিয়া দিব । মহাযানে বীর্য একটি পারমিতার মধ্যে। শুধু সামাঙ্গ উৎসাহ নহে । এমন উৎসাহ যে উহা হইতে আর বেশী কল্পনা করা যায় না। এাবক্যানে চারিটি ধ্যানের কথা খুব শুনা যায়। চারিটি ধানের নাম পাওয়া যায় না। একটিতে বিতর্ক থাকে, আর একটিতে থাকে না। একটিতে প্রতি থাকে, আর একটিতে থাকে না । একটিতে সুখ থাকে, আর একটিতে থাকে না। যাহাতে স্বথও থাকে না দুধেও থাকে না সেইটিই চরম ধ্যান। দকৃতাগামী ও অনাগামী হইয়া পরে অহং অ্যানের তাহার পর ভিক্ষু ক্ৰমে স্রোতপন্ন হন। মহাযানে কথা আছে, এ চারিটি ধ্যানের কথাও আছে, কিন্তু ইহা ছাড়াও অসংখ্য ধ্যান ও সমাধির কথাও আছে। ধান ও সমাধি লইয়া উহাদের অনেক পুস্তক আছে। হোতাপন্ন, সকৃতাগামী, अमाणाभी ७ श्रई९ १भकल भग्न भशयाcन १७ग्रा गांग्र न । श्ta বলে পাওয়া যায় দশবোধি সত্ত্বভূমি অর্থাৎ বোধিসত্ত্ব যেমন ধান, ধারণা, দান, শীল, ক্ষাস্তি ইত্যাদিতে ক্রমে দক্ষ হইতে থাকেন, তাহার মনোবৃত্তি-সকলও সেইরূপ ক্রমে উচ্চে উঠিতে থাকে। মামুষের মনোবৃত্তি অনন্ত। প্রথম ভূমিতে কতকগুলি থাকে, কতকগুলি ত্যাগ করা হয় এবং কতকগুলি প্রবল হইয় উঠে। দ্বিতীয় ভূমিতে আবার কতকগুলি স্বাসে প্রথমের কতকগুলি হয় একেবারে চলিয়া যায়, নয় ত হীনবীৰ্য্য ইয়া পড়ে। এইরূপে ক্রমে ক্রমে বোধিসত্ত্ব দশ ভূমি অতিক্রম করিলে তবে তিনি নিৰ্ব্বাণপথের যথার্থ পধিক হইতে পারেন। সে করুণার । নাম পর্যন্ত শ্রাবক্যানে দেথা যায় না, সেটি বোধিসত্বের চিরসহচর, যতই উচ্চ ভূমিতে উঠবেন ততই করুণ প্রবল হইতে থাকিবে। পাঁচটি পারমিতায় দক্ষতালাভ করিলে তাহার পর 'প্রজ্ঞাপারমিতা। 'প্রজ্ঞাপারমিতাই আসল পারমিত। কিন্তু শুধু প্রজ্ঞাপারমিতাও ঠিক নহে। অপর পাচের সহিত প্রজাপারমিত মিলিত হইলে পূর্ণ পারমিত হয়। প্রজ্ঞাপারমিতার মোট কথা এই যে সত্য দুই প্রকার – সাংস্কৃত সত্য ও পরমার্থ সত্য । সাংবৃ৩ সত্য-ব্যবহারিক সত্য। আমরা চারিদিকে যে-সকল জিনিস দেখিতে পাই সেগুলিকে সত্য বলিয়া ধরিয়া না লইলে ব্যবহার চলে না । তাই সেগুলিকে সত্য বলিয়া ধরিয়া লইতে হয়। কিন্তু বিশেষরূপ পরীক্ষা করিয়া দেখিলে আমরা দেখিতে পাই, যে, তাহার একটিও সত্য নহে। পরমার্থ সত্য কখনই অন্তধা হয় না, সে চিরকালই সত্য থাকে, সেটিকে মহাযানের শূন্ত বলেন। - ীৈনযান ত্রিশরণগমনের বাবস্থা করিয়াছেন। মহাযানেরও ত্রিশরণগমনের ব্যবস্থা আছে। ত্রিশরণগমনের মন্ত্র দুই যানেই এক, তবে মহাবানে ত্রিরত্ন, ৰুদ্ধ ধৰ্ম্ম ও সজল নহে, ধৰ্ম্ম ৰুদ্ধ ও সঙ্ঘ । মহাযানে শাক্যমুনি একটি 'মানুষী ৰুদ্ধ। মামুণীকুদ্ধদের মধ্যেও তাহার স্থান BBBBBBB BBS BB BBBB BBBBB BBBBBB BBLLLL BB BBBS BBBBB BBBBB BBBB BBBB BB BBBB মিতার অর্থ হয়,-সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট দানের ভাব, সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট শীলের ভৰি । ইতে চলিয়া আদিতেছে। যাহার মত চালাইয়াছেন, উহার ধানী আলোচনা—ডেকরাপাড়া - - - - & 8& --- ---> --০৮:৩৮, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)০৮:৩৮, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)~~ ৰুদ্ধ । 'অমিতাভ একজন 'ধানীৰুদ্ধ' । মহাযানে ণ্ঠাহার প্রভাব খুব অধিক। জাপানে তাহার খুব উপাসনা হয়। বৈরোচন আর একজন বড় ধ্যানৰুদ্ধ । ক্রমে মহাযানের শেষ অবস্থায় পাঁচজন ধানীৰুদ্ধ মানিত। শাক্যসিংহ-ৰুদ্ধ পঞ্চধানীৰুদ্ধের একপ্রকার দ্বারপাল। মহাযানের উহাকে মানে, যেহেতু তিনি তাহদের সব জিনিস কলম্বলী করিয়া দিয়াছেন। বুদ্ধ অপেক্ষ ধৰ্ম্ম মহাযানে বড়। স্থপ বা চৈতাই ধৰ্ম্ম। সেই চৈত্যের গায়ে পঞ্চধানীবুদ্ধের মন্দির, সুতরাং ধর্শ্বের সঙ্গে ৰুদ্ধের কি সম্পর্ক তাহা এইখনেই বুঝা গেল। নেপালের মহাযানদিগের মধ্যে সঙ্গ বলিতে গেলে একবিহারে যতগুলি ভিক্ষু থাকে তাহাদিগকে বুঝায়। কিন্তু উহারা বলে সজল ক্রমে বোধিসত্ত্বে পরিণত হইয়াছে। পূৰ্ব্বে যাহা ধৰ্ম্ম বুদ্ধ ও সঙ্গ ছিল, মহাযান খুব বাড়িয়া উঠিলে তাহাই হইল প্রজ্ঞ উপায় ও বোধিসত্ত্ব । ধৰ্ম্ম হইলেন প্রজ্ঞ, কারণ বৌদ্ধের', বিশেষ মহাযানের, ঘোর জ্ঞানবাদী। তাহারা ভাবে জ্ঞানই মুক্তি। বুদ্ধ হইলেন—উপায়। তাহার দৃষ্টান্ত দেখিয়, তাহার উপদেশ লইয়। বাস্তবিক তাহাকে উপায় করিয়, আমরা জ্ঞান পাইতে পারি। প্রজ্ঞ ও উপায় যখন ধৰ্ম্ম ও বুদ্ধের স্থান অধিকার করিলেন, তখন বিহাৱবাসী ভিক্ষুরা ত আর সত্ব হইতে পারেন না, তখন সক্স আর কিছু উচু জিনিস হওয়া চাই, তখন সঙ্গ হইলেন—বোধিসত্ত্ব। এইরূপে আমরা হীনযান ও মহাযান যতই তুলনা করি, ততই দেখিতে পাই, যে, হীনযান ধৰ্ম্মনীতি ও সমাজনীতি লইয়া ব্যস্ত, আর মহাযান দার্শনিক মত ও পুৱতি লইয়া ব্যস্ত। স্বভাবচরিত্র বিশুদ্ধ হইলে, মানুষ পৃথিবীর বস্তু ছাড়িয়া কোন উচ্চতর বস্তুর আকাঙ্গ করিলে নিশ্চয়ই বড় হয়। হীনযান মানুষকে সেইরূপ বড় করিবার চেষ্ট। করিতেন। কিন্তু মহাযান তাহাতে তৃপ্ত হইতেন না। তাহার মানুষকে সৰ্ব্বময় সৰ্ব্বনিয়ন্ত করিবার চেষ্টা করিতেন। দর্শনে নীতিতে তাহার করুণাবাদী। তাই তাহারা -- সহ মনে করিতেন ও শ্রাবক ও প্রত্যেক্যানকে হীন বা कब्रिएउन । ( নারায়ণ, আষাঢ় ) - - প্রহরপ্রসাদ শাস্ত্রী। । শ্রদ্ধাস্পদ ঐযুক্ত নলিনীকান্ত ভট্টশালী মহাশয় । --- "ঐবিক্রমপুর ও তাহার উপকণ্ঠ” নামক ঐতিহাসিক প্রবন্ধে লিখিয়াছেন - যে “যাহার অনেক বয়সেও উলঙ্গ হইতে সঙ্কোচ বোৰ করে না তাহ- । দিগকে ডেকর বলিয়া গালি দেওয়া হয়। তাই ডেকরাপাড়া নামে । বোধহয় গ্রামটিতে উলঙ্গ জৈনদিগের নিবাস ছিল।" ইহাতে মনে হয় ভট্টশালী মহাশয় কেবলমাত্র অনুমানের উপর নির্ভর করিয়াই ঐক্ষপ । সিদ্ধান্তে উপনীত হইয়াছেন। প্রকৃতপক্ষে বক্তযোগিনী গ্রামের দক্ষিণস্থ । অংশ ডেকাপাড় (বর্তমান দেপাড়া) নামক স্থানের ইতিহাস অনুরূপ। । অতি প্রাচীনকাল হইতে দেও বংশ ( বা 'দে বংশ) তথায় বাস করিয়া আসিতেছেন এবং প্রাচীন একঘর ‘কর বংশকেও তখায় বাস করিতে দেখা যায়। দে’ ও ‘করের বাসভূমি ডেকরাপাড়ার পুরাতন দলিলপত্রে ইহাকে 'দেকর' পাড়া নামে উল্লিখিত হইতে দেখা যায়। উক্ত গ্রামনিবাসী একটি বৃদ্ধ মুসলমান ও নিকটবৰ্ত্তী আলদি-নিবাসী একজন প্রাচীন কুস্তকার ইহাকে ডেকরপাড়া নামে অভিহিত করিত। হুতরাং কালসহকারে দেকরপাড়া পরিবৰ্ত্তিত হইয়৷ ডেক্ষরপাড়া বা ডেকরাপাড়ায়