পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৩১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Φb-8 এই জালের চারিকোণের চারিটি রজ্জর সহিত একখানি হালকা চতুষ্কোণ গাড়ী ঝুলাইয়া রাখিয়া তদুপরি পূৰ্ব্বোক্ত ইঞ্জিন রক্ষিত হইল। সৰ্ব্বশেষে পূৰ্ব্বের মত ব্যোমযানের সঙ্গে একটি পাল জুড়িয়া দেওয়া হইল। এই বায়বীয় যানে আরোহণ করিয়া গিফাড বায়ুর গতির বিপরীত দিকে চলিতে সমর্থ হইলেন। কিন্তু অবতরণ করিবার সময় ভূমির সংস্পর্শে আসিয়৷ ইহার একদিক উপর দিকে উঠিয়া যাওয়ায় সমস্ত যন্ত্রটি একেবারে ধ্বংসপ্রাপ্ত হইল। তিনি আরও অনেক প্রকার ব্যোমযান প্রস্তুত করেন। কিন্তু এস্থলে যেটির বর্ণনা প্রদত্ত হইল তাহা অপেক্ষা আর কোনটিই উন্নতস্তরের নহে। ১৮৭২ সালে পাউল হেনলাইন নূতন প্রণালীতে একটি ব্যোমযান প্রস্তুত করিলেন। এই ব্যোমযানের আকৃতি একটু অদ্ভুত রকমের। পূৰ্ব্বে মাকুর আকারের যে বেলুনের কথা বলা হইয়াছে তাহার দুইদিক সরু হইয়৷ গিয়াছে। ইহার কিন্তু কেবল একদিক সরু। সেখান হইতে ক্রমশ: মোটা হইয়াছে। এই বোম্যান কয়লার গ্যাসে (coal gas) পরিপূর্ণ করিয়া নিয়ে একটি ইন্ধিনের সহিত সংযুক্ত করা হষ্টত এবং গ্যাসকে প্ৰজলিত করিয়া ইঞ্জিন চালিত হইত। উক্তরূপ ব্যোমযান হইতে গ্যাসের ক্ষয় হওয়ায় বোম্যানের আকৃতি ক্ষুদ্র হইয়া যাইতে পারে, এই দোষ দূর করিবার জন্য পম্পের সাহায্যে বোম্যানের মধ্যস্থ অন্য একটি গোলকে অবিরত বায়ু পূর্ণ করা হইত। উক্ত ইঞ্জিন stoff Trapezium আকৃতির পাখাকে ঘুরাইলে সমস্ত যন্ত্রটি চলিতে আরম্ভ করিত। এই বোম্যান প্রতিসেকেণ্ডে প্রায় ৫ ফুট বেগে চলিতে পারিত। কিন্তু ইহার নিৰ্ম্মাণকারী অর্থাভাবপ্রযুক্ত অন্য কোন পরীক্ষা করিতে সমর্থ হন নাই । ১৮৭২ খৃষ্টাব্দে ফ্রান্স ও প্রশিয়ার যুদ্ধের সময় ফরাসী কর্তৃপক্ষ ভূপয় ডি লোমকে একখানি বোমযান নিৰ্ম্মাণ করিতে নিযুক্ত করিলেন। ইতিপূৰ্ব্বে যেসমস্ত ব্যোমযান প্রস্তুত হইয়াছিল তাহাদের কতকগুলি বৈদ্যুতিকশক্তিচালিত মোটর অথবা গ্যাসচালিত ষ্টপ্লিনের সাহায্যেই বায়ুমণ্ডলে পরিভ্রমণ করিত ; কিন্তু ডি লোম সে-সমুদায় পরিত্যাগ করিয়া ইহাকে মহুয্য-শক্তিতে চালাইবার প্রবাসী—ভাদ্র, ১৩২২ SumitaBot (আলাপ) ০৮:৪২, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)്SumitaBot (আলাপ) ০৮:৪২, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)ഹപ്ര *۔ منہ مہرہے ہمہمہ محم [ >** डों* »आ थछ پیہم۔م۔م۔ مہمحمحم* مـ বন্দোবস্ত করিলেন। তিনি তাহার নবোস্তাবিত বোমযানে একটি বায়ুপূর্ণ গোলক ব্যবহার করিয়াছিলেন। উক্ত গোলকের সঙ্গে রজ্জ্বর সাহায্যে একখানি পক্ষসংযুক্ত শকট ঝুলাইয়। রাখিয়াছিলেন। আটজন লোক অত্যন্ত শক্তি প্রয়োগ করিয়া এই পাথ খুরাইলে যন্ত্রটি প্রতি সেকেণ্ডে ৪ ফুট গতিতে চলিতে পুরিত এবং বায়ুর গতির অভিমুখ श्रें:उ ३छ्भउ ४० खिश्चि श्रशास्त्र দিকপরিবর্তন করিয়া গমন করিতে সমর্থ হইত। ডি লোমের পরেও ফ্রান্সে নূতন প্রণালীতে দুই চারিটি বেলুন প্রস্তুত হইয়াছিল। তাহদের প্রায়গুলিই বৈদ্যুতিক শক্তি-চালিত মোটরের সাহায্যে ভ্রমণ করিত। ইহার পরিবর্তীকালে সেনাপতি রেনার্ড এবং ক্রেবস যে বোম্যান আবিষ্কার করিলেন, তাহাই স্বেচ্ছাচালিত ব্যোমযানের দ্রুত উন্নতির নূতন পথ উন্মুক্ত করিয়া দেয়। তাহারা ১৮৮৪ খৃষ্টাব্দে যে ব্যোমযান .প্রস্তুত করিলেন তাহা দেখিতে অনেকটা মৎস্যের মত এবং পূৰ্ব্বনিধিত বেলুন অপেক্ষা অত্যন্ত বৃহৎ । নয় অশ্ববল একখানি অত্যন্ত হালকা বৈদ্যু তিক মোটর একখানি পাথাকে প্রতি মিনিটে ৫. বার ঘুরাইত। এই পাখা সম্মুখভাগে সংযুক্ত হইয়াছিল। কারণ ইহার আবৰ্ত্তনকালে সমস্ত যন্ত্রটি বায়ুর মধ্য দিয়া অনায়াসে চলিতে পারিত। বেলুনের নিম্নদেশে বসিবার যে আসন ছিল, তাহ রজুর সাহায্যে অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে উপরিস্থিত মৎস্তাকৃতি যন্ত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করা ইয়াছিল এবং বেলুনের ভারকেন্দ্র কোন প্রকারে স্থানচ্যুত হইলে তাহ ঠিক রাখিবার জন্য আসনের সঙ্গে একটি ভার ঝুলান ছিল । তাহ একদিক হইতে অন্যদিকে সরাইয়া সমস্ত যন্ত্রটির আন্দোলন নিবারিত হইত। এই বেলুনের নামকরণ হইয়াছিল—'ল ফ্রাস'। প্রথমে ইহার নিৰ্ম্মাতাগণ কোন নির্দিষ্ট স্থান হইতে উক্ত যানে আরোহণ করিয়া পার নগরীর উপরিভাগে অনায়াসে অনেকবার ভ্রমণ করিয়া আবার পূৰ্ব্বনির্দিষ্ট স্থানে প্রত্যাগত হইলেন। কোন স্থান হইতে যাত্রা করিয়া আবার সেই স্থানে নিজশক্তিতে প্রত্যাবৰ্ত্তন এই প্রথম। এই স্থা প্রতিসেকেণ্ডে ২১ ফুট বেগে কম্পিত না হইয়া চলিতে পারিত। বর্তমান সময়ে যেসকল প্রণালী অবলম্বনে ব্যোমযানের r ৫ম সংখ্যা ] উন্নতি সাধিত হইয়াছে, সার জর্জ কেয়েলি একশত বৎসর পূৰ্ব্বে অক্ষশাস্ত্রের সাহায্যে এতদসম্বন্ধীয় বহুপ্রশ্নের মীমাংসা করিতে সচেষ্ট হইয়াছিলেন এবং কতকাংশে সফলতাও লাভ করিয়াছিলেন । এই জন্যই বোধ হয় তাহাকে "Father of British Aeronautics' oil & 41c3 | ১৮৬৬ খৃষ্টাব্দে বেনহাম বহুদিন- পৰ্য্যস্ত বিবিধ পক্ষীর উড়িবার প্রণালী পৰ্য্যবেক্ষণ করিয়া আসিতেছিলেন । অভিজ্ঞতার ফলে তিনি আবিষ্কার করিলেন “যখন কোন হেলান সমতল ( Inclined plane ) বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়া চলিতে থাকে তখন বায়ু তাহাতে উৰ্দ্ধমুখে যে চাপ প্রয়োগ করে তাহা উক্ত তলের সকল স্থানে সমানভাবে প্রযুক্ত হয় না ; কেবল সম্মুখস্থ কতিপয় অংশেই প্রযুক্ত হইয়া থাকে। সুতরাং সন্মুখস্থ দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি না করিয়া লম্বভাবে (Perpendicularly) যন্ত্রটির পরিসর বৃদ্ধি করা উচিত । অপিচ তিনি আরও লক্ষ্য করিলেন কিরূপে একটি বৃহৎ পক্ষী তাহার পক্ষদ্বয় একেবারেই কম্পিত না করিয়া প্রশান্তভাবে অনায়াসেই চলিয়৷ যাইতে পারে। ইহা হইতে তিনি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হইলেন যে পক্ষী উক্ত অবস্থায় উড়িবার সময় বায়ুর অত্যন্ত পাতলা স্তর স্থানচ্যুত হইয় থাকে ; সুতরাং বায়ুমণ্ডলে চালিত হইবার সময় কোন ভারী পদার্থকে নির্ভরশীল করিতে হইলে পূৰ্ব্বলিখিত সম্মুখদেশের সমতলের সংখ্যা বৃদ্ধি করিতে হইবে এবং তৎসমুদয় সমান্তরাল ভাবে মধ্যস্থলে অল্প পরিসর স্থান বাদ দিয়া উপযুপিরি স্থাপন করিতে হইবে। বোধ হয় ইহা হইতেই বাইপ্লেন, ট্রাইপ্লেন ইত্যাদি স্বষ্টি হইয়াছে। বেনহাম শুধু গভীর পর্যবেক্ষণ-ক্ষমতার বলে উপরোক্ত যে সমুদায় সত্য আবিস্কার করিলেন তৎসমুদায় মানবজগতে চিরদিন অমর হইয়া থাকিবে । তিনি কোন প্রকার যন্ত্র প্রস্তুত না করিয়া অথবা কোন পরীক্ষাব্যাপারে লিপ্ত না হইয়া কেবল পৰ্য্যবেক্ষণের সাহায্যে প্রকৃতি-রাজ্যের এক মহারভু আহরণ করিলেন । বেনহামের আবিষ্কৃত তত্ত্ব অবলম্বন করিয়া ফিলিপস পরীক্ষা-কার্য্যে নিযুক্ত হইয়া এক যন্ত্ৰ নিৰ্ম্মাণ করিলেন। পরীক্ষার ফলে দেখা গেল—যন্ত্রটি ভূমি হইতে শূন্যপথে অনায়াসেই উঠিতে পারে, কিন্তু ভ্রমণকালে উহা সাম্যাবস্থা এইপ্রকার বেলুনকে Captive 1" করিতে অক্ষম। বিমানবিহার - •م۔م۔۔-م.*ب۔-v.بی-vب۔-م.۔م۔م۔م۔م۔م۔" --- سیمای مستعمیم. - بر۔۔۔۔SSAS A SAS SSAS SSASAS SS SAAAAASA SAASAASSAAAAAAS AAAAA AAAA AAAA AAAA AAAA SAAAAA AAAA AAAASAAAA م۔م۔م۔s_بہ SAASA SAAAAS AAASASAAAAASAAAA ○br@ Baloon বা ‘বন্দীবেলুন' বলা হইয় থাকে, কারণ উহ একস্থানে দড়ি বাধিয়া উড়াইয় উদ্ধ হইতে চারিদিক পৰ্য্যবেক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হয়, গমনাগমন করিতে উহ ব্যবহার করা চলে না। এই সময়ে আমেরিক, ফ্রান্স, ইংলণ্ড, জাৰ্ম্মানী প্রভৃতি দেশে বেলুনের উন্নতি-সাধনের জন্য প্রভূত চেষ্টা চলিতেছিল । আমেরিক এবং জাৰ্ম্মানী এই ব্যাপারে সর্বশেষে হস্তক্ষেপ করিয়াছে । আমেরিকান পদার্থবিজ্ঞানবিদ এস পি লেঙ্গলি বহুগবেষণার ফলে ব্যোমযানের উন্নতিসাধন করিয়া যান। এই সময়ে পরীক্ষকগণ পক্ষীর পাথার সদৃশ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র যন্ত্র এবং পরে তদনুরূপ বৃহৎ যন্ত্র প্রস্তুত করিয়া পৰ্ব্বত ব৷ কোন উচ্চ স্থান হইতে উক্ত যন্ত্রে আরোহণ করিয়া নিম্ন ভূমিতে অবতরণ করিবার চেষ্টা করিতে লাগিলেন। লিলিয়েনথালের উত্তাবিত উড়িবার কল । এই কাৰ্য্যে সৰ্ব্বপ্রথমে অটাে লিলিয়েস্থাল নামক একজন জাৰ্ম্মান ইঞ্জিনিয়ার আত্মনিয়োগ করিলেন এবং তাহার পরীক্ষাপ্রণালী আজ পর্য্যস্ত জগতে বিখ্যাত হইয়৷ রহিয়াছে। পক্ষীর ডানার মত দুইখানি ডান তাহার পৃষ্ঠদেশে আবদ্ধ করিয়া দেখিলেন ৪৫ ফুট উচ্চস্থান হইতে উড়িয়া প্রায় ৪৫০ ফুট দূর ভূমিতে নিজের ইচ্ছামত শরীর তান্দোলন ও দিক পরিবর্তন করিয়া উপনীত হইতে পারেন। পরে তিনি মোটরের সাহায্যে পরীক্ষা করিতে প্রয়াসী হইলেন এবং তাহ ব্যবহার করিবার জন্য প্রত্যেক পার্শ্বে দ্বিসমতল-পৃষ্ঠ-বিশিষ্ট ব্যোমযান নিৰ্ম্মাণ করিলেন। র্তাহার উদ্ভাবিত প্রণালী আমেরিকায় হেরিং, ইংলণ্ডে