পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৩১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Φίro" ...--م.م.م.A-ی۔۔م۔-محم--محم^ ছিলেন তখন অনেক প্রতিদ্বন্দ্বী বিদেশের গভমেন্ট তাহাকে অর্থপ্রলোভন প্রদর্শন করিয়াছিল। কিন্তু তিনি কোন প্রকার প্রলোভনে পড়িয়া স্বদেশের নিকট বিশ্বাসঘাতক হইলেন না এবং যাহাতে তাহার আবিষ্কার কোন প্রকারে বিদেশীদের নিকট প্রকাশিত হইয়া না পড়ে, সেজন্য যথাসাধ্য সাবধানত অবলম্বন করিলেন। কেহই অনুমতি ব্যতীত কারখানার নিকটে যাইতে পারিত না , কারিকর এবং বোম্যান-পরিচালকগণ এই সকল বিষয় যাহাতে সম্পূর্ণরূপে গোপন রাখেন তজ্জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হইলেন। কিন্তু এইসকল সাবধানতা-সত্বেও ফরাসীজাতি ভাগ্যক্রমে ইহার প্রস্তুতপ্রণালী অবগত হইবার সুযোগ প্রাপ্ত হইয়াছে। ১৯১২ খ্ৰীষ্টাব্দে একখানি জেপেলিন ফ্রান্সে লুভ্যা নামক স্থানে অবতরণ করিতে বাধ্য হইল ; তখন বোম্যানবিদ্যায় সুদক্ষ ব্যক্তিগণ ২৪ ঘণ্টা পর্যান্ত তাহ আবদ্ধ রাখিয়া এই বিরাট যন্ত্রের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সমস্ত পর্য্যবেক্ষণ করিয়া লইলেন। তথাপি আকাশযানে জাৰ্ম্মানীই এখনো প্রধান হইয়া আছে; এবং সম্প্রতি নূতন ধরণের বলিষ্ঠ রকমের ট্রাইপ্লেন উদ্ভাবনের সংবাদ রয়টারের টেলিগ্রামে পাওয়া গিয়াছে। শ্ৰীনগেন্দ্রচন্দ্র দত্তগুপ্ত। শিক্ষকের আকাঙ্ক্ষা ও আদর্শ জ্যৈষ্ঠের প্রবাসীতে শিক্ষকের আশা ও আশঙ্কা শীর্ষক একটি প্রবন্ধ লিথিয়াছি। তৎসম্বন্ধে আষাঢ়ের প্রবাসীতে কেহ আলোচনা করিতে পারেন এই আশা ছিলাম, সে আশা পূর্ণ হয় নাই। এক্ষণে তৎপ্রসঙ্গে আরও কিছু বলিতে চাহি। উল্লিখিত প্রবন্ধে বাঙ্গালা-সাহিত্যের সম্বন্ধে যে কথাগুলি বলিয়াছি, ইংরেজি-সাহিত্যের ক্ষেত্রে সেই কথাগুলি পরখ করিতে গেলে দেখিতে পাই যে, পূর্বের অবস্থা যাহাই হউক, গত পঞ্চাশ বৎসরে বিজ্ঞান, দর্শন, গণিত, ইতিহাস, রাষ্ট্রনীতি, অর্থনীতি প্রভৃতি শাস্ত্রে গবেষণামূলক গ্রন্থাদি রচনা, পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন ও সন্দর্ভরচনা,সাহিত্যের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ, কাব্য-সমালোচনা, কাব্যাদি-সম্পাদন, কবিজীবনচরিত প্রবাসী—ভাদ্র, ১৩২২ ! রচনা, প্রাচীন সাহিত্যের অম্বুবাদ, অভিধান-সঙ্কলন, প্রভৃতি কাৰ্য্য শিক্ষক-সম্প্রদায়ের একপ্রকার একচেটিয়া হইয়। দাড়াইয়াছে। নামনির্দেশ নিম্প্রয়োজন, এই-সকল শ্রেণীর যে-কোন পুস্তক খুলিলেই এ কথার সত্যতা প্রমাণিত হয়। এতজ্জাতীয় লেখকদিগের বোধ হয় সাড়ে পনর আন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ব্যু স্কুলের শিক্ষক। ধৰ্ম্মযাজকদিগকেও যদি শিক্ষকশ্রেণীর অন্তভূক্ত করা যায়, তাহা হইলে ত অনুপাত আরও বাড়িয়া যায়। সম্ভবতঃ ফ্র্যান্স, জাৰ্ম্মানি ইউনাইটেড ষ্টেটুস প্রভৃতি দেশেও এই অবস্থা। এক্ষেত্রে বিলাতের শিক্ষকসম্প্রদায়ের কৃতিত্বের তুলনায় আমাদের দেশের শিক্ষকসম্প্রদায়ের কৃতিত্ব নিতান্ত অকিঞ্চিংকর। তবে এই প্রভেদের কয়েকটি কারণ মনে রাখিতে হইবে। প্রথমতঃ, ঐ-সকল দেশে জ্ঞানলাভ ও জ্ঞানের পরিচয়প্রদান উভয়ই মাতৃভাষার ভিতর দিয়া ঘটে। আমাদের দেশে উভয়,কাৰ্য্যই পরের ভাষার ভিতর দিয়৷ সম্পন্ন করিতে হয়, সুতরাং উভয় কাৰ্য্যই সহজসাধ্য নহে। পরের ভাষার তিতর দিয়া জ্ঞানসঞ্চয় করা বরং অপেক্ষাকৃত সহজ, কিন্তু সেই ভাষার ভিতর দিয়া গবেষণার পরিচয় দেওয়া স্থকঠিন । যাহা হউক, তথাপি শ্ৰীযুক্ত জগদীশচন্দ্র বস্থ, শ্ৰীযুক্ত প্রফুল্লচন্দ্র রায়, শ্ৰীযুক্ত ব্রজেন্দ্রনাথ শীল, শ্ৰীযুক্ত হীরালাল হালদার, শ্ৰীযুক্ত যদুনাথ সরকার, শ্ৰীযুক্ত রাধাকুমুদ মুখোপাধ্যায়, শ্ৰীযুক্ত বিনয়কুমার সরকার প্রভৃতি পরের ভাষার ভিতর দিয়া স্ব স্ব জ্ঞানগবেষণার পরিচয় দিয়াছেন। এতদ্ভিন্ন গণিত, বিজ্ঞান, দর্শন, তৰ্কশাস্ত্র অঞ্চ নীতি প্রভৃতিতে কয়েকখানি পাঠ্যপুস্তক এতদেশীয় শিক্ষকদিগের দ্বারা বিদেশী ভাষায় প্রণীত श्ञांtछ, কতকগুলি ইংরেজি-সাহিত্যের ব্যাখ্যাপুস্তকও সঙ্কলিত হইয়াছে। ভরশা করি, ভবিষ্যতে সংখ্যা আরও বদ্ধিত হইবে। তবে এগুলি বিলাতী অধ্যাপক প্রভৃতির প্রণীত পাঠ্যপুস্তক ও ব্যাখ্যাপুস্তকের সমকক্ষ, কি কেবল পরস্বাপহরণে অধিকাংশেরই কলেবর পূর্ণ, সে প্রশ্নের বিচার বিশেষজ্ঞগণ করিবেন। দ্বিতীয়তঃ, এদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাদান ও পরীক্ষাগ্রহণ বিদেশী ভাষার ভিতর দিয়াই হয়, কুতরাং পাঠ্যপুস্তক-প্রণয়নে মাতৃভাষার কোন উপকার হয় না। [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড । へヘヘヘヘーへヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘ/。 ASMMMSAASAASAASAASAASAAAS w *ヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘ ـیـم"ہ \ ৫ম সংখ্যা ] SJSJSMSMSMSMS যদি কথন ভবিষ্যতে মাতৃভাষায় শিক্ষাদান ও পরীক্ষাগ্রহণের প্রথা অবলম্বিত হয়, তখন এক্ষেত্রে এতদেশীয় শিক্ষকদিগের কৰ্ত্তব্যের পরিসর অনেক বৰ্দ্ধিত হইবে । বিশ্ববিদ্যালয়ের নিম্নতম পরীক্ষায় কেবল একটি বিষয়ে মাতৃভাষার ভিতর দিয়া শিক্ষাদান ও পরীক্ষা গ্রহণ বৈকল্পিকভাবে (optional) প্রচলিত হইয়াছে। এক্ষেত্রে সুধোগ পাইয়৷ দুই একজন শিক্ষক দুই একখানি পাঠ্যপুস্তক-প্রণয়নও করিয়াছেন। ইহা হইতে বুঝা যায়, স্বযোগ পাইলে এ পথ অবলম্বন করিয়া আমাদের দেশের শিক্ষকগণ দেশভাষা ও সাহিত্যের অনেক উপকার করিতে পারেন। নিম্নশিক্ষার ক্ষেত্রে দেশভাষায় নানাবিষয়ে পুস্তক-প্রকাশের অবসর আছে, অনেক শিক্ষক সেদিকে কৃতিত্ব লাভও করিয়াছেন । তবে এই শ্রেণীর পুস্তক যে-নিয়মে রচিত হয়, তাহাতে যে দেশভাষা ও সাহিত্যের বিশেষ শ্ৰীবৃদ্ধি হইতেছে, এ কথা বলিতে পারি না। - পক্ষান্তরে, বৃহৎ কাব্য বা ক্ষুদ্র কবিতা, বৃহৎ আখ্যায়িকা বা ছোট গল্প, হাস্যরসাভ্রিত, ব্যঙ্গ্যবিদ্রপাত্মক সাহিত্য (comic, humorous, satirical literature ) প্রভৃতি স্বকুমার সাহিত্যের ক্ষেত্রে ইংরেজ শিক্ষকশ্রেণীর বড় একটা কৃতিত্ব দেখা যায় না। জনসন ও গোল্ডস্মিথ, জীবনযাত্রানিৰ্ব্বাহের জন্য নানারূপ উদ্ধৃবৃত্তির মধ্যে শিক্ষকতাও কিছুদিন করিয়াছিলেন, কিন্তু তাহ পৰ্ত্তব্য নহে—কেননা র্তাহারা যখন কাব্যাদি রচনা করিয়াছিলেন তখন তাহারা সাহিত্যস্থষ্টিই বৃত্তিস্বরূপ অবলম্বন করিয়াছিলেন। মিলটনের শিক্ষকতাও ধৰ্ত্তব্য নহে। শেক্সপীয়ার সম্বন্ধে নানা আজগৰী কিংবদন্তী প্রচলিত আছে, তাহার মধ্যে, তিনি কিছুদিন স্থলমাষ্টার করিয়াছিলেন, এ কথাও শুনা যায়। কিন্তু এসব কথা অশুদ্ধেয় । কবি গ্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে নামমাত্র অধ্যাপক ছিলেন । কালাইল কিছুদিন গৃহশিক্ষক ও স্থলমাষ্টার ছিলেন, কিন্তু সেই অজুহাতে র্তাহীকে শিক্ষকশ্রেণীর মধ্যে ধরিলে নিতান্ত গা-জুরী হইবে। তাহাকেও জনসন প্রভৃতির মত সাহিত্যব্যবসায়ীর মধ্যেই ধরিতে হইবে। জন রাস্কিন ও জন উইলসন (ক্ৰিষ্টোফার নর্থ ছদ্ম-নামে পরিচিত ) শেষজীবনে যথাক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ে সুকুমারকল ও নীতিবিজ্ঞানের অধ্যাপক JSAASAASAASAASAAJJMMS শিক্ষকে আকাঙ্গ ও আদর্শ Q。 SAASAASAASAASAAJSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSJSJ --l..............--ബ হইয়াছিলেন, কিন্তু তাহার পূৰ্ব্বেই তাহারা সাহিত্যস্থটি কার্ধ্যে নিপুণতা দেখাইয়াছিলেন। এক্ষেত্রে শিক্ষকশ্রেণীর একমাত্র গৌরবস্থল সুকবি ও বিখ্যাত সমালোচক ম্যাথিউ আৰ্ণল্ড ; তাহার সমালোচনাশক্তি অসাধারণ নহে, কেননা বহু অধ্যাপকই এই ব্যবসায়ে কৃতিত্বলাভ করিয়াছেন; কিন্তু র্তাহার কবিশক্তি এই সম্প্রদায়ের মধ্যে স্থদুলভ। এই আলোচনা হইতে বুঝা গেল যে ইংরেজিসাহিত্যের ক্ষেত্রেও শিক্ষক-সম্প্রদায় কাব্যাদি-রচনাকার্য্যে অতি অল্প অনুপাতেই ব্যাপৃত হইয়াছেন। অতএব আমাদের দেশেও যদি এইরূপ ঘটিয়া থাকে, তাহাতে বিস্মিত বা ব্যথিত হইবার কারণ নাই। ইহা সম্ভবতঃ মনোজগতের কোন গুহ নিয়মের ফল। এবিষয়ে আমার পূৰ্ব্বপ্রবন্ধ-সম্বন্ধে সম্পাদক মহাশয়ের আলোচনার শেষ অনুচ্ছেদ ( প্রবাসী-জ্যৈষ্ঠ ) প্রণিধানযোগ্য। এক্ষণে এই প্রসঙ্গে অন্যভাবে একটু আলোচনা করিতে ইচ্ছা করি। পূৰ্ব্বপ্রবন্ধে বলিয়াছি, শিক্ষকগণ জ্ঞানউপার্জনে ও জ্ঞানবিতরণে সমস্ত জীবন ভরিয়া ব্যাপুত থাকেন, সুতরাং তাহারা সদগ্রন্থ রচনা করিয়া সাধারণের সমক্ষে নিজেদের উপার্জিত জ্ঞানের পরিচয় দিবেন, ছাত্রসম্প্রদায়ের মধ্যেই জ্ঞানদানকাৰ্য্য নিবন্ধ রাথিবেন না— এরূপ আশা করা বাহিরের লোকের পক্ষে স্বাভাবিক। শিক্ষকগণও বহু জ্ঞান লাভ করিয়া শুধু ছাত্রদিগকে তাহার। স্বাদ গ্রহণ করিবার অধিকার দিয়া তৃপ্ত হন না, সাধারণসমক্ষে জ্ঞানপ্রচার করিবার একটা প্রবল উত্তেজনা অনুভব করেন, ইহা বোধ হয় অসঙ্গত নহে। আর-একটি কারণে, শিক্ষকদিগের গ্রন্থরচনা দ্বারা সাধারণ-সমীপে স্ব স্ব উপার্জিত জ্ঞানের প্রচার করিবার ঝেণক হওয়া সম্ভব। যশের লিঙ্গ মানুষের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি। কিন্তু যশের প্রকারভেদ আছে। কতকগুলি বৃত্তি ও ব্যবসায়ে যশস্বীদিগের অস্তুষ্ঠিত কর্ঘ্যের স্কুল নিদর্শন থাকিয়া যায়। স্থপতি, ভাস্কর, চিত্রকর, প্রভৃতি যে-প্রতিভার পরিচয় দেন, তাহার স্থল নিদর্শন বহু শতাব্দী, এমন কি বহু সহস্ৰ বৎসর, জগতে স্থায়ী হয়। দার্শনিক, ১বজ্ঞানিক, ঐতিহাসিক, কবি প্রভৃতি যাহারী গ্ৰন্থরচনার লঞ্জি স্থাপিত করেন, তাহারাও এইরূপ স্ব স্ব প্রতিভার স্থল