পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

------------------- --


দুঃখ কোরোনা,-আমার সঙ্গে আবার দেখা হবে । ইতি— তোমার দিদি । চিঠিখান লিথিয়। অরুণ একখান খামের মধ্যে পূরিয়৷ ঠিকানা লিখিল। মুধীরকে নিকটে দেখিয়া কহিল—বেশ করে পড়াশুনে করবি ত সুধীর ? সহসা এরূপ প্রশ্নে বালক একটু আশ্চৰ্য্য হইয়া কহিল— আমিই ত দিদি আমাদের ক্লাশের ফাষ্ট বয়। অরুণা –দেথিস্ যেন কখনো সেকেণ্ড হস্নি। এই চিঠিখান ডাকে দিয়ে আয় দেখি । রাত্রি তখন প্রায় দ্বিপ্রহর। ভবেশবাবুদের বাড়ীর খিড়কী দরজা দিয়া একটি স্ত্রীলোক নিঃশব্দে বাহির হইল। পথে লোক ছিল না। রমণী দ্রুতপদে নিকটবৰ্ত্তী গঙ্গার ঘাটে গিয়া উপস্থিত হইল। অন্ধকার রাত্রি, নির্জন ঘাট, নিকটে কোথাও নৌকার আলোটি পর্য্যন্ত দেখা যায় না। শুধু গঙ্গার জল ছলছল রবে কোন অনন্ত তীর্থাভিমুখে ছুটিয়৷ চলিয়াছে। গণেশ এবং অনুপম। তখনও তাতাদের ছাদে বসিয়৷ গল্প করিতেছিল। সহসা গণেশ আকাশের দিকে অঙ্গুলি তুলিয়া কহিল—ঐ দেখ অন্ত, একটা তার গঙ্গার বুকে খসে পড়ল । শ্ৰীক্ষেত্রমোহন সেন । মধ্যাহ্ন আজি স্তন্ধ মধ্যাহ্নের অস্তরের মাঝে নিখিল বিশ্বের গৃঢ় মর্শ্ববীণা বাজে - বক্ষের গোপন তালে ; নীরব, সুধীর ; মহান প্রণব জাগে মৌন সুগভীর। একি তব অগ্নি-যোগ, হে মহ তাপস । • পিপাস চকোর সম তোমার মানস ফিরে কোথা বোম-পথে ! প্রগর কিরণ অনল-রসন মেলি পরশে চরণ ! তৃপ্ত তব হিয়৷ আজি কোন সুধা পানে ? দীপ্ত ও আননখানি কার মহা ধ্যানে ? নিখিল ভূবন আজি তব পদকাছে মীরক বচনহারা নত হয়ে আছে। হেরি এ মৃরতি তব, হে রুদ্র সুন্দর । - সুহূর্মে নমিয়া পড়ে আমার অন্তর। o শ্রীপরিমলকুমার ঘোষ । - - প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩২২

  • ・ヘヘヘー・ヘヘヘヘヘヘ。

ঐীরন্দাবন দর্শন কিছুদিন বৃন্দাবনে বাসের ফলে যেসকল পবিত্র প্রাচীন স্মৃতিবিজড়িত স্থান, মন্দির, বন ও কুণ্ডাদি দর্শন করিয়াছি ও ব্ৰজবাসীদিগের নিকট এবং পুস্তকাদি হইতে তৎসম্বন্ধে বিবিধ তথ্য অবগত হইয়। ঐ সকলের যেসমস্ত আলোকচিত্র গ্রহণ করিয়াছি, তাহার অধিকাংশই অপ্রকাশিতপূৰ্ব্ব । এক্ষণে ঐসকল চিত্র যৎকিঞ্চিং বিবরণ সহ পাঠকপাঠিকাগণকে উপহার দিতে অগ্রসর হইয়াছি । মিউনিসিপ্যালিট । বৃন্দাবনে প্রবেশ করিয়াই এতংদেশীয় লোকের তথাকার মিউনিসিপ্যালিটীর কদৰ্য্য কাৰ্য্যপ্রণালী সৰ্ব্বপ্রথম দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়া থাকে। দুৰ্গন্ধময় আবর্জন, এমন কি মলমূত্র পর্য্যন্ত, পল্লীর প্রসিদ্ধ রাস্তার পাশ্বে স্থানে স্থানে স্তুপীকৃত দেখিতে পাওয়া যায়। উহ মধ্যে মধ্যে পথের মাঝে ছড়াইয়া দিতেও দেখিয়াছি । আর বৃষ্টি হইলে ত কথাই নাই, ড়েন না থাকায় ঐসকল ময়লা সমস্ত পথে বিক্ষিপ্ত হইয়া যায়। স্থান-মাহাক্স্যে তথায় ঐসকল অস্পৃশ্য দ্রব্য রজে পরিণত হইয়৷ অতি পবিত্র অবস্থ৷ প্রাপ্ত হইলেও, স্বাস্থ্যতত্ত্বের হিসাবে উহার অপবিত্রতা অক্ষুধই থাকে এবং অনেক সময় যে কলের ও অন্য সংক্রামক ব্যাধিসকল ভীষণাকারে দেখা দেয় তাহার মূল কারণও উহাই বলিয়া অসুমিত হয়। এরূপ তীর্থস্থানে দেবালয়পাশ্বস্থ পথগুলিতে রাত্রে যেরূপ আলোকের । বন্দোবস্ত থাকা উচিত, সকল স্থানে তাহ নাই। মিউ ৷ নিসিপ্যালিটীর আয় হয়ত যথেষ্ট না থাকাতেই এইসকল অভাব । কিন্তু লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করিয়া যেসকল মহাত্মা | বহু মন্দিরাদি প্রতিষ্ঠা করিয়া সেবাদির ব্যবস্থা করিয়াছেন তাহার এ বিষয়ে একটু লক্ষ্য করিলেই অচিরে সমস্ত অভাব দূর হইতে পারে। পথ ঘাট। গ্রামের ভিতর সোজা প্রশস্ত খুব দীর্ঘ পথ না থাকিলেও অনতিপ্রশস্ত সদর রাস্তাগুলি নিতান্ত মন্দ নহে। কোন কোন গলিপথ বড় বড় পাথর ফেলিয়৷ প্রস্তুত করা হইয়াছে এবং স্থানে স্থানে ছোট ইটের খাদরি করাও দেখিতে পাওয়া যায়। মথুরা হইতে বৃন্দাবন পৰ্য্যন্ত যে পথ আছে উহা বেশ প্রশস্ত ও পরিষ্কার, কিন্তু [ ১৫শ, ভাগ, ১ম খণ্ড ১ম সংখ্যা ] , সন্ধ্যার পর হইতে এই পথ বিপদ সস্থল। সময় সময় দহ ডাকাতের - ভয়ের জন্য সরকার রাত্রে ঐ পথে গমনাগমন বন্ধ করিয়া দেন । এই পথ শেষ হইয়া বৃন্দাবনের ভিতর প্রবেশ করিয়া যে পথ প্রথম পাওয়া যায়, উহা অতিশয় প্রশস্ত এবং উহাই গ্রামের মধ্যে সৰ্ব্বপ্রধান রাস্তা | প্রধান পোষ্ট অফিম, মিউনিসিপ্যাল অফিয, থানা, গোবিন্দজীউর মন্দির ও শেঠেদের ঠাকুরবাট প্রভৃতি ইহার পাশ্বেই অবস্থিত । জলবায়ু ও প্রাকৃতিক দৃশ্য। বৃন্দাবনধাম একটি ছোট উপদ্বীপের ন্যায়, ইহার প্রায় তিন দিক যমুনার - শ্রীরন্দাবন দর্শন - °/ヘイ・ヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘン、ヘし、 শ্ৰীশ্রীরাধাগোপীজনবল্লভজীউ । দ্বারা মেখলার ন্যায় পরিবেষ্টিত । তখন বর্ষাকাল। যমুনা কূলে কুলে ভরা, অতি প্রবল লোতস্বতী। স্রোত অতি প্রখর হইলেও তরঙ্গ নাই, অতি প্রশস্ত, নৌকা ভিন্ন পারাপারের অন্য উপায় নাই। Ns নােৱা ভ্রমণে যমুনার একদিকে বহু উচ্চচূড় মন্দির, ২ প্রাচীন দেবালয় এবং বৃহৎ ও সুন্দর কারুকার্য্যবিশিষ্ট —— - প্রস্তরনিৰ্ম্মিত ঘাট প্রভৃতিতে শোভিত প্রাচীন নগরী এবং অন্য পারে কেবল হরিৎ বনরাজীশোভা, অতি মনোরম দৃশু কেশী-ঘাট, বস্ত্রহরণঘাট, স্বৰ্য্য-ঘাট, প্রভৃতি দেখিয়া স্বতই মনে হয় এই কি সেই শ্রীকৃষ্ণের পদস্পষ্ট পবিত্র স্কিন্ধসলীলা যমুনা ? তখন যে ভাবে হৃদয় ভরিয়া যায় তাহা বর্ণনা করিবার সাধ্য নাই। । , নগরের মধ্যে,—প্রেমিক ভাবুকের চক্ষে অনিৰ্ব্বচনীয় সৌন্দর্ঘ্যের অভাব নাই ইহা নিশ্চয়, কিন্তু সাধারণ চক্ষে প্রাকৃতিক সৌন্দৰ্য্য বিশেষ নাই। শীত ও গ্রীষ্মের প্রভাব অত্যন্ত বেশী থাকায় ও তাদৃশ বৃষ্টি না থাকায় সবুজ তৃণ ও শাকসব্জীর ' একান্ত অভাব পরিলক্ষিত হয়। আর স্থলে কুকুর, বদর, মশা এবং যমুনার জলে কচ্ছপ তথাকার বিশেষত্ব বলা যাইতে পারে। - --- বিস্তর কূপ থাকিলেও যমুনার खर्ज्ञां श्रानीश्व' . প্রধান ভরসা, জলও গঙ্গাজলের ন্যায় স্বমিষ্ট। কুপের জল - - -