পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৩২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬০২ ~~ ০৮:৪৩, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)SumitaBot (আলাপ) নিৰ্ম্মিত", না হয়, "ীমানের নিজ শিষ্যগণের নিৰ্ম্মিত" ; সুতরাং "বরেন্দ্র-অনুসন্ধান সমিতি তাহদের সংগৃহীত মূর্ণিগুলির মধ্যে মান নিৰ্ম্মিত কতগুলি প্রস্তরমূর্তি আছে স্থির করিয়াছেন" এইকথা বলায় যে কি দোষ হইয়াছে তাহ পাঠকবর্গের বিচাৰ্য্য। "..No 5, । , 14, 34, 95 and 99...may be safely attributed to Dhiman" এই কথা, এবং "বরেন্দ্র-অনুসন্ধান-সমিতি" ১১, ১৪, ৩৪, ৯৫ ও ৯৯ সংখ্যক মূৰ্ত্তি ধীমান-নিৰ্ম্মিত মনে করিয়াছেন, এই কথায় কতটুকু প্রভেদ আছে, পাঠকবর্গের বিচাৰ্য্য। আমি ইচ্ছা করিয়াই "followers' কথাটার উল্লেখ করি নাই। কারণ, যখন ধীমানের অস্তিত্ব সম্বন্ধেই কোনও বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ নাই, তখন তং প্রতিষ্ঠিত শিল্পীগোষ্ঠীর অস্তিত্ব কেমন করিয়া স্বীকার করা যাইতে পারে ? রমাপ্রসাদ বাবু লিথিয়াছেন “উক্ত পাচটি মূৰ্ত্তি যে অভি নব শিল্পরীতির উদ্ভাবনকারী ওস্তাদের বা তাহার শিষ্যগণের তৈয়ারী বলিয়া মনে হয় না, স্বচক্ষে না দেখিয়া কলিকাতায় বসিয়া, স্বরেন বাৰু কি প্রকারে যে স্থির করি লেন তাহা বুঝিতে পারিতেছি না।" রমাপ্রসাদ বাবু অন্তগ্ৰহ করিয়া জ্যৈষ্ঠ মাসের প্রবাসীর ২৯৮ পূঃ পাঠ করিলে কারণ দেখিতে পাইবেন। "বরেন্দ্র-অনুসন্ধান সমিতি যে কয়টি মূৰ্ত্তি ধীমান-নিৰ্ম্মিত মনে করিয়াছেন, তাহার কোনটিতেই খোদিত লিপি নাই । থাকিলে তালিকায় অবশ্যই তাহার উল্লেখ থাকিত।" খোদিত লিপির অভাবে কোনও মূৰ্ত্তির কাল নির্দেশ করা সম্ভবপর নহে। ভারতবর্ষে নিৰ্ম্মাণপদ্ধতি (technique) দেখিয়া কাল নির্দেশ করিবার সময় এখনও আসে নাই। #হার এই কাৰ্য্য করিয়াছেন, তাহারাই লাঞ্ছিত হইয়াছেন। সত্য বটে, যুরোপীয় প্রত্নতত্ত্ববিদগণ নিৰ্ম্মাণকৌশল দেখিয়৷ প্রাচীন গ্ৰীক মূৰ্ত্তির কাল নির্দেশ করিয়া থাকেন। তাহদিগকে খোদিতলিপিযুক্ত অথবা শিল্পী কর্তৃক স্বাক্ষরিত মূৰ্ত্তির নির্মাণকৌশল শতাব্দী কাল ধরিয়া বিশ্লেষণ করিয়া, বিজ্ঞানসন্মত প্রণালীতে রচিত ইতিহাস অবলম্বন করিয়া তবে কোনও শিল্পীর মূৰ্ত্তি দেখিয়া কাল নির্দেশের কাৰ্য্যে সক্ষম হইতে হইয়াছে। তথাপি এই রীতি এখনও বিশেষজ্ঞগণের নিকট সহজ বলিয়া মনে হয় না। বরেন্দ্র প্রবাসী—ভাদ্র, ১৩:২ 0 -ல் AASAASAASAASAAMS MSMSMSMS [ ১৫শ ভাগ ১ম খণ্ড অহুসন্ধান-সমিতি কোন রীতি অবলম্বনে উক্ত পাচটি মূৰ্ত্তি ধীমান i. তাহার নিজ শিষ্যগণের নিৰ্ম্মিত বলিয়া নিৰ্ব্বিবাদে মনে করা যাইতে পারে স্থির করিলেন, এবং কেমন করিয়া এই মূৰ্ত্তিগুলির কাল নির্দেশ করিলেন, তাহ জানাইলে বোধ হয় জনসাধারণের উপকার হইত। এবং মূৰ্ত্তিগুলির চিত্র প্রকাশ করিয়া বিদেশীয় অনুসদ্ধিংস্কৃগণের আলোচনার পথ প্রশস্ত করিয়া দিলে যে উদারতা হইত সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ থাকিতে পারে না। রমাপ্রসাদ বাবুর প্রবন্ধের সহিত যে চর্কিকাদেবীর মূৰ্ত্তি প্রকাশিত হইয়াছে তাহার নির্মাণকৌশল অট্টহাস আবিষ্কৃত দেবীমূৰ্ত্তির কলাকৌশল অপেক্ষ অনেকাংশে নিকৃষ্ট। শ্ৰীযুক্ত নগেন্দ্রনাথ বস্তু মহাশয়ের রচিত “বৰ্দ্ধমানের ইতিকথার" সহিত অট্টহাসের মূৰ্ত্তির একটি ক্ষুদ্র চিত্র প্রকা-শিত হইয়াছে পাঠকবৃৰ্গ এই মূর্ষিদ্বয়ের চিত্র তুলনা করিয়া দেখিলেই আমার উক্তির যাথার্থ্য অনুভব করিতে পারিবেন। তারপর প্রতিবাদকর্তা রাজসাহীতে বসিয়া, মূৰ্ত্তির চিত্র পর্যন্ত না দেখিয়া, কি করিয়া ইহাকে চর্চিকামূৰ্ত্তি বলিয়া স্থির করিয়া ফেলিলেন, তাহ সমস্যা বটে। রমাপ্রসাদ বাৰু বলিয়াছেন "এই সিদ্ধান্তও আমরা চরম সিদ্ধান্ত বলিয়া ধরিয়া থাকিতে চাই না"। র্তাহাকে কি বলিয়া দিবার প্রয়োজন আছে যে অপরাপর বৈজ্ঞানিক সিদ্ধান্তসমূহের ন্যায় ইতিহাসের কোনও সিদ্ধান্ত চরম হইতে পারে না, অতএব রমাপ্রসাদ বাবুর সে কথা বলাই বাহুল্য। তাহদের বর্তমান সিদ্ধান্ত যে বিজ্ঞানসম্মত নহে তাহা আমি আমার পূর্বপ্রবন্ধে এবং এই বৰ্ত্তমান প্রবন্ধে বুঝাইতে চেষ্টা করিয়াছি। রমাপ্রসাদ বাৰু বলেন “তিনি (তারানাথ) ধীমান ও বীতপাল সম্বন্ধে যাহা লিখিয়াছেন তাহা অমূলক নাও হইতে পারে।" কিন্তু যতটা পরিমাণ বল তিনি সংগ্ৰহ করিয়া বলিতে পারিয়াছেন যে তারানাথের উক্তিসকল “অমূলক নাও হইতে পারে," ঠিক ততটা জোরের সহিত আমরা বলিতে পারি যে উহা অমূলক হইলেও হইতে পারে। যাহা হউক, রমNসাদ বাবুর ন্যায় ঐতিহাসিকের নিকট এরূপ কথার প্রত্যাশা করি নাই। বরেন্দ্র-অনুসন্ধান-সমিতি তাহদের Guide Bookএর অপর একস্থানে লিথিয়াছেন :– - br - ৫ম সংখ্যা] , ാ.ുത്തു “We have to look to Varendra fo the sountain-head of.Mediaeval art in Noriherm India.” বলা বাহুল্য যে ইহা ঐতিহাসিকের কথা নহে। fé* fça A History of Fine Art in India and Ceylon অসম্পূর্ণ এস্থ—ইহাতে গুপ্তাধিকার ও পরবর্তী কালের সম্পূর্ণ ঐতিহাসিক বিবরণ নাই। উত্তরাখণ্ডের শিল্পেতিহাসের বিস্তৃত বিবরণ এখনও লিখিত হয় নাই। মৈত্রেয় মহাশয় কিন্তু পরম নিশ্চিন্তমনে তারানাথের উপর সম্পূর্ণ নির্ভর করিয়া বলিয়া ফেলিলেন যে বরেন্দ্রমগুলে ধৰ্ম্মপাল ও দেবপালের রাজাকালে জন্ম গ্রহণ করিয়া ধীমান ও বীতপাল "গৌড়ীয় শিল্পে অনিন্দ্যমুন্দর রচনা-প্রতিভা বিকশিত করিয়াছিলেন"। ইহাই কি ইতিহাস-রচনা-প্রণালী? ইচ্ছ। আর যাহাই इसैंक, इंडिशन मtश्। o শ্ৰীস্বরেন্দ্রনাথ কুমার। এই বিষয়ে আর কোন বাদ প্রতিবাদ “প্রবাসীতে" মুদ্রিত হইবে না –সম্পাদক। | - রুদ্র কণন্ত - (প্রবাসীর ষষ্ঠ পুরস্কাৰ প্রাপ্ত গল্প ) খুৱ সূক্ষ্মভাবে পর্যবেক্ষণ করিয়া দেখিবার কোন উৎসাহ না থাকিলেও, সংসারে সচরাচর সংঘটিত ব্যাপারগুলা রুদ্রকাপ্ত নিতান্ত তাচ্ছিল্যের সহিত উড়াইয়া দিয়া নিরুদ্বেগে দিন কাটাইবার পাত্র ছিল না। বাল্যকালে পিতৃ-মাতৃবিয়োগ হওয়ায়, আর্যৌবন মাতুলের অনুগ্রন্থে যত্নে লালন পালন হইলেও তাহার স্বভাবের নিজস্ব তেজটুকু নিৰ্জীৰ হীনতার মাঝে মোটেই ডুবিয়া যায় নাই। অবশ্ব পরান্নভোজী জীবের স্বাতন্ত্রোর স্পৰ্দ্ধা জগতের চক্ষে কখনই মার্জনীয় নহে, রুদ্র কাস্তকে ৪ বড় একটা কেহ সস্তোষের ষ্টিতে দেখিত না; যাহারা মুখের উপর বলিতে পারিত না, তাহারা-ৰপ্তরালে, এবং যাহারা স্পষ্টাক্ষরে বলিবার ক্ষমতা রাখে, তাহারা সুবিধামত ঠারে ঠোরে সে কথাটা | তাহাকে অনেকবার বুঝাইবার চেষ্টা করিত, কিন্তু পরিণামে - রুজুকাস্ত আশ্চর্ষ্য বিশেষত্ব ছিল যে, কোন কাজের পরিণামে কেহ

  • 2○

SSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSAAAASAAAAMS কল্পকাস্তের অবজ্ঞা ও একগুঁয়েমির সীমা উদ্ধে উঠা ছাড়া কোন বিশেষ ফল হইত না। আর মাতুলও তাছাকে যথার্থ স্নেহের চক্ষে দেখিতেন। ভয়ের শাসন নামক বস্তুটা একেবারে রুজৰাজের প্রকৃতির অভিধানবহির্ভূত জিনিস, অথচ কেহ তোষামোদ করিয়াও কখনো তাহাকে একটা কাজ করাইতে পারে নাই। তাহার চরিত্রে এমনি একটা কঠিন দৃঢ়তা ছিল, যে, নিতান্ত অভাবে পড়িয়া ও একটি ক্ষুত্র "হাইও সেবাজে খরচ করিবার পাত্র ছিল না। যেখানে কাজ, রুদ্রকান্ত ঠিক প্রয়োজনের মুহূৰ্ত্তে সেখানে আসিয়া উপস্থিত হইত, কিন্তু যে-মুহূর্বে প্রয়োজন ফুরাইত, তাহার পর-মুহূর্বে আর কেহ তাহাঙ্কে ত্রি-সীমানার মধ্যে খুজিয়া পাইত না; বিপক্সের সহিত অতি অক্লেশে খুব অন্তরঙ্গতা পাতাই। ফেলিত, একটি নিমেযে,–কিন্তু দায় উদ্ধারের পরদিবস ৰুত-সময় তাহার নাম পৰ্য্যন্ত ভুলিয়া যাইত, তাহার প্রকৃতির এমনিই কথনে তাহাকে আনন্দ বা অনুতাপ করিতে দেখে নাই। যে বিষয়ে সে মনোযোগ করিত, সেটায় যদি উৎসাহ পাছত তাহা হইলে সমান তালে বেশ সাধারণ ভাবে চলিত ; किछु प िदाक्षा रहेङ, उाइ श्हेप्ल चश्व ८छप्क्, ख्रद्धविरु হইয়া সেইটার সংসাধনে লাগিয়া পড়িত। o বাল্যকালে গ্রাম্য পাঠশালায়, বুদ্ধি সম্বন্ধে নীরিহ এবং প্রকৃতি সম্বন্ধুে উদ্ধত কয়েকটি মাত্র সহধাৰীৱ সহিত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মারামারিতে ছাড়া, বিশেষ কোনই কৃত্তিৰ দেখাইতে পারে নাই। কিন্তু যখন দশ বৎসর বয়সে মাতুলের অনুগ্রহে জেলা স্থলে সপ্তম শ্রেণীতে ছত্ৰিশ জন বালকের নীচে ক্রমিক সংখ্যাচুসারে স্থান লাভ করিয়া প্রবিষ্ট হইল, তখন তাহার এমনি নিষ্করণ রোক চাগিয়া উঠিল যে, গভীর গ্রীষ্মে, ঘোরতর বর্ষার, ও নিদারুণ শীতে, শরীর সংন্ধে লেশ মাত্র আরাম উপভোগের অবসর ন। রাখিয়া প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এরূপে প্রস্তুত হইল যে, বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফলে দেখা গেল, যে, ছত্রিশ স্থানের মধ্যে সেই প্রধান হইয়াছে। এইরূপে বৎসর বৎসর প্রতি শ্রেণীতে অবাধে উৰ্ত্তীর্ণ হইয়া সৰ্ব্বোচ্চ স্থান লাভে কুড়ি বৎসর বয়সে যখন সে পরিচিত আত্মীয় বন্ধুগণের শ্রদ্ধ স্ত্রম ও ইতর - o