পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৩১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(సెషి SAASASASS SSASAS SSAAAASSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSJSJSS প্রবাসী-ভাদ্র, ১৩২২ ヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘパへへー、へん、ヘヘ、ヘヘヘン ヘヘヘヘーメーへヘヘヘー/ー、メY-* ! [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড শিক্ষকের চরিত্র প্রভাবে ও তৎপ্রদত্ত শিক্ষাগুণে ছাত্র- নৈপুণ্যের সফলত ঘটে না, এই সফলতা ছাত্রের বুদ্ধিবৃত্তি গণের চরিত্রগঠনের প্রকৃষ্ট দৃষ্টান্ত বিলাতের ডক্টর আনন্ত । আমাদের দেশেও শুনা যায়, yরামতনু লাহিড়ী ও ৬ রাজনারায়ণ বস্থর এইরূপ প্রভাব ছিল । পক্ষান্তরে ডিরোজিওর দৃষ্টান্তে, প্রভাবে, সংসর্গে এবং সাক্ষাং শিক্ষাদানের ফলে তাহার ছাত্রগণ উচ্ছ স্থল প্রকৃতির হইয়। উঠিয়াছিলেন। এখনও আমাদের দেশে আদর্শচরিত্র শিক্ষকের অভাব নাই। এই প্রসঙ্গে কয়েক বৎসর পূৰ্ব্বে পরলোকগত গৌরীশঙ্কর দে, vহরিপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়, • &মোহিতচন্দ্র সেন, vবিনয়েন্দ্রনাথ সেন প্রভৃতি এবং জীবিত শিক্ষকদিগের মধ্যে শ্ৰীযুক্ত প্রফুল্লচন্দ্র রায়, যুক্ত ব্রজেন্দ্রনাথ শীল, শ্ৰীযুক্ত রামেন্দ্রস্থদের ত্রিবেদী, শ্ৰীযুক্ত যোগেশচন্দ্র রায় প্রভৃতির উল্লেখ করা যাইতে পারে। শিক্ষক সৰ্ব্বগুণাধার হইলে সমাজের প্রভূত মঙ্গলের কথা। কিন্তু দেশে যত শিক্ষক আছেন, সকলেই সৰ্ব্বগুণধার হইবেন ইহা আশা করা যায় না। মানুষমাত্রেই দোষে গুণে জড়িত, শিক্ষকের বেলায় একথাটি তুলিলে চলিবে না। শিক্ষাদাননৈপুণ্য ও শিক্ষাদানে আনন্দ, এই দুইটি গুণের উপর যদি শিক্ষকের আদর্শচরিত্র হয়, তবে ত সে মণিকাঞ্চনযোগ। কিন্তু আদর্শচরিত্রের অভাব হইলেও পূৰ্ব্বকথিত দুইটি গুণের সমাবেশ অপরিহার্য্য। শুনিয়াছি ক্যাপ্টেন ডি এল রিচার্ডসনের চরিত্রে গুরুতর কলঙ্ক ছিল, কিন্তু তাহার অসাধারণ শিক্ষাদাননৈপুণ্য ও শিক্ষাদানে প্রবল অনুরাগের জন্য ছাত্রসম্প্রদায় তাহার গুণমুগ্ধ ছিল । অধিক আলোচনা বাঞ্ছনীয় নহে । আর-এক কথা । শিক্ষক যতই আদর্শচরিত্র হউন না কেন, তাহার সকল ছাত্রই যে সেই ছাচে ঢাল হইবে, এরূপ আশা করা যায় না । ছাত্রের চরিত্রগঠন করিতে ন। পারিলে তাহ শিক্ষকের অক্ষমতার পরিচয় নহে। যেমন শিক্ষক প্রতিভাশালী হইলেও সকল ছাত্রকে বিদ্বান করিয়া তুলিতে পারেন না, সকল ক্ষেত্রে তাহার শিক্ষাদান ১ ইনি ভাগলপুর কলেজের প্রিনসিপাল ছিলেন ইহার কা ক্ষেত্র মফস্বলে ছিল বলিয়া ইনি সকলের নিকট তেমন সুপরিচিত নহেন কিন্তু ইহার নিৰ্ম্মল চরিত্রের কথা ইহার সকল ছাত্রই জানেন । ও শিক্ষণ গ্রহণ-ক্ষমতার উপর নির্ভব করে, বিতরতি গুরু: প্রজ্ঞে বিদ্যাং যথৈব তথা জড়ে ন চ খলু তয়োজ্ঞানে শক্তিং করোত্যপহস্তি বা। ভবতি চ তয়োভূৰ্মান ভেদঃ ফলং প্রতি তদ্যথা প্রভবতি শুচিবিম্বোদ গ্রাহে মণিন মৃদাং চয় ॥ সেইরূপ শিক্ষক চরিত্রবান হইলেও সকল ছাত্রকে স্বচরিত্র করিয়া তুলিতে পারেন না। ছাত্রেব বংশ, সংস্কার, সংসর্গ প্রভৃতির বদ্ধমূল প্রভাব শিক্ষক কয়েক ঘণ্টা উপদেশদানে বা সঙ্গদানে মুছিয়া ফেলিতে পারেন না। সক্রেটিসের ছাত্র চরিত্রহীন এলকিবায়েডিস্ ও অত্যাচারী ক্রিটিয়াস, এরিষ্টটলের ছাত্র রণরঙ্গমত্ত এলেক্‌জ্যাণ্ডার, ও সেনেকার ছাত্র দুরাচার নীরো ইহার জলন্ত দৃষ্টান্ত । দুইটি প্রবন্ধে শিক্ষকের আশা, আশঙ্কা, আকাজক্ষা ও আদর্শ সম্বন্ধে বিশৃঙ্খলভাবে অনেক কথা বলিলাম। পচিশ বৎসরের অধিক কাল শিক্ষকতাকার্য্যে ব্ৰতী থাকিয়া শিক্ষকের জীবন সম্বন্ধে যে অভিজ্ঞতালাভ করিয়াছি, প্রবন্ধদ্বয়ে তাহাই প্রকাশ করিবার চেষ্টা করিয়াছি। যদি কোথাও স্ব-সম্প্রদায়ের প্রতি পক্ষপাত প্রকাশ করিয়া থাকি, তবে তাহ পাঠকবর্গ অজ্ঞানকৃত অপরাধ বলিয়। মার্জন করিবেন, এই প্রার্থনা । শ্ৰীললিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। স্নেহহারা (প্রবাসীর পঞ্চম পুরস্কার প্রাপ্ত গল্প ) ( ; ) কলিকাতা হইতে বিশ পচিশ মাইল দূরে ছোট একখানি পল্লীগ্রাম । বড় বড় গাছ, ছোট-খাট বেড়া-দেওয়া বাগান, অধিকাংশ বাড়াই কুড়ে-ঘরের সমষ্টিমাত্র। দু'দশটা বৰ্দ্ধিষ্ণু পরিবারের পাকা বাড়ীগুলা আশপাশের কুড়েগুলির সম্লম ও ঈর্ষা প্রায় সমানভাবে আকর্ষণ করিতেছে । নিস্তব্ধ মধ্যাহ্ন। সেদিন বিদ্যালয়ের ছুটি। একটা কোঠাবাড়ী হইতে বালক ভোলানাথ লাফাইতে লাফাইতে থাহির হইয়া আদিল । তাহার বয়স বার তের বৎসর হইবে। | T h ৫ম সংখ্যা] { cश्रह ASA SSASAS SSAS SSAS SSAS SSAS -x.م.........--م.---------م-- সেদিন বোধ হয় খেলার কোন সঙ্গী জুটে নাই—বালক গম্ভীর মুখে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরিয়া বেড়াইতে লাগিল । হঠাৎ কাহাদের বাগানের মধ্যে একটা জামরুল গাছের দিকে ভোলার দৃষ্টি পড়িল । গাছটায় অজস্র জামরুল ফলিয়াছে। বেড়ার ধারে দাড়াইয়া বালক চারিদিকে লক্ষ্য করিয়া দেখিল—কেহ কোথাও নাই । কতকগুল। বড় বড় ইট কুড়াইয়। সে ধপাধপ শব্দে বাগানের মধ্যে ফেলিতে লাগিল—কোন মালী তাড়া করিয়া আসিল না। তখন ভোলা ধীরে ধীরে বেড়। ডিঙাইয়া বাগানে প্রবেশ করিল। বৃক্ষের তলদেশে গিয়৷ উৰ্দ্ধমুখে গাছের দিকে দৃষ্টিপাত করিল। তাহার উংস্থক নেত্রদ্বয় আনন্দ এবং বিশ্বয়ে উদ্ভাসিত হইয়া উঠিল। সে আর-একবার চতুর্দিকে চাহিয়া গাছে উঠিয়া পড়িল । গাছের একস্থানে দুইটা শাখা মিলিয়া দিব্য একথানি আরাম-কেদারার মত হইয়াছে। ভোল৷ সেইখানে উঠিয়া পত্রপুঞ্জের অন্তরালে নিশ্চিন্ত মনে শয়ন করিল। হাতের কাছেই থোলো খোলা জামরুল। সে একটা একটা ছিড়িয়া অদূরবর্তী পাথরখানাকে লক্ষ্য করিয়া ছড়িতে লাগিল। চারি পাচটা জামরুলের একটাও পাথরখানায় লাগিল না। তখন সে প্রত্যেক ফলের আধখানা কামড়াইয় লইয়া অপরাদ্ধ ছড়িতে লাগিল। বাগানের ভিতর পুষ্করিণীর জলে স্বর্ঘ্যের প্রতিবিম্ব পড়িয়াছে। বহুদূর হইতে একটা ফটিকজল পার্থীর করুণ চীৎকার ভোলার কানে আসিম পৌছিতেছে। মধ্যাহ্নের বাতাস থাকিয়া থাকিয়া জামরুলগাছের শাখাপ্রশাখায় দোল দিয়া যাইতেছে। পরের বাগান না হইলে ভোলার নিদ্রাকৰ্ষণ হইত সন্দেহ নাই। এমন সময় বাগানের স্বারের নিকট বালককণ্ঠে একটা অক্ষট কলরব শোনা গেল। ভোলা চমকিয়া ফিরিয়া দেখিল, একটি বালিকা বেণী দোলাইয়া চুটিয়া আসিতেছে এবং তাহার পশ্চাতে একটি উলঙ্গ শিশু টলিতে টলিতে যথাসাধ্য দ্রুতবেগে তাহার দিদিকে ধরিতে আসিতেছে। ভোলার ইচ্ছ। হইলু ছুটিয়া পলাইয়া যায় ; কিন্তু সে দেখিল বৃক্ষ হইতে নুমিতে গেলেই এই দুটি মূৰ্ত্তিমান উপদ্রবের চক্ষে পড়িতে হইবে। তখন সে মনকে সাহস দিবার জন্য কহিল—“কি ! এই দুটাে ছোট ছেলেমেয়ের ভয়ে পালিয়ে হারা (t:\రి যাব ! কখনই নয়!" এই বলিয়া সে ঘনতর পত্রপুঞ্জের মধ্যে আত্মগোপন করিয়া নিঃশব্দে বসিয়া রহিল। বালিকা এবং তাহার ছোট ভাইটি অকারণ আনন্দে ছুটাছুটি করিয়া কলকাকলীতে বাগানটাকে মুখর করিয়া তুলিল । ছোট ছোট গুল্মের উপর ফড়িংগুলা নিশ্চিন্তভাবে পাথা মেলিয়া বসিয়া আছে ; শিশু অতি সন্তপণে গুটি গুটি তাহাদের নিকটস্থ হইয়৷ হাত বাড়াইব মাত্র তাহার উড়িয়া যায় এবং কিছুক্ষণ স্বৰ্য্যকিরণে ভাসিয়া আবার গাছে আসিয়া বসে। বালক আবার ধরিতে যায় এবং নিষ্ফল হইয়া বাতাসে ভাসমান পতঙ্গকুলের পশ্চাৎ পশ্চাৎ ছুটাছুটি করিয়া, হাসিয়া, হাততালি দিয়া, আপন অক্ষমতা গোপন করিবার চেষ্টা করে। বালিকা একটু ভারিন্ধি ভাব ধারণ করিয়া ভ্রাতাকে উপদেশ দেয়-ছিঃ ! ফড়িং ধল্পে আর-জন্মে ফড়িং হতে হয় । দিদির উপদেশের জন্যই হউক কিংবা দুৰ্ব্বত্ত ফড়িং গুলার অতিরিক্ত সাবধানতার জন্যই হউক, বালক নিবৃত্ত হইল। পরক্ষণেই জামরুল-গাছের দিকে চাহিয়া কহিল - দিদি, জামরুল খাব। গাছের উপর ভোলা জড়সড় হইয়া গুটি মারিয়া বসিল। জামরুলের প্রতি দিদির অনাসক্তি ছিলনা, কিন্তু তখন ভ্রাতাকে সছুপদেশ দিবার স্পৃহা বলবতী হইয়া উঠিল; কহিল—ছিঃ ! জামরুল খেলে পেট কামড়ায়। বালক দিদির আঁচল টানিয়া কহিল—ন, কামড়াবে না। তুই জামরুল পাড়। ভোল৷ নিশ্বাসপ্রশ্বাস বন্ধ করিয়া রহিল। অবোধ বালক দিদির উপদেশের মহিমা বুঝিল ন৷ দেখিয়া বালিকা কহিল—বাপরে ওগাছে ভূত আছে। তার চেয়ে আমরা মাছ দেখিগে চল । এই বলিয়া দিদি বালককে পুকুরধারে লইয়া গেল। এক ঝাক খোরসোলা মাছ জলের উপর সাতার দিতেছিল। বালক কিছুক্ষণ গবেষণাপূর্ণ দৃষ্টিতে দেখিয়া দেখিয়া দিদির মুখের দিকে চাহিয়া মাছগুলোর চরিত্র সম্বন্ধে প্রশ্ন করিল। পুকুরপাড়ের গাছে একটা জবাফুলের দিকে দিদির নজর পড়িয়াছিল। বালিকা ফুলের দিকে হাত বাড়াইয়৷ কহিল—মাছগুলো ভারী দুষ্ট আমাদের খোকা লক্ষ্মী।