পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৩১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՓԳՆ অনেকে জানিতে ইচ্ছা করেন যে আজকালকার প্রধান প্রধান যুদ্ধব্যবসায়ী ও বিখ্যাত নারীদিগের এ সম্বন্ধে মত কি। এ সম্বন্ধে কয়েকজন বিখ্যাত সেনানায়ক ও মহিলার অভিমত জিজ্ঞাসা করিয়া প্রত্যেককে নিম্নলিখিত কয়টি প্রশ্ন করিয়া পাঠানো হইয়াছিল। তাহারা যে উত্তর দিয়াছেন তাহাও প্রকাশিত হইল । প্রশ্ন ক'টি এই— ১ । স্ত্রীলোক অবিবাহিত, কৰ্ম্মঠ, স্বাস্থাসম্পন্ন হইলে তাহার পক্ষে সৈনিক হওয়া উচিত কি না। ২ । ১৮৭০ খৃষ্টাব্দে ফরাসী স্ত্রীলোকরা যেমন দেশের জন্ত যুদ্ধ করিয়াছিল আপনিও সেইরূপ দেশের জন্য যুদ্ধ করিতে প্রস্তুত আছেন কি না। (এই প্রশ্নটি শুধু স্ত্রীলোক দিগের জন্য )। ৩। আত্মরক্ষার জন্য মেয়েদের ব্যায়াম, কুচকাওয়াজ ও বন্দুকচালনা করাটা কি আপনি কিছু অসম্মানের কার্য্য বলিয়া মনে করেন? আপনি মেয়েদেরও ছেলেদের মতই শারীরিক শক্তির অনুশীলন দরকার মনে করেন কি ? ইহার উত্তরে সেনাধ্যক্ষ লর্ড রবার্টস লিখিয়াছেন— দেশের জন্য যে মেয়ের যুদ্ধ করিতে যাইবে ইহা আমি কস্মিন কালেও সম্ভব বা বাঞ্ছনীয় মনে করি না। তবে মেয়েদেরও ছেলেদের মত শারীরিক শক্তির অনুশীলন দরকার—কিন্তু তাহা যুদ্ধ করা বা পুরুষের কাজ কাড়িয় করিতে যাইবার জন্য নয়—শুধু প্রকৃত স্বাস্থ্যসম্পন্ন শক্তিশালী জাতির জননী হইবার জন্য। তবে মেয়ের যুদ্ধে আহতদিগের সেবা ও শুশ্ৰুষা করিতে শিক্ষা করে—এটা খুবই বাঞ্ছনীয় বটে—এবং যদি তাহারা দেশের কোনো কাজ করিতে পারে তো এই দিক দিয়াই পারিবে । সেনাধ্যক্ষ সার জন ফ্রেঞ্চ তাহার মত প্রকাশ করিয়াছেন যে—দরকার পড়িলে মেয়েরা যে নি:স্বার্থভাবে সাহসের সহিত দেশের জন্য লড়িবে তাহাতে তিনি সন্দেহ করেন না বটে, তবে, অন্যদিকে করিবার মত নারীদের যথেষ্ট কাজ আছে; যথা আহত সেনাদের সেবা ও শুশ্রুষা করা। নারীদলের একজন সুযোগ্য নেত্রী মিসেস এম ই ব্যাক্সটার লিথিয়াছেন—স্ত্রীলোকদের কাজ সব সময়েই একটা নির্দিষ্ট সীমাবদ্ধ থাকা উচিত—তবে দরকার পড়িলে যুদ্ধকাৰ্য্য হইতে তাহারা পশ্চাৎপদই বা হইবে কেন ? প্রবালী—ভাদ্র, ১৩২২ ーへヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘ [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড ভাইকাউন্টেস হার্বার্টন—যে স্ত্রীলোক যুদ্ধকাৰ্য্য গ্রহণ করিতে চায় তাহাকে তাহাতে বাধা দেওয়াই বা হইবে কেন ? বড় বড় বিষয়ে পুরুষত্ব বা নারীত্বের চাইতে মনুষ্যত্বটাই আগে দেখা উচিত। মেয়েদের দৈহিকশক্তির অনুশীলনে আমি লজ্জার বিষয় কিছু দেখি না—বাস্তবিক লজ্জ ও অসম্মানের ফিৰয় যদি কিছু থাকে তো সে অবুঝের মত অর্থলোভী লোকেদের পাল্লায় পড়িয়া হুজুগের মাথায় কিস্তৃতকিমাকার যত সব পোষাক পরিয়া সঙ, সাজিয়া নিতান্ত হাস্যাম্পদ হওয়ায়। যে বিষয় দেশের দিকে নারীদের চিত্তকে উদ্বোধিত করে তাহাতে বাধা না দেওয়াই সমস্ত দেশের ও জাতির পক্ষে কল্যাণকর সন্দেহ নাই । বিখ্যাত সন্তরণকারিণী মিসেস এইচ এম প্রাইসজোনস মেয়েদের দৈহিক শক্তির অনুশীলনের একান্ত প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করিয়া বলিয়াছেন যে যুদ্ধ সম্বন্ধে সাবেক ব্যবস্থাটাই ঠিক-পুরুষরা যুদ্ধ করিতে যাইবে ও স্ত্রীলোকে কান্নাকাটি না করিয়া তাহাতে তাহাদের উৎসাহিত করিবে । তবে প্রস্তুত থাকাটা ভালো। সেই কারণে ছেলে মেয়ে সকলকেই রীতিমত যুদ্ধ শিক্ষা দেওয়া দরকার। বিখ্যাত অভিনেত্রী ও উপন্যাস-লেপিকা মিস এলিজাবেথ রবিন লিথিয়াছেন—পুরুষের চেয়েও স্ত্রীলোকদের শারীরিক শক্তির অনুশীলন বেশী দরকার, যেহেতু পাশবিক অত্যাচারে পুরুষদের চেয়ে ভূগিতে হয় মেয়েদেরই বেশী এবং বিশেষত: পুরুষদের অপেক্ষ স্ত্রীলোকদের ভিতর অভ্যাস ও পোষাক প্রভৃতির জঘন্য কৃত্রিমতা এথনে ঢের বেশী পরিমাণে রহিয়াছে। সেট যাওয়া দরকার। পৃথিবীতে যুদ্ধই যদি রহিয়া গেল তো পুরুষ স্ত্রী সকলেরই তাহাতে সমভাগী হওয়া উচিত। তবে একটা দিকে খুবই লক্ষ্য রাখ প্রয়োজন যে স্ত্রীলোকদের সঞ্চিত শক্তির অপব্যয় না হয়, শুধু লোক ও সমাজের ধ্বংসকার্য্যে তাহ ব্যবহৃত না হইয় তাহাদের গঠনকার্য্যে যেন নিয়োজিত হয়। বিখ্যাত লেখিকা রেন্ট ল এজলারের মতে প্রকৃত গুণ বর্তী রমণীর পক্ষে যুদ্ধের চাইতে শাস্তির ভিতরেই বেশী করিবার মত কাজ আছে। তবে যুদ্ধ ঘটিলে, ইতিহাসের বীরাঙ্গনাদের দৃষ্টাস্তের দ্বারা তাহার মনে হয় যে, স্ত্রীলোকেরা ৫ম সংখ্যা ] SMMSS S S S S S S S S S S S S S -- রুষ-নারী সৈনিক কির বাপ্তির -বয়স আঠারে। নিকোলাস পপক্ষ এই ছদ্ম নামে রুশ সৈন্যদলে ভৰ্ত্তি হইয়াছিলেন। সাহস প্রদর্শনের জন্ত ইনি সেন্ট জজের ক্রস পুরস্কার পাইয়াছেন। বোধ হয় নিতান্ত অযোগ্যতা দেখাইবে না। ইংলণ্ড শক্রর দ্বারা আক্রান্ত হইলে তিনি যুদ্ধ করিতে প্রস্তুত কিনা এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন যে স্ত্রীলোকের সাহায্য ও উৎসাহ লাভ করিয়া পুরুষসৈন্যরা যদি দেশের জন্য লড়াই করির মরে তখন বিজিত জাতির নারীদের অদৃষ্টে যাহা ঘটিয়া থাকে তাহার জন্য প্রতীক্ষা করার চেয়ে যুদ্ধে হত গঠিত নয়। পরস্পর দ্বন্দ্ব না করিয়াও পুরুষ ও নারী বেশ । নারীর সৈনিক হওয়া উচিত কি না ¢ፃፃ S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S S SMSSSMSSSMSSSMSSSMSSS পুরুষদের স্থানে গিয়া লড়াই করিয়া মরা তিনি খুব ভালে৷ মনে করেন । সফ্রেজিষ্টদলের একজন বিখ্যাত নায়িক উলষ্টেনহোম এল্‌মি লিখিয়াছেন—সত্তর বছরের একজন বৃদ্ধ বন্দুক ঘাড়ে করিয়া যুদ্ধে যাইবে এরূপ আশা আপনার নিশ্চয়ই কখনই করেন না। লর্ড রবার্টসের কথার উত্তরে আমি এই বলি যে, দেহের উৎকর্ষ সাধনের জন্য যুদ্ধশিক্ষার কিছুমাত্র প্রয়োজন । নাই। আর-এক কথা মেয়েদের পর্যন্ত লড়ায়ের দিকে টানিয়া । শেষটা ফল হইবে এই যে দেশের মধ্যে মারামারি কাট - কাটির প্রবৃত্তিটাকে অনর্থক অযথা বাড়াইয় - ড়িাই তুলি শান্তি । নামক পদার্থটার একেবারে বিলোপ সাধন করা হইবে। । হকি-খেলার ওস্তাদ ও পুরাদপ্তর পালোয়ান মিস অসব্যালডিষ্টন বলেন—প্রশ্নটা সময়োপ যাগী বটে। পচিশ বৎসরের মধ্যে স্ত্রীলোকদের ভিতর যেন একটা । যুগান্তর ঘটিয়া গিয়াছে। স্ত্রীলোকরা ক্রমশই দৈহিক । শক্তিতে উৎকৰ্ষ লাভ করিতেছে আর পুরুষরা ক্রমশই বুকসক্ল লিকলিকে তালপাতার সেপাই হইতেছে। কথাটা । 'অবলা' না হইয়। 'অবল হইলেই মানেট ঠিক হয়। শিক্ষা পাইলে স্ত্রীলোকর ভালো দৈনিক হইতে পারবে সন্দেহ । নাই । স্ত্রীলোকদের যুদ্ধে যাওয়ার সপক্ষে আর-একটা যুক্তি । এই যে সেবা ও শুশ্ৰুষার কাৰ্য্যে পুরুষরাই নাকি ཨ་ཝ། ། কাল খুব ভালো বলিয়া জানা গিয়াছে এবং যেহেতু ইণ্ডে । পুরুষের সংখ্যার চেয়ে নারীর সংখ্য এক ক্ষেরও কিছু - বেশী এবং এই একলক্ষ স্ত্রীলোকের অদৃষ্টে স্বামীলাভ যখন । সম্ভব নয় তখন বাধ্যতামূলক যুদ্ধপ্রথা হইলেই বা যুদ্ধে । যাইতে বাধা কি ? অন্ততঃ আমি তো পিছপা নই। ੋ মিস ইলেইন টেরিস—দরকার পড়িলে স্ত্রীলোকদেরও ৷ যুদ্ধে যাওয়া উচিত বটে এবং আমি নিজেও যাইতে । প্রস্তুত। তবে আহতের সেবা ও শুশ্ৰুষার দিকে । স্ত্রীলোকদের ক্ষমতা পরিচালনা করাটাই আমি বেশ । দরকার মনে করি। তাহাদের দৈহিক শক্তির অনুশীলনও দরকার বটে। তবে সকল বিষয়েই আমরা একটু । বাড়াবাড়ি করিয়া ফেলি। আমার মনে হয় যে স্ত্রীলোকের দেহ খুব কঠিন কাজ করিবার মত করিয়া । - - -- - -