পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৩৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

やか98 تیمهای سینمای ایرانی است.


مrv

কথা টানিয়া বাহির করিতে চেষ্টা করেন। কবি গায়ক ও শিল্পীর বাণী—তাহাদের অন্তর্জগৎ এই-সমুদয় রচনায় স্পষ্টরূপে প্রচারিত হয়। উংকৃষ্ট কাব্য চিত্র ও সঙ্গীতুের ন্যায় এই ধরণের সমালোচনাও বিরল। কারণ এই সমলোচনা প্রকৃত প্রস্তাবে মৌলিক স্বষ্টিশক্তির পরিচয়— দার্শনিক মনীষার সাক্ষা–দর্শনশাস্ত্রেরই এক অঙ্গ বা বিভাগ। প্রকৃত সমালোচক বঙ্গসাহিত্যের আসরেও দেখা দিয়াছেন। আমাদের সমালোচনার ঘর নিতান্ত শূন্য নয়। বঙ্কিম, চন্দ্রনাথ, দ্বিজেন্দ্রলাল, রবীন্দ্রনাথ, ও রামেন্দ্রসুন্দর, ইহারা সমালোচনাসাহিত্যে বাঙ্গালীর প্রতিনিধি। বিলাতী সমালোচকগণের সঙ্গে তুলনা করিতে হইলে বলিব zitązh (Bagehot), çHHĪ BEFR (Leslie Stephen) qąt Uffē Ntjzig (Matthew Arnold) HETfRH প্রবর্তিত সমালোচনাপ্রণালী ইহঁদের রচনাতেও দৃষ্ট হইয়াছে। ইহারা সমালোচ্য সাহিত্যুের বিশ্লেষণ করিয়৷ তাহার ব্যাখ্যা ভাষ্য ও টিপ্পনী লিথিয়াছেন। সাহিত্যসমালোচনার অন্য এক রীতি আছে। সেই রীতি দার্শনিক ব্রজেন্দ্রনাথ-প্রণীত The New Essays in Criticism নামক গ্রন্থে প্রবর্তিত হইয়াছে । এই গ্রন্থের নাম পৰ্য্যন্ত অনেকেই জানেন না । ইহার প্রভাবও ভারতবাসীর ইংরেজী এবং বাঙ্গালা সাহিত্যে বিন্দুমাত্র পড়ে নাই। ইহাতে পাশ্চাত্য সাহিত্যের সমালোচনা এবং পাশ্চাত্য সমালোচকগণের সমালোচনা আছে। তাহ ছাড়া উনবিংশ শতাব্দীর বঙ্গসাহিত্যের ক্রমবিকাশ বুঝান হইয়াছে। গ্রন্থনিবন্ধ প্রবন্ধগুলি পাঠ করিলে বৰ্ত্তমান জগতের চিন্তামগুলে ভারতবর্ষের স্থান সহজেই ধরিতে পারা যায়। দুঃখের কথা, গ্রন্থের ভিতর বিশ্বসাহিত্যের উল্লেখ এবং পাণ্ডিত্যের অবতারণা এত অধিক যে পৃথিবীর বেশী লোক ইহা সহজে বুঝিতে পরিবে না— বাঙ্গালী বা ভারতবাণীর ত কথাই নাই। ইহার প্রাঞ্চল সংস্করণ এবং ভাষ্যস্বরূপ বাঙ্গালা অনুবাদ প্রকাশিত হওয়া অবিশুক } ব্রজেন্দ্রনাথ যেরূপ তুলনামূলক ও ঐতিহাসিক আলোচনা-প্রণালীর পক্ষপাতী, চট্টগ্রামের কবি শ্ৰীযুক্ত প্রবাসী-ভাদ্র, ১৩২২ ) [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড শশাঙ্কমোহন সেন স্বাধীনভাবে সেই প্রণালী অবলম্বন করিয়ুই সমালোচনার আসরে নামিয়াছেন। ইহার ब्रध्नांदली अशकाद्र थकांभिङ श्ल ७३-गभूमप्यद्र १थार्थ মূল্য নিৰ্দ্ধারণ করা সম্ভব হইবে। শ্ৰীযুক্ত দীনেশচন্দ্র । সেনের “বঙ্গভাষা ও সাহিত্য” ঐতিহাসিক গ্রন্থ । লেখককে স্থানে স্থানে সমালোচকের কার্য্যও করিতে হইয়াছে। ইহার সমালোচনায় সাধারণত: ম্যাথিউআনল্ড বঙ্কিম রবীন্দ্রনাথ ইত্যাদির ব্যাখ্যা-প্রণালীই বিশেষ প্রকটিত—কিন্তু মাঝে মাঝে দ্বিতীয় প্রণালীর ইঙ্গিত পাওয়া যায়। দীনেশবাবুর “History of Bengali Language and Literature” নামক ইংরেজী গ্রন্থে এই রীতির পরিচয় বেশী। বৰ্ত্তমান বাঙ্গালাসাহিত্যের আসরে মামুলি গন্থপরিচয় অথবা "শ্ৰীসমালোচক"-লিগিত শিল্প-পরিচয় ব্যতীত যথার্থ সমালোচনার প্রয়াসও আছে। বিগত সাতবৎসরে সমালোচনার ঘরে লেখকের সংখ্য বাড়িয়াছে—রবীন্দ্রনাথের নোবেল-প্রাইজ লাভের পর সাহিত্য-সমালোচনায় বাঙ্গালাসাহিত্য সবিশেষ পুষ্টিলাভের পথে অগ্রসর হইতেছে। আগামী কয়েক বৎসরের ভিতর নিরেট ফল পাওয়া যাইবার সম্ভাবনা। সম্প্রতি আমাদের দেশে সমালোচনার দুই রীতিই অবলম্বিত হইয়া থাকে। বিলাতে থাকিয়া ইয়োরোপের কথা বেশী শুনিতাম ন৷ —বিশ্বচিন্তা, বিশ্বসাহিত্য ইত্যাদির সংবাদ পাইতাম না। অক্সফোর্ড, কেন্থি জ, এডিনবারা ইত্যাদি বড় বড় চিন্তাকেন্দ্রগুলি যেন জমাটবাধা প্রাচীর-বেষ্টিত চর বা দ্বীপস্বরূপ। দুনিয়ার ভাব-স্রোত এই সমুদয় চরে সহজে প্রবেশ করে না। ইয়াঙ্কিস্থানে দেখিতেছি—সমগ্র ইয়োরোপই আমার সম্মুখে। এখানকার চিন্তামগুলের আবহাওয়ার সঙ্কীর্ণত প্রাদেশিকতা গতানুগতিকতা যেন একেবারেই নাই বোধ হইতেছে । কলাম্বিয়াবিশ্ববিদ্যালয় ও হার্ভার্ডবিশ্ববিদ্যালয় দুই প্রতিষ্ঠানের কৰ্ম্মকৰ্ত্তারাই ইয়োরোপের সকল প্রদেশকে নিজ নিজ কেন্দ্রে টানিয়া আনিতে সচেষ্ট। ফরাসী, ইটালীয়, রুশ, জাৰ্ম্মান ইত্যাদি সকল জাতীয় চিন্তাই ইয়াঙ্কি-প্রতিষ্ঠানে মৰ্যাদা লাভ করে। ইয়োরোপের বিভিন্ন সাহিত্য কলা ও সভ্যতা শিখাইবার জন্য এখানে বিশেষ ব্যবস্থা আছে। ফলতঃ ফ্রান্স, জাৰ্ম্মানী l ৫ম সংখ্যা ] ইত্যাদি দেশের পরিচয় ইংরেজীভাষায় পাইতে হইলে বিলাতে না আইয়। আমেরিকায় আসাই স্থবিধাজনক। হার্ভার্ড- ও কলাম্বিয়াবিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকগণ ইয়োরোপের নানা সাহিত্য ও সভ্যতা সম্বন্ধে যে-সকল গ্রন্থ লিথিয়াছেন, বিলাতের ইংরেজী-সাহিত্যে সে-সমুদয় দেখিতে *j8ग्रे भांश्न न| । o বাঙ্গালাদেশে এক্ষণে সাহিত্যসমালোচনা, সাহিত্যের ইতিহাস আলোচনা, শিল্পরীতি সম্বন্ধে অমুসন্ধান ইত্যাদি চলিতেছে। এদিকে উপযুক্ত ব্যক্তিগণের দৃষ্টিও পড়িয়ছে। এইসময়ে আমরা বিশ্বসাহিত্যের সংবাদ রাথিতে চেষ্ট৷ করিলে সবিশেষ উপকৃত হইব। আমরা তুলনামূলক ঐতিহাসিক এবং দার্শনিক সালোচনাপ্রণালী নানাক্ষেত্রে অবলম্বন করিতে প্রবৃত্তও হইয়াছি। কাজেই দুনিয়ার চিন্তাশক্তি হইতে তথ্য ও তত্ত্বসংগ্ৰহ করিয়া স্বকীয় স্বাস্থ্য ও কলেবর পুষ্ট করা আমাদের পক্ষে কঠিন হইবে না। আমরা যেপথে অগ্রসর হইয়াছি সেই পথই আরও প্রশস্ত ও বিস্তৃত হইতে পরিবে । এইজন্য এক্ষণে তুলনামূলক সমালোচনা-প্রণালীর প্ৰবৰ্ত্তকগণের গ্রন্থ আমাদের দেশে অধীত ও প্রচারিত হওয়া আবশ্যক। ফরাসী তেন (Taine), এদম শেরার (Edmond Scherer) qqs s’ts zijs ( Sainte Beuve), cg:Uttfa sisfat si (Georg Brandes) এবং আয়লাণ্ডের ডাউড়েন (Dowden) ইত্যাদির রচনাবলী সুপ্রচলিত হইলে সাহিত্য ও জাতীয় জীবনের পরম্পর সম্বন্ধ বুঝিতে বিশেষ স্থবিধা হইবে। চিত্রকল, সঙ্গীত, স্থাপত্য, নাটক, কাব্য, উপন্যাস ইত্যাদির মূল্য নুতনভাবে সমাজে প্রচারিত হইতে থাকিবে। বস্তুত: সাহিত্যসমালোচনার ভিতর দিয়া জাতীয় চরিত্রগঠনের সুযোগ আসিবে। এই ধরণের সমালোচক যথার্থভাবে দার্শনিক —অর্থাং পথপ্রদর্শক-নূতন চিন্তার প্রবর্তক-সুতরাং জাতীয়জীবনের নিয়ামক । হাভার্ডবিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কুনে ফ্রাঙ্ক জাৰ্ম্মানসাহিত্যু সম্বন্ধে একথান সমালোচনাগ্রন্থ লিথিয়াছেন। তাহাওঁ এইসঙ্গে উল্লেখযোগ্য। অবশ্ব কোন দার্শনিক, সমালোচক বা ঐতিহাসিকের মতবাদ অভ্রান্ত সত্যরূে እ: - বিশ্বসাহিত্য 938 وي ാദ গ্রহণ করা যায় না। ব্রাণ্ডেস, ডাউন্ডেন অথবা ফ্রাঙ্কার সিদ্ধাস্কগুলি সম্বন্ধেও এই কথাই থাটিবে। কিন্তু ইহাদের আলোচনাপ্রণালী লক্ষ্য করিবার জন্যই ইহাদের আদর প্রধানতঃ হওয়া উচিত।

  • Fix-offs Social Forces in German Literature গ্রন্থের ভূমিকায় আলোচনাপ্রণালীর সংক্ষিপ্ত বিবরণ প্রদত্ত হইয়াছে :–

“There seems to be a decided need of a book which should give a coherent account of the great intellectual movements of German life as expressed in literature: which should point out the mutual relation of action and reaction between these movements and the social and political condition of the masses from which they sprang or which they affected; which in short, should trace the history of the German people in the works of its thinkers and poets.” অর্থাৎ, জার্শ্বানীর সাহিত্যের মধ্য দিয়া জার্মান জীবনের দ্বিবিদ্যা সম্পৰ্কীয় যে সমস্ত প্রচেষ্টার আভাস পাওয়া যায় তাহার একটি ধারবাহিক ও মুসংলগ্ন পরিচয় দিতে পারে এমন একখানি গ্রন্থের নিতান্ত প্রয়োজন আছে ; এই সমস্ত প্রচেষ্ট্র, যে জনসাধারণের মধ্য হইতে জন্মলাভ করিয়াছে বা যাহাদিগের উপর প্রভাব বিস্তার করিয়াছে, তাহদের সামাজিক ও রাষ্ট্ৰীয় অবস্থার সহিত উক্ত প্রচেষ্ট-সকলের ঘাত-প্রতিঘাত ও পরস্পরের সম্পর্ক সেই গ্রন্থ ধরিয়া বুঝাইয়া দিবে। এক কথায় বলিতে গেলে উক্ত গ্রন্থ জাৰ্ম্মান জাতির চিস্তাশীল ব্যক্তিদেরও কৰিদের রচনা হইতে সমগ্র জার্মান জাতির ইতিহাস উদ্ধার করিৰে। sta (John Richard Green)-zistis History of the English People is stoo offs's এই গ্রন্থের সাহিত্যসংক্রাস্ত অধ্যায়গুলিতে এই ধরণের সমালোচনা প্রণালী অবলম্বিত হইয়াছে। জঙ্গ’ ব্রাণ্ডেসের সেক্সপীয়ার-বিষয়ক গ্রন্থের নাম বোধ হয় অনেকেই শুনিয়াছেন। তাহার আর একখানা প্রসিদ্ধ গ্রন্থ ছয়খণ্ডে বিভক্ত। নাম Main Nineteenth Century Literatures ousos নরওয়ের নাটককার ইবসেন, জাৰ্ম্মান শ্রমজীবীর বন্ধু ফাড়িনাও ল্যাসেল এবং পোলিশ জার্মান দার্শনিক নীটশে সম্বন্ধে জীবনী ও সমালোচনা-গ্রন্থ ইহার প্রণীত। Main Currents গ্রন্থের বিভাগগুলি নিম্নে প্রদত্ত হইতেছে — The Emigrant Literature. The Romantic School in Germany. The Reaction in France. Naturalism in England. The Romantic School in France. . Young Germany. - 、ベー Currents in i